ওয়ালটন স্টাইলেক্স একটি মালিকানা রিভিউ – মাসুমের লেখা
This page was last updated on 18-Jan-2025 12:33pm , By Shuvo Bangla
ওয়ালটন স্টাইলেক্স একটি মালিকানা রিভিউ
হ্যালো বাইকবিডির সকল পাঠক ! আমি মাসুম, আমি এখানে আমার ওয়ালটন মোটরসাইকেল নিয়ে একটি পর্যালোচনা নিয়ে হাজির হয়েছি । পেশাগতভাবে আমি একজন ব্যবসায়ী । যে বাইকটি আমি সম্প্রতি কিনেছি সেটা হল ওয়ালটন স্টাইলেক্স । এটা ১০০ সিসির একটি ছোট বাইক । আমার কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য ও শহরের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য এটা আমার প্রয়োজন ।
Also Read: Walton Takyon 1.20 Price In Bangladesh
আমি অনেক লোককে জিজ্ঞেস করেছি তারা আমাকে বিভিন্ন বাইক সম্পর্কে বলেছে কিন্তু আমার মূল্যসীমা একটু কম হওয়ায় আমি ওয়ালটন কিনি। Walton বাংলাদেশের প্রথম কোম্পানি যারা বাংলাদেশেই বাইক জোড়া লাগাচ্ছে ও বাইক তৈরী করছে ।
বাইকটির দাম ছিল ৭৮৮০০ টাকা এবং আমি এটা ওয়ালটনের শোরুম হতে কিনেছিলাম । তারা এক বছরের ওয়ারেন্টি ও ফ্রি সার্ভিসিং দিয়েছিল । এর আছে ১০০ সিসির ইঞ্জিন যেটি শহরের যানজটে তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যায় এবং দীর্ঘ ভ্রমণে আরও দ্রুত । কিন্তু মাঝামাঝি সীমার মধ্যে এর স্পিড পারফর্মেন্স খুবই ভাল । বাইকটির ডিজাইন খুবই সাধারন । যেকোন পুরান বাইক দেখতে স্টাইলেক্স এর মত ।
Also Read: Walton Fusion 125 Price In BD
আমি বাইকটি কিনেছিলাম স্বল্প সময়ের জন্য এবং এই স্বল্প সময়ে বাইকটি কোন সমস্যা করেনি বা সে রকম কোন ইঙ্গিতও দেয়নি । কিন্তু এ ধরনের অন্য বাইকের তুলনায় এর মাইলেজ খুবই বাজে । সাধারন দৃষ্টিতে দেখলে, বাজাজের ১০০ সিসি বাইক বা অন্যান্য ভারতীয় কোম্পানির ১০০ সিসির বাইক সাধারণত প্রতি লিটারে ৫০-৬০ কিলোমিটার যায়। কিন্তু ওয়ালটন স্টাইলেক্স যায় প্রতি লিটারে বড়জোর ৪৫ কিলোমিটার । এটা ঢাকা শহরের মধ্যে একে খুবই অকার্যকর বাইকে পরিণত করেছে ।
Also Read: Walton Stylex Ownership Review
বাইকটি ছোট তাই এর সাহায্যে দ্রুত ঘোরা যায় এবং জ্যামের সময় বা ঢাকা শহরের সংকীর্ণ জায়গাগুলোতে খুব সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায় । সহজ পার্কিং ও হালকা ওজনের ডিজাইন একে নিয়ন্ত্রণে বাড়তি সাহায্য করে । ড্রাম ব্রেকগুলো ভাল তবে অন্য মডেলগুলোর মত ডিস্ক ব্রেক দিলে আরও ভাল হতো ।
কিন্তু এর খারাপ বৈশিষ্ট্যও অনেক । কম জ্বালানী দক্ষতা, টায়ার টিউব দীর্ঘস্থায়ী নয়, হালকা ওজনের বডি, দীর্ঘ ভ্রমণের অনুপযুক্ত, কোন জ্বালানী মিটার নেই।
Also Read: Walton Hi-Tech Industries stands as the exclusive manufacturer
সবশেষে এ বাইক সম্পর্কে আমি যা বলতে পারি তা হল এটা একটা ছোট বাইক এবং তুলনামূলকভাবে কম দামি। তাই এটা থেকে বাজাজ পালসারের পারফর্মেন্স আশা করবেন না । আপনি যে পরিমাণ মূল্য দেবেন আপনি সে পরিমাণই জিনিস পাবেন । বাইকটি যদি আর একটু জ্বালানী সাশ্রয়ী হতো তবে তা খুবই ভাল হত এবং আরও একটু যদি ভারী হতো তাহলে খুবই উপকারী হতো ।
Also Read: ওয়ালটন বাংলাদেশ
আমি আমার ওয়ালটন স্টাইলেক্স হতে এগুলোই পেয়েছি । ওয়ালটন স্টাইলেক্স নিয়ে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা আমি অত্যন্ত সরলভাবে বাইকবিডির পাঠকদের জন্য তুলে ধরেছি । ওয়ালটন স্টাইলেক্স সম্পর্কে বাইকবিডির পাঠকদের মূল্যবান মতামত আমি সাদরে গ্রহণ করবো ।
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com - এই ইমেইল এড্রেসে।