হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর বনাম বাজাজ পালসার এনএস ১৬০ বনাম টিভিএস এপ্যাচি আরটিআর ১৬০ - ব্যাটল অফ ১৬০
This page was last updated on 29-Jul-2024 02:14am , By Saleh Bangla
বাংলাদেশের সিসি লিমিট ১৬৫ এর মধ্যে বর্তমানের নামি ব্র্যান্ড বাজাজ, আরটিআর ও হোন্ডা তাদের কোম্পানির ১৬০ সিসি এর বাইক লঞ্চ করতে যাচ্ছে। বর্তমানে বাজাজ পালসার এনএস১৬০ এবং টিভিএস এপাচি আরটিআর১৬০ অলরেডি লঞ্চ হয়েছে। তাই আমরা হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর বনাম পালসার এনএস ১৬০ বনাম এপ্যাচি আরটিআর ১৬০ এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরলাম আপনাদের কাছে।
<<Honda CB Hornet 160R VS Bajaj Pulsar NS160 – A Comparison Review>>
হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর বনাম পালসার এনএস ১৬০ বনাম এপ্যাচি আরটিআর ১৬০ - ওভারভিউঃ
ইঞ্জিন এর সিসি লিমিট ১৬৫ পার হওয়ার পর আমাদের দেশে ১৬০ সিসি সেগমেন্টের ৩টি বাইক এসেছে বাংলাদেশে। এরই মধ্যে অফিশিয়াল পালসার এনএস১৬০ এবং এপাচি আরটিআর১৬ লঞ্চ হয়েছে। আর অন্যদিকে হোন্ডা হর্নেট ১৬০আর লঞ্চ হতে যাচ্ছে । যাই হোক চলুন জেনে আসি হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর বনাম পালসার এনএস১৬০ বনাম এ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ এর ওভারভিউ। হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর হোন্ডার ১৬০সিসি এর বাইকের সেগমেন্ট থেকে এসেছে। এটা হোন্ডা ইউনিকর্ন ১৬০ চেয়ে বেটার করে তৈরি করা হয়েছে কিন্তু এটা তার ভাল স্পিড এর জন্য স্ট্রিট স্পোর্টস ক্যাটাগরিতে রাখা যায়। এজন্য হোন্ডা সিবি হর্নেট শুধু ইন্ডিয়াতে নয় বরং সাউথ আমেরিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ব্যাজ দিয়ে মার্কেটিং করা হয়েছে। ২০১৫ এর শেষের দিকে এটা ইন্ডিয়াতে লঞ্চ করা হয়েছিল কিন্তু বাংলাদেশে ইঞ্জিন এর সিসি লিমিট হওয়ায় এটা বাংলাদেশে লঞ্চ করা তখন সম্ভব হয়নি। সিসি লিমিট বাড়ানো পর হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বাংলাদেশে খুব শীঘ্রই বাইকটা লঞ্চ করতে যাচ্ছে। বাজাজ পালসার এনএস ১৬০ পালসার এনএস১৬০ হল পালসার এনএস সিরিজ এর একবারে নতুন সদস্য। পালসার এনএস এর ব্যাজ সাইন করা হয়েছে নেকড স্পোর্টস হিসেবে। বাজাজ এনএস২০০ লঞ্চ করা হওয়ার পর বলা হল যে বাজাজ বাংলাদেশে পালসার এনএস১৫০ সিসি লঞ্চ করতে পারে। কিন্তু বাজাজ পালসার এনএস১৫০ লঞ্চ না করে পালসার এএস১৫০ লঞ্চ করে যেটার সিসি পুরো ভিন্ন ও যেটা শুধু ট্যুর এর জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। এখন বাজাজ কোম্পানি ইঞ্জিন এর সিসি লিমিট এর দূর হওয়ার পর বাংলাদেশে তারা পালসার এনএস ১৬০ লঞ্চ করেছে। টিভিএস এ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ তৃতীয় প্রতিদ্বন্দী হিসেবে আমাদের আলোচনায় রয়েছে টিভিএস এপাচি আরটিআর১৬০। বাংলাদেশে এ্যাপাচি আরটিআর ১৫০ এর প্রচুর ফ্যান রয়েছে। এটা ১৫০ সিসি ক্যাটাগরির সব থেকে বেশি দ্রুত ও তুলনা মুলক মাইলেজ বেশি। টিভিএস অটো লিমিটেড ১৫০ সিসি এর মডেল সাউথ আমেরিকা এবং অন্যন্যা এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মার্কেটিং করেছে। কিন্তু বাংলাদেশে গুজব রয়েছে যে আরটিআর ১৫০ এবং আরটিআর ১৬০ এর মেশিন প্রায় এক রকম শুধু পার্থক্য হল পেপারে। কিন্তু সত্যি হল যে দুইটার সিসি একেবারে ভিন্ন ও ইঞ্জিন এর প্রোফাইল একে অপর থেকে একেবারে ভিন্ন।
>> Click To See The Launching Video Of TVS Apache RTR 160 <<
https://www.youtube.com/watch?v=8X2iiwvggeA বাইকটি নিয়ে যারা উৎসাহী তাদের জন্য বিষয়টি আমরা আগেই বলেছি। অতএব আপনাদের সুবিধার জন্য টিভিএস এ্যাপাচি আরটিআর ১৫০ বনাম এ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ এর তুলনামুলক রিভিউ দেওয়া হল। চাইলে এখানে ক্লিক করে আপনারা রিভিউটি দেখে আসতে পারেন।
হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর বনাম পালসার এনএস ১৬০ বনাম এপ্যাচি আরটিআর ১৬০ - লুকস এবং অ্যাপিরেন্স
হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর বনাম পালসার এনএস ১৬০ বনাম এ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ সম্পর্কে আমরা বলতে পারব যে এই বাইকগুলো ডিজাইন করা হয়েছে স্পোর্টস এর জন্য এবং বাইকগুলো দেখতে চমৎকার। হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর বাংলাদেশের নতুন মুখ হিসেবে পরিচতি পাবে খুব শীঘ্রই। হোন্ডা কোম্পানি অনেক দিন পর স্পোর্টস টাইপের ডিজাইন টাইপ এর বাইক বের করে। হোন্ডা আর এন্ড ডি খুব সর্তকতার সাথে এই বাইকটার ডিজাইন করেছে এবং এর লুকস টা অনেক স্টাইলিশ। বাইকটার হেড থেকে শুরু করে টেইল পর্যন্ত অনেকটা শার্প টাইপের কিন্তু এটা নিয়ে কারো কমপ্লেইন নেই কারন নেই যে ডিজাইনে ভুল রয়েছে। কিন্তু এটার শার্প এডজ, কম্পেক্ট বডি ডিজাইন, এক্স-শেপ টেইল-ল্যাম্প এবং মোটা রিয়ার টায়ার এর জন্য ইয়্যাং রাইডারদের জন্য বাইকটি জনপ্রিয়। এছাড়াও বাইকটি ডিজাইন করা হয়েছে এর সেফটি ও কমফোর্ট হিসেবে চিন্তা করে।
>> Latest Price Of Bajaj Pulsar NS 160 <<
বাজাজ পালসার এনএস১৬০ এর লুক অনেকটা এ্যাগ্রেসিভ এবং স্পোর্টস নেকড মেশিন। এটার হি-ম্যান এটিটিউড বাংলাদেশের পালসার এনএস ফ্যানদের মন কেড়ে নেয় বাইকটির লুকস এর জন্য। পালসার এনএস ১৬০ এর ডিজাইন একেবারে পালসার এনএস ২০০ এর ডিজাইন এর মত করা হয়েছে। তাই অনেকেই বাইকটি নিয়ে খুব এক্সসাইটেড কারন তারা পালসার এনএস২০০ এর মত ডিজাইন এর মত একই ডিজাইন পাচ্ছে যদিও এনএস ১৬০ এর ইঞ্জিনটা তুলনামূলক ছোট। কিন্তু তারা খুশি এই বাইকটি নিয়ে। এ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ এর বিষয়ে কথা বলতে গেলে বলা যায় যে বাইকটার লুক ও ডিজাইন এর দিক দিয়ে বাংলাদেশে বাইকটি খুব জনপ্রিয়। বাইকটির ইঞ্জিন সর্ম্পকে ধারনা দেওয়ার কোন দরকার নাই কারন টিভিএস একই ডিজাইন এর বাইক ব্যবহার করেছে কিন্তু সেটার সিসি লিমিট ১৫০। কিন্তু তুলনা করতে বলা যায় যে এপ্যাচি আরটিআর১৬০ দেখতে বেশ সুন্দর ও অসাধারন। বাইকটির এ্যাগ্রেসিভ আইব্রো ডিআরএল এবং স্লাশড টেইল-ল্যাম্প এটার পরিচিতি বাড়িয়ে দিয়েছে। ইয়্যাং জেনারেশন এর জন্য এই টাইপ এর বাইক খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর বনাম পালসার এনএস ১৬০ বনাম এপ্যাচি আরটিআর ১৬০ - হুইল, ব্রেক এবং সাস্পেনশন
হুইল, ব্রেক ও সাস্পেনশন এর সিস্টেম এর দিক দিয়ে হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর এ ফিচারস গুলো খুব উন্নত। এখানেই হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর বনাম পালসার এনএস ১৬০ বনাম এ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ এর পার্থক্য। হর্নেট এর হুইলগুলোতে টায়ারগুলো বেশ ওয়াইডার। এটার সামনে ১০০মি.মি. এবং পিছনে ১৪০ মি.মি. ওয়াইডার। হুইলটাতে এ্যালয় রিম এর সাথে টিউবলেস টায়ার রয়েছে। হর্নেট এর ব্রেকিং সিস্টেম হল স্ট্যান্ডার্ড সিবিএস কম্বি-ব্রেকিং সিস্টেম। কিন্তু কম দামে কেনা বায়ারসদের জন্য রিয়ার ড্রাম ব্রেক এর অপশন রয়েছে। সাস্পেনশন সিস্টেম এর দিক দিয়ে বিবেচনা করলে সামনে টেলিস্কোপ ফর্ক এবং পিছনে মনো শক এ্যবর্জবার রয়েছে। বাজাজ পালসার এনএস১৬০ তে এ্যালয় রিম এর সাথে টিউবলেস টায়ারস রয়েছে। ১৬০সিসি বাইক হিসেবে এর টায়ারগুলো চিকন, এর সামনে ৮০ মি.মি ও পিছনে ১১০ মি.মি.। সামনের চাকায় হল ডিস্ক ব্রেক ও পিছনে ড্রাম টাইপ ব্রেক। বাজাজ রিয়ার ডিস্ক ব্রেক এর কোন অপশন রাখেনি।
>> Honda CB Hornet 160R Price In Bangladesh <<
এনএস১৬০ এর সাস্পেনশন সিস্টেমটি হল সামনে টেলিস্কোপ টাইপ এবং পিছনে মনো শক এ্যাবর্জবার। এখানে রিয়ার মনো শক এ্যাবর্জবার চার্জ করা হয়েছে গ্যাস এর মাধ্যমে যেটা বাজাজ নাইট্রোক্স মনো শক এ্যাবর্জবার ক্যানিস্টার নামে নামকরন করা হয়েছিল। টিভিএস এ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ এনএস ১৬০ এর হুইল এবং ব্রেক তুলনায় একটু বেশি উন্নত। আরটিআর ১৬০ তে সামনের চাকা ৯০ মি.মি. ও পিছনের চাকা ১১০ মি.মি.। টায়ারগুলো টিউবলেস ও রিমগুলো এ্যালয় টাইপের। যাই হোক আরটিআর ১৬০ তে সামনে ও পিছনে দুইটার-ই ব্রেকিং সিস্টেম হল ডিস্ক ব্রেকিং টাইপ। কিন্তু টিভিএস পিছনের চাকায় ড্রাম ব্রেক রাখার অপশন রয়েছে। সাস্পেনশন সিস্টেম এর দিক দিয়ে আরটিআর ১৬০তে সামনের সাস্পেনশন টেলিস্কোপ ফর্ক টাইপ। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল যে সামনের সাস্পেনশন সিস্টেমগুলো হল ডাবল ইউনিট এর এবং এটা গ্যাস ক্যানিস্টার এর মাধ্যমে চার্জ করা হয়।
হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর বনাম পালসার এনএস ১৬০ বনাম এপ্যাচি আরটিআর ১৬০ - সিটিং এবং রাইডিংঃ
সিটিং ও রাইডিং এর দিক দিয়ে হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর বনাম পালসার এনএস ১৬০ বনাম এ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ এ কিছু সামান্য বিষয়ে আলোচনা করার মত রয়েছে। এখানকার তিনটা বাইক এর ডিজাইনগুলো রাইডিং পোসচার প্রায় এক রকম। কিন্তু অবশ্যই কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। এখানে হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর এর সিট সলিড ও বেশ কমফোর্টেবল। সিটিং ও রাইডিং এর দিক দিয়ে হর্নেট খুব কমর্ফোটেবল এবং ওয়াইডার টায়ার ও মনো সাস্পেনশন এর জন্য বাইকটার রাইডিং ও সিটিং আরো অসাধারন হয়ে উঠেছে। দ্বিতীয়ত পালসার এনএস১৬০ এ্যাগ্রেসিভ এ্যটিটিইড বাইক যেটাতে স্পিল্ট টাইপ স্পোর্টি হ্যান্ডেল বার রয়েছে। এই সেগমেন্ট এর সিট এর দিক দিয়ে এর হাইট এর পজিশন অন্যান্য বাইক এর তুলনায় ভিন্ন টাইপের। কিন্তু চিন্তার বিষয় নেই এর স্পোর্টি হ্যান্ডেলবার এর হাইট অনেক উচু রাইডার সিট হাইট এর তুলনায়। যদিও রাইডিং ও কন্ট্রোলিং এর দিক দিয়ে এনএস১৬০ এর তে কোন সমস্যা নেই তবুও স্পিল্ট হ্যান্ডেলবার হিসেবে এটার একটা লিমিটেশন আছে। তাই চিকন টায়ার হিসেবে এর স্ট্যাবিলিটি কম। সিটিং, রাইডিং ও কন্ট্রোলিং এর দিক দিয়ে টিভিএস এ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ এ্যাগ্রেসিভ পজিশনে রয়েছে। বাইকটির এ্যাটিটিউড অনেকটা এ্যাগ্রেসিভ। পিলিয়ন এর জন্য এই বাইক এ বসা খুব সহজ। কিন্তু বাইকটার হ্যান্ডেল বার লোয়ার হাইট ক্লিপ ও ফ্রন্ট ফোকাসড ওয়েট ডিস্ট্রিবিউশন এই বাইক এর কন্ট্রোল করা খুব কঠিন হয়ে উঠে। এটা হাই স্পিড সিচুয়েশন এ ও সাডেন সিচুয়েশন এ কন্ট্রোল করা কঠিন হয়ে উঠে। এক্সট্রিম সিচুয়েশন বাদে নরমাল সিচুয়েশন এ এ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ খুব স্টাবেল আরটিআর ১৫০ থেকে।
হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর বনাম পালসার এনএস ১৬০ বনাম এপ্যাচি আরটিআর ১৬০ - স্পেফিকেশন কম্পারিশনঃ
হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর বনাম পালসার এনএস ১৬০ বনাম এপ্যাচি আরটিআর ১৬০ এর প্রধান বিষয় আলোচনা করার আগে আমাদের উচিৎ এই বিষয়ে আরো তথ্য জানা। তাই বিস্তারিত জানার জন্য আমরা এর স্পেসিফিকেশন এর পার্থক্য তুলে ধরেছি। তাহলে চলুন স্পেসিফিকেশন এর পার্থক্যটি দেখে আসিঃ
Specification | Honda CB Hornet 160R | Bajaj Pulsar NS160 | TVS Apache RTR 160 | ||
Engine | Air Cooled, 4 Stroke,2-Valve, SI Engine | Single Cylinder, Four Stroke, Oil Cooled, 4-Valve DTS-I Engine | Air Cooled, 4 Stroke, Single Cylinder Engine | ||
Displacement | 162.71 cc | 160.3cc | 159.7 cc | ||
Bore x Stroke | 57.30mm x 63.09mm | Not Found | 62mm x 52.9mm | ||
Compression Ratio | 10:1 | Not Found | 9.5:1 | ||
Maximum Power | 11.68 KW (15.66BHP) / 8,500RPM | 11.6KW (15.3 BHP) @ 8,500RPM | 11.19 KW (15.2BHP) / 8,500RPM | ||
Maximum Torque | 14.76 Nm / 6500RPM | 14.6 NM @ 6,500RPM | 13.1 Nm / 6,000RPM | ||
Fuel Supply | Carburetor | Carburetor | UCAL BS-26 Carburetor | ||
Ignition | CDI | CDI (with multi-mapping) | CDI | ||
Starting Method | Electric & Kick Start | Electric & Kick | Electric & Kick Start | ||
Clutch Type | Wet, Multiple-Disc | Wet, Multiple-Disc | Wet, Multiple-Disc | ||
Lubrication | Wet Sump | Wet Sump | Wet Sump | ||
Transmission | Constant mesh 5-speed, 1-N-2345 | Constant Mesh 5-speed | Constant mesh 5-speed, 1-N-2345 | ||
Dimension | |||||
Frame Type | Diamond | Diamond | Double Cradle SynchroSTIFF | ||
Dimension (LxWxH) | 2,041mm x 783mm x 1,067mm | 2,012mm x 803mm x 1,060mm | 2,085mm x 730mm x 1,105mm | ||
Wheelbase | 1,345mm | 1,363 mm | 1,300mm | ||
Ground Clearance | 164mm | 176 mm | 165mm | ||
Saddle Height | Not Found | Not Found | Not Found | ||
Kerb Weight | 140(STD) / 142(CBS) KG | 142 Kg | 137Kg | ||
Fuel Capacity: | 12 Liters | 12 Liters | 16 Liters | ||
Wheel, Brake & Suspension | |||||
Suspension (Front/Rear) | Telescopic / Monoshock | Telescopic with Anti-friction Bush / Nitrox mono shock absorber with Canister | Telescopic Forks, 105mm Stroke / Monotube Inverted Gas-filled shox (MIG) with spring aid | ||
Brake system (Front/Rear) | Front 276mm Disc; Rear 220mm Disk(CBS) /130mm Drum | 240mm Hydraulic Disk / 130mm Mechanical Drum | Front 270mm Petal Disc; Rear 200 mm Petal Disc / 130 mm Drum Brake | ||
Tire size (Front / Rear) | Front 100/80-17; Rear 140/70-17 Both Tubeless | Front: 80/100-17”, 46P; Rear: 110/80-17”, 57P Both Tubeless | Front 90/90 x 17″ ; Rear 110/80 x 17″ Both Tubeless | ||
Battery | 12V 35/35W | 12V Full DC MF | 12V 35/35W | ||
Head lamp | 12V 4Ah (MF) | H4 (12V 55/60W) | 12V 4Ah (MF) | ||
Speedometer | Full Digital | Digital display with analog rev counter | Digital display with analog rev counter | ||
হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর বনাম পালসার এনএস ১৬০ বনাম এপ্যাচি আরটিআর ১৬০ - ইঞ্জিন এবং পার্ফমেন্স
হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর বনাম পালসার এনএস ১৬০ বনাম এপ্যাচি আরটিআর ১৬০ এর পার্থক্য এ এবার আমরা ইঞ্জিন ও পার্ফমেন্স বিষয়টি তুলে ধরা হল। ১৬০ সিসি এর সব বাইকগুলো স্পোর্টস ক্যাটাগরির বাইক। ইঞ্জিন এর উন্নতিও প্রায় এক রকম যেখানে পাওয়ার ও পার্ফমেন্স ফিগারস একদম কাছাকাছি। কিন্তু অবশ্যই তাদের ক্যাপাবিলিটি ও পার্ফমেন্স এর টেকনিক্যাল ফিচারস এর দিক দিয়ে ভিন্ন। হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর এর পাওয়ার ও টর্ক অন্য দুইটা বাইক এর তুলনায় ভাল। এই বাইকটার রেশিও ১০ঃ১। দীর্ঘ স্ট্রোক ইঞ্জিন এ্যাক্সেলেরেশন এ লোয়ার মিড আরপিএম রেঞ্জ এ একদম সঠিক ভাবে কাজ করে। কিন্তু হায়ার আরপিএম রেঞ্জ এ স্পিড তোলার জন্য এটা কোন এক্সট্রা সুবিধা দেবে না কারন এর সিলিন্ডার স্ট্রোক বোর থেকে অনেক বড়। কিন্তু অবশ্যই অন্যান্য প্রতিদ্বন্দীর তুলনায় এর মাইলেজ ভাল।
>> Click For The Latest Price Of TVS Apache RTR 160 Price In Bangladesh 2018 <<
দ্বিতীয়ত বাজাজ পালসার এনএস১৬০ এর পাওয়ার ও টর্ক হর্নেট ও আরটিআর এর পাওয়ার ও টর্ক এর তুলনায় মাঝামাঝি। কিন্তু অয়েল-কুল্ড ৪-ভাল্ভ ডিটিএস-আই ইঞ্জিন থাকার ফলে বাইকটা খুব দ্রুত এ্যকসেলেরেট ও লাইনার থ্রোটল খুব দ্রুত রেসপন্স করে নির্দিষ্ট আরপিএম লিমিট এর মধ্যে যেটা পালসার এনএস সিরিজ এর প্রধান বিষয়। শেষের দিকে আমাদের আলোচনায় রয়েছে টিভিএস আরটিআর ১৬০ এ কমপ্লেইন আছে যে হাই স্পিড এ কন্ট্রোল করা কষ্টকর এই বাইকে। এছাড়াও আরটিআর ১৫০ তে ইঞ্জিন এ ভাইব্রেশন আছে এমন কমপ্লেইন আছে। কিন্তু আমরা আশা করি যে আরটিআর ১৬০ ইঞ্জিন আরটিআর ১৫০ সিসি এর তুলনায় স্মুথ হবে কারন এর সিলিন্ডার এর সাইজ ভিন্ন রকম। এটার ওভার স্কোয়ার ইঞ্জিন রাইডারদের স্মুথ এ্যাক্সসিলেরেশন ও স্পিড তুলতে আলাদা রকম অনুভুতি দেবে। সবশেষে এটা বলব যে এ্যাপাচি আরটিআর সিরিজ মাইলেজ এর জন্য অসাধারন।
হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর বনাম পালসার এনএস ১৬০ বনাম এপ্যাচি আরটিআর ১৬০ - সারকথা
অতএব পাঠকেরা আমরা প্রায় শেষের দিকে আমাদের তুলনামূলক রিভিউতে যেটার বিষয় ছিল হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর বনাম পালসার এনএস ১৬০ বনাম এ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ ইঞ্জিন। এখানে আমরা রাইডারদের ফোকাস ও প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা আমাদের আলোচনায় সব ধরনের তথ্য দেয়ার চেষ্টা করেছি। সত্যি বলতে তিনটা বাইক আমাদের মোটরসাইকেল এর মার্কেটে খুব উন্নত ও অসাধারন। যদিও কিছু বাইক এর লুক ও ডিজাইন এক একজনের কাছে এক এক রকম। কিন্তু সত্যি এটা যে সিসি লিমিটেশন এর জন্য আমরা কম ক্ষমতা সম্পন্ন বাইক ব্যবহার করছি।
কিন্তু বর্তমানে ১৬৫ সিসি এর অনুমতি দেওয়ার ফলে আমরা বাইক এর রাইড এর মজা আরো ভালভাবে বুজব। আলোচনার সাপেক্ষে হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর সলিড স্ট্রিট বাইক। বর্তমানে এই বাইকটার ডিজাইন, স্মুথনেস, পার্ফমেন্স ও ডিউরিবিলিটি এর জন্য ১৫০ সিসি এর অনেক বাইক এর কাছে হার মেনে যাবে। পালসার এনএস ১৬০ ইয়্যাং জেনারেশন এর জন্য খুব গ্রহনযোগ্য। এটার লুক, ডিজাইন ও এ্যাটিটিউড ইয়্যাং জেনারেশনকে আকর্ষিত করে।এছাড়াও এনএস২০০ যে কবে আসবে সেই অপেক্ষাই রয়েছে অনেক এনএস লাভারসরা। শেষমেষ আবার এ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ ও খুব আকর্ষনীয়। আমার মতে এই ক্যাটাগরিতে স্পিড বাইক এটা।
যদিও এর এ্যাপিরিয়্যন্স ও পার্ফমেন্স এর দিক দিয়ে এটা কোন অংশে কম না। অতএব পাঠকেরা এই ছিল হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর বনাম পালসার এনএস ১৬০ বনাম এপ্যাচি আরটিআর ১৬০ – ব্যাটেল অফ ১৬০। আশা করি আপনারা উপভোগ করেছেন ব্যটেল অফ ১৬০ এর আলোচনাটি। নিশ্চিন্তে আপনারা আপনাদের কমেন্ট দিতে দ্বিধা বোধ করবেন না এবং আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ সবাইকে। ইংরেজিতে পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন>>>>