Suzuki GSX-R150 Vs Yamaha YZF-R15 V3 তুলনামুলক রিভিউ
This page was last updated on 06-Jul-2024 07:38pm , By Shuvo Bangla
Suzuki GSX-R150 Vs Yamaha YZF-R15 V3 বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় স্পোর্টস বাইক গুলোর মধ্যে অন্যতম। বাইক দুটি মাত্র কয়েক মাস আগে ইন্দোনেশিয়াতে লঞ্চ করা হয়েছে এবং আমাদের দেশেও আমদানী করা হয়। যদিও অল্প কিছু বাইক আমাদের দেশে আনা হয়েছে। তাই বাইকদুটি নিয়ে অনেক আগ্রহ এবং প্রশ্নের কোন কমতি নেই বাইকারদের মাঝে। তাই আমরা আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছি Suzuki GSX-R150 vs Yamaha R15 V3 তুলনামূলক রিভিউ।
Suzuki GSX-R150 Vs Yamaha YZF-R15 V3 তুলনামুলক রিভিউ
মূল বিষয় শুরু করার আগে আপনি যদি r15 v3 price in bangladesh এর সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক গ্রুপ ঘুরে দেখুন। তাছাড়া বাইক সম্পর্কিত যেকোন তথ্য পাবেন আমাদের ওয়েবসাইটে।
Suzuki GSX-R150 এর ভিডিও রিভিউ দেখতে এখানে ক্লিক করুন
Suzuki GSX-R150 ওভারভিউ Suzuki GSX-R150 সম্পূর্ন নতুন বাইক ১৫০সিসি সেগমেন্টে যা সুজুকি মোটরসাইকেল ইন্দোনেশিয়া তৈরি করেছে। বর্তমানে এটাই সবচেয়ে তাড়াতাড়ি রিলিজ করা বাইক Suzuki GSX-R সিরিজের। GSX-R সিরিজ সুজিকির রেসিং সিরিজ। ১৯৮৪ সালে GSX-R তাদের যাত্রা শুরু করে। এরপর থেকেই তারা বিভিন্ন ক্যাপাসিটির এবং বিভিন্ন ধরনের রেসিং বাইক তৈরি করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালের শেষ দিকে Suzuki GSX-R150 ইন্দোনেশিয়ায় লঞ্চ করে। বর্তমানে বাংলাদেশে GSX-R150 এই ভার্সনটি পাওয়া যাচ্ছে। যদিও ব্যক্তিগত ভাবে আমদানী করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সুজুকির বাংলাদেশের অফিশিয়াল পরিবেশক তারা বাইকটি অফিশিয়ালি বাংলাদেশে নিয়ে আসেনি। তার কারন হচ্ছে , তারা মুলত সুজকি ইন্ডিয়ার সাথে তাদের ব্যবসা চালিয়ে আসছে।
Yamaha YZF-R15 Ver 3.0 - ওভারভিউ
ইয়ামাহা ওয়াইজেডএফ-আর এর লিজেন্ডারি সিরিজ হচ্ছে ইয়ামাহা ওয়াইজেডএফ-r15। ২০০৮ সালে প্রথম এই সিরিজের প্রথম বাইকটি Yamaha YZF-R15 বাজারে আনা হয়। তার ঠিক তিন বছর পর ২০১১ সালে Yamaha YZF-R15 এর সেকেন্ড ভার্সন V2.0 বাজারে নিয়ে আসে। গত ৬ বছর ধরে Yamaha YZF-R15 V2 রাস্তায় রাজ্যত্ব করার পর এ বছর Yamaha YZF-R15 তাদের নতুন বাইক Yamaha YZF-R15 V3.0 ইন্দো ভার্সন বাজারে নিয়ে এসেছে। আর বাজারে আসার পর থেকে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। Yamaha YZF-R15 V3.0 সম্পূর্ন নতুন বাইক এর আগের মডেল V2.0 এর থেকে। এর ডিজাইন ফিচার এবং লুক সম্পূর্ন নতুন ভাবে করা হয়েছে। যা একে V2.0 থেকে আলাদা করে তুলেছে। ক্ষমতার দিক থেকে R15 V3 আগের মডেল গুলোর চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকবে। বর্তমানে বাংলদেশের অল্প কিছু আমাদানী কারক যারা ব্যক্তিগত ভাবে বাইক আমদানী করে থাকে তারা V3.0 বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে।
Suzuki GSX-R150 vs Yamaha YZF-R15 V3 – এক্সটেরিয়ের
Suzuki GSX-R150 vs Yamaha YZF-R15 V3 কম্পারিজনের শুরুটা বাইরের দিকে থেকেই করা যাক। দুটি বাইকের বাইরের দিকের ডিজাইন করা হয়েছে তাদের রেসিং সিরিজের মূল বাইকের আদলে। তাই দুটি বাইকই তাদের নিজস্ব স্টাইল এবং ডিজাইন ধরে রেখেছে। যা আলাদা ভাবে এদের স্পোর্টস বাইক হিসেবে চিহ্নিত করে থাকে। Suzuki GSX-R150 ডিজাইন এবং আকারের স্টাইল করা হয়েছে মটোজিপিতে অংশ নেয়া সুজুকির রেসিং বাইকের আদলে। Suzuki GSX-R150 এর ডিজাইনের ক্ষেত্রে এর হালকা ওজনের উপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তাই এই বাইকের বডি প্যানেল ডিজাইন করা করা হয়েছে হালকা এবং মসৃন করে। বাইকটি ডিজাইন আক্রমনাত্নক এবং তীক্ষ্ণ। বাইকটি পুরো বডি কিট সজ্জিত এবং হালকা। রিয়ার পার্ট সাথে টেল লাইট এবং পিলিয়ন সিট এমন ভাবে তৈরি করা, যে বাইকটি পুরো আক্রমনাত্নক রেসিং ডিজাইন ধরে রেখেছে।
Suzuki GSX-R150 এর ফুয়েল ট্যাঙ্ক কিছুটা ন্যারো এবং দুপাশেই বাক রয়েছে। এর ডিজাইন এভাবে করা হয়েছে তার কারণ যে এটি রাইডারকে ভালো সাপোর্ট দিবে। তবে এই বাইকটির উইন্ডস্ক্রিন এবং এক্সহস্ট পাইপ একটু প্রশস্ত করে তৈরি করা। এছাড়া পুরো ডিজাইন টাইট এবং কম্পেক্ট ভাবে তৈরি করা। অপর দিকে Yamaha R15 V3 এর ডিজাইন একটু প্রশস্ত ও বাল্কি টাইপ। এই বাইকটিও এর মটোজিপি সিরিজ বাইক Yamaha YZF-R6 থেকে অনুপ্ররানিত হয়ে ডিজাইন করা। যদিও এর ডিজাইন অনেক আক্রমনাত্নক কিন্তু GSX-R150 এর সাথে প্রতিযোগীতরা জন্য ডিজাইন করা হয়েছে Yamaha YZF-R15 V3 ।
Yamaha YZF-R15 V3 বাইকটি অনেক বাল্কি করে ডিজাইন করা হয়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মানে হচ্ছে হেড ল্যাম্প থেকে টেল-লাইট পর্যন্ত পুরো বাইকটি প্রশস্ত এবং পেশি বহুল। বাইকটিতে অনেক বাক রয়েছে এবং সাথে এরো-ডায়নামিক টানেলও আছে। কিন্তু পুরো শরীর পেশী বহুল। এই বাইকটির ইম্প্রেশন একটু বড় এবং যখন রাইড করা হয় তখন এর অনুভূতি সত্যি অসাধারন। বাইকটি সত্যিকার অর্থেই গর্জিয়াস এবং এলিগেন্ট।
Suzuki GSX-R150 vs Yamaha YZF-R15 V3 – চাকা, ব্রেক এবং সাসপেনশন
চাকা, ব্রেক এবং সাসপেনশনের দিক থেকে দুটি বাইকই সম্পূর্ন রূপে স্পোর্টস বাইকের ফিচার ধরে রেখেছে। দুটি বাইকের রিম হচ্ছে এলয় রিম সাথে টিউবলেস টায়ার। তবে GSX-R150 এর ক্ষেত্রে ফ্রন্টে ৯০মিমি এবং ১৩০মিমি রিয়ার টায়ার ব্যবহৃত হয়েছে। অপর দিকে R15 V3 এর ক্ষেত্রে টায়ার গুলো একটু প্রশস্ত করা হয়েছে। যেমন ফ্রন্টে ১০০মিমি এবং রিয়ারে ১৪০মিমি টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে। দুটি বাইকের ক্ষেত্রে সামনে এবং পেছনে হাড্রলিক ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে।
তবে GSX-R150 এর ব্রেক একটু হালকা ভাবে ডিজাইন করা। ফ্রন্ট ব্রেক রেগুলার সাইজ কিন্তু রিয়ারের ব্রেক রেগুলার সাইজ থেকে একটু ছোট করে তৈরি করা। অপর দিকে R15 V3 এর ব্রেক তুলনামূলক ভাবে একটু বড় করে তৈরি করা হয়েছে। এখন সাসপেশন দিকে যদি আমরা তাকাই তবে রিয়ার সাসপেনশন দুটি বাইকের ক্ষেত্রে প্রায় একই। দুটি বাইকের রিয়ার টাইপ মনোশক সাসপেনশন। কিন্তু ফ্রন্ট সাসপেনশনে দুটি বাইকের মাঝে পার্থক্য রয়েছে। Suzuki GSX-R150 এর ফ্রন্ট সাসপেনশন রেগুলার টেলিস্কোপিক ফর্ক সাসপেনশন। অপর দিকে Yamaha R15 V3 এর সাসপেনশন টেলিস্কোপিক ফর্ক সাথে আপ সাইড ডাউন ইউএসডি সাসপেনশন সিস্টেম দেয়া হয়েছে।
Suzuki GSX-R150 vs Yamaha YZF-R15 V3 – Riding & Seating
আপনারা সকলেই জানেন যে, Suzuki GSX-R150 এবং Yamaha R15 V3 দুটি বাইকই স্পোর্টস রেসিং মডেল। তাই এদের রাইডিং পজিশন, আসন ভঙ্গী এবং কন্ট্রোলিং পুরোপুরিভাবে স্পোর্টি এবং আক্রমনাত্নক। দুটি বাইকে সিটিং, হ্যান্ডেলিং এবং কন্ট্রোলিং প্রায় একই রকম। কিন্তু কিছু চোখে পরার মত পার্থক্যও রয়েছে। Suzuki GSX-R150GSX-R150 এর ডিজাইন পুরোপুরি ভাবে ট্র্যাক ওরিয়েন্টেড করে তৈরি করা। তাই যিনি রাইড করবেন তার অবশ্যই আক্রমনাত্নক স্টাইল এবং হ্যান্ডেলিং সম্পর্কে অভ্যাস থাকতে হবে। কিন্তু চিন্তার কোন কারন নেই বাইকটি হালকা ধরনের। তাই GSX-R150 রাইড করে আপনি আনন্দ পাবেন। যদিও GSX-R150 রেসিং টাইপ করে তৈরি করা। তবুও এই বাইকে ছোট পিলিয়ন সিট রাখা হয়েছে। যদিও পিলিয়ন নেয়াটা কষ্টকর তবে অসম্ভব না। তবে এটা সত্য যে পিলিয়ন নেয়া জন্য পিলিয়ন সিট যথেষ্ট বড় নয়।
Yamaha R15 V3 আবার Yamaha R15 V3 রাইডিং পজিশন, সিটিং এবং কন্ট্রোলিং অনেক আক্রমনাত্নক। এর পেশি বহুল শরীর এবং ডাইমেনশন এক আলাদা অনুভূতি দেয়। যদিও বাইকটি GSX-R150 এরচেয়ে ওজনে সামান্য বেশি। এছাড়া স্যাডেল এর উচ্চতা একটু বেশি তবে প্রশস্ত। যেহেতু Yamaha R15 V3 এর রাইডিং স্টাইল আক্রমনাত্নক। তাই ট্রাফিক জ্যামে যেসব রাইডারদের উচ্চতা কম তাদের একটু সমস্যা হতে পারে। কিন্তু বড় চাকা এবং হুইল বেস হওয়ার কারনে তীক্ষ্ণ কর্নারিং এ বাইক অনেক বেশি স্টেবল। তবে আরো ভালো খবর হচ্ছে এর পিলিয়ন সিট অনেক প্রশস্ত। তাই পিলিয়ন নেয়াতে কোন রকম ঝামেলা পোহাতে হয় না। এখন বলা যায় যে Suzuki GSX-R150 vs Yamaha YZF-R15 V3 বাইক দুটির সিটিং এবং রাইডিং প্রায় একই রকম। তবে R15 V3 কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে কারণ এর রেগুলার পিলিয়ন সিটের জন্য। অপরদিকে GSX-R150 এর রাইডিং এবং হ্যান্ডলিং দুটিই অনেক সহজ। কারণ এটি ওজনে হালকা এবং স্যাডেলের উচ্চতায় কম। কিন্তু পিলিয়ন নেয়ার ক্ষেত্রে বেশি সুবিধার নয়।
Suzuki GSX-R150 vs Yamaha YZF- R15 V3 – ফিচার
Suzuki GSX-R150 vs Yamaha YZF-R15 V3 এদের ফিচার এর ক্ষেত্রে যদি বলি, তবে বাইক দুটি সম্পূর্ন নতুন। দুটি বাইকই লেটেস্ট এবং আপডেটেড ফিচার ব্যবহার করা হয়েছে। ফিচারের দিকে থেকে দুটি বাইক অনেক আকর্ষনীয়। চলুন দেখে নেয়া যাক নতুন কি কি ফিচার যুক্ত হয়েছেঃ
Suzuki GSX-R150-ফিচার
- ডিজাইনের সময় একে হালকা ওজনের তৈরি করা হয়েছে।
- থ্রী স্ট্যান্ডার্ড DOHC ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে।
- ট্র্যাক ফোকাসড ডিজাইন এবং ইঞ্জিন পারফর্মেন্স।
- ফুল ডিজিটাল গেজেটস।
- চাবি ছাড়া ইগনিশেন।
- এলএইডি হেড ল্যাম্প এবং ডিআরএল।
- স্লিক এবং এরো-ডায়নামিক ডিজাইন।
- নিচু স্যাডেল হাইট।
Yamaha R15 V3 – ফিচার
- বিল্ড কোয়ালিটি ভালো।
- ইঞ্জিন SOHC এবং VVA সমৃদ্ধ।
- এসিস্ট এবং স্লিপার ক্লাচ।
- প্রশস্ত উইন্ডস্ক্রিন।
- ফুল ডিজিটাল ওডো-মিটার।
- ইনভার্ট ফ্রন্ট সাসপেনশন।
- প্রশস্ত চাকা।
- এরো-ডায়নামিক বডি প্যানেল সাথে এয়ার টানেল।
- প্রশস্ত পিলিয়ন সিট।
Suzuki GSX-R150 vs Yamaha R15 V3 স্পেসিফিকেশন
Specification | Suzuki GSX-R150 | Yamaha YZF-R15 V3 |
Engine | Single Cylinder, Four Stroke, Liquid Cooled Engine | Single Cylinder, Four Stroke, Liquid Cooled VVA Engine |
Valve System | Four Valve, DOHC | Four Valve with VVA Camshaft , SOHC |
Displacement | 147.3cc | 155.1cc |
Bore x Stroke | 62.0mm x 48.8mm | 58.0mm x 58.7mm |
Compression Ratio | 11.5:1 | 11.6 ± 0.4 : 1 |
Maximum Power | 14.1KW (19.17PS) @ 10.500RPM | 14.4 W (19.58PS) @ 10,000RPM |
Maximum Torque | 14.0NM @ 9,000RPM | 14.7 NM @ 8,500 RPM |
Fuel Supply | Fuel Injection | Fuel Injection |
Ignition | Electronic | T.C.I |
Starting Method | Electric Start | Electric Start |
Clutch Type | Wet, multiple-disc | Wet Type Multi-Plate Clutch; Assist & Slipper Clutch |
Lubrication | Wet Sump | Wet Sump |
Transmission | 6 Speed, Pattern 1-N-2-3-4-5-6 | 6 Speed, Pattern 1-N-2-3-4-5-6 |
Dimension | ||
Frame Type | Diamond | Delta Box |
Dimension (LxWxH) | 2,020mm x 700mm x 1,075mm | 1,990mm x 725mm x 1,135mm |
Wheel Base | 1,300mm | 1,325mm |
Ground Clearance | 160mm | 155mm |
Saddle Height | 785mm | 815mm |
Weight | 131Kg (Kerb) | 137Kg |
Fuel Capacity: | 11 Liters | 11 Liters |
Wheel, Brake & Suspension | ||
Suspension (Front/Rear) | Telescopic / Mono Suspension | Telescopic (Inverted) / Link Monoshock |
Brake system (Front/Rear) | Both Hydraulic Disk Brake | Both Hydraulic Disk Brake |
Tire size (Front / Rear) | Front: 90 / 80-17 (TL) Rear: 130 / 70-17 (TL) Both Tubeless | 100/80-17M/C 52P; 140/70-17M/C 66S; Both Tubeless |
Electrical & Other | ||
Battery | 12V (MF) | GTZ4V/YTZ4V |
Head lamp | Single Pit LED With Double DRL | LED Headlamp (Four Pit, Double Unit) |
Tail Lamp | Bulb | Bulb |
Speedometer | Full Digital with Digital Rev Counter | Full Digital with Digital Rev Counter |
Suzuki GSX-R150 vs Yamaha R15 V3 – ইঞ্জিন ফিচার
স্পেসিফিকেশন টেবিল থেকে আমরা দুটি বাইকের আলাদা আলাদা কিছু চিত্র পাই। এখন আমরা কিছু টেকনিকাল আলোচনায় যাবো। আপনারা জানেন যে Suzuki GSX-R150 এর ইঞ্জিন ১৪৭.৩সিসি অপর দিকে Yamaha R15 V3 ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি ১৫৫.১সিসি। বাইক দুটির ইঞ্জিনই হাই রেভ এবং হায়ার আরপিএম এ অনেক বেশি ক্ষমতা উৎপন্ন করতে সক্ষম। ইঞ্জিন কম্পারিজন রেশিওতে আমরা দেখতে পাই যে, দুটি বাইক ই একই ক্ষমতা এবং টর্ক সমৃদ্ধ। কিন্তু কিছু দিক থেকে সম্পূর্ন রূপে আলাদা। Suzuki GSX-R150 এর ইঞ্জিন সিলিন্ডার স্কোয়ার টাইপ। নিচু আরপিএম এ ধীরে ধীরে এর আক্রমনাত্নক ভাব প্রকাশ পায়। এছাড়া ওজনে হালকা এবং এরো-ডায়নামিক ডিজাইন হওয়ার কারনে বাইক অনেক দ্রুত গতিতে এগিয়ে যায়। তাছাড়া এর জ্বালানি খরচও কম।
অপর দিকে Yamaha R15 V3 ইঞ্জিন স্কয়ার ডাইমেনশেন সিলিন্ডার। একই পরিমান ক্ষমতা উতপন্ন করে থাকে সকল আরপিএম এ। নিচের আরপিএম এ Yamaha R15 V3 অনেক বেশি পরিমানে ক্ষমতা এবং টর্ক উতপন্ন করে। এছাড়া এতে সম্পূর্ন নতুন প্রযুক্তির VVA ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। যার কারনে থ্রটল ঘুরালেই উচ্চ আরপিএম এ বাইক চলা শুরু হয়। তাই খাই স্পিড রাইডিং এ বাইকটি অনেক স্টেবল। যদি স্পিড এর কথা ধরা হয়, তবে এই বাইকটি সামান্য পিছিয়ে থাকবে। এর কারণ হচ্ছে এর বাল্কি ডিজাইন। এর প্রশস্ত বডি, অতিরিক্ত ওজন এবং প্রশস্ত টায়ার এর ক্ষমতা কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে। সব শেষে এসিস্ট স্লিপার ক্লাচ এর কথা না বললেই নয়। এর কারনেই বাইকটির ইঞ্জিনের পারফর্মেন্স পুরো নাটকীয় ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে।
Suzuki GSX-R150 vs Yamaha YZF-R15 V3 – সার সংক্ষেপ পরিশেষে রাইডার্স আমরা আমদের আলোচনার শেষ পর্যায়ে চলে এসছি। আশা করছি আপনারা সবাই Suzuki GSX-R150 বনাম Yamaha YZF-R15 V3 এর তুলনামূলক রিভিউ ইনজয় করেছেন। আমরা এখানে দুটি বাইকের ক্ষমতা এবং এদের সামর্থ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কোন পার্থক্য করার চেষ্টা করিনি। দুটি বাইকই নিজ নিজ জায়গায় অসাধারন। চয়েস এবং সিদ্ধান্ত আপনার। একমাত্র আপনি পারবেন সিদ্ধান্ত নিতে কোন বাইকটি আপনার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। আশা করি দুটি বাইক সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছি। যা আপনাদের অনেক সাহায্য করবে সিদ্ধান্ত নিতে। আপনাদের যেকোন জিজ্ঞাস বা তথ্য জানার ইচ্ছে হলে। আমাদের লিখে পাঠান। আশা করি আমরা আপনাদের সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে পারব। ধন্যবাদ সবাইকে।