হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর - চিটাগাং ট্যুর
This page was last updated on 10-Jul-2024 01:31pm , By Saleh Bangla
বর্তমানে বাইকারদের মাঝে মোটরসাইকেল ট্যুর একটি ট্রেন্ড হয়ে দাড়িয়েছে, আমিও তাদের সাথে এই ট্রেন্ড অনুসরণ করে ট্যুর দিয়ে আসলাম বাংলাদেশের বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান। চট্রগ্রাম বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহওম শহর এবং ৫০ কিলোমিটারের রেডিয়াসের এই শহরে রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় জায়গা যেখানে বাইক নিয়ে খুব সহজে ঘোরা যায়। আজ আমি আপনাদের আমার চিটাগাং ট্যুর নিয়ে কিছু কথা বলব ।
হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর - চিটাগাং ট্যুর
আমরা এপ্রিল মাসের ৫ তারিখে আমাদের যাত্রা শুরু করি, আমরা ২ দিনে মোটামুটি ৬ টি জায়গা ঘোরা শেষ করি। আমি রাইড করছিলাম Honda CB Hornet 160R যে বাইকটি হোন্ডা বাংলাদেশের প্রাঃ লিঃ এর পক্ষ থেকে আমাদের টেস্টিং এর জন্য দেয়া হয়েছিল।
Honda CB Hornet 160R Test Ride Review By Team BikeBD
কিছু দর্শনীয় যায়গা যেখানে আমরা ঘুরতে গিয়েছিলামঃ
চিটাগাং ট্যুর - মহামায়া লেকঃ ঢাকা থেকে ১৯০ কিঃমিঃ এবং চট্রগ্রাম থেকে ৬৫ কিঃমিঃ এটি মিরসরাইতে অবস্তিত, এটি মানুষের তৈরি লেক যেখানে আপনি আপনার পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে কিছু স্মরণীয় সময় কাটাতে পারবেন। এখানে বাইক পার্কিং এর জন্য ভাল জায়গা আছে এবং এখানে প্রবেশ করার জন্য টিকেটের সিস্টেম রয়েছে। এখানে সেচ কাজের সুবিধার জন্য একটি রাবার ড্যাম রয়েছে।
এখানে কিছু পাহাড় রয়েছে যেখানে চড়ে আপনি পুরো লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন, এছাড়া এখানে নৌকা ভাড়া করে লেকের ভিতরের দিকে যেতে পারবেন এবং লেক ঘিরে থাকা পাহাড় এবং ঝর্না গুলো দেখতে পারবেন। এছাড়া আপনি যদি কায়াকিং ভালোবেসে থাকেন তবে এখানে কায়াকিং করতে পারবেন তবে এটি করার আগে সম্পূর্ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তারপর করবেন।
চিটাগাং ট্যুর - বোটানিক্যাল গার্ডেন এবং ইকো পার্ক, সিতাকুন্ডঃ মহামায়া লেক থেকে ৩০ কিঃ মিঃ এটি একটি অন্যতম আকর্ষনীয় স্থান যদিও বর্ষাকালে এই যায়গায় ঘোরার আসল সময়। বর্ষাকালে এর পুরো সৌন্দর্য খুব ভালো ভাবে উপভোগ করা যায়। এখানে খুব সুন্দর ৩ টি ঝর্না রয়েছে, যারা হাইকিং পছন্দ করেন তারা এই স্থান গুলো অবশ্যই ঘুরতে আসবেন। এখানের রাস্তা গুলো পেচানো এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১২০০ ফুট উপরে উঠে গেছে। তবে বাইক নিয়ে এই পার্কে ঢোকার পর খুব সাবধানে রাইড করবেন এবং খেয়াল রাখবেন যে বাইকের অবাঞ্চিত শব্দে যেন এর ইকো সিস্টেমের কোন অসুবিধা না হয়।
চিটাগাং ট্যুর - ভাটিয়ারিঃ সিতাকুন্ড থেকে ২০ কিঃমিঃ এই এলাকাটি সেনাবাহীনির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যেখানে সবচেয়ে বড় আকর্ষন হচ্ছে এর গলফ ক্লাব, তবে এখানে শুধু এর সদস্যরাই প্রবেশ করতে পারে। এখানে একটি লেকও রয়েছে যেখানে আপনি নৌকায় চড়ে ঘুরতে পারবেন। এখানে দুটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে, Café 24 এবং Sunset Point. দুটি যায়গাই বিকেলে বা সন্ধ্যায় সময় কাটানোর জন্য খুব ভাল।
Also Read: হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর বনাম পালসার এনএস ১৬০ এর ফিচার এর তুলনামূলক রিভিউ
এখানে রাস্তার অবস্তা খুবই ভালো এর অন্যতম কারন হচ্ছে এটি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রাধীন এলাকা এছাড়া এখানে খুব কড়া ভাবে স্পীড লিমিট দেয়া আছে যা আপনাকে অবশ্যই মানতে হবে। এছাড়া এখানে রাস্তায় অনেক গরু ও হাঁস দেখতে পাবেন যার জন্য আপনাকে বাইক চালানোর সময় চোখ কান খোলা রাখতে হবে এবং সতর্ক হতে হবে।
চিটাগাং ট্যুর - কুমিরা ফেরি ঘাটঃ চট্রগ্রাম থেকে ২৫ কিঃ মিঃ এটি একটি ফেরি ঘাট যা শহর থেকে কয়েক কিঃমিঃ দূরে। এখান থেকে আপনি ট্রলারে করে স্বন্দীপ যেতে পারবেন যাতে করে প্রায় ১ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। এখানে একটি বড় ব্রিজ আছে যাতে করে আপনি সমুদ্রের ৫০০ মিটারের মধ্যে যেতে পারবেন, তবে এখান থেকে সবচেয়ে ভাল দৃশ্য দেখতে পাবেন জোয়ারের সময়। টেকনিক্যালি এটি একটি ছোট পোর্ট, এখানে অনেক জাহাজ দেখতে পাবেন যা হয়তো মেরামত করা হবে অথবা ভেঙ্গে ফেলা হবে।
চিটাগাং ট্যুর - বাশবাড়ী সমুদ্র সৈকতঃ কুমিরা ফেরি ঘাট থেকে ১৫ কিঃমিঃ এটি চট্রগ্রাম এর একটি সমুদ্র সৈকত এলাকা। এটি সীতাকুণ্ডে অবস্তিত। এখানের সবচেয়ে বড় আকর্ষন হচ্ছে সাগরের মধ্যের ৬০০ মিঃ দীর্ঘ আয়রন ব্রীজ যেখানে আপনি হাটতে পারবেন এবং সমুদ্রের সানিধ্যে উপভোগ করতে পারবেন। তবে এখানে জোয়ারের সময় হাটতে চাইলে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে কারন আপনি ঢেউ এবং বাতসের কারনে খুব সহজেই ব্যালেন্স হারাতে পারেন।