হিরো হোন্ডা সিবিজেড এক্সট্রিম মালিকানা রিভিউ

This page was last updated on 07-Jul-2024 03:02am , By Shuvo Bangla

হিরো হোন্ডা সিবিজেড এক্সট্রিম মালিকানা রিভিউ। ছোট থেকেই হোন্ডা, ইয়ামাহা, সুজুকি দেখে আসছি, তৎকালীন সময়কার মোটরসাইকেল গুলি অসাধারণ হলেও তাদের বেশিরভাগ মডেলের মোটরসাইকেল গুলোই ছিল ট্র্যাডিশনাল। কিছু স্পোর্টস মডেল মোটরসাইকেল থাকলেও তা ছিল হাতে গোনা অল্পসংখ্যক। ১৯৯৩-৯৪ সালে এলাকার এক বড় ভাই হিরোহোন্ডা স্লীক কিনে আনে, মোটরসাইকেলটি খুব সুন্দর ছিল। বলাবাহুল্য ঐ সময় থেকেই আমি হিরোহোন্ডার ফ্যান।

হিরোহোন্ডার প্রথম মজা পাই আমি স্প্লেন্ডার মডেলটি দিয়ে। প্রথম দিকে হোন্ডার/ইয়ামাহা থেকে সরে হিরোহোন্ডার দিকে একটু ঝুঁকলেও পরবর্তীতে হোন্ডা, ডয়াং এবং বাজাজ-এর সাথে যুক্ত থাকি, এর ভেতর হিরো হোন্ডা বাজারে আনে ১৫৬.৮সিসি’র সি.বি.জেড মোটরসাইকেলটি।

মোটরসাইকেলটির মোটা চাকা যেকোনো বাইকারকেই তার প্রতি আকর্ষিত করে নিত, আমিও তার বেতিক্ক্রম ছিলাম না, কিন্তু সুযোগের অভাবে মোটরসাইকেলটি কেনা হলোনা L পরবর্তীতে সি.বি.জেড এক্সট্রিম আসলো, ওটাও মিস করলাম কিন্তু তার পর সি.বি.জেড এক্সট্রিম ডিজিটাল মডেলটা ব্যাটে-বলে মিলে গেল :p হাতে এসে গেল নিজের এক্সট্রিম...আজকে BikeBD- তে আপনাদের সাথে আমার শখের এই মোটরসাইকেলটির ছোট্ট একটা রিভিউ তুলে ধরছি।

হিরো হোন্ডা সিবিজেড এক্সট্রিম এর ডিজাইন ও লুক

স্পোর্টস লুকের মোটরসাইকেলটি হিরোহোন্ডা খুব সুন্দর ভাবেই উপস্থাপন করেছে। ৫টি ডবল স্পোক বিশিষ্ট নতুন ডিজাইনের রিম, সুসজ্জিত বর্ধিত পেট্রোল ট্যাঙ্ক, এগ্রেসিভ ট্রাপেজ হ্যালোজেন হেডলাইট, গোল্ডেন রঙের স্প্লিট হেন্ডেল যার সাথে অত্যন্ত সংবেদনশীল সামনের ফর্কটি এবং পেছনের স্প্রিং-এর গ্যাস চেম্বারের রঙ মিলিয়ে চমৎকার একটা মিল করা হয়েছে।

দুই পার্ট বিশিষ্ট সিট, মোটা টিউবলেস টায়ার, সাধারন কিন্তু দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিক্স যার লাল রঙের এক্সট্রিম লোগোটার সাথে রাখা হয়েছে পেছনের স্প্রিং-এর মিল, ইঞ্জিনটিকে খুব সুন্দর ভাবে সংস্থাপন করা হয়েছে, বাইকের বডি আর ইঞ্জিনের ভেতর অপ্রয়োজনীয় ফাকা স্পেস রাখা হয়নি, চমৎকার ইঞ্জিন গার্ড ব্যাবহার করা হয়েছে, শক্তিশালী এল.ই.ডি ব্যাক লাইট, বিশেষকরে সাইলেনসার পাইপটি খুবই সুন্দর ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। আমার দৃষ্টিতে আমি বাইকটির লুক ১০/৮.৫ দিব।

হিরো হোন্ডা সিবিজেড এক্সট্রিম এর গুনগতমান, নির্ভরযোগ্যতা এবং স্থায়িত্ব

গুনগতমান ও স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড গুলির ভেতর ইয়ামাহা ও হোন্ডার পরেই হিরোহোন্ডার অবস্থান। ১৯৮৪ সন থেকে উৎকৃষ্ট সেবা, মান, ডিজাইন ও নির্ভরযোগ্যতার কারনে লক্ষ লক্ষ মানুষকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে। যেহেতু অনেক আগে থেকেই হিরোহোন্ডা মোটরসাইকেলের প্রতি আমার আস্থা রয়েছে, সেহেতু নিশ্চিন্তে সি.বি.জেড এক্সট্রিম বাইকটি নিয়ে নিলাম। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন প্রায় ৩ বছরে ১৫০০০ কিলোমিটার চালিয়েছি, তবে এখন পর্যন্ত মোটরসাইকেলটির একটা এয়ার-ফিল্টার পালটিয়েছি।

হিরোহোন্ডা সি.বি.জেড এক্সট্রিম মোটরসাইকেলটি নিঃসন্দেহে একটি প্রিমিআম গ্রেডের মোটরসাইকেল। হাই কোয়ালিটি পার্টস ব্যাবহারের কারনে বাইকটির নির্ভরযোগ্যতা স্থায়িত্ব অনেক বেশি। নির্ভরযোগ্যতা স্থায়িত্বের দিক বিবেচনায় বাইকটিকে আমি ১০/৭.৫ দিব।

হিরো হোন্ডা সিবিজেড এক্সট্রিম এর ইঞ্জিন শক্তি ও গতি

১৪৯.২ সিসি’র (৯.১০ কিউবিক ইঞ্চি) ইঞ্জিন যা ৮৫০০ আর.পি.এম-এ ১৪.২ বি.এইছ.পি শক্তি উৎপন্ন করতে সক্ষম। ১৪৮ কেজি ওজনের বাইকের জন্য গতি আর ক্ষমতার নিখুঁত সমন্বয়। পিকআপ রেসপন্স যথেষ্ট ভাল, যেকারনে হাইওয়ে তে সহজেই ওভারটেক সুবিধা পাই।

মোটরসাইকেলটি থেকে আমি টপ স্পীড পেয়েছি ১২১ কিলমিটার/ঘন্টা। শব্দহীন ইঞ্জিন, যারা হিরোহোন্ডা হাঙ্ক ব্যাবহার করেছেন তারা হয়ত এর ইঞ্জিন সাউন্ড টা উপলব্ধি করতে পারবেন। কারন হিরো তাদের এই দুইটা মোটরসাইকেলেই একই ইঞ্জিন ব্যাবহার করেছে।

গিয়ারের স্মুথনেস যথার্থ মনে হয় নি। ভাইব্রেশন একেবারে শুন্নের কোঠায়, একদম নাই বললাম না কারন  এয়ার-কুল্ড কোন বাইকই ভাইব্রেশন মুক্ত না। বাজাজ/ টিভিএস এর তুলনায় ইঞ্জিন কম গরম হয়। মোটরসাইকেলটি যেকোনো পরিস্থিতিতে খুব ভালভাবে মোকাবেলা করার ক্ষমতা রাখে। ইঞ্জিন শক্তি ও গতির দিক বিবেচনায় বাইকটিকে আমি ১০/৮ দিব।

হিরো হোন্ডা সিবিজেড এক্সট্রিম এর মাইলেজ

মাইলেজ সম্পর্কে কখনো কাউকে একমত হতে দেখিনি। না দেখাটাই স্বাভাবিক! কারন একেক জন মানুষের মোটরসাইকেল চালানো ও মেইনটেইন করার ক্ষমতা একেকরকম। একই বাইক দুই জনকে দিলে দুই রকম মাইলেজ বাইর করবে।

আমার ক্ষেত্রে আমি সি.বি.জেড এক্সট্রিম থেকে শহরের ভেতর সবসময় ৪০-৪২+ পাই, আর হাইওয়েতে ৪৮-৫০+ পর্যন্ত পেয়েছি, যা ১৫০সিসি ইঞ্জিন হিসেবে আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট। মাইলেজের দিক থেকে বাইকটিকে আমি ১০/৭.৫ দিব।

হিরো হোন্ডা সিবিজেড এক্সট্রিম এর ব্যাল্যান্স এবং ব্রেকিং

মোটরসাইকেলটির ইঞ্জিনিয়ারিং এতটাই সুন্দরভাবে করা হয়েছে যে চালাবার সময় বোঝাই যায়না যে এটার ড্রাই ওজন ১৪৮কেজি। বিশেষকরে  ইউনিক হ্যান্ডেল বারটি বাইক চালাবার সময় চমৎকার কনফিডেন্স দেয়। সামনের অসাধারণ হাইড্রোলিক ফর্ক এবং পেছনের GRS গ্যাস শক-এবজরভার নিশ্চিত করে স্মুথ কম্ফোরটেবল রাইডিং।

দুই পার্টের সিট, যা ড্রাইভার এবং একজন পিলিওনের জন্য সিটিং পজিশন খুব ভাল, তবে ৩জন বসা খুবই কষ্টসাধ্য (যদিও আমি কখনই ২জন পিলিওন নিয়ে রাইড করিনা)। ডিস্ক ব্রেকের পারফরম্যান্স ভাল, বৃষ্টিতে ভিজে অনেক চালিয়েছি, কিন্তু পানি লেগে ডিস্ক কখনই আক্সিডেন্টাল লক হয়নি।

বাইকটিতে নামকরা BYBRE ব্রান্ডের (240mm) ডিস্ক ব্রেক ব্যাবহার করা হয়েছে। তবে হ্যাঁ! পিলিওন সহ উচ্চ স্পীডে ব্রেকিং রেস্পন্সে আমি সন্তুষ্ট না। ওভারঅল মোটরসাইকেলটি চালিয়ে আমি খুবই সন্তুষ্ট। ব্যাল্যান্স এবং ব্রেকিং বিবেচনায় বাইকটিকে আমি ১০/৭.৫ দিব।

হিরো হোন্ডা সিবিজেড এক্সট্রিম নিয়ে লং রাইড

আমার বাড়ি খুলনাতে কিন্তু ঢাকাতেও আমাকে থাকতে হয়, সেহেতু মাঝে মধ্যেই মোটরসাইকেল নিয়ে আমাকে ঢাকা খুলনা যাতায়াত করতে হয়, সেক্ষেত্রে সুযোগ পেলেই জার্নির জন্য আমি মোটরসাইকেলকে বেশি প্রাধান্য দেই। মোটরসাইকেলটির হাইওয়ে পারফরমান্স খুবই সন্তোষজনক। রেডি পিকআপ, হাই স্পীড, হেভি ওয়েট, শব্দহীন ইঞ্জিন, সবকিছুই তুলনাহীন।

তবে একটা বিষয় লক্ষ করেছি যে, সি.বি.জেড এক্সট্রিম মোটরসাইকেলটি দিয়ে ২০০+ কিলো একটানা চালালে গেলে ঘাড়ের কাছে এক ধরনের ব্যাথা অনুভব করি। আমি নিশ্চিত অন্তত ৫ফিট ৯ইঞ্ছির নিচে যাদের উচ্চতা তারা সবাই এই ব্যাথা অনুভব করবে। আর ইঞ্জিন ওভারহিট জাতীয় কোন প্রব্লেম কখনো ফেস করিনি। লং রাইড চালনায় বাইকটিকে আমি ১০/৮ দিব।

এক নজরে হিরো হোন্ডা সিবিজেড এক্সট্রিম এর ভাল ও খারাপ দিক সমুহ

সব কিছুরই ভাল খারাপ আছে, এই মোটরসাইকেলটি ও তার উরধে নয়। গত ৩ বছরে মোটরসাইকেলটির যে ভাল এবং খারাপ দিক গুলো আমি পেয়েছি তা বর্ণনা করার চেষ্টা করছি।

ভালো দিকঃ

১। ১৪৯.২ সিসির শক্তিশালী ইঞ্জিন যা ১৪.২ বি.এইচ।পি শক্তি উৎপাদনে সক্ষম। যার কারনে পিকআপ রেস্পন্সও খুব ভাল।

২। চমৎকার গ্রাফিক্স, অসাধারণ ফিনিশ এবং রঙ, উত্কৃষ্ট উপাদানে প্রস্তুত মজবুত গঠনের সাথে স্পোর্টি লুক।

৩। নিউ ডিজিটাল এবং অ্যানালগ মিটারের সংমিশ্রণ যা খুব সুন্দর করে ডিজাইন করা হয়েছে।

৪। ইউনিক ও আরামদায়ক হ্যান্ডেল বার।

৫। ইগ্নিশন লকে চাবির সাটার দেয়া হয়েছে, যা অযাচিত বেবহারের থেকে বাইকটিকে সেফ রাখে।

৬। ট্রাপেজ হ্যালোজেন হেডলাইট, ইউনিক ডিজাইন সিগন্যাল লাইট এবং শক্তিশালী লেড ব্যাক লাইট।

৭।  পাঁচটি ডবল স্পোকের সম্পূর্ণ নতুন ডিজাইনের এলয় হুইল, সাথে MRF এর টিউবলেস মোটা চাকা ব্যাবহার করা হয়েছে।

৮। BYBRE ব্রান্ডের (240mm) ডিস্ক ব্রেক,  বাইকটির ব্রেকিং রেসপন্সে আমি খুবই সন্তুষ্ট।

৯। ফেয়ারিং যুক্ত বড় তেলের ট্যাঙ্ক।

১০। ২ পার্টের সিট, সাথে পারফেক্ট ফুট রেস্ট ডিজাইন যা আরামদায়ক সিটিং পজিসন নিশ্চিত করে।

১১। সামনের অসাধারণ হাইড্রোলিক ফর্ক এবং পেছনের GRS গ্যাস শক- এবজরভার নিশ্চিত করে স্মুথ কম্ফোরটেবল রাইডিং।

১২। সুখ্যাতি-সম্পন্ন ডাইমণ্ড ফ্রেম যা সেরা স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে।

১৩। খালি বাইকের ওজন ১৪৯ কেজি, যার ফলে উচ্চ গতিশীল অবস্থায় আস্থা পাওয়া যায়, হাইওয়ে তেও আরামদায়ক ভ্রমন নিশ্চিত করে।

১৪। দেশ বিস্তৃত সার্ভিস সেন্টার, সহজপ্রাপ্য এবং সহজলভ্য পার্টস।

১৫। অসাধারণ মাইলেজ (শহরের ভেতর সবসময় ৪০-৪২+ পাই, আর হাইওয়েতে ৪৮-৫০+ পর্যন্ত পেয়েছি)

১৬। চওড়া এবং ওয়েল অ্যাডজাস্টাএবল রেয়ার ভিউ মিরর, যা থেকে পেছনের কোন কিছুই লুকাতে পারেনা,

১৭।অতি পরিচিত, আস্থাভাজন ও অভিযোগ মুক্ত একটি মোটরসাইকেল।

হিরো হোন্ডা সিবিজেড এক্সট্রিম এর খারাপ দিকঃ

১। অতিরিক্ত ওজন যা অনেকের জন্য বিরক্তিকর হতে পারে।

২। খাটো মানুষের জন্য বাইকটি মোটেও উপযোগী নয়।

৩। ডিসি হেড লাইট, যে কারনে লো-পিকআপে আলো একদম কমে যায়।

৪। ইঞ্জিন কিল সুইচের অনুপস্থিতি।

৫। রাতের অন্ধকারে ডিজিটাল মিটারের ছোট ডিজিট গুলা হালকা মনে হয়।

৬। তেলের ট্যাংক -এর ধারন ক্ষমতা মাত্র ১২ লিটার তবে তা আমার কাছে যথার্থ।

৭। পিলিওন সহ উচ্চ গতিতে ব্রেক কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ।

৮। কিক স্টার্ট নাই।

সব মিলিয়ে এক কথায় অসাধারণ! দাম হিসেবে ১৫০সিসি বাইকে এর থেকে বেশি সন্তুষ্ট থাকার চিন্তা করা মানেই বোকামি। নিঃসন্দেহে সমান সেগমেন্টের সেরা মোটরসাইকেল। মোটরসাইকেলটিকে যদি ১০-এর ভেতর রেট করতে বলা হয় তাহলে আমি ওভারঅল ৮ দিব (এটি একান্তই আমার নিজেস্ব মত)।

হিরো হোন্ডা সিবিজেড এক্সট্রিম নিয়ে ৩ বছরে ফিরে দেখা

গত ৩ বছরে এই মোটরসাইকেলটি আমার সহযাত্রী হিসেবে আমার সাথেই পথ চলছে, এই দীর্ঘ সময়ে কখনও কোন লজ্জাস্কর পরিস্থিতিতে আমাকে পরতে হয়নি এবং এখন পর্যন্ত কোন প্রকার মেজর প্রব্লেমের সম্মুখীন হতে হইনি। পালটাবার ভেতর শুধুমাত্র একটা এয়ার ফিল্টার পালটীয়েছি আর ব্যাটারি পালটাতে হয়েছে কয়েকবার, কারন বাইকটি আমার দেশের বাড়িতে ব্যাবহার করার কারনে নিয়মিত চালানো হত না, আর মেইনটেনান্স ফ্রী ব্যাটারি ফেলায় রাখলেই প্রবলেম। বাইকটা যতই চালাই ততই ভাল লাগে, কখনও বিক্রি করার কোন রকম চিন্তা কখনও আমার মাথায় আসেনা।

সত্যি বলতে রিভিউ লেখার মত সময় আমার হয়ে উঠেনা, অফিস করে বাসায় ফেরার পর এতটাই ক্লান্ত থাকি যে রিভিউ লেখার ইচ্ছা থাকলেও সুযোগ বের করতে পারিনা। কিন্ত গতবার একটা রিভিউ লেখার পর থেকেই কেমন যেন একটা নেশা কাজ করছে। রিভিউ যেন না লিখলেই নয়। ইচ্ছে আছে জীবনে যে কয়টা বাইকের ব্যাবহারের সুযোগ পেয়েছি, আস্তে আস্তে করে সব কয়টার রিভিউ লিখব। এটা আমার লেখা ২য় রিভিউ, তাই কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, ধন্যবাদ।

সংকলনে: আরমান হুসাইন (armanhussain@hotmail.com)

  আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com - এই ইমেইল এড্রেসে।