New Suzuki Gixxer মানেই বেস্ট কন্ট্রোলিং বেস্ট ব্রেকিং সিস্টেম - শাহিন আলম
This page was last updated on 28-Aug-2024 12:45pm , By Shuvo Bangla
আমি শাহিন আলম সূর্য , আমার বাসা যশোর সদর । আমি বর্তমান একটা প্রাইভেট IT Farm কর্মরত আছি । ঘুরা ঘুরি আমার নেশা সময় পেলেই আমি বাইক নিয়া বের হয়ে পরি কোন এক নতুন জায়গার খোজে। শেয়ার করবো New Suzuki Gixxer নিয়ে কিছু রাইডিং অভিজ্ঞতা । বাইকের প্রতি ভালোবাসা -
শুরুটা কি ভাবে করবো বুঝতাছি না কিন্তু বাইকের পতি ভালবাসাটা ছিলো ছোট থেকেই । আমার ছোট বেলাটা কেটেছে অনেক কষ্টে যেখানে বাইকের কথা চিন্তা করাটাও ব্যায়বহুল। বাবার ছাইকেল কেনার মতো সামর্থ ছিলোনা সেখানে বাইক তো অনেক দূরে কিন্তু রাস্তা দিয়া কোন বাইক গেলেই তাকাই থাকতাম আর ভাবতাম এটা কি ভাবে চালায় আর আমি কবে চালাবো কবে আমার একটা বাইক হবে।
মনে মনে একটা কথা বলতাম বড় হয়ে নিজের টাকায় বাইক কিনবো আলহামদুলিল্লাহ আমি সেটা পেরেছি আমি এখন একটা New Suzuki Gixxer এর মালিক আমি নিজের টাকা দিয়া বাইক কিনতে সক্ষম হয়েছি।
প্রথম বাইক চালানোর অভিজ্ঞতা -
আমি যখন Class 8 এ পড়ি তখন আমি প্রথম কোন বাইক চালানোর সুযোগ পাইছি তাই কোন ভাবেই সুযোগটা মিছ হতে দেইনি সাথে সাথে চাবি নিয়া বাইকের উপর । আচ্ছা আগে বলি বাইকটা কার এবং কিভাবে পেলাম ? আমি যখন 8 এ পড়ি তখন আমার পাশের বাসার বোন এর জামাই নতুন বাইক Dayang 80cc নিয়ে শুশুর বাড়ি আসছে তো দুলাভাই এর সাথে আমার খুব ভালো সম্পর্ক । দুলাভাইর নাম ফিরজ, অনেক ভালো একজন মানুষ । তো যাই হোক ফিরজ ভাই বাইক নিয়া আসছে ফিরজ ভাই বাইক মানে আমার বাইক তো আর দেরি কিসের চাবি নিয়াই বাইকের উপর। বাইক চালানো কখনো আমাকে কেও শিখাইনাই আমি যখন কারোর বাইকে উঠতাম তখন আমার নজর থাকতো উনার হাত পার দিকে । তো আমি ঠিক ওই ভাবেই চাবি লাগাই দেখি N এর উপর আলো জলে আছে আমি তখন বুঝছি এখন ইষ্টাট দেয়া যাবে তো আর কি দিলাম কীক এক কীকের ইষ্টাট হয়ে গেলো পরে প্রথম গিয়ার এ ফেলার সাথে সাথে বাইক সামনের দিকে টান দিয়া অফ হয়ে গেলো আবার N করে বাইক অন করলাম আর ফিরজ ভাইয়া বলে দিলো ক্লাছ আস্তে আস্তে ছারো আমি ঠিক ওই ভাবেই ছাড়লাম আর বাইক চলতে থাকলো উফফফহ তখন যে কি একটা প্রশান্তি যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না ।
তখন আমর মনে হচ্ছিলো আমি কিছু একটা জয় করে ফেলেছি । তো যাইহোক বাইক চলতেছে কিন্তু আমি তখনো পর্যন্ত বুঝিনা গিয়ার কয়টা আর কী কী । ১/২ গিয়ারে রেখে বাসার সামনে দিয়া যাচ্ছি আর আসতেছি বাইক তো অনেক ছাউন্ড করছে বাইকের শব্দ শুনে ফিরজ ভাই বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তাই আসছে কিন্তু বেচারা কি আর বলবে শালা বাইক নিছে তারও কিছু বলার নাই ভাইয়া দেখতে থাকলো আমি আরো ২ পাক দেওয়ার পর বাইক নিয়া এসে দাড়ালাম এখন আব্দুল্লাহ আমার পাশের বাসার চাচাতো ভাই ও এসে দাড়ায় আছে আমি আসলে ও চালাবে তো আমি এসে বাইক রাখলাম দেখি বাইক এর ইঞ্জিন আগুন এর মতো গরম হয়ে গিয়েছে আমি বুঝিনা কেন গরম হয়ছে কিন্তু ফিরজ ভাইয়া তো বুঝতে পারছে তাই উনি কিছুই বলেনাই আর পরে আব্দুল্লাহ বাইকের উপর উঠলো আর আমি তো তখন প্রো রাইডাই ৮/১০ পাক দেওয়া হয়ে গিয়েছে । আমি তো স্যার এর মতো ওকে বুঝিয়ে দিতেছি এটা এই ভাবে করবি । তারপর ও কিক মারলো কিন্তু স্টার্ট হলো না ২/৩ বার চেষ্টা করে স্টার্ট হলো যাক ভালো কথা আমি ওকে বললাম ক্লাস ধরতে ও ক্লাস ধরছে তারপর গিয়ার দিতে বললাম ও গিয়ার দিয়ে ক্লাস ছেড়ে দিয়েছে তারপর আর কি যা হবার তাই হলো বাইক সোজা উরে গিয়া কলা বাগানের ভিতরে।
কিন্তু বেচাড়া ফিরজ ভাই কি আর করবে আসলো এসে বাইক উঠালো তারপর আমরা সবাই মিলে বাইক পরিষ্কার করছি বাইক এর সেফগাড টা বেকে গিয়েছিলো এছাড়া বাইকে তেমন কোন ক্ষতি হয়নি । তো এটা ছিলো আমার প্রথম বাইক চালানোর অভিজ্ঞতা।
আমার প্রথম বাইক কেনা -
প্রথম বাইক কেনার অনুভুতিটা কি সেটা প্রকাশ করে বুঝানো সম্ভব না । আপনি বুঝতে পারছেন ছোটবেলার সেই স্বপ্ন বড় হয়ে নিজের টাকায় বাইক কিনবো আর আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে এটা এক অন্যরকম অনুভূতি। তো যাই হোক অবশেষে আমি বাইকটা কিনলাম অনেক কাহিনির পর। আমার ড্রিম বাইক এটা । এই বাইকটা যখন মার্কেটে আসে তখন Gixxer লাভারদের ভিতর হইচই লেগে যায় ।
টাকা নিয়া বসে আছি কিন্তু বাইক নাই । এই বাইকটা কেনার জন্য শোরুমে Advance টাকা দিয়া বুকিং দেয়া লাগতো। যে আগে বুকিং দিবে সেই আগে পাবে সেটা ১৫ দিনও লাগতে পারে আবার ১ মাসও লাগতে পারে । তো যাই হক আমি আমাদের যশোর শোরুমে এক বড় ভাই এর মাধ্যমে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা Advance করে বাইক বুকিং দিই কিন্তু দুর্ভাগ্য ক্রমে ২ মাস অপেক্ষা করার পরও আমাকে বাইক দিতে পারেনি আবার এই দিকে ঈদ চলে আসছে ।
ঈদের কিছু দিন আগে আমি রেগে ওই ভাইর কাছে চলে যাই তারপর ভাইয়া কে বললাম বুকিং এর টাকা ফেরত দিতে ভাইয়া আমার কথা মতো টাকা ফেরত দিয়ে দেয় । পরে আমি আমার আসে পাশে সব শোরুমে খোজ নিতে থাকি খুলনা , বেনাপোল , ঝিনাইদাহ , চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর কুষ্টিয়া কোথাও বাইক পেলাম না । আমার বন্ধু পিয়াম তখন ঢাকায় ওকে কল দিয়া বললাম এই কাহিনি আর বললাম আমি টাকা নিয়া আসছি ঢাকা থেকে বাইক কিনে বাসায় আসবো তুই রেডি থাক ।
যেমন কথা তেমন কাজ বাসায় না বলে আমি টাকা নিয়া ২৬ রোজার সকালের যশোর নিউমার্কেট কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে সোজা ঢাকায় চলে গেলাম। সন্ধার পর পর নামাই দিলো গাবতলি টারমিনাল এ। তখন আর পদ্মা সেতু ছিলো না ফেরি পারা পার হয়ে ঢাকায় আসতে হতো । তো যাই হোক ঢাকায় এসে মোহাম্মদপুর আকাশ এর কাছে গেলাম আকাশ আমার বন্ধু আর পিয়াম এর ফুফাত ভাই একই বয়স ওদের ।
তারপর পিয়াম সাকিব এর RTR বাইক নিয়া আকাশ এর বাসায় চলে আসলো আমি দেরি না করেই টাকার ব্যাগটা নিয়া ওকে বললাম চল । প্রথমে আমরা বাংলা মটরস এ যাই, বাংলা মটরস এ যতগুলা শোরুম আছে সব গুলা শোরুমে গিয়েছি কোথাও Gixxer Fi Abs বাইক নাই। পরে তেজগাঁও , মিরপুর, মোহাম্মাদপুর যে যেখানকার নাম বলছে আমি আর পিয়াম সেখানে চলে গিয়েছি কিন্তু কপাল খারাপ ঈদ এর আগে আমি আমার বাইকটা পেলাম না ।সব স্বপ্ন শেষ করে বাসায় চলে আসতে হলো । কিন্তু আমি থেমে থাকিনি আবার সেই যশোর আমাদের SUZUKI শরুমে ঈদ এর পর ২৬ তারিখ এ চলে যাই আর আবার আমি ৫ হাজার টাকা Advance করে বাইক বুকিং দেই কিন্তু এবার আর আমার অপেক্ষা বেফলে যায়নি পরের মাসে ঠিক ২৬ তারিখ এ বিকালে আমাকে কল দিয়া বলে সূর্য ভাই আপনার বাইক চলে আসছে কখন আসছেন ? আমি শুনে তো চিৎকার দিয়া উঠছি আর চোখ দিয়া কেন জানি পানি বের হচ্ছিলো বুঝতে পারছিলাম না কিছুই ।
আমি তখন কুষ্টিয়া ছিলাম সাথে সাথে বাসায় ব্যাক করলাম বাসায় আসতে আসতে ৭ টা বেজে গিয়েছে এদিকে তখন আবার কারেন্ট এর ঝামেলা চলছে সরকার নিয়ম করছে সব দোকান পাট রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে তখন অলরেডি ৭ টার বেশি বাজে। আমি শোরুমে কল দিয়া বললাম দোকান খোলা রাখতে আমি আসছি কিন্তু তারা দোকান অফ করে দিবে আমাকে বলছে তাড়াতাড়ি আসতে ৭ঃ৪৫ বাজে কিন্তু আমি নাছর বান্দা আমি বন্ধু রফিক কে কল দিয়ে বললাম তুই শোরুমে গিয়ে সব কিছু রেডি কর আমি আসছি ।
রফিক সুজুকির শোরুমে চলে যায় আমার কথা মতো তখন শোরুম অফ করতেছে ও কোন রকম ওদের মেনেজ করে বাইক গোডাউন থেকে বের করে রেডি করছে তখন আমি কবির ভাই কে নিয়া শোরুমে চলে আসছি । এসে দেখি শোরুম তো অফ করে দিছে কারন তখন ৮ : ১০ এর মত বাজে ওরা শোরুম এর সাটার অফ করে দিয়েছে ভিতরে আমার ড্রিম বাইকটা রেডি করছে পড়ে আমি রফিক কে বললাম আমরা চলে আসছি ।
শোরুম এর সাটার খুলে আমাদের ভিতরে ঢুকালো। তারপর সব প্রসেস শেষ করে আমি আবার বাইকের কাছে চলে গেলাম চোখটা ভারি হয়েছিলো মনে হচ্ছে পানি বের হবে তার পরেই রফিক এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো মামা তোর বাইক। তারপর সবাই মিলে বাইকের সাথে কিছু ছবি তুললাম। তারপর শুভ ভাই আমার হাতে বাইকের চাবি দিয়া বললো ভাই সাবধানে রাইড করবেন আমি বললাম ফিহ-আমানিল্লাহ ভাই । শুভ ভাই বাইকের চাবি দিলো আমি বাইকের উপর উঠে চাবি দিয়া যখন বাইক এর সেলফ অন করলাম তখন মনের ভেতর টা যে কি এক অনুভূতি কাজ করছিলো এটা কখন কাওকে প্রকাশ করে বুঝাতে পারবো না। তো এই ছিলো আমার প্রথম বাইক কেনার অভিজ্ঞতা ।
আমার ড্রিম বাইক Gixxer নিয়ে কিছু কথা -
Gixxer এর প্রতি আমার প্রথম ভাললাগা শুরু হয়েছে আমি যখন ক্লাস ৯ এ পড়ি তখন থেকে। আমি ক্লাস ৯ এ যখন পরি তখন ঢাকা নিকুঞ্জ-১ এ আমার খালা মনির বাসায় যাই তো খালামনির বাসার নিছে একটা নিল রঙের Gixxer Sf-155 দেখি তার পর বাইকের কাছে গিয়ে দেখতে থাকি পরে দেখি ওটা আমার কাজিন এর বন্ধুর বাইক তার পর ভাইয়া ওই ভাইয়ার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো ভাইয়ার নাম ছিলো জিম ।
আমি জিম ভাইয়ার সাথে অনেক খাতির করতাম বাইকে উঠার জন্য। জিম ভাইয়া ঢাকা এয়ারপোট হাইওয়ে তে আমাকে পিছনে বসিয়ে ১০০+ স্পীড এ বাইক রাইড করছে আমি ভাইয়ার পিছনে বসে শক্ত করে ভাইয়া কে ধরে রাখছি তখন থেকেই Gixxer প্রতি প্রথম ভালবাসা শুরু হয়। তার পর থেকে যেখানে Gixxer দেখতাম তাকিয়ে থাকতাম। এর পর থেকে Facebook বিভিন্ন পেজ দেখতাম এই ভাবেই Bike BD এর পেজ এর সাথে সংযুক্ত হলাম। Bike BD অনেক ভাই এর পোষ্ট দেখতাম আর মন দিয়া পরতাম এই ভাবে চলতে চলতে MSI Vlogs রানা ভাইয়ার একটা ভিডিও দেখলাম । রানা ভাইয়া তখন Gixxer Fi Abs-155cc এর রিভিও এর ভিডিও আপলোড করছে আমি পুরা ভিডিও টা না টেনে দেখছি আর তখন থেকেই আমি রানা ভাইয়ার ভক্ত হয়ে গিয়েছি । তারপর আর কি Gixxer Fi Abs সম্পর্কে সব কিছু জেনে Gixxer Fi Abs এর উপর আমার ভালো লাগাটা শুরু হয়ে গিয়েছে তো আর কি সিদ্ধান্ত নিলাম বাইক কিনলে Gixxer Fi Abs টাই কিনবো । এই ছিল আমার Gixxer এর উপর ভালোবাসার কাহিনী ।
Gixxer এ আমার প্রথম অভিজ্ঞতা -
Gixxer এর সাথে আমার পথ চলা শুরু হয় ২৬-০৬-২০২২ থেকে। এর বাইক নিয়া আমি খুলনা বিভাগের অনেক জেলা যেমন খুলনা বাঘের হাট থেকে শুরু করে সাতক্ষীরা , মনিরামপুর, বেনাপোল, ঝিনাইদাহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া , নড়াইল , গোপালগঞ্জ ঢাকার ভিতরে এবং বাইরে অনেক লং ট্যুর শট ট্যুর দিয়েছি।
আমি Gixxer এ ১২৭ পর্যন্ত টপ স্পীড তুলছি ঢাকা মাওয়া হাইওয়ে তে কিন্তু আল্লাহর রহমতে কখনো এই বাইকটা আমাকে হতাশ করেনি। আমার বাইক ২০ হাজার + রাইড করছি কিন্তু তেমন কোন সমস্য আমি পাইনি। Gixxer মানে Gixxer এর সাথে কারোর তুলনা আমি কখনো করবো না।
আমি এখনো পর্যন্ত আমার বাইকের মাইলেজ টেস্ট করেনি কারন আমার প্রয়োজন হয়নি কখন মাইলেজ টেস্ট করার , কারন আমি যা চেয়েছি তার থেকে বেশিটা পেয়েছি।
২০ হাজার + কিলোমিটার রাইডিং এর অভিজ্ঞতা -
Suzuki Gixxer মানেই বেস্ট কন্ঠোলিং বেস্ট ব্রেকিং সিস্টেম। Gixxer যে না চালাবে তাকে কখনো বুঝানো যাবেনা এই বাইকটা কতটা স্মুথ বাইক। আমি কখনো আমার বাইক রাফ রাইড করি না। নিজের টাকায় কেনা তো এর জন্য খুব যত্ন সহকারে রাইড করি। আমি খুব সাবধানতার সাথে প্রপার সেফটি মেইনটেইন করে বাইক রাইড করি।
যানজট এর ভিতর ১০/১৫ কিলোমিটার স্পিডে রাইড করছি আবার ফাকা রাস্তায় ১২৭ পর্যন্ত স্পিড উঠিয়েছি তবে আবশ্যই সেফটি মেইনটেন করে। চাকুরির সুবাদে আমাকে ঢাকায় থাকতে হতো তো বাসা যশোর হওয়ায় আমি বাইক নিয়ে ঢাকা টু যশোর রাইড করতাম। ঢাকা থেকে যশোর রাইড করে আমার বিন্ধু পরিমান ক্লান্তি অনুভব হতো না ।
এই বাইকটা রাইড করে বাইকটা এতোতাই কম্ফোট কিন্তু হ্যাঁ আমি প্রতি ৬০/৭০ কিলোমিটার রাইড করার পর চা খাওয়ার ব্রেক নিয়েছি আর বাইকটা যেহেতু এয়ার কুলিং ইঞ্জিন সেহেতু বাইকেরও একটু রেস্ট দিয়েছি । এর ভিতরে ফ্রেন্ড দের সাথে অনেক জায়গায় অনেক বার ট্যুর দেওয়া হয়েছে কিন্তু আল্লাহর রহমতে কখনো কোন সমস্যায় পরতে হয়নি এই বাইকটা নিয়ে।
ব্রেক ইন পিরিয়ড যে ভাবে পার করছি -
রানা ভাইয়ার কাছ থেকে শুনছি ব্রেক ইন পিরিয়ড বলতে আসলে তেমন কিছু নাই । কম্পানি এটা কেনো মেনটেন্ট করতে বলে জানিনা। ব্রেক ইন পিরিয়ড বলতে বুঝি প্রথম অবস্তায় বাইকের ইঞ্জিন অয়েল ঘনঘন চেঞ্জ করতে হয় সাথে বাইকের ইঞ্জিন নতুন অবস্তায় অনেক ক্ষয় হয় আর এতে ইঞ্জিন অয়েলের সাথে ক্ষয় হওয়া ময়লা বের হয়ে আসে ।
আমিও ঠিক তেমনি করছি ৩০০ কিলোমিটার রাইড করে প্রথম ইঞ্জিন অয়েল ড্রেন দেই তারপর ৮০০ কিলোমিটার তারপর ১২০০ তারপর ১৮০০ তারপর ২৫০০ পর্যন্ত ব্রেক ইন পিরিয়ড মেইনটেইন করি এর ভিতর কখনো ১০০+ স্পিড উঠাইনি । এখন আমার বাইক ২০ হাজার + রাইড করেছি আমি এখন ফুল সিন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েল ব্যাবহার করি । প্রাতি ১৫০০ - ১৮০০ কিলোমিটার রাইড করে ইঞ্জিন অয়েল ড্রেইন দেই। যশোর বাসা হওয়ার সুবাদে সবসময় ভালো ইঞ্জিন অয়েল টা হাতের নাগালেই পেয়েছি ।
ইঞ্জিন অয়েল যেটা ব্যবহার করছি -
আমি প্রথম অবস্থায় মতুল 10W40 মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করছি তারপর মটুলের সিন্থেটিক ব্যবহার করছি । কিন্তু এখন Shell Advance Ultra 10W40 ফুল সিন্থেটিক ব্যবহার করছি। ২ টা ইঞ্জিন অয়েল ভালো কিন্তু ২টা তেই ২ রকম পার্ফরমেন্স পাবেন । মতুলে থ্রটল রেস্পন্স বেশি পাবেন কিন্তু স্মুথনেস কম পাবেন আর শেল এডভান্স এ থ্রটল রেস্পন্স কম পাবেন, হিটিং ইস্যু তুলনামূলক অনেক কম হয় ।
New Suzuki Gixxer এর কিছু ভাল দিক -
এই সেগমেন্ট এ বেস্ট বাইক মনে হয় আমার অন্য বাইকের সাথে তুলনা করলে ।
এ বি এস থাকায় বেস্ট ব্রেকিং কন্ট্রোল + বেস্ট কর্নারিং করা যায় ।
বাইকে Fi থাকায় মাইলেজ অনেক বেশি হওয়ায় ফুয়েল খরচ অনেক কম হয় ।
বেস্ট লুকিং এবং কালার কম্বিনেশন।
সিটিং পজিশন টা অনেক ভালো এর জন্য রাইড করতে ক্লান্তি হাত ব্যাথা কোমরে ব্যাথা হয়না ।
হাইট কম হওয়া সত্তেও খুব সহজে মাটির নাগাল পাই ।
New Suzuki Gixxer এর কিছু খারাপ দিক -
এই বাইকে লিকুইড কুলিং সিস্টেম নাই ।
গিয়ার শিফটিং অনেক হার্ড ।
পিলিয়ন সিট কম্ফোর্ট না।
কালার টা অল্পদিনে ফেকাসে হয়ে যায়।
ভাঙ্গা রাস্তায় এ বি এস ফল্ট করে যেটা খুবই খারাপ।
এই ছিলো আমার রাইডিং এর কিছু অভিজ্ঞতা । সবাইকে ধন্যবাদ আমার লেখাটি পড়ার জন্য । সকলের উদ্দেশ্যে একটা কথা বলতে চাই কেউ হেলমেট ছাড়া বাইক রাইড করবেন না ওভার স্পিডে রাইড করবেন না । ট্রাফিক আইন মেনে রাইড করুন এবং প্রপার সেফটি পরিধান করে বাইক রাইড করবেন , ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ শাহিন আলম সূর্য