Suzuki Gixxer SF 155cc মালিকানা রিভিউ - তানজিম আহমেদ
This page was last updated on 28-Jul-2024 06:10am , By Raihan Opu Bangla
আমার নাম তানজিম আহম্মেদ । আমার বাসা মাগুরা, আমার জীবনের প্রথম বাইকটি Bajaj Pulsar 150 ২০১২ মডেল । বর্তমানে আমি Suzuki Gixxer SF 155cc বাইকটি ব্যবহার করছি । আজ আমি আমার এই বাইকটির ব্যাপারে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো।
Suzuki Gixxer SF 155cc মালিকানা রিভিউ - তানজিম আহমেদ
বাইক চালানো শিখেছি আব্বুর হিরো হোন্ডা ১০০ দিয়ে তখন আমি ৮ম শ্রেণী তে পড়তাম। ভালোভাবে চালানো শিখে ২ বছর পরে পুরাতন একটি Bajaj Pulsar 150 কিনেছিলাম, বাইকটি ছিল আমার মামার।
মামা মারা যাওয়ার পরে বাইকটি ব্যবহার করা হতোনা তাই আমরা কিনে নেই। ২ বছর ব্যবহার করে আবার বিক্রি করে দেই। বাইকটা আমার আনেক পছন্দের ছিল এখনো মিস করি।
বাইকিং ভালোলাগার প্রথম কারন স্বাধীন ভাবে যে কোন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া যায় । ট্যুর দিয়ে দর্শনীয় জায়গা গুলো ভ্রমণ করতে পারি। যখন জীবনের প্রথম বাইকটি Bajaj Pulsar 150 ২০১২ মডেল কিনি তখন পালসার বাইকের আনেক চাহিদা ছিল।
তাছাড়া আব্বু আম্মুর পছন্দের ছিল । কয়েক জনের কাছ থেকে সাজেশন চাইলে তারা পালসার রেফার করেছিলেন। তারপর ২০১৯ এ Suzuki Gixxer SF 155cc ক্রয় করি তার কারন হচ্ছে তখন ২০ হাজার টাকা ক্যাশব্যক অফার চলছিল এবং কিছু বড় ভাই সাজেশন করেছিল। তাছাড়া আমার ভাইয়ার ও বাইকটা পছন্দের।
বাইকটি ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা দিয়ে যশোর সুজুকি শো-রুম থেকে কিনেছি। তখন ঈদ অফার চলছিল। ২০ হাজার টাকা ক্যাশব্যাক। বাইকটি কিনেছিলাম ঈদের আগের দিন বিকাল বেলায়। হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তাই বিকাল হয়ে গিয়েছিল যশোর আমার বাসা থেকে ৩০ কিলোমিটার দুরে। বাইক কিনতে আমি, ভাইয়া, কাকু গেছিলাম। কাকু আর ভাইয়া আগে চলে যায়, আমি পরে যাই।
বাইকটি প্রথমবার চলানোর অনুভূতি ছিল অসাধারণ । আগে কখনো Suzuki Gixxer চলাইনি ওই দিন প্রথম চালিয়ে কিছুটা আনকমফোর্ট লাগছিল। কিন্তু খুব মজা ও লাগছিল। ছোটবেলা থেকেই বাইকের প্রতি আকর্ষণ ছিল আমার। বাইক রাইড করলে নিজেকে সতেজ লাগে।
যদিও এখন প্রয়োজন ছাড়া রাইড করি না। আমার বাইকটি ১৫৫সিসি Suzuki Gixxer সিংগেল ডিস্ক। মন খারাপ থাকলে আমি বাইক চালাই মন ভালো হয়ে যায়। আমার বাইকটার বয়স ১ বছর +। এর মধ্যে ৪ বার ফ্রি সার্ভিস করেছি প্রতিবার সুজুকি সার্ভিস সেন্টার থেকেই সার্ভিস করেছি।
২৫০০ কিলোমিটার এর আগে ৪০ কিলোমিটার প্রতি লিটার মাইলেজ পেয়েছি। ২৫০০ কিলোমিটার এর পরে হাইওয়েতে ৪০+ কিলোমিটার প্রতি লিটার মাইলেজ পেয়েছি । আমি মাসে একবার আমার বাইকটাকে পরিষ্কার করি । মাসে একবার আমাদের এলাকার মেকানিক দিয়ে চেক করিয়ে নেই । হাওয়ায় প্রেশার চেক করি ।
Shell advance ইজ্ঞিন অয়েল ব্যবহার করি। 20W40 গ্রেড। ইঞ্জিন ওয়েল ব্যক্তিগত ভাবে আমার ভালো লেগেছে। গত বছর নভেম্বর মাসের ২৬ তারিখ মারাত্মক এক্সিডেন্ট করছিলাম। তারপর আমার বাইকটি SF বানিয়ে ফেলি এবং R15 V2 এর হ্যান্ডেলবার লাগিয়েছি এবং LED লাইট লাগিয়েছি। বাইকটি দিয়ে আমার সর্বোচ্চ স্পীড ১২৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
বাইকটির কিছু ভালো দিক -
- ইঞ্জিন পার্ফরমেন্স
- পার্টস খুব সহজেই পাওয়া যায়
- ব্রেক যথেষ্ট ভাল
- খুব দ্রুত গতি তুলতে পারে
- সিটিং পজিশন পারফেক্ট
বাইকটির কিছু খারাপ দিক -
- পিলিওন সিট কম্ফোর্ট না
- সামনের ডিক্স ৩০০ মিমি হলে আরো ভালো হতো
- বাইকের কালার গ্রেড তেমন একটা ভাল না
- কিট এর প্লাস্টিকের মান ভালো লাগেনি
- হেড লাইটের আলো একদমই অল্প
আমার বাইটি দিয়ে এখনও কোন লম্বা দুরত্বের ভ্রমণ করা হয়নি। তার কারন আমি এক্সিডেন্ট করছিলাম তাই বাসা থেকে এখন অনেক ভয় পায় বাইক রাইডিং। ৩ টা মারাত্মক এক্সিডেন্ট হয়েছে আমরা এই বাইক নিয়ে। একবার আমি, একবার ভাইয়া, আর একবার ভাইয়ার ফ্রেন্ড।
বাইকটি আসলেই অনেক ভালো আমি মনে করি এই সেগমেন্ট এর বেস্ট বাইক এটা। পারফেক্ট লুক, পারফেক্ট মাইলেজ, পারফেক্ট ব্রেক, ব্রান্ড ভ্যালু সবদিক দিয়ে একদম পারফেক্ট। ধন্যবাদ।
সুজুকির সব বাইকের দাম এবং সুজুকির শো-রুম সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ঘুরে আসুন। নতুন নতুন মোটরসাইকেল এর বিষয়ে খবর জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ সবাইকে।
লিখেছেনঃ তানজিম আহমেদ
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।