Yamaha FZS Fi V2 Armada Blue ৭৫০০ কিলোমিটার রাইড - হামিদুল ইসলাম
This page was last updated on 29-Jul-2024 05:14am , By Raihan Opu Bangla
আমি মোঃ হামিদুল ইসলাম । আমার স্থায়ী ঠিকানা নরসিংদী জেলা, শিবপুর থানা। বর্তমানে আমি Yamaha FZS V2 বাইকটি ব্যবহার করছি । এটি আমার জীবনের ২য় বাইক । আজ আমি আমার এই বাইকটির ব্যাপারে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।
প্রথমে আমি একটি হোন্ডা ৮০ সিসি বাইক ব্যবহার করি। Yamaha FZS Fi V2 আমার জীবনে দ্বিতীয় বাইক। আমি ভ্রমন ভালোবাসি, বাইক চালাতে পছন্দ করি। বাইক নিয়ে ঘুরতে ভালোবাসি, বাইক নিয়ে ট্যুরে যেতে ভালোবাসি । বাইক বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমি আমার মায়ের পছন্দকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আমার পছন্দ ছিল Suzuki Gixxer 155। কিন্তু যখন আমি মাকে নিয়ে শো-রুমে গেলাম Honda, Suzuki, Yamaha এই ৩ টি বাইকের শো-রুম এ গেলাম ।
এর মধ্য থেকে আমার মা Yamaha FZS Fi V2 Armada Blue পছন্দ করেছে তখন আমি Yamaha FZS Fi V2 বাইকটি ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেই । বাইকটি আমার মা পছন্দ করে এ জন্য আমি বাইকটি নিয়েছি। বাইকটি যখন আমি নিয়েছি তখন ২,২৯,০০০/- টাকা দিয়ে কিনেছি । বাইকটি কেনা হয়েছিল নরসিংদী শো-রুম থেকে ।বাইকটি কিনতে যাওয়ার আগের দিন সারা রাত জেগে ছিলাম, ঘুমাতে পারিনি। এই অনুভুতি বলে বুঝাতে পারব না। বাইকটি প্রথম চালিয়েছি আমার মাকে নিয়ে । আর একটা লং রাইড দিয়েছি ৩০ কিলোমিটার মাকে নিয়ে। আমি একজন বাইক প্রেমিক বাইক চালানো আমার শখ ভালো লাগে বাইক চালাতে । Yamaha FZS Fi V2 Armada Blue বাইকটির লুকস অসাধারণ এবং ব্রেক কন্ট্রোল অসাধারণ । মাইলেজ খুব ভালো ।
প্রতিদিন বাইকটি চালানোর সময় অসাধারণ অনুভুতি হয় তা। আমি বলে বুঝাতে পারব না । বাইকটি এখন পর্যন্ত ২ বার সার্ভিস করিয়েছি। নরসিংদী সার্ভিস সেন্টার থেকে তারা খুব যত্ন সহ কারে সার্ভিস করিয়ে দেয়।
২৫০০ কিলোমিটারে পূর্বে মাইলেজ ৪৫ কিলোমিটার প্রতি লিটার ছিল। এখন মনে হয় কিছুটা কমে গেছে। আর আমি এসব নিয়ে তেমন ভাবিনা কারন শখের বাইক। বাইকে যত্ন বলতে আমি বাইক ওয়াশ করার জন্য অনলাইন থেকে ১৮০০ টাকা দিয়ে একটি মটর নিয়েছি এটা দিয়ে আমি বাইক ওয়াশ করি এবং পলিশ ব্যবহার করি আর বাইকের টুকটাক কাজ আমি নিজেই করে ফেলি ।
Yamalube 10w40 গ্রেড এর ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি। এটা খুব ভালো পার্ফরমেন্স দেয় । এখন পর্যন্ত বাইকের কোন পার্টসই পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়নি ।
বাইকে কোন ধরনের কোনো মোডিফিকেশন করিনি। বাইক দিয়ে আমি কখনো অতিরিক্ত স্পীডে রাইড করতে পছন্দ করি না । এখন পর্যন্ত আমার তোলা সর্বোচ্চ স্পীড ১০৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা । বাইকটি সবদিক থেকে আমার ভালো লাগে।
বাইকটি আমি কোনো খারাপ দিক পাইনি এটা আমার খুব প্রিয় বাইক । বাইকটি দিয়ে আমি ঢাকা গিয়েছি ২বার এবং আমার বাবাকে নিয়ে গাজীপুর গিয়েছি একবার । লং রাইডে বাইকটির পার্ফরমেন্স বেশ ভালো । ধন্যবাদ।
লিখেছেন - হামিদুল ইসলাম
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে