বর্ডার ক্রস বাইক নিয়ে আমার তিক্ত অভিজ্ঞতা ও কিছু সতর্কবাণী
This page was last updated on 03-Jul-2024 12:28pm , By Shuvo Bangla
বর্ডার ক্রস বাইক নিয়ে আমার তিক্ত অভিজ্ঞতা
বর্তমানে বাংলাদেশ এর তরুণ এবং মধ্য বয়সী লোকেদের পছন্দের যাতায়াত ব্যবস্থার আকর্শনীয় ব্যাবস্থা হচ্ছে মোটর সাইকেল। বাংলাদেশের তরুন সমাজে এটি ব্যপক ভাবে জনপ্রিয়।এবার আসা যাক মূল কথায়।বাংলাদেশ সচারাচর তার পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে বাইক এনে থাকে। বাংলাদেশ সরকার (BRTA) এর অনুমোদন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১৫০ সিসি পর্যন্ত বাইক চলাচল এর অনুমোদন দিয়ে থাকে।
কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীক ও জনগণ অবৈধ ভাবে বেশি ১৫০সিসি এর মোটরসাইকেল অথবা ১৫০সিসি এর মদ্ধেই কিছু বাইক যেগুলো এর জন্য ট্যাক্স দেওয়া হয় নি এবং বাংলাদেশ সরকার এর খাতায় এসব বাইক এর কোন হিসেব নেই।বর্তমানে বাংলাদেশে যে সব বর্ডার ক্রস বাইক দেখতে পাওয়া যাই Pulsar 180.pulsar 200NS.Pulsar 220F,Yamaha Fazer,Yamaha YZF R15 V.2 এবং এর চেয়ে বেশি সিসি বাইক ও সাধারণত চোখে পড়ে কিন্তু বর্ডার ক্রস এর মদ্ধে এগুলোই জনপ্রিয়।
আমার প্রথম বাইক Yamaha Fazer 2011 কেনা, রেজিস্ট্রেশন,এবং বিভিন্ন জিনিস সহ খরচ প্রাই ৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার কাছা কাছি।তখন আমার ই একজন পরিচিত Yamaha YZF R15 কালো বাইক টি চালাত এবং আমি জানতাম সেটা অবৈধ ছিল মানে বর্ডার ক্রস।আমি তার কাছে একদিন জানতে চাইলাম আপনার এই বর্ডার ক্রস চালানোর কারন আর বর্ডার ক্রস নিয়ে কোন সমস্য হয় না? তিনি আমাকে সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিলেন।
দেখো তোমার Fazer কত দিয়ে কিনেছ? আমি বললাম ২ লক্ষ ৫০? সে বলল আমার R15 ১ লক্ষ ২০ দিয়ে কিনেছি আমি বলালাম পুলিশ অথবা ডিবি আপনার বাইক ধরবেনা? সে বলল না।আরও বলল কেন অযাথা আমি সরকার কে এত টাকা ট্যাক্স দিয়ে ৫ লক্ষ টাকা দিব যেখানে আমি মাত্র ১ লক্ষ টাকায় সেই জিনিস টাই পাচ্ছি।
আমি তার এই কথায় একটু উচ্ছাসিত হয়ে তার কাছ থেকেই একটা Pulsar 220F কিনি মাত্র ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে।অনেক দিন চালিয়েছি কোন ঝামেলা ছাড়াই কিন্তু আমি যার কাছ থেকে এই বাইক টি কিনেছিলাম সে এক্সিডেন্ট করেছিল এবং পুলিশে এসে তার বাইক টি যব্দ করার পর প্রমাণিত হয় এটি ছিল অবৈধ বাইক।
তার কাছ থেকে পুলিশ সব তথ্য বের করেছিল।এবং তার বিক্রিত সকল অবৈধ বাইক যব্দ করা শুরু হয়েছিল এই ঘটনার পর থেকে আমার মদ্ধে সবসময় একটি ভয় কাজ করত ও বড় মানসিক চাপ এ ছিলাম যে আমি যখনই বাইরে বের হব আমার বাইক সহ আমাকেও ধরা হবে।তারপর আমাকে Fazer যেটা আমার বৈধ বাইক ছিল সেটাতেই ফিরে যেতে হয় Pulsar টা গ্যারেজেই পড়ে থাকত এবং প্রতিনিয়ত ভাবতাম কি লাভ হল।
একদিন ডিবি পুলিশ রাতে বাসায় এসে বাইক সহ আমাকেও নিয়ে যাই।এইবার সন্মান এর উপরেও দাগ পড়ল।মানসিকতা টাও খারাপই হয়ে গেল অবশেষে।বাইক টা পরে নিয়ে আনা সম্ভব হয় নি।তবে এটা থেকে একটাই শিক্ষা পেয়েছিলাম বৈধতা মানে গর্ব সাহস ও সন্মান।আর অপরদিকে অবৈধতা হচ্ছে ভয় ভীতি মানসিক চাপ ও সন্মান হানী।
এজন্য বাংলাদেশের প্রতিটি বাইক চালক এর প্রতি আমার অনুরোধ আপনারা আপনাদের কষ্টে উপার্জিত টাকা এই মিথ্যা আশার পেছনে খরচ করবেন না।আমি একসময় যে খারাপ পরিস্থিতি এর শিকার হয়েছি আপনাদের যেন তা না হয়।বৈধতা সবসময় সন্মানীয় ও গৌরবিত তার পরিমান যতই ছোট হোক না কেন। Note: বাইক চালানোর সময় সবসময় হেলমেট ব্যবহার করবেন।কারন আপনার জীবনের মূল্য আপনার চেয়ে তার কাছে বেশি মূল্যবান যে আপনার উপর নির্ভরশীল। Be legal,Be Smart...
লেখক ঃ Mehadi Hassan