Yamaha FZS V2 ২০,০০০ কিলোমিটার রাইড - অরূপ রতন বৈদ্য

This page was last updated on 15-Jul-2024 02:43pm , By Ashik Mahmud Bangla

আমি অরূপ রতন বৈদ্য। বর্তমানে Yamaha FZS V2 বাইকটি ব্যবহার করি।  আমার বাসা খুলনা, বর্তমান আমার বাইকটি প্রায় ২০০০০+ কিলোমিটার রানিং। আজ আমি আমার ইয়ামাহা এফজেডএস ভার্সন২ বাইকটি নিয়ে  নিজের অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। 

yamaha fzs v2 user review

আমার বাইকিং ভালো লাগার কারন - মন খারাপ লাগলে বাইক নিয়ে টান দিয়ে একটু এদিক ওদিকে গেলাম নদীর পাড়ে গেলাম মন ভালো হয়ে গেল। আবার পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এর যে ঝামেলা, অপেক্ষা  করো আরেক জন চালাবে ঘুমায় ঘুমায় তার ইচ্ছা মত এর চেয়ে নিজের বাইক বেস্ট। আর এই বাইকিং কমিউনিটি তে এসে পেয়েছি কিছু প্রিয় মানুষ, কিছু ভাই ব্রাদার। সবাই মিলে ইয়ামাহা বাইক নিয়ে ট্যুর দেওয়ার ফিলিংস ই অন্যরকম। জীবনে প্রথম যে বাইকে হাতে খড়ি হয় সেটা YAMAHA RX দিয়ে। প্রায় ১৫/১৬ বছর আগের কথা।  প্রথম থেকেই Yamaha Bike এর  প্রতি একটা দুর্বলতা কাজ করে। নিজে যখন ইনকাম করা শুরু করলাম। টাকা জমিয়ে Yamaha FZS  V1 নেওয়ার পরিকল্পনা করলাম ২০১৩ সালের কথা হবে হয় তো। বাইকটা আমার এক ছোট ভাই এর কাছে সেল করি। বিশ্বাস করেন কত দিন বাইকের জন্য খারাপ লেগেছে বলে বুঝাতে পারবো না। কি যেন একটা নেই এক প্রকার ভালবাসা তৈরি হয় বাইকটির উপর।

yamaha motorcycle in bangladesh

 ২০১৬ শেষের  দিকের কথা এসিআই মটর বাংলাদেশে অফিশিয়াল ভাবে ইয়ামাহা এফজেডএস ভার্সন২ বাইক  ইম্পোর্ট করছে। যশোর এর ইয়ামাহার ডিলার সুজন ভাই এর কাছে বললাম ভাই আমার  YAMAHA FZS V2 WOLF GRAY এই কালারটি লাগবে উনি বললেন ভাই স্টক এ নাই। আপনি বুকিং দিয়ে গেলে আমি ম্যানেজ করে দিতে পারবো। পরের দিন বাবা কে নিয়ে গেলাম বুকিং দিতে বাবার হাত দিতে ২ লাখ টাকা দিয়ে প্রি-বুকিং দিলাম আর ৭০,০০০ টাকা বাইক পেলে। ১ সপ্তাহের মধ্যে বাইক হাজির করে, কল দিলেন সুজন ভাই। সুজন ভাই, (খান অটো যশোর এর মালিক) দারূন একজন মানুষ অনেক আপ্যায়ন করলেন ২০০০ টাকা কম ও রাখলেন। সাথে বাবা আর ছোট ভাই সজীব ছিলো। বাইক এর সব কাজ শেষ করে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম । আমি আসলে কোনো কিছুতে বেশি উত্তেজিত হই না, সাধারণ ভাবেই নেই সব কিছু। তবে ভালো লাগছে  আপডেট মডেল ফুয়েল ইনজেক্টর বাইকটি পেয়ে। বাইকটি বেশ  ভালোই।

bike price in bangladesh 

বাইক চালানোর  তেমন কোনো নির্দিষ্ট  কারণ নেই। আমি মুলত ফ্রিল্যান্সার। খুলনাতেই  অফিস  অনলাইনে কাজ মাঝে মধ্যে অফিসে যাই  বাইক এর দরকার হয়। বৌ ঘুরতে পছন্দ করে সময় পেলে  ওকে নিয়ে ঘুরতে যাই। যেমন ভালো লাগে ঘুরতে তেমন নিজের বাইক নিজে চালানোর মজাই আলাদা । Yamaha FZS V2 বাইকের ডিজাইন সত্যি অনেক ভালো লাগে বিল্ড কোয়ালিটি  চাকার সাইজ করনারিং, রাইডিং পজিশন, ব্রেকিং এক কথায় নাম্বার সেরা।  এর উপর আছে ফুয়েল ইনজেক্টর মাইলেজও পাই ৪০+ কিলোমিটার প্রতি লিটার। বাইক চালানোর অনুভুতি বলতে এটা নির্ভর করছে মনের উপর মন ভালো না খারাপ কোন মুডে আছি আমি বেসিক্যালি ৬০/৭০ স্পিড এর উপর তেমন  ড্রাইভ করি না। ভালোই লাগে।  আস্থা পাই নিজের বাইকের উপর ভরসা পাই ওর উপর আমার কন্ট্রোল আছে। বাইক সার্ভিসিং এর জন্য মুলত আমি যেহেতু YAMAHA V1 ব্যবহার করতাম। আগে এটা ইম্পোর্ট করতো কর্ণফুলী মটর !ওনাদের যে টেকনিশিয়ান আছেন ওনার সাথে একটা ভালো আন্ডারস্টাডিং আছে ওনার কাজ পছন্দ হয়। আমি ACI MOTORS  এর ফ্রি সার্ভিস গুলা শেষ হলে প্রতি ৫/৬০০০ কিলো তে ১টা করে ফুল সার্ভিস করিয়েছি। 

bike tour tips

 ২৫০ কিলোমিটারের পরে মাইলেজ পেয়েছি ৪০+ কিলোমিটার প্রতি লিটার এভারেজ।এর মধ্যে বাইকের চেইন স্পোকেট চেঞ্জ করিয়েছি । ব্যাক প্যালেন, লাইট , ব্রেক সু, টায়ার গার্ড টুক টাক স্টিকার মডিফাই করিয়েছি। আর ইঞ্জিন অয়েল তো চেঞ্জ করাই লাগে। ইয়ামাহা লুব, মতুল ব্যবহার  করেছি প্রতি ১০০০/৩০০০ কিলোমিটারে। টপ স্পিড আমি ম্যাক্সিমাম ১১৮/১৯ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা তুলেছি । যদিও আমি ৬০/৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা এর উপর রাইড করি না ম্যাক্সিমাম টাইম। 

বাইকটির টি ভালো দিকে -

  • ডিজাইন
  • ব্রেকিং
  • কন্ট্রোলিং
  • মাইলেজ
  • ব্র্যান্ড ভ্যালু কাস্টমার স্যাটিসফেকশন।

খারাপ তেমন কিছু পাই নাই ইয়ামার সব কিছুই কেমন জানি ভালো লাগে শুধু দাম ছাড়া। লং ট্যুরের মধ্যে এক বার খুলনা টু ঢাকা যাওয়া হয়েছে আর খুলনা টু সাতক্ষীরা শ্যাম নগর। বাইকটি  ব্যবহার করে আমি খুশি। YAMAHA এর প্রতি কেন জানি একটা ভিতর থেকে ভালো লাগা কাজ করে। আর টুকটাক বাংলাদেশে আসা ১৫০/১৬৫ সিসির সেগমেন্ট এর বাইক চালানোর সৌভাগ্য হয়েছে কিন্তু ইয়ামাহা ড্রাইভ করে একটা অন্য রকম অনুভূতি অন্য করম কমফোর্ট কাজ করে।

yamaha fzs v2 user in bd

  ধন্যবাদ জানাই টিম বাইকবিডি কে দেশের সকল বাইকারদের একটা কমিউনিটির মধ্য আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন ।  আজ বাংলাদেশের নাম্বার ১ বাইকিং  প্লাটফর্ম বাইকবিডি। ভালোবাসা  নিরন্তর। ভালো থাকবেন সকলের সুস্থতা কামনা করি। 

ধন্যবাদ   

লিখেছেন - অরূপ রতন বৈদ্য    

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।