Suzuki Gixxer ৪০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - ছত্তার
This page was last updated on 30-Jul-2024 09:12am , By Shuvo Bangla
আমার নাম মোঃ ছাওার ভূইয়া । বর্তমানে আমি একটি Suzuki Gixxer বাইক ব্যবহার করি । আপনাদের সাথে আমার বাইকটি নিয়ে মালিকানা রিভিউ শেয়ার করবো ।
আমার দেশের বাড়ি নরসিংদী জেলার নজরপুর ইউনিয়নে দিলারপুর গ্রামে। আমি ব্যবসা করি ৷ আমি বাইকে ভ্রমন ও চলাচল করতে খুব বেশি ভালোবাসি । ৩ বছর ধরে বাইক চালাই , কম বেশি দক্ষ আছি বাইক রাইডে। কারন ব্যবসায়িক কাজে দূরে যেতে হয় ৷ বাইকটি ইতিমধ্যে ৪০০০ কিলোমিটার অতিক্রম করেছি।
Also Read: সর্বশেষ টেকনিক্যাল রিভিউ বাইক নিউজ বাংলাদেশ
আমি একজন মধ্যেবিত্ত ঘরের ছেলে ছোট থেকেই আমার শখ নিজের বাইক হবে ৷ সাথে আব্বার ও শখ নিজেদের বাইক হবে ৷ যতো বড়ো হই বাইক এর নেশা বেড়ে যায় ৷ কিন্তু কোনোমতে একটা বাইক এর সপ্ন পুরন করতে পারছিলাম না ৷ তখন সিন্ধান্ত নেই বাইক তো একটা নিবোই।
আমার কথা হলো দরকার হলে পুরাতন বাইক নিবো ১ লাখ এর মধ্যে তাও নিজের বাইক থাকবে কারন বাইক মানেই স্বাধীনতা ৷ কিন্তু মা এর কথা বাইক নিলে বড়ো বাইক নিবো, না হলে নিতে দিবো না। দরকার হলে ১ বছর পর হোক ! পরে আমি আস্তে আস্তে কিছু টাকা আমার ব্যবসা থেকে জমাতে থাকি ।
যখন আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা হয় ৷ তখন আমি আব্বার কাছে গিয়ে টাকা হাতে দিয়ে বলি আমাকে বাইক কিনে দিতে পরে আমার মা সব সময় আমাকে একটু বেশি আদর করে কারণ আমি এক মাএ ছেলে পরে মা বলে ছেলে কে একটা বাইক কিনে দেও বাকি টাকা ম্যানে্জ করে ৷
Also Read: জিপিএস বাইক নিউজ বাংলাদেশ
পরে আব্বু বলে যা আমি ম্যানে্জ করে কিনে দিব ভাল বাইক তখন আমি কি যে খুশি হইছি আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না ৷ আব্বা আম্মা সুজুকির শোরুম এ গিয়ে এই বাইকটি কিনে দেয় ৷ আব্বা আম্মার পছন্দকে সাই দিয়েই বাইকটি নিয়েছি ৷ অনেক ইতিহাস বাইক কেনার ছোট করে বললাম ৷
Suzuki Gixxer বাইক সম্পর্কে কিছু মন্তব্য -
বাইকটির মেনুফেকচার সম্পর্কে আমরা ইতি মধ্যেই অজ্ঞ হয়েছি। কাদা মাটি দিয়ে চালানোর অভিঙ্গতা অনেক বেশি। বাইকটিতে ব্যালেন্স মোটামটি ভালোই তবে কাদা মাটিতে খুব বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছে। এই বাইকটি এবি এস থাকার কারনে সহজে স্কিড করে না ।
মাইলেজ -
বাইকটি হাইওয়েতে লিটারে প্রায় এখন পযন্ত ৪৫-৫০ মাইলেজ পেয়েছি। আর অফরোডে প্রায় ৩৫-৪০ মাইলেজ পেয়েছি।
টপ স্পিড -
এখন পর্যন্ত ১১o টপ স্পিড পেয়েছি ঢাকা- মাওয়া হাইওয়েতে।
সিটিং পজিশন -
বাইকটির সিটিং পজিশন খুবই ভালো, পারিবার নিয়ে চালানোর মতো ৷
হ্যান্ডেলবার -
হ্যান্ডেলবার টি আমার কাছে খুবি কম্ফরটেবল । অনেক্ষন রাইড করলেও হাতে বা ঘারে ব্যাথা হয়না, রিলাক্স এ রাইড করা যায় ।
হেডলাইট -
LED লাইট ব্যবহার করা হয়েছে আলো খুব ভালো পাওয়া যায় । খুব ভালো আলো দেয়। যা আমার কাছে যথেষ্ঠ মনে হয়েছে।
ব্রেক -
ব্রেক নিয়ে আমার কিছু মন্তব্য আছে আবশ্য । তবে এই দানব গতির বাইকে ব্রেকিং টা আরেকটু ভালো হলে পারতো । ব্রেক করলে অনেক সময় চাকা স্কিড করে ৷
ইন্জিন -
যে কোন গিয়ারে সমান পাওয়ার সাপ্লাই করে । গিয়ার শিফটিং এ মাঝে মাঝে বাজে শব্দ করে এবং মাঝে মধ্যে গিয়ার হার্ড হয়ে যায় , গিয়ার পরতে চায়না ঠিক মতো ৷
সাউন্ড -
ব্রেক ইন পিরিয়ড থাকা কালিন সময় লং ট্যুর দেওয়ায় রকার থেকে সাউন্ড আসা শুরু হয় ৷ একটা বাজে শব্দ হতো কট কট করে৷ পরে সার্ভিস সেন্টার এ নিয়ে গেলে টাইমিং চেইন এ কাজ করে এবং রকার এ কাজ করে। এখন আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো সাউন্ড।
পিলিওন সিট -
অন্যান্য বাইক থেকে অনেক কমফোর্টেবল। বেশ আরামদায়কও বটে।
ক্লাচ -
স্লিপার ক্লাচ হওয়ায় খুব দ্রুত গিয়ার শিফট করা যায় কিন্তু মাঝে মধ্যে গিয়ার হার্ড হয়ে যায় ৷ কিসের জন্য হয় আমি বুঝতে পরিনা। হয়তো আমার চালানো ভুল ৷ নতুন বাইক তো ৷
আমার কাছে বাইকের লুকটা অনেক ভালো লাগে। সুইচ গুলো একটু আপডেট করা হয়েছে । বাইকটি নিয়ে একদিনে প্রায় ২oo+ কিলোমিটার রাইডের অভিজ্ঞতা আছে । সুজুকি ব্রান্ড এর বাইকগুলো লং রাইডের জন্য খুব ভালো ।
মোটো ট্রাভেল আমার সবচেয়ে বড় শখ। বাইকটি ক্রয় করার একটিই কারন বিভিন্ন জায়গায় ট্যুর করা। আর বাইক তো আমার নেশা৷ এই বাইকটি আপনাকে একটি পূর্নাঙ্গ রেসিং বাইকের ফিল দিবে। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। প্রতিটি বাইকারের জন্য রইলো অনেক অনেক ভালোবাস ও শুভ কামনা। ধন্যবাদ ।