Yamaha MT 15 বেস্ট একটা বাইক বলে আমি মনে করি - অংকুর
This page was last updated on 19-Nov-2023 06:25am , By Shuvo Bangla
আমি অংকুর বিন মুত্তালিব। আমি কুষ্টিয়াতে থাকি। আমার জীবনের প্রথম বাইক হচ্ছে Yamaha MT 15 ইন্ডিয়ান ভার্সন । আপনাদের কাছে আমি আমার বাইকটি নিয়ে রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।
Yamaha MT 15 বেস্ট একটা বাইক বলে আমি মনে করি - অংকুর
আমি বাইকিং ভালোবাসি কারণ বাইক হচ্ছে একটা মুক্ত বাহন।আমি যখন ইছা বাইক নিয়ে যে কোনো জায়গাই যেতে পারি।মুক্ত ভাবে ঘুরতে পারি।
আমার বাজেট ছিলো ৩,৮০,০০০ টাকা। খুঁজছিলাম একটু পাওয়ারফুল , আমরামদায়ক,ভালো মাইলেজ, যাতে ভালো ভাবে টুর দেওয়া যায় এই সম্পূর্ণ বাইক। অনেক খোঁজা খোঁজির পর ইয়ামাহা MT15 বাইকটা চোখে পড়লো এবং আমি যা যা খুঁজছি সবই এই বাইকে আছে। তাই শেষ পর্যন্ত ইয়ামাহা MT 15 বাইকটা নিয়ে নি। বাইকটি আমার ৩,৭৮,০০০ টাকা পড়েছে। আমি কুষ্টিয়া ইয়ামাহার শোরুম থেকে বিজয় মোটরস থেকে বাইকটি ক্রয় করি।
বাইক কিনার দিন আমার কাছে ৫০,০০০ টাকা কম ছিলো। পরে চাচার কাছে ধার করে দুপুরে বন্ধদের এবং আমার বউ কে নিয়ে বাইকটি কিনতে যাই। বাইক কিনে সবাইকে সাথে নিয়ে রেস্টুরেন্ট এ গিয়ে ট্রিট দিয়ে ফুল ট্যাংক অকটেন নিয়ে বাসায় গিয়ে আব্বু আম্মু কে বাইক দেখাই।
বাইকটি ছিলো আমার সপ্নের বাইক যে নিজের একটা পার্সোনাল বাইক হবে তাই বাইকটা নিয়ে অনেক আশা ছিলো। বাইকটি প্রথমবার চালিয়ে একটু uncomfortable মনে হচ্ছিল কিন্তু কিছু টাইমের মধ্যে সব ঠিক হয়ে গেলো এবং কমফোর্ট হয়ে গেলো । আমি একজন ভ্রমণ পিপাসু মানুষ। ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি বাইক নিয়ে । ডেইলি ইউজ এর জন্য বাইকটি নিয়েছি প্লাস ভ্রমণ করার জন্য বাংলাদেশকে দেখার জন্য নিয়েছি।
বাইকটিতে ডিজিটাল মিটার, ইলেকট্রিক স্টার্ট, এবিএস ব্রেক রয়েছে, পেছনে ডিস্ক ব্রেক, এলইডি হেডলাইট রয়েছে, স্লিপার ক্লাস রয়েছে, স্ট্যান্ড ওয়ার্নিং এলাম রয়েছে, এলইডি ব্যাক লাইট রয়েছে।
প্রতিদিন প্রায় নরমালি ১৫ কিলোমিটার বাইক চালানো হয় । বাইকটি কেনার সময় ফ্রি ৬টা সার্ভিস পেয়েছি। এখনো বাইরে কোনো গ্যারেজে সার্ভিস দেওয়া হয়নি । ২৫০০ কিলোমিটার পূর্বে সিটিতে ৩৬ মাইলেজ পেয়েছি হাইওয়েতে ৪৪ মাইলেজ পেয়েছি । ২৫০০ কিলোমিটারের পরে সিটিতে ৩৭ - ৩৮ আর হাইওয়েতে ৬০ - ৭০ কিলোমিটার স্পীডে ৫১ মাইলেজ পেয়েছি। ৯০ - ১১০ স্পীডে ৪৪ - ৪৭ মাইলেজ পেয়েছি।
আমি প্রতি ২০০০ কিলোমিটার পর পর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করি সাথে অয়েল ফিল্টার। ২০০০ কিলোমিটার পর পর অকটেন বুস্টার ব্যাবহার করি।৫০০০ কিলোমিটার পর পর এয়ার ফিল্টার পরিবর্তন করি । প্রতি সপ্তাহে চেইন পরিষ্কার ও চেইন লুব করি । আমি বাইকে Mobil1 10w40 গ্রেডের ফুল সিনথেটিক ইঞ্জিন অয়েল ব্যাবহার করি । যার মূল্য ১৫০০ টাকা।
আমি বাইকের ইগনেশন কয়েল পরিবর্তন করে Faito রেসিং কয়েল, NGK Plug , এবং NGK ক্যাবেল পরিবর্তন করেছি। কারণ আমার ইগনেশন কয়েল নষ্ট হয়ে গেছিলো ৭০০০ কিলোমিটারে ।
আমি বাইকে মোডিফাই হিসেবে FNM F1 ফগ লাইট ইনস্টল করেছি। আমি আমার বাইক দিয়ে সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় গতি তুলেছি। ইয়মাহা বাইকগুলো যথেষ্ট স্মুথ ।
Yamaha MT 15 বাইকটির কিছু ভালো দিক -
- কমফোর্ট
- পাওয়ারফুল
- ভালো মাইলেজ
- হেডলাইটের ভালো আলো
- ভালো কন্ট্রোলিং
আমি বাইকটি নিয়ে কুষ্টিয়া থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত গিয়েছি। এর পাওয়ারের জন্য ভ্রমণ হয়েছে অনেক সুন্দর আর আরামদায়ক। MT15 বাইকটি যদি ঢাকা থেকে কিনতাম তাহলে ৩,৬০,০০০ টাকা দিয়ে নিয়ে পারতাম। ৩,৬০,০০০ টাকার মধ্যে আমার কাছে মনে হয় MT 15 বাইকটি অনেক value for money ।
বাইকটিতে রয়েছে অনেক সুন্দর পাওয়ার যার জন্য ওভারটেক করতে অনেক সুবিধা হয়। বাইকটি অনেক কমফোর্ট আমি এক টানা ১০২ কিলোমিটার পথ পারি দিয়েছি পিলিয়ন সহ। পিলিওন আমার বউ ছিলো। কিন্তু সিট টা আরেকটু ফোম দিয়া থাকলে আরো বেশি কমফোর্ট হতো এবং আরো বেশি পথ চলা যেতো। ভ্রমণের জন্য নেকেড স্পোর্টস বাইক হিসাবে MT 15 বেস্ট একটা বাইক বলে আমি মনে করি । ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ অংকুর বিন মুত্তালিব