এবার দাম কমালো কিওয়ে!
This page was last updated on 05-Jul-2024 12:10pm , By Shuvo Bangla
বাংলাদেশে এবার মোটরসাইকেলের দাম কমিয়েছে কিওয়ে। বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়নশীল উৎপাদন নীতি অনুসারে স্পিডোজ লিমিটেড তাদের কিওয়ে মোটরসাইকেলের দাম কমালো। নতুন এই মূল্য ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ থেকে দেশব্যাপী কিওয়ে’র সকল শোরুম ও ডিলার পয়েন্টে কার্যকর হবে। কিওয়ে’ই প্রথম চাইনিজ বাইক কোম্পানি যারা বাইকের দাম কমিয়েছে এবং সবমিলিয়ে ৪র্থ কোম্পানি।
মোটরসাইকেলের দাম কমিয়েছে কিওয়ে
২০১৬-১৭ অর্থবছরে গৃহীত নতুন এই নীতি অনুসারে যেকোনো প্রতিষ্ঠান তাদের উন্নয়নশীল উৎপাদন পরিকল্পনা সরকারের দায়িত্বশীল সংস্থার কাছে উপস্থাপন করে অনুমোদন লাভ করলে তারা অনুমোদনের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছর হ্রাসকৃত শুল্কে পণ্য আমদানির সুযোগ পাবে।
Also Read: কিওয়ে ঈদ অফার ২০১৮
দ্বিতীয় বছরে আমদানিকারককে স্থানীয় (দেশে) কারখানায় কমপক্ষে ১০% যন্ত্রাংশ উৎপাদন করে তা বাইকে সংযোজন করতে হবে। এভাবে পরবর্তী পাঁচ বছর ধরে ১০% হারে যন্ত্রাংশের পরিমাণ বাড়াতে হবে এবং ৫ বছর পর দেশীয় ভাবে উৎপাদিত যন্ত্রাংশের অনুপাত হবে ৫০%।
এর আগে আমরা কিওয়ে আরকেএস১২৫ এর টেস্ট রাইড রিভিউ প্রকাশ করেছি, যেটা তাদের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বাইক। আর আগামী মাসে আশা করছি আমরা কিওয়ে সুপারলাইট ১৫০’র টেস্ট রাইড রিভিউ আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারবো। বর্তমানে কিওয়ে’র ৬টি মডেল বাজারে আছে, যার মধ্যে কিওয়ে ম্যাগনেট হলো এন্ট্রি লেভেলের ১০০ সিসি বাইক, অন্যদিকে আরকেএস১০০ তো ১০০ সিসিতে সবচেয়ে স্টাইলিশ বাইক যেটাতে আবার সামনে ডিস্ক ব্রেক রয়েছে। ১৫০ সিসিতে তাদের ২টি কমিউটার বাইক রয়েছে, আরকেএস১৫০ ও আরকেভি১৫০। কাগজে-কলমে আরকেএস১৫০ ও আরকেভি১৫০’র মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই, উভয় বাইকেই একই ইঞ্জিন, গিয়ারবক্স, টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু ছোটোখাটো কিছু পার্থক্য যেমন সাসপেনশন ও স্পিডোমিটার আলাদা। তবে সবচেয়ে বড়ো পার্থক্য বাইক দুটির চেহারায়! আরকেএস১৫০ দেখতে কেটিএম ডিউকের মতো এবং আরকেভি১৫০ দেখতে অনেকটা টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর-এর মতো।
Also Read: কিওয়ের স্পোর্টস বাইক টিএক্সএম ১৫০
কিওয়ে’র প্রতিটি বাইক কিনলেই ২ বছরের বা ২০ হাজার কিমি ইঞ্জিন ওয়ারেন্টি পাবেন ক্রেতা। সম্প্রতি স্পিডোজ তেজগাঁওয়ে নতুন একটি সার্ভিস সেন্টার খুলেছে। অতীতে তাদের সার্ভিস নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ ছিলো ক্রেতাদের। কিন্তু এখন স্পিডোজ লিমিটেড তাদের বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা দিচ্ছে।
প্রশ্ন উঠতে পারে কিওয়ে সুপারলাইপ১৫০’র দাম কমানো হয়নি কেনো? কারণ, সুপারলাইট বাংলাদেশে আনা হয় সিবিইউ (সম্পূর্ণ তৈরি অবস্থায়) পদ্ধতিতে। তাই এখন তারা এটার দাম কমাতে পারছে না। কিন্তু ভবিষ্যতে এর দামও কমানো হবে। পাশাপাশি তারা বাংলাদেশে কিওয়ে টিএক্সএম১৫০ আর বাজারজাত করবে না। তবে এর বর্তমান ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে যাবে। তাহলে এবার দেখে নিন কিওয়ে’র নতুন মূল্য তালিকা।
কিওয়ে মোটরসাইকেলের মূল্য– দাম কামনোর পর
মডেল | পূর্ব মূল্য | হ্রাসকৃত মূল্য |
ম্যাগনেট | ১০৮,০০০ | ৮৯,৯০০ |
আরকেএস১০০ | ১২৪,৫০০ | ১০৪,৯০০ |
আরকেএস১২৫ | ১৪৮,০০০ | ১৩০,৯০০ |
আরকেএস১৫০ স্পোর্টস | ১৭৯,৫০০ | ১৬০,৯০০ |
আরকেভি১৫০ | ১৭৭,৫০০ | ১৫৬,৯০০ |
আমাদের হিসাবমতে বাংলাদেশে ১৮টি মোটরসাইকেল কোম্পানি রয়েছে, যারা এদেশে মোটরসাইকেল অ্যাসেম্বল করে। আর বাজারে টিকে থাকতে হলে এদের প্রত্যেককেই উন্নয়নীল উৎপাদন নীতি অনুসরণ করতে হবে। এবং সরকারের নতুন এই নীতি দেশের অর্থনীতির উপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আর এবার স্পিডোজ লিমিটেড তাদের কিওয়ে মোটরসাইকেলের দাম কমানোর ফলে অন্যান্য ভারতীয়/জাপানি/চাইনিজ কোম্পানিরও সময় হয়েছে এগিয়ে এসে এই পথে হাঁটার। কিওয়ে শোরুম
নাম | স্পিডোজ লিমিটেড |
ঠিকানা | হোল্ডিং#৬০, আমতলী নতুন বিমানবন্দর রোড, মহাখালী |
অবস্থান | ঢাকা |
ফোন | ০১৯৯০ ৪০০ ৬৬৬, ০১৭৮৩ ৪৪৪৪ ৮৮ |