ব্যক্তিগত যানবাহনে দেশের বাহিরে ভ্রমণ

This page was last updated on 07-Jul-2024 08:15am , By Saleh Bangla

মানুষ অনেক বেশি ভ্রমন প্রিয়। আর এই ভ্রমন প্রিয় মানুষ যদি মোটরসাইকেল রাইডার তবে তার ভ্রমনের নেশা ছড়িয়ে পরে দেশের বাইরে। কিন্তু অনেকেই যানেন না যে কিভাবে ব্যক্তিগত যানবাহনে দেশের বাইরে ভ্রমনে যাওয়া যায়। তাই আজ আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি ব্যক্তিগত যানবাহনে দেশের বাইরে ভ্রমনের কিছু নিয়ম।


ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল/গাড়ীতে বিদেশ ভ্রমণ করতে কি কি লাগবে?

১। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক অনুমতিপত্র,  ২। ব্যাংক গ্যারান্টি, ২। কারনেট, ৩। ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং পার্মিট, ৪। ইনস্যুরেন্স, ৫। ৩০০ টাকার ইন্ডেমনিটি বন্ড, ৬। যে দেশে যাবেন তার ভিসা, ৭। ৫০০ টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স।

ব্যক্তিগত যানবাহনে দেশের বাইরে ভ্রমন

ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল/গাড়ীতে বিদেশ ভ্রমণ করতে কোথায় আবেদন করতে হবে?

চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বরাবর দরখাস্ত দিন। অনুমতি পাওয়ার পর সেই অনুমতি পত্র নিয়ে সোজা চলে যান বাংলাদেশ অটোমোবাইল এসোসিয়েশন এ সেখানে আপনার গাড়ি/মোটরসাইকেল এর কারনেটের জন্য যা যা করনিয় তারা বলে দিবে। আপনাকে আপনার গাড়ি/মোটরসাইকেলের দামের সমতুল্য অথবা কম বেশি টাকার ব্যাংক গ্যারানটি দেওয়া লাগবে টাকার পরিমান কত লাগবে তাদের সাথে আলোচনা করে নিন। ব্যাংক গ্যারান্টি রিফান্ডেবল।


আপনি আপনার ভ্রমণ শেষে আপনার গাড়ি/মোটরসাইকেল সহ এবং কারনেটের বুক সহ বাংলাদেশ অটোমোবাইল এসোসিয়েশন এর নিকট হস্তান্তর করুন তারা আপনার ব্যাংক গ্যারান্টি রিলিজ করে দিবে।বর্ডারে গিয়ে ৩০০ টাকার ইন্ডেমনিটি বন্ড এবং আপনার গাড়ি/মোটরসাইকেলের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক অনুমতি পত্র দেখিয়ে কমিশনারের কাছে বন্ড জমা দিন। তারপর কমিশনারের নির্দেশক্রমে বাকি কাজ তারাই করে দিবে।
rules to follow for traveling outside country

এজন্য কাউকে কোন টাকা পয়সা দেওয়া লাগবে না। তারপর ইমিগ্রেশনের কাজ সেরে ফেলে সোজা নোমেন্স ল্যান্ড এ চলে যান। সেখানে বাংলাদেশের সাইডে একজন রাজস্ব কর্মকর্তার কাছে আপনার কারনেট জমা দিন।উনি কারনেটের একটি সাদা অংশ কেটে রেখে দিবে এবং বইটির উপরের সাদা অংশে তার সীল ও স্বাক্ষর দিবেন। অবশ্যই উপরের সাদা অংশে তার সীল ও স্বাক্ষর দেওয়া আছে কিনা তা খেয়াল করবেন। হয়ে গেলে এবার ভারতের সীমানায় কাস্টমস অফিসের নিকট চলে যান।

কাস্টমস অফিসারের নিকট আপনার কারনেট দিয়ে ইমিগ্রেশনে চলে যান সেক্ষেত্রে আপনার সময় বেচে যাবে। ইমিগ্রেশন কমপ্লিট হয়ে গেলে কাস্টমস অফিসারের নিকট এসে তারকাছ থেকে ঠিক একই নিয়মে আপনার কারনেটের বুকের উপরের সাদা অংশে সীল ও স্বাক্ষর আছে কিনা চেক করে নিন।

ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল/গাড়ীতে বিদেশ ভ্রমণ করতে গেলে কতদিনের মধ্যে ফিরতে হবে?

অফিসার আপনাকে কারনেটের সুবিধায় গাড়ি/মোটরসাইকেল নিয়ে কত দিনের মধ্য ফিরে আসতে হবে তা বলে দিবে এবং যদি সময় মত ফিরে না আসেন তাহলে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে তাও বলে দিবে। সব কাজ হয়ে গেলে এবার আপনি আপনার ইচ্ছা মতন ঘুরতে পারেন।
traveling rules to other country

অনুমতির জন্য কোন টাকা পয়সা লাগে না।

কারনেটের জন্য কত টাকা লাগে?

কারনেটের জন্য সাধারনত ১২০০০ (বারো) হাজার টাকা লাগে।

ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং পার্মিটের জন্য কত টাকা লাগে?

ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং পার্মিট- ২৫০০ টাকা।
সতর্কতাঃ অবশ্যই কারনেট , পাসপোর্ট এবং এই সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র নিজ দায়িত্ব যত্ন করে রাখবেন।

আর এমন কোন কাজ করবেন না যাতে করে আমাদের দেশের কোন প্রকার বদনাম হয়। অবশ্যই রাইডিং গিয়ার এবং হেলমেট পরিধান করবেন, ট্রাফিক আইন মেনে চলুন। মনে রাখবেন আপনি এখন আপনার দেশকে বহির্বিশ্বের কাছে তু্লে ধরার কর্ণধার। মোটামুটি এই ছিল ব্যক্তিগত যানবাহনে দেশের বাইরে ভ্রমন।
আপনাদের যাত্রা শুভ হোক এই কামনা রইল।

লিখেছেনঃ সাজেদুর রহমান মাহি