হোন্ডা ওয়েভ আলফা বাইকবিডি টেষ্টরাইড রিভিউ
This page was last updated on 19-Aug-2024 08:47am , By Shuvo Bangla
সেদিনের সেই ৫ই জুলাই ২০১৬ এর সন্ধ্যা ছিল বাইকবিডির জন্য এক অন্যতম স্মরনীয় মুহূর্ত। সেই দিনটিতে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রা: লি: (বিএইচএল) বাইকবিডিকে একটি ব্র্যান্ড নিউ হোন্ডা ওয়েভ আলফা উপহার দিয়েছিল। আর বিএইচএল এর অনুরোধ ছিল বাইকটি ব্যবহার ও টেষ্ট করে আমাদের মতামত প্রকাশ করতে। আমরা আনন্দিত যে আজ চার মাস পর আমরা বাইকটি ২০০০কিমি চালিয়ে আপনাদের কাছে হোন্ডা ওয়েভ আলফা বাইকবিডি টেষ্টরাইড রিভিউ নিয়ে এসেছি।
বিএইচএল এর সাথে বাইকবিডির সেই ইভেন্টটিতে উপস্থিত ছিলেন বিএইচএল এর চীফ প্রডাকশন অফিসার মি: শোইচি সাতোহ্, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (সেলস এন্ড মার্কেটিং) মি: রাকিবুল হাসান ও ঢাকা রিজিওনের ডিলার উইংস বিডি এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর মি: মোস্তাফিজুর রশিদ। ইভেন্টটিতে বাইকবিডি এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন বাইকবিডির ফাউন্ডার শুভ্র সেন, বাইকবিডি এডিটর ও টেষ্টরাইডার ওয়াসিফ আনোয়ার। আর এটি আসলেই বাইকবিডির জন্যে ছিল এক অনন্য সম্মান যে হোন্ডার মতো বিশাল এক ব্র্যান্ডের সম্মাননা পাওয়া।
Honda Wave Alpha Test Ride Review By Team BikeBD
হোন্ডা ওয়েভ আলফা মোটরসাইকেলটি বাংলাদেশের বাজারে ছাড়া হয় এবছরের ১৯শে মে। প্রথম দেখায় বাইকটি দেখতে বেশ সাধারন গোছের বাইকই মনে হয়। আর বাইকটি যথেষ্ট বাহুল্যবর্জিত হওয়ায় এর বাহ্যিকতা নিয়ে তেমন কিছু বলারও নেই। তবে অবশ্যই বাইকটিকে নিয়ে বলার অনেক কিছুই আছে। চলুন তবে বিস্তৃত আলোচনায়।
হোন্ডা ওয়েভ আলফা - লুক
হোন্ডা ওয়েভ আলফা মূলত মোপেড টাইপের কমিউটার বাইক যেটা কিনা কাব নামে পরিচিত। একে বলা যেতে পারে আমাদের তিনদশক আগের ব্যবহৃত হোন্ডা কাব৫০ এর উন্নত সংস্করন। সেই হোন্ডা কাব৫০ ছিল সেসময়ে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত মোটরসাইকেল। আর আপনারা ভালো করেই জানেন যে হোন্ডা ব্র্যান্ডটির প্রতি আমাদের দেশের মানুষদের একটি বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে। আরো মজার একটা সত্য যে, এখনো আমাদের দেশের আনেক মানুষই যেকোন মোটরসাইকেলকেই হোন্ডা বলে সম্বোধন করে থাকে।
যাহোক হোন্ডা ওয়েভ আলফা দেখতে বেশ সাধারন, ঠিক যেমনটা একটা মোপেড বাইকের হওয়া দরকার। এর টায়ারগুলো বেশ চিকন আর চাকাগুলো মেটাল স্পোক-রিমের তৈরি। সামনের চাকার মাড-গার্ডটি যথেষ্ট লম্বা যে তা খুব ভালোভাবেই সামনের চাকার ময়লা-কাদা থেকে ইঞ্জিনটিকে রক্ষা করতে পারে।
ওয়েভ আলফা বাইকটির হ্যান্ডেলবার পজিশন আপ-রাইট, আর সিটিং পজিশনটাও আপ-রাইট মোডে চালানোর মতো আরামদায়ক। ফলে যেকোন কমিউটার চালক সহজেই ও আরামে বাইকটি চালাতে পারবে। আর বাইকটির সিটও যথেষ্ট লম্বা ও চওড়া যে দুজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ আরামে বসতে পারবে।
তবে বাইকটির সাসপেনশন নিয়ে আমরা তেমন খুশি হতে পারিনি, কেননা এর সামনের সাসপেনশন টেলিস্কোপিক হাইড্রলিক হলেও যথেষ্ট ভালো নয়। তবে পেছনের সুইং আর্ম এটাচড্ ডাবল সাসপেনশন যথেষ্ট ভালো। আর এর ব্রেকিং ও কন্ট্রোল এর ক্যাটাগরী অনুযায়ী বেশ ভালো। তবে বাইকটির ইঞ্জিনের ক্ষমতা বেশী হওয়ায় এটার সামনের চাকায় ডিস্ক ব্রেক থাকলে আরো ভালো হতো।
হোন্ডা ওয়েভ আলফা - নিয়ন্ত্রন বৈশিষ্ট্য
হোন্ডা ওয়েভ আলফা একটি চমৎকার ডিজাইনকৃত কমিউটার যা মোটেও চটকদার নয়, বরং খুবই সাধারন ও মার্জিত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। বাইকটির ওডো মিটার থেকে শুরু করে পেছনের টেইল লাইট পর্যন্ত সবকিছুই খুবই অনাড়ম্বরপূর্ণ ও অভিজাতভাবে ডিজাইন করা।
এর ওডো প্যানেলটিতে স্পিড মিটার, ওডো, ফুয়েল গজ, ওয়ার্নিং লাইট ও গিয়ার চেঞ্জ ইন্ডিকেটর প্রভৃতি রয়েছে তবে কোন ক্লক নেই। আর বাইকটির কন্ট্রোলিং সুইচগুলোর মান যথেষ্ট ভালো তবে এতে কোন পাস বা ফ্লাসিং সুইচ নেই।
এর হেডলাইটের আলো রাতে চলার জন্যে যথেষ্ট ভালো হলেও হতাশাজনকভাবে তা এসি ওপারেটেড। ফলে এর আলো স্থির থাকেনা, থ্রটলের সাথে সাথে আলো কমবেশি হয়। আর এর টার্নিং ইন্ডিকেটরগুলো বডি প্যানেলের সাথে মিলিয়ে স্থাপন করা। ফলে এটা দেখতে যেমন ভালো লাগে তেমনি খুব সহজেই আপনি চরম ভিড়ের মধ্যে দিয়ে বাইক নিয়ে আনেকটা পিছলে বের হয়ে যেতে পারবেন।
আর এই কাবটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এটা ক্লাচ লিভার ছাড়া ডিজাইন করা। অটোক্লাচের এই বাইকটিতে গিয়ার চেঞ্জ অথবা ব্রেকিং এর জন্য ক্লাচ নিয়ন্ত্রন করার কোন প্রয়োজনই নেই। তাই খুব সহজেই নতুন কেউ এই বাইক চালাতে পারবেন। তবে সচরাচর অভ্যস্ত বাইকাররা এর অটোক্লাচের সাথে একটু অভ্যস্ত হতে হবে।
হোন্ডা ওয়েভ আলফা - ইঞ্জিন বৈশিষ্ট্য
হোন্ডা ওয়েভ আলফা একটি ১০০সিসি ক্ষমতাসম্পন্ন সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার-কুলড্ ইঞ্জিনের বাইক। এটি সর্ব্বোচ্চ ৬.৮৪বিএইপি শক্তি ও ৭.০এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে পারে। আর যেহেতু বাইটির ওজন কেবলমাত্র ৯৮কেজি আর টায়ারগুলো বেশ সরু তাই এর এক্সিলারেশনও লক্ষ্য করার মতো।
আর অত্যন্ত উপভোগ্য বিষয় হচ্ছে এর একজষ্ট সাউন্ডও খুবই চমৎকার, ভরাট আর পুরোপুরি স্পোর্টস বাইকের মতোই। আপনারা জানেন যে হোন্ডা মোটামুটি নি:শব্দ ধরনের ইঞ্জিন তৈরিতেই অভ্যস্ত; তবে ওয়েভ আলফা হোন্ডা সিবিআর১৫০আর এর চেয়েও বেশি ভরাট শব্দ করে। আর আমাদের এই পর্যন্ত চালানোর অভিজ্ঞতায় মনে হয়েছে এই ক্যাটাগরীতে এখনকার বাজারে এটাই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ইঞ্জিন।
ওয়েভ আলফার ইঞ্জিনটিতে আছে সাধারন বাইকের মতোই চার স্পিডের ম্যানুয়েল ফুট ওপারেটেড গিয়ার। তবে এই গিয়ার বদলানোর জন্যে আপনার ক্লাচ লিভারের কোন প্রয়োজনই নেই। ক্লাচ ছাড়াই আপনি একদম স্বভাবিকভাবে গিয়ার বদলাতে পারবেন। আর নতুন চালকদের জন্যে নি:সন্দেহে এটা একটা ভালো বৈশিষ্ট্য।
তবে এই অটোক্লাচের একটি সমস্যা হলো সুন্দরভাবে গিয়ার বদলানের জন্য আপনাকে থ্রটল ছেড়ে দিতে হবে। নইলে আপনি ইঞ্জিন থেকে ধাক্কা অনুভব করবেন, আর ইঞ্জিনের সেই হেচকির জন্যে আপনার চালনা ব্যাহত হতে পারে।
তবে কয়েকবার চালালেই আপনি এই বৈশিষ্ট্যের সাথে আপনি অভ্যস্ত হয়ে যেতে পারবেন, আর খুব ভালোভাবেই গিয়ার বদলাতে পাবেন, কোন ঝাকুনিই আর পাবেননা।
হোন্ডা ওয়েভ আলফা - বাইকবিডির অভিজ্ঞতা
হোন্ডা ওয়েভ আলফা ১০০সিসি ইঞ্জিনের একটি শক্তিশালী কাব। এই কাবটি টেষ্ট করা আমাদের জন্য অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা ছিল। ঢাকা সিটির চরম ট্রাফিক জ্যামে এটা চালিয়ে প্রতিবার আরামে বের হয়ে যাওয়া সে এক অনন্য অভিজ্ঞতাই বটে।
এছাড়া আমরা বাইকটি নিয়ে বেশ কয়েকটা ছোট ট্যুর দিয়েছি। হাইওয়ের লম্বা রাস্তায় ইঞ্জিনের পাওয়ার ডেলিভারী ছিল লক্ষ করার মতো। তবে ছোট হালকা বাইক হিসেবে ব্রেকিং হাইওয়ের জন্যে পুরোপুরি যথেষ্ট নয়। তবে হাইওয়েতে হুইল ব্রেকের এই ঘাটতিটুকু ইঞ্জিন-ব্রেকিং চমৎকারভাবে সমন্বয় করে দিয়েছে। তবে হাইওয়ে ট্যুর ছাড়া এমনকি এ্যাগ্রেসিভ সিটি রাইডেও এর ব্রেকিং সাপোর্ট যথেষ্ট বলে মনে হয়েছে।
তবে সর্বোপরি আপনাকে মনে রাখতে হবে এটা একটা কমিউটার যা কিনা কেবলমাত্র প্রাত্যহিক সাধারন চলাচলের জন্যেই সবকিছু সমন্বয় করা। তাই এর কিছু সীমাবদ্ধতা মেনে নিয়ে শক্তিশালী বৈশিষ্ট্যগুলো উপভোগ করাই ভালো। প্রসঙ্গত: আমরা আমাদের টেষ্টরাইডে প্রাপ্ত ওয়েভ আলফার অনেক বৈশিষ্ট্যই এরই মধ্যে আলোচনা করে ফেলেছি। আর আরো কিছু তথ্য যা নিচে বুলেট আকারে দেয়া করা হলো।
হোন্ডা ওয়েভ আলফা - পারফর্মেন্স
- হোন্ডা ওয়েভ আলফাকে বলা যায় কাব সেগমেন্টের একটি কমপ্লিট ফান প্যাকেজ। আবারো বলতে হয় ট্রাফিক জ্যামে এটা চালানোর মজাই আলাদা।
- তুলনামুলক উচ্চ টর্ক আর হালকা ওজন সহজে কম সময়ে একে পূর্ণগতিতে তুলে দেয়। আর কম্প্যাক্ট ডিজাইনের কারনে সামান্য ফাকা পেলেই আপনি যেকোন ভিড় থেকে বাইকসহ বের হয়ে আসতে পারবেন। আর ভালো ব্রেকিং ঠিকই আপনাকে যথাসময়ে জায়গামতো থামিয়ে দেবে।
- আপনি এই ছোট বাইকটি একটানে ৮৫কিমি/ঘন্টা গতিতে নিয়ে যেতে পারবেন। তবে এরপর আমাদের তোলা এর সর্ব্বোচ্চ গতি ১০২কিমি/ঘন্টায় নিয়ে যেতে আপনাকে সময় দিতে হবে।
- এর এক্সিলারেশন মোটামুটি ১০০-১২৫সিসি ক্ষমতার যেকোন বাইকের সাথে পাল্লা দেবার মতোই, কেননা এর পাওয়ার-টু-ওয়েট রেশিও একে বেশখানিকটা এগিয়ে রাখে।
- এটা দিয়ে মোটামুটি এ্যাগ্রেসিভ কর্ণারিং সম্ভব। যদিও এর টায়ার সরু তবু এর গ্রিপ বেশ ভালো।
- আমরা এর মাইলেজ আমাদের ২০০০কিমি এর টেষ্টরেইডের সময়ে খুবই স্থির পেয়েছি। আর অত্যন্ত ভিড়যুক্ত পথে রাফ চালানোর পরও এটা সবসময়েই ৫৫কিমি/লিটার এর উপরে ছিল।
- সার্বিকভাবে বলা যায় এর ব্রেকিং বেশ ভালো। আরো বলা যায় এই শ্রেনীতেই এটাতেই রয়েছে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো ড্রাম ব্রেক।
- আর এর ইঞ্জিন ব্রেক আসলেই খুবই ভালো, যেটা হাইওয়েতে খুবই ভালো সাপোর্ট দেয়।
হোন্ডা ওয়েভ আলফা - বাড়তি সুবিধা
- হোন্ডা ওয়েভ আলফা বাইকটির বাড়তি কিছু সুবিধা যেমন সীটের নিচে বেশ সুপরিসর কম্পার্টমেন্ট আছে যাতে ব্যবহারকারী দরকারী অনেক কিছুই রাখতে পারবেন। এছাড়াও সামনে চালকের দুপা রাখার জায়গাটিতে আলাদা ক্যারিয়ার সেট করা সম্ভব।
- বাইকটির রং, ডিজাইন-নকশা এর মান অনেক ভালো। ছোটখাটো সাধারন আঁচড় বসে যাবার সম্ভাবনাই নেই।
- এই বাইকটির ব্যাটারী একটি সিলড্ টাইপ ব্যাটারী। তাই ব্যবহারকারীকে এর মেইনটেন্যান্সে আলাদা নজর দেবার কোন প্রয়োজনই নেই।
হোন্ডা ওয়েভ আলফা - কিছু দুর্বলতা
- বাইকটির সাসপেনশন মধ্যম মানের। সামনের সাসপেনশন আমাদের খুশি করতে পারেনি, তবে পেছনের জোড়া ভালো ছিল।
- অটো-ক্লাচ হবার কারনে অনেকেই প্রথমদিকে গিয়ার বদলাতে সমস্যায় পড়বেন। আর উচ্চ গতি থেকে নীচের গিয়ারে নামার সময় ধাক্কাটাও বেশ বিরক্তিকর।
- এই বাইকের হেডলাইটের আলো যথেষ্টভালো হলেও তা এসি অপারেটেড হবার কারনে থ্রটলের সাথে সাথে এর আলো কমবেশী হয়, যা বেশ অসুবিধাজনক। আর এতে কোন পাস সুইচও নেই
- ওয়েভ আলফার ফুয়েল ট্যাঙ্কের ধারন ক্ষমতা মাত্র চার লিটার। ব্যস্ত ব্যবহারকারী আর ট্রাভেলারদের জন্যে বারবার তেল ভরানো আসলেই বিরক্তিকর।
- কমিউটার হিসেবে এর গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স খুবই কম। এর কারনে প্রায়ই উচু স্পিড-ব্রেকারে এর তলা ঘসা লাগে।
হোন্ডা ওয়েভ আলফা টেষ্টরাইড রিভিউ - শেষ কথা
তো বন্ধুরা এই ছিল আমাদের হোন্ডা ওয়েভ আলফা ২০০০কিমি টেষ্টরাইডের প্রাপ্ত তথ্যসমূহ। তবে এটাই আসলে শেষ নয়। আমরা এই মজার বাইকটিতে আরো বিস্তৃত নিরীক্ষা চালাবো যার ফলাফল অবশ্যই সময়ে সময়ে আপনাদের কাছে উপস্থাপন করা হবে।
আর এই উপসংহারে আপনাদের ওয়েভ আলফা সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জানিয়ে দিচ্ছি। হোন্ডা ওয়েভ আলফা হচ্ছে বিএইচএল এর এখন পর্যন্ত একমাত্র বাইক যা সরাসরি ভিয়েতনাম হতে সিবিইউ কন্ডিশনে আসে। সিবিইউ কন্ডিশনে আমদানীর কারনে এর উপর সরকারী ট্যাক্স ও অন্যান্য চার্জও বেশী। তাই এটার দামও পড়ে যায় বেশি। তবে সিবিইউ কন্ডিশনে আসার কারনে এর একটা নাটও ভিয়েতনাম হোন্ডা প্লান্টের বাইরে এ্যাসেম্বেল করতে হয়না। আর সেকারনেই এর বিল্ড-কোয়ালিটি আর নির্ভরযোগ্যতা অনেকটাই বেশী, আর আপনি নিশ্চিন্তে এর উপর নির্ভর করতে পারেন।
আর এবারের মতো শেষ কথায় বলতে হয় হোন্ডা ওয়েভ আলফা তাদের জন্যেই সবচেয়ে ভালো পছন্দ হতে পারে যারা আসলেই দৈনন্দিন চলাচলে ব্যাস্ত থাকেন, আর আবশ্যই যারা কাব৫০ চালিয়েছিলেন।
আর এই বাইকটি একটি ইউনিসেক্স কাব হওয়াতে নারী-পুরুষ সকল চালকই এটা ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে বাড়তি হিসেবে পাবেন আরো শক্তি, নির্ভরযোগ্যতা আর আত্মবিশ্বাস। আজ তবে এটুকুই, আপনার যেকোন মতামত ও প্রশ্ন আমাদের সরাসরি জানাতে ভুলবেননা। ধন্যবাদ সবাইকে।