ঈদের সময় কেন বাইক এক্সিডেন্ট বেশি হয়? এর প্রতিকার কি ?

This page was last updated on 29-Jul-2024 03:23am , By Ashik Mahmud Bangla

ঈদের সময় আসলে আমাদের দেশের সড়ক অথবা মহাসড়কে বাইক এক্সিডেন্ট এর পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। নিজের দোষে হউক অথবা অন্যের দোষে প্রতিটা ঈদের সময় আমাদের দেশের কোন না কোন পরিবার তার আপনজনকে হারাচ্ছে বাইক এক্সিডেন্ট এর জন্য।

কিন্তু এমনটা কেন হয়? আজ আমরা ঈদের সময় বাইক এক্সিডেন্ট বেশি হওয়ার কারন এবং আমরা কি পদক্ষেপ নিলে এক্সিডেন্ট হার অনেকটা কমাতে পারি সেটা নিয়ে আপনাদের সামনে বিস্তারিত আলোচনা করবো। সমস্যাগুলো ভালোভাবে বোঝার জন্য আমরা আজ আমাদের দেশের সড়কগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করে নিচ্ছি, ১- মহাসড়ক / হাইওয়ে ২- জেলা ভিত্তিক সড়ক। এই দুই ধরনের সড়কে ঈদের সময় কেন বাইক এক্সিডেন্ট বেশি হয়? কি করলে আমরা এই এক্সিডেন্টের হার কমাতে পারি সেই সম্পর্কে জানবো। আপনি আমি আমরা যদি চাই তাহলে অবশ্যই এই এক্সিডেন্ট হার অনেক কমে যাবে।

 

ঈদের সময় মহাসড়ক /

ঈদের সময় মহাসড়ক / হাইওয়ে কেন বাইক এক্সিডেন্ট বেশি হয়?

সব সময় বাইক এক্সিডেন্ট যে বাইকারের ভুলের জন্য হয় এমনটা কিন্তু না, আপনার ভুল যদি নাও থাকে সেক্ষেত্রেও আপনি বাইক এক্সিডেন্টের সম্মুখীন হতে পারেন। কারনগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক,

১- দ্রুত বাড়ি পোঁছানোর প্রবণতাঃ

ঈদের সময় বাইক নিয়ে নিজ গ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার মাঝে অন্য রকম একটা ভালো লাগা কাজ করে আমাদের সবার মাঝে। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় ঈদের ছুটি ছাড়া বাড়ি যাওয়ার সুযোগ হয়ে উঠে না, তাই নিজেদের অজান্তেই আমরা অনেক সময় নিজেদের জীবনকে ঝুকিতে ফেলে দেয়। দ্রুত বাড়ি যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত গতি আমরা বেছে নেয় অনেকেই। এর ফলে বাইক চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ঈদ হউক অথবা অন্য সময় মহাসড়কে যখন বাইক চালাবেন তখন নিরাপদে বাড়ি ফিরাটাকে বেশি গুরুত্ব দিন, সময় যা লাগার লাগতে দিন। কখনো এটা ভুলে যাবেন না বাড়িতে আপনার আপন মানুষগুলো আপনার অপেক্ষায় বসে আছে। 

রাস্তায় চলাচলকারী জনগণের উদাসীনতাঃ

২- রাস্তায় চলাচলকারী জনগণের উদাসীনতাঃ

আমরা অন্যান্য জাতির চেয়ে অনেক বেশি উদাসীন, রাস্তায় বের হলে এমন অনেক মানুষ আপনি দেখতে পারবেন যারা রাস্তা পার হওয়ার সময় ডান বামে একটা বার ও তাকাবে না হুট করে রাস্তার মাঝে চলে আসবে। এখানেই কিন্তু থেমে থাকে না রাস্তার মাঝে এসে নিজে কি করবে সেটা সে নিজেও জানে না, আর এমন সব মানুষের জন্য প্রতিনিয়ত কোন বাইকার তার প্রাণ হারাচ্ছেন।

একজন বাইকার যদি সচেতন থাকে কিন্তু রাস্তায় চলাচলকারী জনগণ যদি উদাসীন হয় তাহলে কখনোই মহাসড়কে বাইক দূর্ঘটনা কমানো সম্ভব না। ঈদের সময় রাস্তায় মানুষের চাপ বেশি থাকে আর উদাসীনতার জন্য বাইক এক্সিডেন্ট বেশি হয়। আপনার গতি অল্প থাকলেও হুট করে কেউ সামনে চলে আসলে তখন সে দূর্ঘটনা ঠেকানো আসলেই অনেক কষ্টকর।

৩- পরিবহনের বেশি ট্রিপ দেয়ার প্রবণতাঃ

ঈদের সময় অতিরিক্ত লাভের আশায় পরিবহনগুলো বেশি ট্রিপ দিয়ে থাকে। আর ট্রিপ দিতে গিয়ে রাস্তায় এক পরিবহন আরেক পরিবহনের সাথে রেস শুরু করে, তার পুরো রাস্তাটা নিয়ে এমনভাবে চলে অন্য কোন বাহনের জন্য তারা জায়গাও রাখে না। আর সেখানে বাইক তো পরিবহনের চাকার সমান। রাতে ঠিক ভাবে না ঘুমিয়ে টানা ডিউটি, এটা করতে যেয়েও অনেক সময় বাইক পরিবহনের জন্য দূর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে।

বাইকারের পরিবহনের সাথে রেস করার প্রবণতাঃ

৪- বাইকারের পরিবহনের সাথে রেস করার প্রবণতাঃ

রাস্তায় এমন অনেক বাইকার পাওয়া যায় যারা পরিবহণ দেখলেই রেস শুরু করে দেন। আর ঈদের সময় অভিজ্ঞ বাইক চালাকরা যেমন রাস্তায় থাকে ঠিক তেমনি নতুন অল্প বয়স্ক অনেক চালকেরাই রাস্তায় থাকেন, যাদের হাইওয়ে সম্পর্কে তেমন কোন ধারনাই নেই। বাইকে একটু গতি ভালো আছে এটা নিয়ে পরিবহনের সাথে রেসে মেতে উঠে। আর এই কাজটি করতে গিয়ে অনেক সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যায়।

 

সব যানবাহনের অতিরিক্ত গতিঃ

৫- সব যানবাহনের অতিরিক্ত গতিঃ

ঈদের সময় কিন্তু শুধু বাইকের অতিরিক্ত গতি থাকে এমনটা না, ঈদের সময় আমাদের দেশের হাইওয়েগুলোতে অধিকাংশ যানবাহনের গতি থাকে তুলনামূলক বেশি। আর এই অতিরিক্ত গতির জন্যও ঈদের সময় বাইক এক্সিডেন্ট অনেক বেশি বেড়ে যায়।

৬- সঠিক ভাবে বাইকে ব্যাগ না বাধাঃ

ঈদে বাড়ি যাবার সময় আমাদের সবার সাথেই কম বেশি ব্যাগ থাকে। অনেক ক্ষেত্রে এই ব্যাগের ওজনও অনেক বেশি হয়ে থাকে। আপনি যদি সঠিকভাবে বাইকে ব্যাগ না বাধেন তাহলে এই ব্যাগের কারনেও অনেক সময় বাইক এক্সিডেন্ট হয়ে যায়। অনেকেই ভারি ব্যাগ বাইকের একপাশে বেধে নেন, এর ফলে বাইকের এক দিকে বেশি লোড পরে যায়। আর আমরা সবাই জানি বাইক দুই চাকার একটি যান, এটি খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। বাইকে ব্যাগ বাধার সময় এই দিকটিতে বিশেষভাবে খেয়াল রাখুন।

 

বাইকে দুইজনের অধিক যাত্রি নিয়ে হাইওয়েতে চলাঃ

৭- বাইকে দুইজনের অধিক যাত্রি নিয়ে হাইওয়েতে চলাঃ

ঈদের সময় অনেক বাইকে আপনি দুই এর অধিক যাত্রি দেখতে পাবেন, বিশেষকরে এবারের ঈদে এই ঘটনাটি অনেক বেশি দেখতে পাওয়া গেছে, কারন পরিবহণ বন্ধ ছিলো। বাইকে অতিরিক্ত লোড নিয়ে হাইওয়েতে চলার ফলে ঈদের সময় বাইক এক্সিডেন্ট অনেক বেশি দেখতে পাওয়া যায়।

৮- বাইকারের সাথে বাইকারের গতির প্রতিযোগিতাঃ

আপনি ঈদের সময় আপনার নিজ গতিতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন, কিন্তু রাস্তায় এমন কিছু বাইকার পাওয়া যাবে যারা সরাসরি অথবা ইশারায় আপনাকে রেসের জন্য উৎসাহিত করবে। আপনি যদি মাথা গরম করে তাদের সাথে রেসে লিপ্ত হয়ে যান ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। আর ঈদের সময় এই জিনিসটা মহাসড়কে অনেক বেশি দেখা যায় নিজেরা নিজেরা রেস করে করতে গিয়ে এক্সিডেন্টের সম্মুখীন হয়েছেন। এই কাজটি কখনো করা যাবে না, সব সময় মাথা ঠান্ডা রেখে বাইক রাইড করতে হবে।

ঈদের সময় মহাসড়ক / হাইওয়ে কেন বাইক এক্সিডেন্ট বেশি হয় সে সম্পর্কে তো আমরা জানলাম, তাহলে এর প্রতিকার কি? কিভাবে এই দূর্ঘটনার হার কমানো যায়? শুধু যদি বাইকার সচেতন হয় তাহলে ঈদের সময় ঈদের সময় মহাসড়ক / হাইওয়ে কেন বাইক এক্সিডেন্ট কমানো সম্ভব না, বাইকারের পাশাপাশি সচেতন হতে হবে রাস্তায় থাকা প্রতিটা মানুষের। আমরা যারা বাইকার আছি তাদের উচিৎ অতিরিক্ত গতি পরিহার করা, রেসের প্রবণতা বাদ দিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় বাইক রাইড করা। সব সময় নিজের নিজের চোখ কান খোলা রেখে বাইক রাইড করা।

পরিবহণ চালকদের উচিৎ নিজেরা নিজেরা যাই করেন না কেনো আপনাদের তাড়াহুড়োতে অন্য কোন সাধারণ মানুষের জীবন যাতে না যায় সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখা। আর আপনারা যখন কোন পরিবহণকে ওভারটেক করবেন তখন সামনে একটু খেয়াল রাখা কোন বাইক আছে কিনা। কিছু কিছু রাফ পরিবহণের চালকের ঝুকিপূর্ণ ওভারটেকিং এর জন্য প্রতিবছর ঈদে অনেক বাইকারের আর বাড়ি ফেরা হয় না। এবার আসি রাস্তায় চলাচলকারী সাধারণ জনগনকে নিয়ে, রাস্তাটা আমার আপনার কারো বাসার মাঠ না, এটা আমাদের সবার মনে রাখতে হবে। তাই রাস্তা পার হওয়ার সময় ডান বামে ভালোভাবে দেখে আমাদের রাস্তা পার হবেন। আর হুট করে দোড় দিয়ে কখনো রাস্তা পার হওয়া যাবে না। আপনার জন্য বাইকার অথবা অন্য যানবাহন যাতে বিপদে না পরে সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখুন।

ঈদের সময় মহাসড়ক / হাইওয়ে বাইক এক্সিডেন্ট কমাতে চাইলে আমাদের সবার সচেতন হতে হবে আমরা যদি সবাই সচেতন হয় তাহলেই আমরা এক্সিডেন্টের হার অনেক কমিয়ে আনতে পারবো। মহাসড়কের এক্সিডেন্ট নিয়ে আমরা তো অনেকটা জানলাম, এবার জানবো ঈদের সময় প্রতিটা জেলাতে বাইক এক্সিডেন্ট কেন বেশি হয় সেই সম্পর্কে, ঈদের সময় প্রতিটা জেলাতে যে এতো বেশি বাইক এক্সিডেন্ট হয় এর জন্য শুধুমাত্র বাইকার দায়ী না, দায়ী তার পরিবারের মানুষেরাও।

ঈদের সময় প্রতিটা জেলাতে কেন বাইক এক্সিডেন্ট বেশি হয়?

১- অল্প বয়সের ছেলেদের হাতে বাইক দেয়াঃ

ঈদের সময় এমন অনেক বাইকার আপনি রাস্তায় পাবেন যাদের এখনো বাইক চালানোর বয়স হয় নি। কিন্তু ঈদের দিন বলে কথা কোনভাবে একটা বাইক নিয়ে রাস্তায় তো আসতেই হবে। আর এই অল্প বয়স্ক ছেলেদের হাতে বাইক আসা ঈদে বাইক দূর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম একটা প্রধান কারন। ওদের বয়স অল্প ওরা অনেক কিছুই বুঝবে না এটায় নিয়ম, কিন্তু আমরা যারা পরিবারে বড় আছি তাদের উচিৎ আমাদের পরিবারের ছোট মানুষগুলো যারা ঠিকভাবে বাইকও চালাতে পারে না তাদের হাতে বাইক তুলে না দেয়া এবং ওরা যাতে বাইক চালানো না শিখে বাইক নিয়ে রাস্তায় নামতে না পারে সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখা।

 

বাইকে দুইজনের অধিক যাত্রি নিয়ে হাইওয়েতে চলাঃ

২- অল্প বয়সের উত্তেজনাঃ

সঠিক বয়সের আগে বাইক পেলে নিজেদের মধ্যে অন্য রকম একটা উত্তেজনা কাজ করে, আর এই উত্তেজনা ঈদের সময় বড় বড় একটা এক্সিডেন্টের কারন হয়ে দাঁড়ায়। হয়তো নিজে এক্সিডেন্ট করে অথবা তাকে বাচাতে গিয়ে অন্য কেউ এক্সিডেন্ট করে ফেলে। এগুলা কখনো করা যাবে না।

৩- মামা চাচা বা ভাইয়ের বাইক নিয়ে রাস্তায় চলে আসাঃ

ঈদের সময় রাস্তায় এমন অনেক বাইকার পাওয়া যায়, যারা সারাবছর কিন্তু বাইক চালায় না কিন্তু ঈদের দিন কারো একটা বাইক নিয়ে ঘুরতে চলে আসে রাস্তায়। আর খুব নরমাল একটা কথা বাইক চালানোর অভ্যাস যদি আপনার না থাকে একদিন হুট করে বের হলে আপনার দূর্ঘটনার সম্মুখীন হতেই পারেন। আর ঈদে রাস্তায় অনেক ভিড় থাকে, যার ফলে এই চালকদের হাতে বাইক এক্সিডেন্ট অনেক বেশি হয়। আপনার পরিবারে যে সারাবছর বাইক চালায় না শুধুমাত্র ঈদের দিন তার হাতে বাইক তুলে দিবেন না, এতে আপনি আপনার পরিবারের আপন কাউকে হারাতে পারেন।

 

শো অফ করাঃ

৪- শো অফ করাঃ

ঈদের সময় শো অফ করা বাইক এক্সিডেন্টের অন্যতম এক প্রধাণ কারন। ঈদের সময় শো অফ করতে গিয়ে গিয়ে অনেকেই বাইক এক্সিডেন্টের সম্মুখীন হয়ে থাকেন। অহেতুক অতিরিক্ত গতি, ফাকা রাস্তায় বাউলি দেয়া এই কাজগুলো করা থেকে ঈদের সময় বিরত থাকুন। আপনার ছোট্ট একটু ভুলের জন্য নিজেও বিপদে পরবেন এবং অন্যকেও বিপদে ফেলবেন।

৫- দুই এর অধিক যাত্রি নিয়ে বাইক চালানোঃ

ঈদের সময় জেলা শহরে এই জিনিস খুব বেশি দেখা যায়, আর সেটা হচ্ছে এক বাইকে ৩ জন কখনো ৪ জন নিয়ে বাতাসের গতিতে ছুটছে। আর অতিরিক্ত যাত্রি নিয়ে বাইক চালানোর জন্য ঈদের সময় অনেক বেশি দূর্ঘটনা ঘটে যায়। ঈদের সময় হউক অথবা অন্য সময় কখনো দুইজনের বেশি যাত্রি নিয়ে বাইকে উঠবেন না।

অতিরিক্ত গতি

৬- অতিরিক্ত গতিঃ

বাইক এক্সিডেন্টের জন্য অতিরিক্ত গতি অনেক বড় একটা কারন, অতিরিক্ত গতি আর তাড়াহুড়ো আমাদের অনেক প্রিয় মানুষকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে। ঈদের সময় হউক অথবা অন্য সময় অতিরিক্ত গতিতে কখনো বাইক চালানো উচিৎ না। সব সময় বাইকে সেটুকু গতি তুলুন যেটা আপনার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে।

৭- হেলমেট ব্যবহার না করাঃ

জেলা শহরে ঈদের সময় অনেকেই হেলমেট ব্যবহার করে না, এটি বাইক এক্সিডেন্ট বেশি হওয়ার অন্যতম আরেকটি কারন। হেলমেট যে শুধু এক্সিডেন্টের সময় আপনার মাথাকে সুরক্ষিত রাখে এমনটা কিন্তু না, আপনি যখন বাইক চালান বাইরের ধূলাবালি থেকেও হেলমেট আপনাকে নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় হেলমেট না পরে বাইক চালানোর ফলে একটা কিছু চলে যায় এবং চোখের পলকে বাইক দূর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। নিরাপদ থাকতে এবং নিরাপদে পথ চলতে ঈদ হউক অথবা অন্য সময় সব সময় ভালোমানের একটি হেলমেট ব্যবহার করুন।

অনভিজ্ঞ বাইকার দিয়ে গ্রুপ রাইড

৮- অনভিজ্ঞ বাইকার দিয়ে গ্রুপ রাইডঃ

ঈদের সময় এলাকার ভাই বন্ধু মিলে গ্রুপ রাইডে বের হই আমরা অনেকেই। এর মধ্যে সবার রাইডিং স্কিল সম্পর্কে সবার ধারনা থাকে না। যার ফলে ঈদের সময় দল বেধে বের হয়ে ঘটে যায় বড় ধরনের দূর্ঘটনা। ঈদের সময় দল বেধে বের হলে অবশ্যই গ্রুপ রাইডের সঠিক নিয়ম মেনে চলুন, রাইডার এবং পিলিয়ন সবাই ভালো মানের হেলমেট ব্যবহার করুন। রাইড শুরু করার আগে সবাই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে রাইড শুরু করুন। 

ঈদের সময় কেন বাইক এক্সিডেন্ট বেশি হয়? এর উত্তর তো আমরা পেলাম, কিন্তু এর প্রতিকার আমরা তখনি পাবো যখন আমরা সবাই সচেতন হতে পারবো। আমাদের সবার সচেতনাই পারে দূর্ঘটনার হার কমাতে। আসুন সবাই আমরা সচেতন হই , নিরাপদে পথ চলি।