ইয়ামাহা সালুটো ভার্স হোন্ডা সিবি শাইন কম্প্যারিজন রিভিউ

This page was last updated on 18-Aug-2024 08:09am , By Shuvo Bangla

যখন কোন বিশ্বসেরা ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল যেমন ইয়ামাহা ও হোন্ডা এর মধ্যে তুলনা করার প্রয়োজন পড়ে তখন বিষয়টি আসলেই বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। আর আজ আমরা সেরকমই একটি কষ্টসাধ্য বিষয়ের ওপর আমাদের আজকের আলোচনা করতে যাচ্ছি, যাতে আপনাদের বাইক কেনার ক্ষেত্রে কিছুটা অন্তত সাহায্য হয়। হ্যাঁ বন্ধুরা, আজ আমরা নিয়ে এসেছি ইয়ামাহা সালুটো ভার্স হোন্ডা সিবি শাইন কম্প্যারিজন রিভিউ। আর আপনি যদি সত্যিই এই দুটি বাইকের মধ্যে কোন একটা কেনার জন্যে ভেবে থাকেন তবে চলুন আপনার সিদ্ধান্তের বিষয়টি আরো খানিকটা সহজ করে দেয়া যাক।

Yamaha Saluto এর ভিডিও রিভিউ দেখতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের আজকের এই কম্প্যারিজন রিভিউয়ের ইয়মাহা স্যালুটো মূলত: জাপানের প্রজুক্তিতে এবং সরাসরি তত্ত্বাবধানে India Yamaha Motor Private Limited (IYM) এর ডেভেলপকৃত প্রডাক্ট। এটা মোটরসাইকেল মার্কেটে নতুন; কারন এটা ভারতের বাজারে গত বছরের মধ্যভাগে ছাড়া হয়েছিল। আর অন্যদিকে হোন্ডা সিবি শাইন বাইকটিও জাপানের নিয়ন্ত্রনাধীন Honda & India (HMSI) এর প্রডাক্ট যা বাংলাদেশে বিযুক্ত অবস্থায় আমদানিকৃত এবং স্থানীয়ভাবে সংযোজিত। ভারতের বাজারে ২০০৬ সালে প্রথম ছাড়া হয়।

সুতরাং বলা যায় হোন্ডা সিবি শাইন বাজারে বেশ দীর্ঘ সময়ের এক অবস্থান নিয়ে রয়েছে। তবে ইয়ামাহা স্যালুটো পিছিয়ে থাকার কোন কারন নেই। কেননা এটা বাজারে নতুন সংযোজন বিধায় এটাতে ইয়ামাহা ব্লু-কোর টেকনলোজির মতো সর্বশেষ টেকনলোজি সমৃদ্ধ ফিচার রয়েছে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু বিষয় আছে যাতে করে দুটো বাইকের পার্থক্যগুলো তুলনা করার পক্ষে সহায়ক। চলুন তবে সেই আলোচনায় যাওয়া যাক।

honda-cb-shine-vs-yamaha-saluto-comarison

ইয়ামাহা সালুটো ভার্স হোন্ডা সিবি শাইন – লুক এন্ড ডিজাইন

ইয়ামাহা স্যালুটো ভার্স হোন্ডা সিবি শাইন এর লুক আর ডিজাইন নিয়ে যদি তুলনামুলক আলোচনা করতে হয় তবে বলতে হয় যে এদের চেহাড়া-নকশায় যথেষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান। স্যালুটো মূলত শার্প স্টাইল থিম নিয়ে ডিজাইন করা, আর সিবি শাইন অনেকটা চিরাচরিত ও গোলাকার অবয়বে ডিজাইন করা।

হোন্ডা সিবি শাইন এর ডিজাইন অনেকটা চিরাচরিত কমিউটার মোটরসাইকেলের মতই। আর এটা ডিজাইন করা হয়েছেই অনেকটা ম্যাচিউর ব্যবহারকারীদের আস্থার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে, যারা কিনা সাধারন লুকের কমিউটার পছন্দ করেন।

আর অন্যদিকে ইয়ামাহা স্যালুটো এর বিষয়ে বলতে হয়, এটা তরুণ প্রজন্মকে ফোকাস করে ডিজাইন করা যা ফুয়েল এ্যাফিশিয়েন্সির সাথে সাথে বাইকের ডিজাইনকেও সমান প্রাধান্য দেন। আর একারনেই স্যালুটো মূলত: কর্পোরেট ব্যবহারকারীদের ব্যাক্তিত্বের সাথে বেশি মানানসই যাদের কিনা সবসময়েই ফরমালি প্রেজেন্টেবল থাকতে হয়। উদাহরণস্বরুপ বলা যেতে পারে এর মেটাল ফুয়েল ট্যাংকের দুইপাশের বাড়তি প্লাষ্টিক প্যানেল এর ট্যাংকটিকে আবহাওয়া জনিত কারনে যেমন গরম হাওয়া এবং দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ট্যাংকটির বডিকে রক্ষা করে ঠিক তেমনই এর স্টাইল ফিচার ও অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে।

ইয়ামাহা স্যালুটো যদিও একটি কমিউটার বাইক, তবু এর ডিজাইন যথেষ্ট আধুনিক আর শার্প। এর পেন্টগোনাল পাইলট ল্যাম্পটি ঠিক এর হেডল্যাম্পের উপরে বসানো, যেটা সহজেই সকলের নজর কাড়ে। আর এর উইন্ডস্ক্রিনটাও বেশ ভিন্ন ধরনের একটা আবেদন সৃষ্টি করে।

আর এর ফুয়েল ট্যাঙ্কের মাঝদিয়ে টানা কালো স্ট্রাইপটি দেখতে বেশ ভালোই লাগে। প্রসঙ্গত: এর মেটাল ফুয়েল ট্যাঙ্কটির দুপাশের প্লাষ্টিক দিয়ে মোড়ানো প্যানেলটি এর শার্প ডিজাইনের সাথে বেশ ভালোভাবেই মানিয়ে গেছে। আর এর টেইলল্যাম্পটি বেশখানিকটা বিস্তৃত ও পেছনের প্যানেলের সাথে মিলিযে দেয়া।

আন্যদিকে হোন্ডা সিবি শাইন এর সার্বিক বডি প্যানেল আর এক্সটেরিয়র বিচারে এতে অনেকটাই চিরাচরিত গোলাকার থিম অবলম্বন করা। এর হেডল্যাম্প বেশ গতানুগতিক ধরনের আর ছোট পাইলট ল্যাম্পগুলোও বেশ মানানসইভাবে মিলিয়ে দেয়া। আর ওডোমিটারও কমিউটার বাইক বিবেচনায় ডিজাইন করা।

সিবি শাইনের ফুয়েল ট্যাঙ্কটি পুরাটাই ধাতব, আর এটা বেশ ফেলানো। ট্যাঙ্কের ডিজাইটা যথেষ্ট সুন্দর আর বডি প্যানেলের সাথে বেশ মানানসই। তবে এর বডি প্যানেলগুলো প্লাষ্টিকের তৈরি, আর এতেও ফাঁপানো ডিজাইন দেয়া হয়েছে।

তবে সিবি সাইনের একমাত্র ধারালো অংশ হচ্ছে এর টেইলল্যাম্প, যেটা এর বাকি বডি প্যানেলের সাথে ভালোভাবেই মানিয়ে যায়। এছাড়া পুরো বাইকের গ্রাফিক্স ও কালার যথেষ্ট মানানসই আর পরিচ্ছন্ন একটা ভাব এনে দেয় যাতে কেউই দ্বিমত করবে না।

honda-cb-shine-vs-yamaha-saluto-meter

ইয়ামাহা সালুটো ভার্স হোন্ডা সিবি শাইন – ফিচার

যদি ইয়ামাহা স্যালুটো ভার্স হোন্ডা সিবি শাইন এর ফিচার তুলনা করতে হয় তাহলে বলতে হয় দুটো বাইকের ফিচারে বেশখানিকটা মিল রয়েছে। দুটো বাইকেই রয়েছে এ্যালয় হুইল, ইলেক্ট্রিক স্টার্ট, এ্যালয় গ্র্যাব রেইল, টিউবলেস টায়ার, এনালগ মিটার, হ্যালোজেন হেড লাইট, হাইড্রোলিক ডিস্ক ব্রেক ইত্যাদি। তবে মূল পার্থক্য লম্বা সীট ও বেশি গ্রউন্ড ক্লিয়ারেন্স।

আর উভয় মোটরসাইকেলেই এনালগ মিটারে রয়েছে অডোমিটার, ট্রিপমিটার, ফুয়েল মিটার, হেডলাইট ইন্ডিকেটর, টার্নসিগনাল ইন্ডিকেটর ও নিউট্রাল ইন্ডিকেটর। আর দুটো বাইকই ইকোনোমিক ব্যবহারকারীদের কথা বিবেচনা করে সামনের চাকায় ড্রাম ব্রেক অপশনাল হিসেবে আলাদা মডেল বাজারজাত করে।

বৈশিষ্টের ভিন্নতা বিচারে ইয়ামাহা স্যালুটো এর ওডো মিটারটির ডিজাইন বেশ আধুনিক ও ভিন্নতর। তবে হোন্ডা সিবি শাইনের মিটার প্যানেলটি গতানুগতিক ডিজাইনের। স্যালুটো এর ওডো মিটারটির ডিজাইন বেশ ভালোভাবেই এর চেহাড়ার সাথে মানিয়ে যায় যা কিনা সিবি শাইনের গোলাকার ডাবল-পিট ওডোর তুলোনায় একেবারে আলাদা ধরনের।

এছাড়াও সালুটোতে রয়েছে পার্কিং ল্যাম্প, যা রাত্রি বেলায় মোটরসাইকেল নিরাপদে পার্কিং করতে সাহায্য করে এবং সামনে থেকে আগত যেকোনো পরিবহন তা সহজেই বুঝতে পারে। যেখানে সি বি সাইনকে হেডলাইট অন করে রাখতে হয়, যা অনেকটাই ব্যাটারি ক্ষয় করে।

এসব বৈশিষ্ট্য ছাড়া বাকি সব বৈশিষ্ট্য যেমন হ্যালোজেন হেডল্যাম্প, ক্লিয়ার লেন্স ইন্ডিকেটর, টেইলল্যাম্প প্রভৃতি দুটো বাইকেরই মোটামুটি একইরকম। তবে হতাশাজনকভাবে কোন বাইকেই ইঞ্জিন কিল সুইচ নেই।

honda-cb-shine-vs-yamaha-saluto-wheel-brake

ইয়ামাহা সালুটো ভার্স হোন্ডা সিবি শাইন – রাইডিং বিহেভিয়ার ও কম্ফোর্ট

কমিউটার মোটরসাইকেল বিচারে ইয়ামাহা স্যালুটো ভার্স হোন্ডা সিবি শাইন দুটো বাইকেই রেইজড্ হ্যান্ডেলবার আর সেন্টার এ্যালইনড্ ফুট-রেষ্ট বসানো। আর সার্বিক রাইডিং বিহেভিয়র দুটো বাইকেই আপ-রাইট, যা কমিউটিং এর জনে যথেষ্ট আরামদায়ক।

দুটো বাইকেই আপনি পাবেন আরামদায়ক সিট, যা দুজন মানুষের আরামে বাসার জন্যে যথেষ্ট ভালো। আর এর গ্র্যাব-রেইলের ডিজাইনেও তেমন একটা ভিন্নতা নেই। তবে ইয়ামাহা স্যালুটো এর ক্ষেত্রে আলাদা করে বলতে হয় এর সিটটা সিবি শাইনের চেয়ে বেশখানিকটা লম্বা, সুপরিসর ও এর গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স বেশি।

ইয়ামাহা সালুটো ভার্স হোন্ডা সিবি শাইন – ব্রেক, টায়ার, সাসপেনশন

ইয়ামাহা স্যালুটো ভার্স হোন্ডা সিবি শাইন দুটো বাইকেরই সাসপেনশন মোটামুটি একই ধরনের। দুটো বাইকেই সামনে টেলিস্কোপিক ফোর্কস, আর পেছনে হাইড্রলিক শক-এ্যাবজরবার রয়েছে। দুটো বাইকেরই সামনে ডিস্ক ব্রেক আর পেছনে রয়েছে রেগুলার ড্রাম ব্রেক। তবে দুটো বাইকেরই সামনের ড্রাম ব্রেক ভার্শন রযেছে।

আর টায়ারের ক্ষেত্রে দুটো বাইকেরই টায়ারের মাপ সমান, আর সবগুলি টায়ারই টিউবলেস টায়ার। ফলে কোন বাইকেই হটাৎ টায়ার লিক হয়ে অচল হয়ে পড়ার সুযোগ নেই। তবে গ্রাউন্ড-ক্লিয়ারেন্সের দিক দিয়ে ইয়ামাহা স্যালুটো বেশখানিকটা এগিয়ে। স্যালুটোর ক্লিয়ারেন্স সিবি শাইনের তুলনায় ২৩মিমি বেশি। ফলে স্যালুটো আরো সহজে বেশিরভাগ রাস্তায় ভালোভাবে চলতে পারবে।

honda-cb-shine-vs-yamaha-saluto-engine-specification

ইয়ামাহা সালুটো ভার্স হোন্ডা সিবি শাইন – স্পেসিফিকেশন কম্প্যারিজন

ইয়ামাহা স্যালুটো ভার্স হোন্ডা সিবি শাইন বাইকদুটোর ইঞ্জিন ও পারর্ফমেন্স নিয়ে বিস্তৃত আলোচনায় যাবার আগে আমাদের এর স্পেসিফিকেশনের তুলনামুলক চিত্র দেখে নেয়া উচিৎ। সুতরাং চলুন বাইকদুটোর তুলনামূলক স্পেসিফিকেশন টেবিলটি দেখে নেয়া যাক।

SpecificationYamaha SalutoHonda CB Shine
EngineSingle Cylinder, Four Stroke, Air Cooled SOHC EngineSingle Cylinder, Four Stroke, Air Cooled SI Engine
Displacement125cc124.7cc
Bore x Stroke52.4mm x 57.9mm52.4mm x 57.8mm
Compression Ratio10.0:1Not Found
Maximum Power6.1KW (8.3PS) @ 7,000RPM7.88KW (10.57PS) @ 7.500RPM
Maximum Torque10.1 NM @ 4500RPM10.3NM @ 5,500RPM
Fuel SupplyCarburetor
IgnitionCDI (capacitor discharge ignition)
Starting MethodElectric start & Kick start
Clutch TypeWet, multiple-disc
LubricationWet Sump
Transmission4 Speed, Pattern N-1-2-3-4

Frame TypeDiamond
Dimension (LxWxH)2,035mm x 700mm x 1,080mm2,012mm x 762mm x 1,090mm
Wheel Base1,265mm1,266mm
Ground Clearance180mm157mm
Saddle Height805mm787mm
Weight112 Kg (with oil and a full fuel )123Kg (Kerb)
Fuel Capacity:7.6 Liters10.5 Liters

Suspension (Front/Rear)Telescopic / Spring Loaded Swingarm, Double
Brake system (Front/Rear)Front: Disk/Drum; Rear: DrumFront: Disk; Rear: Drum
Tire size (Front / Rear)Front: 80/100-18 47P; Rear: 80/100-18 54P; Both TubelessFront: 80/100-18; Rear: 80/100-18; Both Tubeless

Battery12V,5.0Ah/5.0Ah(10HR)12V 3Ah (MF)
Head lampHalogen bulb 12V,35/35W×112V 35/35W
SpeedometerAll AnalogAll Analog
Fuel Efficiency76kmpl (Under Standard Riding Condition)Not Found

*যেকোন ধরনের স্পেসিফিকেশন ও মূল্যমান কোম্পানীর নিজস্ব নিয়মনীতি, পলিসি, অফার ও প্রমোশন অনুসারে বদলাতে পারে। যেকান প্রকার স্পেসিফিকেশন ও মূল্যমান পরিবর্তনের সাথে বাইকবিডি কোনভাবেই সংযুক্ত বা দায়ী নয়।

 

honda-cb-shine-price-in-bangladesh

ইয়ামাহা সালুটো ভার্স হোন্ডা সিবি শাইন – স্পেসিফিকেশন কম্প্যারিজন

ইয়ামাহা স্যালুটো ভার্স হোন্ডা সিবি শাইন বাইকদুটোর স্পেসিফিকেশন টেবিল থেকে আমরা দেখছি যে একটি ১২৫সিসি ইঞ্জিন ইয়ামাহা স্যালুটো বাইকটির প্রান। এই ১২৫সিসি এয়ার-কুল্ড ইঞ্জিনটি ৮.৩পিএস পাওয়ার আর ১০.১এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। আর অন্যদিকে হোন্ডা সিবি শাইন এর ১২৪.৭সিসি ইঞ্জিনটি ১০.৭পিএস পওয়ার আর ১০.৭এনএম টর্ক উৎপন্ন করে।

এখানে দেখা যাচ্ছে হোন্ডা সিবি শাইন পাওয়ার আর টর্ক ফিগারে ইয়ামাহা স্যালুটো থেকে বেশ কিছুটা এগিয়ে। তবে ইয়ামাহা স্যালুটোর রয়েছে ভালো পাওয়ার-টু-ওযেট রেশিও; যা এই বাইকটিকে অনেকখানি এগিয়ে রাখে। কেননা স্যালুটো সিবি শাইন হতে আনেকটাই হালকা ওজনের বাইক।

আর আরো লক্ষনীয বিষয় হলো ইযামাহা স্যালুটোর রয়েছে৭৮কিমি/লিটারের ফুয়েল এ্যাফিশিয়েন্সি যা স্ট্যান্ডার্ড রাইডিং কন্ডিশনে নিশ্চিত করা। আর এই মাইলেজ এর পিছনে কারন হিসেবে রয়েছে এর ইয়ামাহা অনন্য ব্লু-কোর টেকনলোজি আর হালকা ওজন।

আর এর বিপরীতে হোন্ডা সিবি শাইনের রয়েছে অপটিমেক্স ইঞ্জিনের হোন্ডা ইকো টেকনলোজি (এইচইটি) যা বাইকটিকে ভারসাম্যপূর্ন মাইলেজের সাথে সাথে ভালো পাওয়ার নিয়ে খেলার অভিজ্ঞতা দেবে। সুতরাং দুটো বাইকই মূলত: ফুয়েল এ্যাফিশিয়েন্সি নিয়ে কাজ করলেও তাদের বৈশিষ্টগুলোর কাষ্টমার ফোকাস ভিন্ন।

yamaha-saluto-125-mileage

ইয়ামাহা সালুটো ভার্স হোন্ডা সিবি শাইন – পরিশেষ

তো বন্ধুরা আমরা আমাদের ইয়ামাহা স্যালুটো ভার্স হোন্ডা সিবি শাইন এর এই ছিল তুলনামুলক আলোচনা।  আপনারা এতক্ষনে নিষ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে এই বাইকদুটোর মধ্যে কতোটা টাফ কম্পিটিশন হবে। যদিও বাইক দুটির বৈশিষ্টের কিছু মিল, ভিন্নতা ও বিশেষ কিছু অগ্রসরতা রয়েছে, তবুও দুটোর মধ্যে একটা বেছে নেয়া আসলেই শক্ত একটা ব্যাপার।

তবু আমরা চেষ্টা করেছি এদের বৈশিষ্ট্যের মিলগুলোর সাথে সাথে ভিন্নতা গুলো আলাদা করে তুলে ধরতে। আরো চেষ্টা করেছি বিশেষ ফিচারগুলো সামনে নিয়ে আসতে যাতে ক্রেতাদের সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয়। তবে এর সাথে আরো যোগ করা যেতে পারে যে, বাহ্যিক লুক আর আধুনিক বৈশিষ্ট্যগুলো নিষ্চয়ই ক্রেতাদের আলাদা নজর কাড়বে।

তবে যেটাই হোক, পছন্দের বিষয়টি সম্পূর্ণই ক্রেতার নিজস্ব বিচার থেকেই হয়ে থাকে। ক্রেতা নিজেই ভালো বোঝেন যে কোন বাইকটা তার প্রয়োজন, পেশা, রুচি ও ব্যাক্তিত্বের সাথে খাপ খায়। সুতরাং সেই বিষযটি আমরা ক্রেতার উপরই ছেড়ে দিলাম। যাহোক আজ তবে এটুকুই বন্ধুরা। ধন্যবাদ আপনাদের আমাদের সাথে থাকার জন্যে। আর আমাদের ইয়ামাহা সালুটো ভার্স হোন্ডা সিবি শাইন কম্প্যারিজন রিভিউ নিয়ে আপনাদের কোন জিজ্ঞাসা থাকলে তা আমাদের জানাতে ভুলবেন না। আবারো ধন্যবাদ সবাইকে।