Runner Bolt 165R এর সাথে রাইডিং অভিজ্ঞতা - এনামুল হাসান খান

This page was last updated on 30-Jul-2024 04:16pm , By Shuvo Bangla

আমি এমামুল হাসান খান (খান সাহেব) আপনাদের কাছে Runner Bolt 165R নিয়ে আজ কিছু কথা শেয়ার করবো । যদিও বাইকটা আমার বড় ভাইয়ের কিন্তু এর ব্রেক ইন পিরিয়ড এর দায়িত্ব পরেছে আমার কাঁধে। তাই শুরু থেকেই বাইকটি আমিই চালাচ্ছি । তো ভাবলাম আপনাদের সাথে এই বাইকটির রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করি ।

Runner Bolt 165R এর সাথে রাইডিং অভিজ্ঞতা 

runner bolt 165r meter view

বাইকটার প্রথম কিলোমিটার থেকেই আমার হাতে চলা তাই আপাতত এর টুকিটাকি কিছু বিষয় নিয়ে লিখাই যায়! কি বলেন? প্রথমত বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে লিফান এর ইঞ্জিন লিফানের রিলায়েবিলিটির প্রতি আস্থা রাখাই যায় । আমি নিজে লিফান কেপিয়ার চালাই ৪ বছর যাবত এবং Bolt বাইকটি হচ্ছে Lifan SS3 ।

Runner Bolt 165R বাইকটির সামনের দিকে রয়েছে আপসাইড-ডাউন টেলিস্কোপিক ফর্ক সাসপেনশন এবং পিছনে রয়েছে একটি মনো-শক সাসপেনশন। বাইকটির সামনে রয়েছে ১০০/৮০ সেকশন এর টিউবলেস টায়ার এবং পেছনে রয়েছে ১৩০/৭০ সেকশন এর টিউবলেস টায়ার ।

Runner Bolt 165R বাইকটিতে রয়েছে ৪-স্ট্রোক, সিঙ্গেল - সিলিন্ডার এবং ১৬৫ সিসির একটি পাওয়ারফুল ইঞ্জিন। ইঞ্জিনটি কার্বুরেটর এবং এয়ার কুল্ড। ইঞ্জিনটি থেকে 7500rpm এ 13.2BHP শক্তি এবং 6500rpm এ 14Nm টর্ক উৎপন্ন করে। বাইকটিতে রয়েছে ৫ টি গিয়ার। বাইকটির উভয় চাকায় রয়েছে ডিক্স ব্রেক ।


প্রথমে শুরু করবো Runner Bolt 165R বাইকের কিছু খারাপ দিক দিয়ে - 

  • ফেক্টরি এসেম্বলি খুবই বাজে মনে হয়েছে আমার। বল-রেসার, হেন্ডেল বার ও চাকার নাট গুলো টাইট দিতে হয়েছে। প্রচুর ভাইব্রেশন ছিল ইম্প্রপার এসেম্বলিং এর করনে।
  • কম্পানি থেকে যে ইঞ্জিন অয়েল টা দিয়ে দিয়েছে সেটা আমার পছন্দ হয়নি ।
  • এত রিচ কার্বুরেটর টিউনিং ব্রেক ইন পিরিয়ডে কোন লাভ হবেনা বরং প্লাগটার লংজিভিটি কমবে, সাথে অহেতুক মাইলেজ কম পাওয়া যাবে।
  • এই জুগে এসে বাইকে লেড-এসিড ব্যাটারি আমার পছন্দ হয়নি। বাজারে দেশীয় কোম্পানির অনেক ভালোভালো ড্রাই-জেল ব্যাটারি খুব পাওয়া যায় ।

এবার আসি Runner Bolt 165R বাইকের কিছু ভালো দিক দিয়ে এর ব্যাপারে-

  • রানার কোম্পানির হলেও বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে লিফানের ইঞ্জিন তাই এর উপরে আমার যথেষ্ট আস্থা আছে ।
  • এর পার্টস নিয়ে কোন সমস্যা হবেনা কারন এর অনেক পার্টস (রেগুলার পার্টস) বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন বেশ কিছু জাপানি বাইকের সাথে মিলে। কারন সেই সব জাপানি কোম্পানি গুলোর চাইনিজ থার্ড পার্টি ভেন্ডর এবং লিফানের ভেন্ডর সেইম। 
  • দামের সাথে লুকস এবং কোয়ালিটি হিসাব করলে সব দিক থেকে ভালো বলা চলে ।
  • এই সেগমেন্টের এয়ার কুল্ড বাইকের সাথে কম্পেয়ার করলে যথেষ্ট শক্তিশালী ইঞ্জিন।
  • ব্রেকিং এন্ড কন্ট্রোল চমৎকার।
  • ইঞ্জিন সাউন্ড খুব সুন্দর এবং ভালো মানের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারে আরো সুন্দর হবে আশাকরি।

আপাতত এই পর্যন্তই । আমি বাইকটি ১০০০+ কিলোমিটার রাইড করার অভিজ্ঞতা থেকে কথাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম । এতক্ষন ধরে আমার লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।   

লিখেছেনঃ এনামুল হাসান খান   

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।