New Suzuki Gixxer SF মালিকানা রিভিউ - সম্রাট হোসাইন
This page was last updated on 30-Jul-2024 08:45am , By Shuvo Bangla
আমি মোঃ সম্রাট হোসাইন, আমি অনার্স ২য় বর্ষের একজন ছাত্র। আমি পাবনার ঈশ্বরদীতে থাকি। বাইকের প্রতি ভালোবাসা ছোটবেলা থেকেই। আমি আমার প্রথম বাইক New Suzuki Gixxer SF নিয়ে মালিকানা রিভিও শেয়ার করবো।
ছোটবেলা থেকেই বাইকিং অনেক ভলোবাসি। বাইক চালানো শিখছি ক্লাস ৯ থেকেই বড় ভাইয়ের হাত ধরে। তখন থেকে জীবনের অধিকাংশ সময় বাইকের সাথেই কাটিয়েছি। কিন্তু পরিবার থেকে আমাকে নিজস্ব কোনো বাইক কিনতে দেয়নি।
সবসময় বলেছিলো অনার্সে উঠার পর কিনে দিবে। অবশেষে অনর্স উঠার পর বাইক কিনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। বাইক কিনার আগে বাইক পছন্দ করা অনেক বড় একটি চ্যালেন্জ হয়ে দাড়িয়েছিলো আমার জন্য। নির্দিষ্ট বাজেটের উপর ভিত্তি করে বাইকের লুকিং, পারফরমেন্স ও ব্রেকিং এর দিকে প্রাধান্য দিয়ে বাইকটি কিনে ফেললাম ।
বাইকটি ক্রয় করেছিলাম পাবনা সুজুকি শোরুম থেকে ২,৯২,০০০ টাকা দিয়ে। বাইকটি প্রথমবার চালানোর সময় খুবই আনন্দিত ছিলাম কিন্তু প্রায় ২০ কিলো রাইড করার পর আমার হাত ব্যাথা হয়ে যাচ্ছিলো তখন একটু আপসেট হয়ে পড়েছিলাম। ভেবেছিলাম হয়ত সবসময় এখন হাত ব্যাথা করবে কিন্তু পড়ে বুঝতে পাড়লাম প্রথমবার স্পটস বাইক চালানোর জন্যই এমন হয়েছিলো পড়ে ১ সপ্তাহ চালানোর পর আমার বডি এডজাস্ট হয়ে যায় এবং আর কোনো সমস্যা হয় নি।
New Suzuki Gixxer SF বাইকের কিছু ফিচার বলা যাক-
- বাইকটি স্পটস বাইক না হলেও স্পটস লুক রয়েছে।
- টেকসই মেটালের ১২ লিটার ফুয়েল ট্যাংকটা আমার খুব পছন্দের।
- বাইকে আনকমন ড্যাসিং একটা লুক রয়েছে।
- ইন্জন সাউন্ড খুবই স্মুথ।
- বাইকের ABS ব্রেকিং খুবই কার্যকারি ।
- বাইক কন্টোলিং চমৎকার।
ব্যাক্তিগত কিছু কথা -
আমি যখনি বইকটিতে উঠি আমি কম্ফোর্ট ফিল করি। আমি আমার বাইক খুবই নিরাপদে রাইড করি। একটি দাগ ও লাগতে দেই না। আমি হাইওয়েতে কখনো হেলমেট ছাড়া বেড় হইনা। আমি খুবই সেফলি বাইক রাইড করতে পছন্দ করি।
আমি আমার বাইকটাকে ভালোবাসি এবং যন্ত করি, এটাও আমাকে হতাস করে না। আমি মডিফাই করে একটি বাম্পার ও সাইলেন্সার পটেকটর লাগিয়েছি সেটার খরচ ১৫০০ টাকা।
আমার বাইক শুরু থেকে সার্ভিস সেন্টার থেকেই সার্ভিসিং করাতাম কিন্তু সেখানে আমি সার্ভিসিং করিয়ে খুব একটা ভালো রেজাল্ট পাইনি। এরপর থেকে ISHWARDI BIKE ZOON রুবেল ভাই এর কাছ থেকেই সার্ভিসিং কারাই।
বাইকটিতে ২৫০০ কিলোমিটার পূর্বে মাইলেজ পেয়েছি প্রায় ৪১ এবং ২৫০০ কিলোমিটার পর লোকাল রোডে ৪৩ এবং হাইওয়েতে ৪৫। বাইকটি দিয়ে আমার তোলা সর্বোচ্চ স্পীড হলো ১১৫ ।
সুবিধার কথা তো হলো কোনো বাইকই স্বয়ংসম্পূর্ণ না অসুবিধার কথা বলি বাইকটি স্পটস লুকিং হওয়ার জন্য বেশিক্ষন রাইড করলে হাত ব্যাথা হয়ে যায়। একধারে ৬০ কিলোমিটার আপ করলে সাউন্ড হালকা পরিবর্তন হয়ে যায়। এয়ার কুল হওয়ার জন্য লং ট্যুরে পার্ফরমেন্স কিছুটা কমে যায়।
বাইকটি দিয়ে আমি একবার লং ট্যুর দিয়েছি সেটা হলো পাবনা থেকে সিরাজগঞ্জ। এই ট্যুরে আমি বাইক নিয়ে কোনো সমস্যার সম্মুক্ষীন হইনি শুধু আমার হাত টা একটু ব্যাথা হয়েছিলো। অবশেষে বলতে চাই আমার কাছে আমার বাইকটিই সেরা। লুকিং ও ব্রেকিং এর দিক দিয়ে বিবেচনা করে সুজুকির এই বাইকটি যে কেউ নিয়ে নিতে পাড়েন আশা করি নিরাস হবেন না।
সবার প্রতি ভালোবাসা রইলো আমার মতামতকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো । ধন্যবাদ টিম বাইক বিডিকে এরকম সুন্দর একটি প্লার্টফর্ম গঠনের জন্য।