Shares 2
বাংলাদেশের রাইডারদের জন্য বাইকের চাকার ফুল মেইনটেইন্স টিপস
Last updated on 06-Jul-2024 , By Ashik Mahmud Bangla
একটা বাইকের টায়ার বাইকের জন্য অনেক কিছু এবং একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর । টায়ার হল আপনার বাইকের জন্য জুতার মত । আপনার বাইকের ইন্জিন কতটা পাওয়ারফুল সেটা যতই ফ্যাক্ট হোক , সেই ইন্জিন থেকে ভাল পারফরমেন্স পেতে হলে আপনার বাইকে অবশ্যই ভাল টায়ার থাকতে হবে । কারণ , ইন্জিনের শক্তিটা টায়ারই শেষ পর্যন্ত গতিশক্তিতে পরিণত করে ।
আপনার বাইক কোন কন্ডিশনে কতটা ভাল পারফর্ম করবে সেটা লাস্টলি বাইকের টায়ারের উপর অনেকটাই ডিপেন্ড করে । শুধু তাই নয় , ব্রেকিং , টার্ণিং , এবং সাধারণ রাইডিং নবক্ষেত্রেই টায়ারের ভূমিকা অপরিসীম । তাই টায়ারকে অবহেলা করার কোন উপায় নেই । এজন্য আজ বাইকের টায়ারের যত্ন ও মেইনটেইন্স নিয়ে কিছূ কথা বলব ।
বাইকের টায়ারের প্রেশার সবসময়ই বাইকের ইউজেজ, বাইকের লোড , রোড সারফেসের অবস্থা এবং যে কোম্পানী বাইকটি তৈরী করেছে তাদের গাইডলাইন অনুযায়ী কম বেশী করা উচিৎ । সাধারণত শহরে রাইডিং এর ক্ষেত্রে সাধারণ কোম্পানী প্রোভাইডেড প্রেশারই যথেষ্ট , কিন্তু হাইওয়েতে রাইডিং এর সময় উভয় টায়ারের প্রেশার সবসময়ই নরমাল প্রেশারের থেকে ৩ বা ৪ PSI বাড়িয়ে নেওয়া উচিৎ ।
কারণ , হাইওয়েতে একাধারে হাই স্পীডে চালানোর সময় বাইকের টায়ারের বাতাস ঘর্ষণ ও তাপের কারণে কিছুটা কমে যেতে পারে । এমন ভাবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাইকের টাযার এর প্রেশার কম বেশী করা যায় ।
বাইকের লোডের সাথেও টায়ারের প্রেশারে একটা সম্পর্ক রয়েছে । যদি বাইকের লোড স্বাভাবিকের থেকে বেশী হয় তাহলে আপনার উচিৎ বাইকের টায়ারের PSI কিছুটা বাড়িয়ে নেওয়া । আপনার উচিৎ আপনার বাইকের ম্যাক্সিমাম পেলোডটি পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া । যদি আপনার বাইকের লোড ম্যাক্সিমাম পেপলোড এর উপরে চলে যায় তাহলে আপনার বাইকের টায়ার প্রেশার সেই পরিমাপে বাড়িয়ে নেওয়া উচিৎ ।
Also Read: মোটরবাইকের চাকা সম্পর্কে বিস্তারিত এবং চাকার ফুল এবং ফাইনাল মেইনটেইন্স
কিন্তু , একটা বিষয়ে সবসময়ই সচেতন থাকতে হবে । সেটা হল , আপনার বাইকের লোড যেন কোনসময়ই অতিরিক্ত না হয়ে যায় । এখানে অতিরিক্ত বলতে বোঝানো হয়েছে আপনার বাইক যেন লোডের পরিবর্তে ওভারলোড হয়ে না যায় । এটা হলে আপনার বাইকের সাসপেনশন সিস্টেম টোটালি ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে , আপনার বাইকের টায়ার এর দীর্ঘস্থায়ীতা কমে যেতে পারে , আপনার টায়ার ড্যামেজও হয়ে যেতে পারে ।
এর ফলে আপনার বাইকের টায়ার হয়ত দেখা গেল ব্রেকিং এর সময় ঠিকমত রেসপন্স করছে না । এমনও হতে পারে যে বৃষ্টির সময় রাইডিং করলে হয়ত টায়ার ব্রেকিং পাওয়ার টোটালি নিতে না পেরে একটা এক্সিডেন্ট ঘটিয়ে বসল ।
কখনও আপনার বাইকের টায়ারএ ওভার প্রেসারাইজড বা আন্ডার প্রেশারাইজড করবেন না । এটা যে প্রেশারটা ডিসার্ভ করে সেই প্রেশারেই এটাকে রাখুন । আপনি যদি আপনার বাইকের টায়ারকে কম প্রেসারে রাখেন , তাহলে দেখা গেল এটা বেশ স্পঞ্জি লাগছে , কিন্তু এই অবস্থায় আপনি যদি কোন খারাপ বা ভাঙাচোরা রোডে রাইডিং করেন , তাহলে আপনার টিউব বা টায়ার আস্তে আস্তে দূর্বল হয়ে যাচ্ছে ।
আবার যদি আপনি আপনার বাইকের টায়ারকে ওভার প্রেসারাইজড করেন , তাহলে দেখা যাবে টায়ারের বাইরের অংশ বা টায়ার ওয়ালের শেপ অনেকটা চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে , এভাবে চলতে থাকলে টায়ারের বাইরের অংশ আস্তে আস্তে ক্ষয় প্রাপ্ত হতে থাকে এবং পরবর্তীতে যা আপনাকে অনেক অনাকাঙ্খিত ঘটনার মুখোমুখি করতে পারে । এবং ওভার প্রেশারাইজড অবস্থায় আপনি যদি সিম্পলি কোন রোডে রাইড করেন , তাহলে রোডটা আপনার কাছে অনেক উচুনীচু বা ভাঙাচোরা মনে হতে পারে ওভার প্রেশারের কারণে ।
আপনি যে কোম্পানীর বাইক কিনেছেন , সেই কোম্পানীর প্রোভাইডেড টায়ার চেঞ্জ করাটা খুব বুদ্ধিমানের মত কোন কাজ হবে না । কারণ , এটা আপনার টায়ারের অতিরিক্ত ক্ষয় ঘটাতে পারে এবং যেটার সাথে বাইকের হ্যান্ডেলিং , ব্রেকিং , ডাইনামিক্স , সাসপেনশন এবং ওয়েট ডিস্ট্রিবিউশন ডিরেক্টলি যুক্ত ।
উদাহরণ স্বরূপ , হিরো হোন্ডা কারিজমা এবং হোন্ডা সিবি স্ট্যানার উভয় বাইকের পেছনের টায়ারের সাইজ একই এবং সেটা হল ১০০/৯০ । কিন্তু , কারিজমা হল ২২৩ সিসির একটা বাইক এবং স্টানার হল অনলি ১২৫ সিসির একটা বাইক । কিন্তু , দুটো বাইকই একই টায়ার সাইজ নিয়ে ভাল পারফরমেন্স ও মাইলেজ দিয়ে যাচ্ছে । আবার R15 এর ক্ষেত্রে দেখা যায় এর চাকার সাইজ ১৭ ইন্চি যেটা বেশ চিকন , কিন্তু এর গ্রিপটা বিষ্ময়কর পারফরমেন্স সো করে সব ধরণের রোডে , এমনকি ভাঙাচোরা বা খারাপ রোডেও ।
এখন আমি যে পয়েন্টটা বলতে চাইছি সেটা হল মোটা চাকা সবসময় পারফরমেন্স ভাল দেবে বা মোটা চাকা থাকলে বাইকের সবকিছু কন্ট্রোলিং বা টার্ণিং সুবিধাজনক হবে এটা একটা ভ্রান্ত ধারণা ।
একটা কোম্পানী যখন একটা বাইক তৈরী করে , তখন তারা সবধরনের রোডে সেটা কেমন পারফর্ম করে তা লক্ষ্য করে এবং ভালভাবে পরীক্ষা নিরিক্ষা করেই তৈরী করে । ফলে টায়ারও নিশ্চই তার বাইরে যাবে না । সো , এর পরেও যদি কেউ তার টায়ার চেঞ্জ করে তাহলে তার উদ্দেশ্যে আর কো কিছু বলার নেই ।
আর একটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটা না বললেই নয় , সেটা অল আপনার টায়ারের এয়ার ভালব ক্যাপ । সবসময় এটা ভালভাবে আটকান এবং লক্ষ রাখুন এটা যে কোন সময় লুস না হয়ে যায় । কারণ , এটা সবসময় টায়ার থেকে বাতাস বেরিয়ে যাওয়াটা প্রতিরোধ করে এবং হাই স্পীডে বাতাসের নিঃসরণ বন্ধ করে ।
T
Published by Ashik Mahmud Bangla