বাংলাদেশে হোন্ডা’র অভাবনীয় মূল্যহ্রাস!

This page was last updated on 19-Aug-2024 12:19am , By Shuvo Bangla

বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড (বিএইচএল) সম্প্রতি বাংলাদেশে হোন্ডা বাইকের দাম অবিশ্বাস্য পরিমাণে কমিয়েছে। মূলত দেশে মোটরসাইকেল নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহিত করতে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ সরকার মোটরসাইকেলের ওপর থেকে ট্যাক্স কমায়। যার পরিপ্রেক্ষিতেই হোন্ডার এই অভানীয় মূল্যহ্রাস।

New-Honda-CBR150R-Latest-Price-2017

২০১৬-১৭’র বাজেটে সরকার দেশের মোটরসাইকেল নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাহায্য করার কথা জানায়। এজন্য ৫ বছর মেয়াদি একটি পরিকল্পনাও গ্রহণ করে সরকার, যাতে ধীরে ধীরে এসব প্রতিষ্ঠনাগুলো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে। আর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সরকার ট্যাক্স কমায়।

Honda-CB-Shine-latest-price

এর আগে জুলাইয়ে বিএইচএল একবার তাদের মোটরসাইকেলের দাম কমিয়েছিলো। পুনরায় এ মাসে তারা দাম কমিয়েছে, যা ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬ থেকে কার্যকর হয়েছে। বিএইচএল গত ২০১৩’র শেষ দিক বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে। তখন থেকে ধীর গতিতে তারা বাজার দখল করে চলেছে। এদের প্রোডাক্ট লাইন আপ খুব বেশি বড়ো নয়। অন্য কোম্পানিগুলোর মতো বিএইচএলের একই সিসি ক্যাটাগরিতে একাধিক মডেল নেই। বরং তারা অনেক ধরনের মডেল বাজারজাত করছে।

Honda-Dream-Neo-Latest-Price-2017

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলেই হোন্ডা ড্রিম নিও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আর ২০১৬-তে এর নতুন স্টিকার একে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছে। অন্যদিকে বিএইচএলের মতে, তাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাইক হোন্ডা সিবি শাইন নিয়ে গ্রাহকদের তেমন কোনো অভিযোগই আসেনি।

Honda-CB-Trigger-Latest-Price-2017

আর তাদের সিবি ট্রিগার তো ১৫০ সিসিতে গতি ও মাইলেজ চাওয়া বাইকারদের প্রথম পছন্দ। তাছাড়া সম্প্রতি টিম বাইকবিডি হোন্ডা ওয়েভ আলফা’র টেস্ট রাইড রিভিউ প্রকাশ করেছে।

Bangladesh-All-Honda-Latest-Price-2017

বাংলাদেশে হোন্ডা’র সকল শোরুম

আমরা সঠিক জানি না, কেনো বিএইচএল হোন্ডা ওয়েভ আলফা’র দাম কমায়নি। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক হচ্ছে, হোন্ডা সিবিআর১৫০আর এর দাম কমেছে ৪০ হাজার টাকা! আর প্রতিটি বাইকের সঙ্গেই ২ বছর বা ২০ হাজার কিমি ইঞ্জিন ওয়ারেন্টি রয়েছে।

Also Read: ঢাকায় হোন্ডা’র নতুন শোরুম : মাসমিনু মটরস

Honda-price in Bangladesh

হোন্ডা মোটরসাইকেলের এই দাম কমানোটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আশা করি, অন্য কোম্পানিগুলোও হোন্ডা’র এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে বাইকের দাম কমাবে। যাতে করে বাংলাদেশী বাইকাররা সহজেই তাদের চাহিদা পূরণ করতে পারে। আর বাংলাদেশ সরকার দেশে মোটরসাইকেল নির্মাণে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা প্রদান করবে সেই প্রত্যাশা তো রইলো্ই।