Shares 2
Bajaj Platina 100 মালিকানা রিভিউ - মোঃ কাওসার
Last updated on 13-Jul-2024 , By Saleh Bangla
আমি মো : কাওসার । আমি ঢাকার রামপুরা থাকি এবং পার্ট টাইম জব করি । আমি রাইড শেয়ারিং করে থাকি পাঠাও এবং উবার এ । আমি রাইড শেয়ারিং এর জন্য Bajaj Platina 100 বাইকটি ব্যবহার করে থাকি । আমার বাইকের বয়স ৮ বছর হবে। বাইকটি আমি ঢাকার উত্তরা মটরস এর শোরুম থেকে কিনি।
Bajaj Platina 100cc বাইকের মালিকানা রিভিউ - মোঃ কাওসার
এবার বলি কেন আমি Bajaj Platina 100 বাইক টি কিনলাম। এক কথায় বলব যে বাইকের মুল্য, কমফোর্ট লেভেল, মাইলেজ, এভ্যাইলেবেল পার্টস, সার্ভিস সব কিছু মিলিয়ে বাইকটি দারুন । ফুয়েল ক্যাপাসিটি বেশ ভালো এবং প্রশস্ত সিটিং পজিশন। এছাড়া বাইকের লুকিং টা বেশ ভালো। রাইড শেয়ারিং করার জন্য বেস্ট বাইক এটি আমি মনে করি। বাইকের বর্তমান মিটার রিডিং ৮৮৪৩২ কিমি ।
আমি যখন বাইকটি ক্রয় করি তখন বাইকের প্রাইজ ছিল ১১৯০০০ টাকা মাত্র। Bajaj Platina 100 এর ইঞ্জিন হচ্ছে ৯৯ সি সি । এর এভারেজ মাইলেজ ৮০+ কোম্পানী দাবী করে থাকে, কিন্তু আমি পেয়েছি ৫৫/৬৫। বাইকের ফুয়েল সাপ্লাই সিস্টেম কার্বুরেটর । স্টার্টিং মেথড কিক । কুলিং সিস্টেম এয়ার কুল এবং টায়ার টাইপ টিউব ।
Bajaj Platina 100 এর টপ স্পিড পেয়েছি ৯০+ । তবে এই স্পিড এ বাইক অনেক ভাইব্রেশন করে। আমি মনে করি তার কারন হচ্ছে বাইকটি ওজনে অনেক হালকা। তবে বাইক এ ৯৫+ স্পিড আপ করা যায় । বাইকটির ইঞ্জিন টাইপ DTSI ।
বাইকের মাক্সিমাম পাওয়ার ৮.২০BHP @৭৫০০RPM মাক্সিমাম টর্ক ৮.০৬ @৪৫০০RPM । বাইকে এ ৪ টি গিয়ার রয়েছে,বাইক টুইন স্পার্ক এর । বাইকের ফ্রন্ট সাস্পেনশন হচ্ছে হাইড্রলিক টেলিস্কোপিক । বাইকের রেয়ার সাস্পেনশন হচ্ছে হাইড্রলিক শক অভজারভার। বাইকের ফ্রন্ট ব্রেক ড্রাম ব্রেক (১৩০ মিমি) ।
বাইকের রেয়ার ব্রেক ড্রাম ব্রেক (১১০ মি মি ) । বাইকের ফ্রন্ট টায়ার সাইজ ২.৭৫*১৭,৪১ । বাইকের রেয়ার টায়ার সাইজ হচ্ছে ৩.০০*১৭,৫০ বাইকের ওজন ১১৩ কেজি । ফুয়েল ট্যাংক এ ১৩ লিটার ফুয়েল ধরে । বাইকের ব্যাটারি এর ভোল্ট ১২ । হেড লাইট ৩৫ ওয়াট । স্পিড মিটার এনালগ । ফুয়েল মিটার এনালগ । RPM মিটার নেই । হ্যান্ডেল টাইপ পাইপ হ্যান্ডেল ,পাইপ হ্যান্ডেল থাকবার কারনে বাইক নিয়ে ঢাকা শহর এর চিপা চাপা রাস্তায় খুব সহজেই রাইড করা পসিবল ।
বাইকের মাইলেজ ঢাকার ভিতর পেয়েছি ৫০+ এবং ঢাকার বাইরে হাইওয়েতে এ ৭০+। বাইকের সাস্পেনশন কোয়ালিটি অনেক স্ট্রং। আর তাই বাইকে পিলিয়ন নিয়ে রাইড করার সময় কোনো রকম ঝামেলা পেতে হয় নাহ। তাছাড়া বাইক এর সিট প্রশস্ত হবার কারনে বাইকে অনায়াসে ৩জন বাসা যায় । বাজাজ বাইক নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই তবুও আপনি কেন কিনবেন এই বাইক সে নিয়ে কিছু কথা লিখছি। এই বাইকের কিছু বিশেষ সুবিধা হচ্ছে,
- মাইলেজ
- স্ট্রংবডি
- শক্তিশালি সাস্পেনশন
- এভেইলেবল পার্টস
বাইকের ইঞ্জিন শক্তিশালি হবার কারনে ভারি মালামাল বহনেও কোন রকম সমস্যাই হবে নাহ। এই বাইকের অসুবিধা হচ্ছে
- বাইকের টায়ার চিকন হবার কারনে অনেক সময় স্লিপ কাটে ।
- লাইটিং খুব ভালো নয় ,আলো কম হয় ।
বাইক এ যদি আপনি লাইট চেঞ্জ করে নেন তাহলে আর প্রব্লেম হবে না। তাছাড়া বাইকের টায়ার মোটা হলে ব্যালেন্স আরও ভালো হবে বলে আমি মনে করি।
লিখেছেনঃ মোঃ কাওসার
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।
T
Published by Saleh Bangla