করোনা ভাইরাস - টু হুইলারসহ বিকল্প যানবাহনে ভ্রমন বেড়েছে!

This page was last updated on 14-Jul-2024 02:31pm , By Raihan Opu Bangla

করোনা ভাইরাসের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখতে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। গণপরিবহন ব্যবহারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শারীরিক এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ নিয়ম-নির্দেশনা দিয়েছে। দৈনন্দিন প্রয়োজনে বা অফিসে যেতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নিরাপদ যানবাহন এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছে।

corona করোনা 

কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাত্রীরা গণপরিবহনে যাতায়াতের সময় পরস্পর থেকে প্রয়োজনীয় দূরত্ব বজায় রাখতে না পারলে ঝুঁকির মুখে পড়বেন। করোনাভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি এমনকি নিঃশ্বাস ত্যাগের মাধ্যমেও ওই ব্যক্তির মুখ থেকে ভাইরাসের ছোট ছোট বিন্দু বা অনুকোষ আশেপাশে ছড়ায়। এই বিন্দুগুলো প্রত্যক্ষভাবে একজন থেকে আরেকজনের শরীরের ছড়ায় চোখ, নাক, মুখ বা সরাসরি কাউকে স্পর্শের মাধ্যমে ঝুঁকি বাড়ায়। এরই মধ্যে গণপরিবহনে যাত্রীদের নতুন ভাড়া স্বাভাবিকের চেয়ে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে আকাশপথে চালু হয়েছে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট।

Also Read: Impact Of Corona Virus In The Motorcycle Market In Bangladesh

আকাশপথে করোনা সংক্রমণ রোধে নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। জানতে চাইলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে ফ্লাইট পরিচালনায় নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। জনবহুল স্থানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে ফুট মার্কিং করা, হাত পরিষ্কারের ব্যবস্থা, বিমানবন্দরে ঢোকার আগে ডিসইনফেকশন চেম্বার, থার্মাল চেক পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে।’ 

পরিবহন বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, সরকার নির্দেশিত নতুন নিয়ম অনুযায়ী পাবলিক বাসে যাত্রীদের মধ্যে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা খুবই কঠিন হবে। তাছাড়া এই আর্থিক সঙ্কটের সময়ে প্রতিদিন কর্মক্ষেত্রে যাওয়া-আসার জন্য অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করাও পথযাত্রীদের সামর্থ্যের বাইরে। এই বিষয় নিয়ে পুনরায় বিবেচনা করতে হবে যে, কিভাবে দৈনিক যাতায়াতের জন্য বিকল্প, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী খরচে যানবাহনের ব্যবস্থা করা যায়।

করোনা ভাইরাস- লকডাউনের পর বাইক নিয়ে বের হলে বিশেষ সাবধানতা

গণপরিবহন চালু হওয়ার পর প্রথম দিন জনগণের যাতায়াতের দেখা গেছে, যাতায়াতের সময় অনেকেই নির্ধারিত শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখছে না। ইতিমধ্যেই নাগরিকদের মধ্যে গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমনকি কিছু পরিবহনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা জিবাণুনাশকও দেখা যাচ্ছে না। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি সংক্রমণের প্রকোপ আরো তীব্র করতে পারে, একই পরিবহনে ভ্রমণকারী কোনো সংক্রমিত ব্যক্তি যদি প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলে তাহলে তার একার সংস্পর্শেই পরিবহনের আরো অনেকেই নতুন করে সংক্রমিত হতে পারে। যাতায়াত বা ভ্রমণের বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে নতুন করে চিন্তা করা উচিত।

Also Read: বাংলাদেশের মোটরসাইকেল মার্কেট এ করোনা ভাইরাসের প্রভাব!

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে পরিবহন বিশেষজ্ঞরা চীন ও কোরিয়ার মতো অনেক দেশের উদাহরণ দিয়েছেন। যেখানে যাতায়াতের সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা হয়। মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলের মতো ব্যক্তিগত ও সুরক্ষিত বাহন ব্যবহার করা হয় অথবা পায়ে হেঁটে যাত্রা নির্ধারণ করা হয় এই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে। বিবিসির সংবাদ বলা হয়েছে, ইংল্যান্ডে ভ্রমণের সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজে ফিরে আসতে সকলকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। গণপরিবহন পরিহার করে তাদের পায়ে হেঁটে, মোটরসাইকেলে, বাইসাইকেলে বা নিজে গাড়ি চালিয়ে যাতায়াত করা উচিত। যাত্রীদের ব্যক্তিগত সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার পাশাপাশি মোটরসাইকেল, স্কুটার, বাইসাইকেল এবং ব্যক্তিগত বাহনের প্রতি নির্ভরশীল হওয়ার জন্য।


তথ্যসুত্রঃ কালেরকন্ঠ