This page was last updated on 10-Jul-2024 10:01pm , By Saleh Bangla
বাংলাদেশে এখন স্পোর্টস মোটরসাইকেলের প্রেমীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যদিও সিসি এর সীমাবদ্ধতা রয়েছে তবুও স্পোর্টস মোটরসাইকেলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। স্পোর্টস মোটরসাইকেলের প্রাইস সেগমেন্ট যদিও বেশি তবু তা ক্রয় করার জন্য দ্বিধা করে না অনেক বাইক প্রেমী। কিন্তু দিন দিন বিষয় টি বদলাচ্ছে। বর্তমানে কিছু চাইনিজ কোম্পানি বাংলাদেশে স্পোর্টস মোটরসাইকেল ইমপোর্ট করছে। লিফান কেপিআর ১৫০ ও লনসিন জিপি ১৫০ এই দুইটি মোটরসাইকেল অন্যতম প্রভাব ফেলছে। আরো একটি নতুন ব্রান্ড আসছে যার নাম টারো মোটো। এদের মাঝে টারো জিপি টু প্রিডেটর আরো স্টাইলিশ লুকস নিয়ে আসছে খুব শীঘ্রই। তাই এর রিভিউ করতে হচ্ছে।
টারো জিপি টু আরো স্টাইলিশ লুকস নিয়ে আসছে খুব শীঘ্রই।
কিছুদিন আগে
টারো জিপি ওয়ান নিয়ে কিছু রিভিউ পাবলিশ করা হয়। আর এখন আমরা কথা বলব ট্যারো জিপি টু নিয়ে। শুরু করার আগে কিছু তথ্য জানাতে চাই ।এর আকর্ষনীয় লুকস ও স্টাইল যা তাকে অনেকটা এগ্রেসিভ করে তোলে। এটি দেখলে মনে হবে রেসিং এর জন্য। ট্যারো, লিফান কেপিআর ১৫০ এর চ্যালেন্জার হবে বলে আশা করা যায়।
টারো জিপি টু প্রিডেটর ফিচার রিভিউ - ডিজাইন,লুকস এন্ড স্টাইলিশ :
যদি আপনি এর লুকস , ডিজাইন ও স্টাইল সম্পর্কে জানতে চান তবে অবাক হয়ে যাবেন এবং কেউ তা দেখে ইগনোর করতে পারবে না। সামনে থেকে পিছনের দিকে স্টাইল ও লুকস পুরোটাই এগ্রেসিভ ভাব ধরে রেখেছে। ট্যারো জিপি টু সামনে থেকে দেখলে মনে হবে রেসের জন্য তৈরি।
সাইড প্যানেলগুলো শার্প কার্ভ এজড এবং এরোডায়নামিক হওয়ায় মাসকিউলার লুকস একে এগ্রেসিভ করে তুলেছে। হেডলাইটগুলো দেখতে সুপার হিরো আইরনম্যানের মত। এই উইন্ডশীল্ড ছাড়া এয়ার ফ্লো করা হয়েছে যাতে ইন্জিনে বেশি বাতাস প্রবাহিত হয়।
টারো জিপি টু প্রিডেটর ফিচার রিভিউ - ইঞ্জিনঃ
একটি ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল এবং দেখতে বেশ ইমপ্রেসিভ। বর্তমান সেগমেন্টে যারা অন্যতম তাদের মাঝে একটি হল লিফান কেপিআর ১৫০। কিন্তু যখনই লুকস ও স্টাইল এবং শক্তিশালী ইন্জিনের কথা ওঠে সেক্ষেত্রে ট্যারো এর বিকল্প নেই। ট্যারো জিপি টু প্রিডেটর হচ্ছে ১৫০ সিসি ওয়াটার কুলড সিঙ্গেল সিলিন্ডার , ফোর স্ট্রোক ,ক্যাম শেফট ওভারহেড বিশিস্ট মোটরসাইকেল।
ইন্জিন ডিপ্লেসমেন্ট ১৪৯.৯সিসি এবং বোর ও স্ট্রোক যথাক্রমে ৫৬.৫এমএম*৪৯.৫এমএম। ইন্জিনের ডাইমেনশন ১৯৩০*৭৮৩*১০৮০। ইন্জিনটি সর্বোচ্চ ১৪.৭ এনএম ,৭০০০ আরপিএম টর্ক এবং ১৬.০ বিএইচপি, ৮০০০ আরপিএম ক্ষমতা উৎপন্ন করে। ইন্জিনের কম্প্রেশন রেশিও হল ১০:৭:১।
টারো জিপি টু প্রিডেটর ফিচার রিভিউ - টায়ার, ব্রেক ও সাসপেনশঃ
ইন্টারেস্টিং বিষয় হল জিপি টু এর টায়ার। টায়ারের ফ্রন্টে ১১০/৭০-১৬ এবং টায়ারের রেয়ারে ১৪০/৭০-১৬। টায়ারের সাইজ ১৬ ইঞ্চি এলোয় বিশিষ্ট এবং উভয় টায়ারই টিউবলেস।
যখন ব্রেকিং এর কথা আসে ট্যারো আমাদের এখানেও ইমপ্রেস করে। ফ্রন্টে ৩০ এমএম ডুয়েল ফ্রন্ট ডিস্ক এবং ২৪০ এমএম রেয়ার ডিস্ক ব্রেইক আছে। ব্রেকিং এর ক্ষেত্রে ট্যারো এর তুলনা নেই। সাসপেনশন স্পোর্টস মোটরসাইকেলে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ফ্রন্টে পজিটিভ শক এবজরভার এবং রেয়ারে সিঙ্গেল গ্যাস এবজরভার আছে।
টারো জিপি টু প্রিডেটর ফিচার রিভিউ - ফিচার্স :
এটি সম্পূর্ন ফিচার করা মোটরসাইকেল। এর ডিজিটাল স্পিডমিটার রয়েছে। স্পিডমিটারে স্পিড , ফুয়েল গুয়েজ , গিয়ার ইন্ডিকেটর , রভ কাউন্টার ও ঘড়ি প্রায় সবকিছুই এর অন্তর্ভুক্ত। মোটরসাইকেলের স্টার্টিং ও ইগনিশন সিস্টেমটি সেলফ/ইলেকট্রিক। ট্যারো এর হেডলাইট ও টেল লাইট যা আমাদের আরো ইমপ্রেস করে।
Also Read: টারো জিপি ওয়ান ভেলেরিও ফিচার রিভিউ
এটি এলইডি হেডলাইট যা কিনা ডিআরএল ইন্টিগ্রেটেড করা। যা একে ম্যাচো লুকস দিয়েছে। টোল লাইট পিলিয়ন সিটের একদম নিচে সাইডে এক্স-হস্টেল সাথে। স্প্লিট সিট , পিলিয়ন সিটে ডিভাইড করে। পিলিয়ন সিট একটু উঁচু ধরনের সিট।
মোটরসাইকেলের এক্স হস্ট মোটরসাইকেলের বেলি বা রেগুলার এক্স-হস্টেল নিচে নয় , তা পিলিয়ন সিটের নিচে থাকে যা একে দেয় স্পোর্টস লুক। এটি এলইডি ইন্ডিকেটর মোটরসাইকেল। এর ব্যাটারি ১২/৭ এএইচ ক্ষমতাসম্পন্ন। কোম্পানি দাবি করে এর মাইলেজ ৩৫ কিমি ঘন্টায় শহরে এবং ৪০ কিমি হাইওয়েতে যেতে পারবে। এটি চারটি কালারে এভেইলএবল পাওয়া যাবে।
মোটকথা এটি একটি এগ্রসিভ মোটরসাইকেল। এর মাসকিউলার ডিজাইন , লুকস ও স্টাইল প্রমান করে এটি সবকিছু করতে সক্ষম। কিন্তু ইন্জিন ও মোটরসাইকেলের প্রাইস ২৭৫০০০/= যা একটু এক্সপেনসিভ । তবে এর মাঝে কিছু খুঁজে নিতে পারেন। এটাই ট্যারো জিপি টু এর রিভিউ। ততক্ষন পর্যন্ত সবাই নিরাপদে থাকুন , হেলমেট ব্যবহার করুন।