মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা এড়াতে ১০ টি টিপস। জানুন বিস্তারিত
This page was last updated on 07-Jul-2024 11:38am , By Shuvo Bangla
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বাইকারদের জন্য খুব কষ্টের ঘটনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। কিন্তু আমরা যদি একটু সাবধান থাকি তাহলে আমরা দুর্ঘটনা অনেকটা এড়াতে পারবো। আজ আমরা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা এড়াতে ১০ টি টিপস নিয়ে আলোচনা করবো।
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা এড়াতে ১০ টি টিপস। জানুন বিস্তারিত
- মোটরসাইকেল চালানোর আগে সাইড স্ট্যান্ড তুলতে কখনও ভুলবেননা। ব্যাপারটা ছোট মনে হলেও আমার এক বন্ধু সা্ইড স্ট্যান্ডের কথা ভুলে যাওয়ায় আছাড় খেয়ে “কলার বোন” ভেঙ্গেছে। সুতরাং সাবধান!!
- কর্ণারে কখনও ওভারটেকিং করবেননা। সোজা রাস্তায় সামনে ও পিছনে কেউ না আসলে তবেই ওভারটেকিং করবেন। চেষ্টা করুন যে গাড়ীকে ওভারটেকিং করছেন তার ড্রাইভার যাতে আপনাকে দেখতে পায়।
- হার্ড ব্রেক করবেননা। বিশেষ করে হাইড্রোলিক/ডিস্ক ব্রেক। স্লিপ করে বড় অ্যাক্সিডেন্ট ঘটে যেতে পারে।
- ডানে বামে বাঁক ঘুরতে ইন্ডিকেটর লাইট ৩০ মিটার বা ৩০ সেকেন্ড আগেই জালাবেন। তাহলে পিছন থেকে ধাক্বা খাওয়ার আশংকা কমবে।
- বাস-ট্রাক বা নসিমন করিমনের একদম পিছন পিছন চালাবেননা। দুই থেকে ৬ সেকেন্ড দুরে থাকুন। (সেকেন্ড দুরত্বের কথা আগেই আলোচনা করা হয়েছে।) এগুলোর কোন ব্রেক লাইট থাকেনা। তাছাড়া কার বা জিপ মোটরসাইকেলের চেয়ে দ্রুত থামতে পারে। মোটরসাইকেলে সেটা সম্ভব নয়।
- মোটরসাইকেলের চালকের সাথে সহযাত্রী থাকলে ওভারটেকিং ও ব্রেকিং সব কিছুতেই খানিকক্ষণ সময় নেয়। সুতরাং হিসেব করে কাজ করুন।
- প্রত্যেকের বাইক চালানোর নিজস্ব ক্ষমতা থাকে। যে গতিতে আপনি বাইক ইচ্ছামত থামাতে পারেন এবং স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন সেটাই আপনার বাইক চালানোর ক্ষমতা। নিজস্ব ক্ষমতার বাইরে যাবেননা। ক্ষমতা বারাতে চাইলে ফাঁকা রাস্তায় বার বার প্র্যাকটিস করুন।
Also Read: করোনাকালীন সময়ে ঝুঁকিমুক্ত বাহনের শীর্ষে মোটরসাইকেল
- লোকালয়ে আপনার বাইকের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৪০ কি:মি: হওয়া উচিত। বৃদ্ধ, বাচ্চা, গরু-ছাগল, কুকুর, গ্রামের মহিলারা রাস্তায় খুবই আনাড়ী!
- অতিরিক্ত ক্ষয়ে যাওয়া টায়ার বদলে ফেলুন। ঘন্টায় ৮০ কি:মি: গতিবেগে টায়ার বাষ্ট হলে কি হতে পারে বুঝতেই পারছেন।
- হেলমেট, গ্লাভস, জুতো পরে বাইক চালান।
লিখেছেনঃ মুহাম্মদুল্লাহ চৌধুরী