Shares 2
ডুয়ালশক সাসপেনশন বনাম মনোশক সাসপেনশন - কোনটি বেটার ?
Last updated on 18-Aug-2024 , By Shuvo Bangla
অনেকেই ডুয়ালশক ও মনোশক সাসপেনশন নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন, যে আসলে কোনটা বেশি ভালো হবে। বাংলাদেশে বাইক সাধারণত ২ ধরনের। কমিউটার এবং স্পোর্টস। বেশিরভাগ কমিউটার বাইকে ডুয়ালশক দেখা যায়, এর কিছু কারন আছে। কিন্তু অপরদিকে, স্পোর্টস বাইকে মনোশক সাসপেনশন এর ব্যবহার দিনদিন বেড়েই চলছে। তার মানে কি ডুয়ালশক থেকে মনোশক সাসপেনশন বেটার? যদি তাই হয় তাহলে এখনো কেন ডুয়ালশক ব্যবহার করা হচ্ছে ভারতীয় বাইক গুলোতে? চলুন ডুয়ালশক এবং মনোশক সাসপেশন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
ডুয়ালশক সাসপেনশন বনাম মনোশক সাসপেনশন - কোনটি বেটার ?
কমিউটার থেকে স্পোর্টস প্রায় সব বাইকে ডুয়ালশক দেখা যায়। HERO, BAJAJ, TVS সবাই ডুয়ালশক ব্যবহার করছে। এমনকি তাদের স্কুটার গুলোতেও ডুয়ালশক ব্যবহার করছে। কিন্তু কেন? যেখানে সারা বিশ্ব মনোশক ব্যবহার করছে। তার কারন হল, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ গুলোর রাস্তা গুলো ভাল না অন্যান্য দেশের তুলনায়। আমাদের দেশের এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর রাস্তা উন্নত নয়। তাই নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ভারতীয় বাইক গুলোতে ডুয়ালশক ব্যবহার করা হচ্ছে। কারন ভারত সহ আশেপাশের দেশের মানুষের সবার গাড়ি কেনার ক্ষমতা নেই। যার ফলে তারা বাইক এর ওপর বেশি নির্ভরশীল। তার মানে তারা এক বাইকে ২-৩ জন উঠবেই। অতএব বাইক এর ওপর লোড বেশি পরবে। আর বেশি ওজন নিতে ডুয়ালশক বেশি কার্যকর। এবং এটি ঝাকি শোষণ করতেও অধিক কার্যকর। এর খরচও কম।
আর সুপার বাইক বা স্পোর্টস বাইকে সবসময় মনোশক সাসপেনশন ব্যবহার করা হয় ,এর কারন হল গতি বেশি হলেও এটি বাইকের কন্ট্রোল ঠিক রাখে। এটি ইচ্ছামত টিউন বা অ্যাডজাস্ট করা যায়। মনোশক সাসপেনশনে অধিক গতিতেও কর্নারিং খুব ভাল হয়। স্পোর্টস বাইক গুলো সাধারণত শুধু বাইকার এর ওজন এর কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়। বেশিরভাগ স্পোর্টস বাইক একজন এর বসার জন্য ডিজাইন করা হয় ফলে পাইলিয়নের বসার সিটটি হয় ছোট এবং আনকমফোর্টেবল। চলুন দেখে নেই ডুয়ালশক সাসপেনশন ও মনোশক সাসপেনশন এর সুবিধা এবং অসুবিধা।
ডুয়ালশক সাসপেনশন এর সুবিধা :
১. অধিক ওজন নিতে সক্ষম। ২. ঝাকি খুব ভালভাবে শোষণ করে। ৩. খারাপ রাস্তাতেও অনেক আরামদায়ক ভ্রমন দেয়। ৪. এর মেইনটেইন্স ও রিপেয়ারিং খরচ কম। ৫. চেসিস এর ওজন কমায়। ৬. অনেকদিন টিকে থাকে।
ডুয়ালশক সাসপেনশন এর অসুবিধা:
১. উচ্চ গতিতে কনট্রোল খুব বেশি ভাল পাওয়া যায় না। ২. কর্নারিং খুব একটা ভাল হয় না। ৩. উচ্চ গতিতে বাইক স্থির থাকতে চায় না।
মনোশক সাসপেনশন এর সুবিধা:
১. অধিক গতিতে বাইককে রাস্তার ওপর স্থির রাখে। ২. কর্নারিং খুব ভাল ভাবে করা যায়। ৩. উচ্চ গতিতে ভাল কন্ট্রোল রাখা যায়। ৪. নিজের সুবিধা মত টিউন করা যায়।
মনোশক সাসপেনশন এর অসুবিধা:
১. অধিক ওজন নিতে পারে না। ২. খারাপ রাস্তা বা মাটির রাস্তায় ঝাকুনি অত ভাল ভাবে শোষণ করতে পারে না। ৩. এর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বেশি। ৪. অধিক ওজন নিলে আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে যায়। ৫. দ্রুত এর কার্যকারিতা হারায়।
এই আলোচনায় আমরা ডুয়ালশক সাসপেনশন এবং মনোশক সাসপেনশন - দুটিরই ভালো ও মন্দ - উভয় দিক সম্পর্কে জানতে পারলাম। এবং, আমাদের উচিত নিজেদের প্রয়োজন অনুসারে নিজের জন্য সেরা সাসপেনশন সিস্টেম বিশিষ্ট বাইক কেনা এবং সর্বদা সাবধানে বাইক রাইড করা। লিভ ফ্রি, রাইড সেফ । লেখকঃ নাদিম আনাম উৎস
T
Published by Shuvo Bangla