Honda Motorcycle এর নতুন কারখানার ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন
This page was last updated on 28-Jul-2024 04:13am , By Saleh Bangla
জাপানের মোটরসাইকেল উতপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হোন্ডা মোটর করপোরেশন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে। প্রতিষ্ঠানটি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় প্রতিষ্ঠিত আবদুল মোনেম ইকোনোমিক জোনে জমি ইজারা নিয়েছে। সেখানে ইতিমধ্যে তারা Honda Motorcycle উতপাদন কারখানা নির্মান কাজ শুরু করেছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর উপস্থিতিতে আজ রোববার এ Honda Motorcycle কারখানার ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করা হবে। হোন্ডা এ কারখানা ২০১৮ সালের মধ্যে উতপাদন শুরু করতে চায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথম বছর তারা ১ লাখ Honda Motorcycle উতপাদন করবে। পঞ্চম বছরে উতপাদনের পরিমান হবে তিন লাখ ইউনিট এ উন্নীত করতে চায়। শুরুতে নতুন কারখানায় প্রায় ৩০০ লোকের কর্মসংস্থান হবে। পরে এ সংখ্যা দাঁড়াবে ৫০০ জনে।
হোন্ডা মোটর করপোরেশন বিশ্বের সবচেয়ে বড় মোটরসাইকেল উতপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। এটি মোটরসাইকেল ছাড়াও গাড়ি, রোবট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের যন্ত্র এবং উড়োজাহাজ পন্য উতপাদন করে থাকে। কোম্পানিটির সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের প্রথম ছয় মাসে ( ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর) তারা ৬৬ লাখ ৯১ হাজার ইউনিট মোটরসাইকেল উতপাদন করে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৪ শতাংশ বেশি।
এ দেশে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি খুলে ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি গাজীপুরে একটি মোটরসাইকেল সংযোজন কারখানা করে। এতে ৩০ শতাংশ। মালিকানা ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের(বিএসইসি)। নতুন এ প্রকল্পেও একই হারে অংশীদারীত্ব থাকছে বিএসইসির।
বাংলাদেশের মোটরসাইকেলের বাজারে হোন্ডা একটি পরিচিত নাম। এ দেশের অনেকে। এখনো মোটরসাইকেল কে হোন্ডা নামে ডাকে। সং শ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, নতুন কারখানায় Honda Motorcycle তাদের উতপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এতে এ দেশে মূল্য সংযোজন বাড়বে এবং মোটরসাইকেলের দাম কমবে বলে আশা করছেন সংস্লিষ্ট ব্যক্তিরা। সূত্র জানায়, হোন্ডা তাদের নতুন কারখানায় প্রায় ৪ কোটি ৪০ লাখ ডঃলার বিনিয়োগ করবে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমান প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা। জমি ইজারা, কারখানার ভৌত অবকাঠামো নির্মান, যন্ত্রপাতি আমদানি ও অন্যান্য ব্যয় এর অন্তর্ভুক্ত।
Also Read: ইস্কাটনে নিজেদের নতুন শোরুম উদ্বোধন করেছে উইংস বিডি
সম্প্রতি হোন্ডার সঙ্গে আবদুল মোনেম ইকোনমিক জোনের জমি ইজারা চুক্তি হয়। আবদুল মোনেম ইকোনমিক জোনে কারখানা নির্মান শুরু করা প্রথম প্রতিষ্ঠান হবে হোন্ডা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল মোনেম ইকোনমিক জনের পরিচালক এ গফুর প্রথম আলোকে বলেন, প্রায় ২৫ একর জমি ইজারার চুক্তি হয়েছে। বাংলাদেশে হোন্ডার নতুন বিনিয়োগের কারণ এদেশের বাজার বৃদ্ধি। মোটরসাইকেল সংযোজনকারীদের তথ্য অনুযায়ী ২০১৬ সালে এদেশে প্রায় ২ লাখ মোটরসাইকেল বিক্রি হয়েছে। বড় প্রতিষ্ঠান গুলোর বিক্রির পরিমান বেড়েছে ৩০ শতাংশ হারে।
চলতি বছর মোটরসাইকেল উতপাদন শুধু হোন্ডা নয়, বাজাজ, টিভিএস, হিরোসহ প্রায় ৭টি প্রতিষ্টানের বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রক্রিয়ায় আছে বলে জানা গেছে। জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাজেশন (জেট্রো) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২৪৫টি জাপানি কোম্পানি বিনিয়োগ করেছে। জাপানিদের বেশির ভাগ বিনিয়োগ এসেছে টেলিযোগাযোগ, সার, তৈরি পোশাক, বিদ্যুৎ ও রাসায়নিক খাতে।
Also Read: The New Managing Director & CEO Of BHL
এসব বেশ ভালো ব্যবসা করছে বলেও তথ্য উঠে এসেছে জেট্রোর সাম্প্রতিক জরিপে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে কর্মরত ৬৭ শতাংশ জাপানি কোম্পানির ধারনা করে এ বছর তাদের মুনাফা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসগরীয় ১৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে শীর্ষে আছে।
Honda Motorcycle উতপাদনে সফল হলে অন্যান্য পন্য উতপাদনেও বিনিয়োগ করতে পারে বলে উল্লেখ করেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কতৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, ‘ বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত হবে হোন্ডার বিনিয়োগ। আমাদের কাছে আরও এ ধরনের বিনিয়োগ প্রস্তাব আছে। হোন্ডার বিনিয়োগ তাদের উতসাহী করবে’।
তথ্যসুত্রঃ প্রথম-আলো