TVS Apache RTR 200 4V - তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ আকর্ষণ ও ভালবাসা?

This page was last updated on 31-Jul-2024 05:38pm , By Badhan Roy

TVS মোটর এর Racing Throtle Response বা RTR সিরিজের বাইকগুলো কুইক থ্রটল এবং টপস্পিড এর জন্য যথেষ্ট জনপ্রিয়। যদি বাংলাদেশে ১৮-২৫ বছর বয়সী তরুণদের মধ্যে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার ভিতরে বর্তমানে এভেইলেবল প্রিয় বাইক নিয়ে জরিপ চালানো যায় তবে নিঃসন্দেহে অধিকাংশেরই উত্তর হবে TVS Apache RTR 160 4v. 

সাধ্যের মধ্যে পাওয়ার, লুক এবং কম্ফোর্টের দারুণ কম্বিনেশন থাকায় বাংলাদেশে এই বাইকটি দীর্ঘদিন ধরে তুমুল জনপ্রিয়তার শীর্ষে। সিসি লিমিট বৃদ্ধি হওয়ার পর থেকে তরুণ প্রজন্মের সিংহভাগ বাইকারের আকাঙ্খা আপডেটেড TVS Apache RTR 200 4v এর উপরে তা বলাই বাহুল্য। তো এক নজরে TVS Apache RTR 200 4v এর বিস্তারিত এই লেখায় বর্ণনা করা হলো।

TVS Apache RTR 200 4V – ডিজাইন

কমিউটার ও ন্যাকেড স্পোর্টস বাইকের দুইরকম সংমিশ্রণই RTR 200 4v বাইকে লক্ষ করা যায়। দূর থেকে RTR 160 ও 200 এর লুক প্রায় কাছাকাছি এবং আলাদা করা মুশকিল, তবে RTR 200 4v এর সিট স্প্লিটেড হওয়া তে বাইকটির লুক আরো অনেক এগ্রেসিভ ও স্পোর্টি দেখায়। এছাড়া উভয় বাইকে একই রকম ডুয়াল হেডলাইট, ডি আর এল, টেইল লাইট, ট্যাংক শেপ এবং ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার বাইকটিতে বিদ্যমান যা যথেষ্ট সুন্দর ও আকর্ষণীয়। 

TVS Apache RTR 200 4V - ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন

RTR 200 4v বাইকটিতে রয়েছে ইউরো BS VI প্রযুক্তির ফুয়েল ইঞ্জেক্টেড (FI) অয়েল কুলড সিঙ্গেল সিলিন্ডার, SOHC ১৯৭.৭৫ সিসির ৪ ভাল্ভ ৪ স্ট্রোক ইঞ্জিন যা ৯০০০ আরপিএম এ সর্বোচ্চ ২০.৮২ হর্সপাওয়ার শক্তি ও ১৬.৫১ থেকে ১৭.২৫ নিউটন মিটার টর্ক উৎপন্ন করে ৩ টি ভিন্ন ভিন্ন রাইডিং মোডে। ভিন্ন ভিন্ন রাইডিং মোডের বিষয়টি ফিচার সেকশনে বিস্তারিত বলা হবে। ওয়েট মাল্টিপ্লেট স্লিপার ক্লাচ এবং ৫ স্পিড গিয়ারবক্স একটি স্মুথ এবং প্রতি গিয়ারেই কুইক রেসপন্স দিতে সক্ষম। বাইকটির সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ১৩০-১৩৫ কিমি প্রতি ঘন্টায়।

TVS Apache RTR 200 4V - ফিচারস

RTR 200 4vএর কিছু উল্লেখযোগ্য ফিচারস হলো:

সিট হাইট, ওজন ও গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স: ১০৫০ মি.মি এর সিট হাইটের সাথে ১৫০ মি.মি গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স রয়েছে বাইকটিতে। ১৫২ কেজি ওজনের কার্ব ওয়েট হওয়া স্বত্বেও বাইকটির ওয়েট ব্যালান্স খুবই সুন্দর।

ইগনিশন সিস্টেম: সেলফ ইলেক্ট্রিক ইগনিশন।


 ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার
: সম্পূর্ণ ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টারটিতে ফুয়েল লেভেল, একাধিক ট্রিপ মিটার, স্পিডোমিটার, ট্যাকোমিটার, গিয়ার, সার্ভিস ইন্ডিকেটর, টার্ন বাই টার্ন নেভিগেশন, এবিএস ইন্ডিকেটর, সাইড স্ট্যান্ড ইন্ডিকেটর, ঘড়ি ইত্যাদি। 


৩ টি রাইডিং মোড: রাইডার তার পছন্দমত রেইন, স্পোর্ট এবং আরবান মোডে বাইকটি সেট করে তার নিজস্ব চাহিদা অনুযায়ী পাওয়ার আউটপুট নিতে পারবেন, যা সাধারণত আধুনিক গাড়িগুলোর ক্ষেত্রে দেখা যায়। মোড গুলোর কারনে নির্দিষ্ট আরপিএম এ যথাযথ টর্ক আউটপুট এবং সর্বোচ্চ স্পিড অটোমেটিক লক হয়ে যায়, যা বিভিন্ন রোড কন্ডিশনে যথেষ্ট হেল্পফুল এবং দরকারি। নিঃসন্দেহে এটি একটি অত্যাধুনিক ফিচার বটে। 

ডুয়াল ব্যারেল এক্সহস্ট: বাইকটির এক্সহস্ট সিস্টেম ডুয়াল ব্যারেল হওয়ার কারনে বেটার বেজ এর সাউন্ডের পাশাপাশি বেটার রাইডিং এক্সপিরিয়েন্স নিশ্চিত করে।

XConnect অ্যাপ কানেক্টিভিটি: রাইডার তার স্মার্টফোনের অ্যাপ দ্বারা সহজেই বাইকের মাইলেজ, সার্ভিস ও অয়েল চেঞ্জ এর দরকারি তথ্য, ব্যাটারি ভোল্টেজ, টার্ন বাই টার্ন নেভিগেশন সিস্টেম, কল এন্ড এসএমএস নোটিফিকেশন সহজেই বাইকের ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টারের সাথে সিংক করিয়ে নিতে পারবেন। এতে বেটার রাইডিং ও মেইনটেইনেন্স এক্সপিরিয়েন্স পাওয়া সম্ভব।

টিউবলেস টায়ার: বাইকটির টায়ার সাইজ- সামনের টায়ার 90/90-17, পিছনের টায়ার: 130/70-17. টিউবলেস Tvs ও Eurogrip radial টায়ার বাইকটিতে দেওয়া হয়েছে যা সহজে পাংচার বা লিক হওয়ার ঝুঁকি কম। 

ব্রেক: RTR 200 4v বাইকটিতে ২৭০ মি.মি এর ফ্রন্ট ও ২৪০ মি.মি এর রিয়ার ডিস্ক ব্রেক ব্যাবহার করা হয়েছে। বাইকটির মাস্টার সিলিন্ডারে DOT 4 টাইপ অয়েল ব্যাবহার করা হয়েছে। ডুয়াল চ্যানেল ও সিঙ্গেল চ্যানেল দুই ধরনের এবিএস ভার্শনের বাইক আন্তর্জাতিক বাজারে পাওয়া যায়।

TVS এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে RTR 200 4v বাইকে সুপারমটো এবিএস ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা যায়। এবিএস এর সাথে RLP বা রিয়ার হুইল লিফট-অফ প্রটেকশন ব্যাবহার করা হয়েছে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির জন্য। তাই বুঝতেই পারছেন বাইকের ব্রেকিং সিস্টেম কতটা উন্নত করা হয়েছে আগের জেনারেশন এবং ১৬০ সিসি ভেরিয়েন্টের তুলনায়। 

সাসপেনশন সিস্টেম: বাইকটির সামনে প্রিলোড এডজাস্টার টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পিছনে মাল্টি এডজাস্টেবল মনোশক অ্যাবজর্বার ব্যাবহার করা হয়েছে যা রাইডিং আরামদায়ক করবে বলে ধারণা করা যায়।

এডজাস্টেবল ক্লাচ ও ব্রেক লিভার: ৩ স্টেপের এটজাস্টেবল ক্লাচ ও ব্রেক লিভার বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে যাতে রাইডার তার সুবিধা অনুযায়ী ক্লাচ ও ব্রেক লিভারের পজিশন এডজাস্ট করে নিতে পারেন।

মাইলেজঃ ২.৫ লিটারের রিজার্ভ ক্যাপাসিটি সহ মোট ১২ লিটারের ফুয়েল ক্যাপাসিটির সাথে প্রতি লিটার জ্বালানী তেলে বাইকটি ৩০-৩৫ কিলোমিটারের মাইলেজ দিতে সক্ষম। তবে জ্বালানীর মান ও রাইডিং স্টাইলের উপরে মাইলেজ কম বেশি হতে পারে।  

এই ছিল এক নজরে RTR 200 4v এর এক নজরে বিস্তারিত। বাংলাদেশের বাইকারদের পছন্দে শীর্ষে থাকা RTR সিরিজের বাইকটির হায়ার সিসি এবং আকর্ষণীয় ফিচারস এর কারনে RTR 200 4v আবারও দেশের বাজারে অন্যতম সেরা জনপ্রিয়তা অর্জন করে মার্কেটে শক্ত প্রতিদ্বন্দিতা তৈরি করবে আশা করা যায়। TVS বাংলাদেশ বাইকারদের কথা মাথায় রেখে বরাবরের মতই স্পেয়ার পার্টসের সহজলভ্যতা এবং সন্তোষজনক বিক্রোয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করে বাইকটি রিজনেবল প্রাইসে অতিদ্রুত বাংলাদেশের বাজারে লঞ্চ করবে বলে আমরা আশাবাদী। 

বাইকের লঞ্চিং, মূল্য ও প্রি বুকিং, বিষয়ক তথ্য সবার আগে পেতে বাইকবিডির সাথেই থাকুন। 

Best Bikes

Honda CB Hornet 160R

Honda CB Hornet 160R

Price: 169800.00

Honda CB Hornet 160R ABS

Honda CB Hornet 160R ABS

Price: 255000.00

Honda CB Hornet 160R CBS

Honda CB Hornet 160R CBS

Price: 212000.00

View all Best Bikes

Latest Bikes

Revoo S01

Revoo S01

Price: 0.00

TAILG Jidi

TAILG Jidi

Price: 0.00

Vida Z

Vida Z

Price: 0.00

View all Sports Bikes

Upcoming Bikes

Revoo S01

Revoo S01

Price: 0.00

Vida Z

Vida Z

Price: 0.00

Hero Xtreme 250R

Hero Xtreme 250R

Price: 0.00

View all Upcoming Bikes