Suzuki Gixxer 155 DD ১৭,০০০ কিলোমিটার রাইড রিভিউ - রায়হান
This page was last updated on 31-Jul-2024 09:54am , By Raihan Opu Bangla
আমার নাম রায়হান হোসেন। আমি একটি Suzuki Gixxer 155 DD বাইক ব্যবহার করি । বাইকটি নিয়ে আজ আমি আমার কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো । আমার বাইকটি বর্তমানে ১৭,০০০ কিলোমিটার রানিং ।
Suzuki Gixxer 155 DD ১৭,০০০ কিমি রাইড রিভিউ
আমার প্রথম বাইক ছিলো Tvs Apache RTR 150। বাইকটি আমি ১ বছর রাইড করেছিলাম। আমার ওই বাইক দিয়ে লাস্ট ট্যুর ছিল সাজেক। সাজেক থেকে আসার দিন রাতে আমার বাইকটি চুরি হয়ে যায় বাসা থেকে। বাইকটি চুরি হওয়ার ৬ মাস পর আমি Suzuki Gixxer 155 DD বাইকটি ক্রয় করি। বাইকিং ভালোবাসি কারন বাইক আপনাকে যতটা আনন্দ দিবে অন্য যানবাহনে এরকম আনন্দ পাওয়া যায় নাহ। বাইকের প্রতি ভালোবাসা সেই ছোট বেলা থেকেই।
Suzuki Gixxer 155 DD বাইকটি ক্রয় করলাম কারন ২ লক্ষ টাকা বাজেটের মধ্যে এর চেয়ে আর ভালো বাইক পাইনি আমি। এই বাইক এর ব্রেকিং এবং লুকস সব দিক থেকে আমার এই বাইকটি খুব ভাল লাগে। আর এসব দিক বিবেচনা করে আমি এই বাইকটি নিয়েছি।
আমি যখন বাইকটি ক্রয় করি তখন বাইকটির দাম ছিল ২ লক্ষ টাকা। বাইকটি আমাদের রায়পুর উপজেলার রুপালি ইলেকট্রনিক থেকে নিয়েছি ।বাইকটি কিনে দিয়েছিল আমার বড় ভাইয়া। আমার ভাইয়া দেশের বাহিরে থাকে। আমাকে বাইক কিনে দিবে বলেছিল ২০২০ জুলাই মাসের ১৬ তারিখ৷ কিন্তু জুলাই মাসের ৭ তারিখ রাতে ভাইয়া কল দিয়ে বলেছিল ৮ তারিখ বাইক কিনতে। খুবই খুশি হয়েছিলাম। পরের দিন সকালে গেলাম রুপালি ইলেকট্রনিকে। কিন্তু তারা বলেছিল বাইক নাই এখন ২ দিন সময় লাগবে। মনটা খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। পরে তাদের কে অনেক্ষন বলার পরে জেলার একটি শো-রুমে কথা বলেছিল। তারা বলেছিল আপনি অপেক্ষা করুন আমরা বাইকের ব্যবস্থা করতেছি । আমার তখন আর অপেক্ষা করার কোন ইচ্ছা ছিল নাহ। তাদের কে বললাম আপনারা ওই শো-রুম এ বলে দেন আমি গিয়ে বাইক নিয়ে আসি। তারা বলার পরে আমি গিয়ে বাইক নিয়ে আসলাম। আর তাদের শো-রুম এ এসে সেল রিসিট নিয়ে বাসায় চলে এলাম।বাইকটি প্রথম বার চালানোর অনুভূতি সত্যিই অন্যরকম ছিল। তা বলে বোঝানোর মত নয়। আমার বাইকটি ডাবল ডিস্ক। এর ব্রেক এর উপর মন থেকে ভরসা রাখা যায়। আমার বাইকের ৫ টা ফ্রি সার্ভিস এবং ৩ টা পেইড সার্ভিস করিয়েছি। সার্ভিস গুলা আমি যেই শো-রুম থেকে বাইকটি কিনেছিলাম তাদের সার্ভিস সেন্টারে করিয়েছি। ২৫০০ কিলোমিটার পূর্বে বাইকের মাইলেজ পেয়ছিলাম ৩৭-৪০ এবং পরে পেয়েছি ৪০-৪২। আমার বাইক আমি খুবই যত্ন সহকারে রাইড করি। সময় মতো ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করি। যেসময় যে কাজের প্রয়োজন হয় কাজ গুলো নিয়েমিত করিয়ে ফেলি। আমার বাইকে ৭০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত আমি মটুল 10W40 গ্রেডের মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি l
Suzuki Gixxer 155 Review Bangla By Team BikeBD
৭০০০ কিলোমিটার এর পর থেকে আমি Shell Advance Long Ride 10w40 ব্যবহার করি। যার দাম ৮০০ টাকা। আমার বাইকে প্রথমেই হেডলাইট পরিবর্তন করি কারন সেটি ছিল হ্যালোজেন লাইট। আমি LED 7s ব্যবহার করতেছি যার আলো খুব ভালো। আর বাইকের প্লাগ এবং এয়ার ফিল্টার পরিবর্তন করেছি ২ বার। এগুলো পরিবর্তন করছি বাইকের ভাল পারফরম্যান্স এর জন্য। আমি বাইকের হ্যান্ডেলটি গোল্ডেন কালার করেছি । বাইকের রিমে স্টিকার করিয়েছি।আমার বাইক দিয়ে আমার তোলা সর্বোচ্চ স্পীড ১২৩।
Suzuki Gixxer 155 DD বাইকের কিছু ভাল দিক -
- অসাধারণ লুক
- থ্রটল রেস্পন্স
- কম্ফোর্ট
- সাউন্ড
- মোটা চাকা
Suzuki Gixxer 155 DD বাইকের কিছু খারাপ দিক -
- স্টক হেডলাইটের আলো অনেক কম
- একটানা অনেক্ষন রাইড করলে সাউন্ড কিছুটা নষ্ট হয়ে যায়
- স্পীড ব্রেকারে প্রায় সময় লেগে যায়
- বাইকটির বল রেসার অনেক তারাতারি নষ্ট হয়ে যায়
- পার্টস এর দাম তুলনামূলক বেশি
আর কোন খারাপ দিক আমার চোখে পড়েনি। বাইকটি দিয়ে আমার লম্বা দূরত্বের ট্যুর ছিল রায়পুর-কক্সবাজার-রায়পুর সর্বোমোট ৭৫০ কিলোমিটার এর মত। এই ট্যুরে আমার বাইকের কোন সমস্যা হয়নি। ট্যুরের জন্য আমার কাছে ভালোই মনে হয়েছে। বাইকটি নিয়ে আমার মতামত হলো আমি বাইকটি নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালোই আছি।
3বড় কোন সমস্যা ছাড়াই বাইকটি নিয়ে ১৭,০০০ কিলোমিটার রাইড করছি। ২ লক্ষ টাকার মধ্যে এর থেকে ভাল বাইক আমার চোখে পড়েনি। যাদের বাজেট এরকম তারা নিশ্চিন্তে এই বাইকটি ক্রয় করতে পারেন। ধন্যবাদ । Lets See Suzuki Gixxer price in Bangladesh here.
লিখেছেনঃ রায়হান হোসেন আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।