Pegasus Fabio 125 - এর ফিচার রিভিউ
This page was last updated on 19-Aug-2024 12:50am , By Shuvo Bangla
যমুনা ইলেকট্রনিক্স ও অটোমোবাইলস বাংলাদেশের বাজারে পেগাসাস ব্র্যান্ডে নামে বেশ কিছু মোটরসাইকেল বাজারজাত করছে। যেগুলোর মধ্যে Pegasus Fabio 125 একটি, যা অনেকটা ক্রুজারের মতোই। তাই ক্রুজারপ্রেমীদের জন্য আজকের আয়োজন Pegasus Fabio 125-এর ফিচার রিভিউ।
পেগাসাস ফ্যাবিও ১২৫-এর অন্তরালের অন্তরমহল
শুরুতেই বলেছি যমুনা ইলেকট্রনিক্স ও অটোমোবাইলস লিমিটেড (জেইএএল) বাংলাদেশে পেগাসাস ফ্যাবিও ১২৫ বাজারজাত করছে। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে যমুনা গ্রুপের অঙ্গসংগঠন হিসেবে যাত্রা শুরু করে ওই প্রতিষ্ঠানটি। আর যমুনা গ্রুপের টেক্সটাইল, কেমিকেল, রিয়াল এস্টেট, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া, শপিং কমপ্লেক্সসহ নানা ধরনের ব্যবসা রয়েছে।
আর যমুনা গ্রুপের অঙ্গসংগঠন জেইএএল নানা রকম ইলেকট্রনিক হোম অ্যাপ্লায়েন্স বাজারজাত করে থাকে। পাশাপাশি তারা মোটরসাইকেলও বিক্রি করছে। তারা ‘কমিটেড টু প্রোসপারিটি’ স্লোগানে এগিয়ে চলেছে এদেশের মোটরসাইকেল বাজারে।
পেগাসাস ফ্যাবিও ১২৫ – দর্শনদারী
ডিজাইন ক্রুজারের মতো হলেও পেগাসাস ফ্যাবিও ১২৫ আসলে কমিউটার বাইক। এটা দেখতে সুশ্রী ও বেশ স্টাইলিশ। এর রাইডিং পজিশন ও ঊর্ধ্বমুখী হ্যান্ডেলবার সত্যিই ক্রুজিংয়ের উপযুক্ত। তাছাড়া রাইডার ও পিলিয়ন উভয়ের জন্যই আরামদায়ক সিট রয়েছে এতে।
Also Read: All Pegasus Motorcycle Ownership Review
লুকস ও ডিজাইনের দিক থেকে পেগাসাস ফ্যাবিও ১২৫ আসলেও দৃষ্টি আকর্ষণী একটি বাইক। এর ফুয়েল ট্যাঙ্ক গোলাকার ও চওড়া। আর এর চওড়া ডিজাইনের সঙ্গে স্ফীত বডি প্যানেল, রিয়ার পার্ট, হেডল্যাম্প সুন্দরভাবে মানিয়ে যায়।
আর উজ্জ্বল রঙটির ফিনিশিং বেশ সুন্দর। অবশ্য কয়েকটি অংশে ফ্যাকাশে রঙও ব্যবহার করা হয়েছে। তবে আর সব ক্রুজারের মতো এতে ক্রোমের কাজ করা নেই। শুধু এক্সজস্ট মাফলার, হ্যান্ডেলবার ও সামনের শক অ্যাবজর্ভারে ক্রোমের কাজ করা হয়েছে।
অন্যদিকে পেগাসাস ফ্যাবিও ১২৫ এর অডো কনসোলটি অ্যানালগ। অবশ্য এর ডাবল পিট গোলাকার ডিজাইন খুব সহজেই বাইকের সঙ্গে মানিয়ে যায়। আর সিটের শেষ প্রান্তে অ্যালয়ের তৈরি লাগেজ ক্যারিয়ার রয়েছে। তাই সর্বোপরি প্রতম দর্শনে বাইকটি ভালোই চোখে লাগবে।
পেগাসাস ফ্যাবিও ১২৫ – ইঞ্জিন ও ফিচার
পেগাসাস ফ্যাবিও ১২৫ ক্রুজারের স্টাইলে তৈরি কমিউটার বাইক।এর ইঞ্জিন ৪-স্ট্রোক সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুলড, যার ডিসপ্লেসমেন্ট ১২৫ সিসি। এ্রর ১২৫ সিসির এই ইঞ্জিন সর্বোচ্চ ৭.৫ কিলোওয়াট শক্তি ও ৮.৮ নিউটন মিটার টর্ক উৎপাদন করতে পারে।
সম্পূর্ণ স্পেসিফিকেশন দেখতে ক্লিক করুন
তাছাগা এর কম্প্রেশন রেশিও ৯.০ : ১ এবং এর ওজন মাত্র ১১০ কেজি। তাহলে বুঝতেই পারছেন বাইকটি বানানোই হয়েছে প্রাত্যহিক কমিউটিং ও সপ্তাহান্তে ছোটোখাটো ক্রুজ করার জন্য। ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ হয় কার্বুরেটরে এবং কিক ও ইলেকট্রিক উভয় পদ্ধতিতেই স্টার্ট দেওয়া যায়।
পেগাসাস ফ্যাবিও ১২৫ – হুইল ও সাসপেনশন
পেগাসাস ফ্যাবিও ১২৫-এর সাসপেনশন সাধারণ মানের। সামনে টেলিস্কোকি ফর্ক এবং পিছনেরগুলো সিলড ব্যারেল কয়েল স্প্রিং।
এর হুইলগুলো অ্যালয়ের ও এতে ১০টি স্পোকের আদলে বানানো হয়েছে। টায়ারগুলো বিশেষ দিকমুখী না এবং টিউবলেসও নয়।
আর এতে ডিস্ক ও ড্রাম উভয় ব্রেকই রয়েছে। সামনে হাইড্রলিক ডিস্ক ও পিছনে ড্রাম।
Pegasus Fabio 125 এর নতুন মূল্য তালিকা দেখতে ক্লিক করুন
এই ছিলো পেগাসাস ফ্যাবিও ১২৫-এর বিস্তারিত। এর ফিচারগুলো পড়ে বোঝা যাচ্ছে এটি মূলত কমিউটার বাইক, যা ক্রুজারপ্রেমীদের ভালো লাগবে। আর যেহেতু বাইকটি চালিয়ে দেখার সুযোগ হয়নি, রাস্তায় এর সার্ভিস কেমন হবে তা বলতে পারছি না। তবে আরামদায়ক যে হবে, তা নিশ্চিত বলা যায়। আজ এখানেই বিদায়। ধন্যবাদ।