Honda CB Hornet 160R বাইক নিয়ে মালিকানা রিভিউ - আলতাফ হোসেন মুন্না
This page was last updated on 17-Mar-2025 05:49pm , By Shuvo Bangla
আমার নাম মো: আলতাফ হোসেন মুন্না । আমি বর্তমানে ঢাকার মিরপুরে বসবাস করছি। শেয়ার করবো Honda CB Hornet 160R বাইক নিয়ে আমার রাইডিং অভিজ্ঞতা । বাইক সম্পর্কে বলতে গেলে আমার জীবনের ১ম বাইক ছিল Honda CB Hornet ।

ডিজাইন এবং স্টাইল -
হোন্ডা সিবি হর্নেট জনপ্রিয় ১৬০ সিসি রেঞ্জের মধ্যে একটি প্রিমিয়াম মোটরসাইকেল । মোটরসাইকেলটির ডিজাইনে রয়েছে নতুনত্ব এবং এর আকর্ষনীয় গ্রাফিক্স এটির স্পোর্টি লুককে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বাইকটির পেছনের টায়ার বেশ প্রশস্ত যা বাংলাদেশের যেকোনো রাস্তায় চলার জন্য উপযুক্ত হবে এবং বাইকারদের কাছেও খুবই পছন্দের ।বাইকটির এক্সহস্ট বাইকটির সাথে কম্প্যাক্ট এবং বাইকটিতে পেটাল ডিস্ক ব্রেক রয়েছে এবং এর পাশাপাশি রয়েছে মাস্কুলার ফুয়েল ট্যাংক ।

বাইকটির সামনে শার্প হ্যালোজেন হেডলাইট রয়েছে , এবং বাইকটিতে এএইচও (অটোমেটিক হেডলাইট অন) সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে তবে এটা একটি এসি হেডলাইট। এর ফুয়েল ট্যাঙ্কে আছে কার্বন ফাইবার স্ট্রিপ এবং মাঝখানে ট্রিম করা। সবশেষে সবচেয়ে আকর্ষণীয় জিনিসটি হচ্ছে , এর পেছন থেকে এটিকে খুবই দুর্দান্ত মনে হয় এটির এক্স শেপের এলইডি টেল লাইট এর জন্য ।

ব্রেকিং এবং কর্নারিং -
বাইকের ব্রেক সিস্টেম খুবই ভাল। সামনের চাকায় দুই পিস্টন ক্যালিপারের Nissin এর ডিস্ক ব্রেক ব্যাবহার করা হয়েছে এবং পিছনের টায়ারে ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে যা বাইকের ১৪০ সাইজের টায়ারে খুব ভাল ফিডব্যাক দেয়। এই বাইকের সবচেয়ে যে জিনিসটা ভাল লেগেছে তা হচ্ছে যে কর্নারিং করতে, এর পিছনের টায়ার ফ্ল্যাট না তবে কার্ভি যা এই বাইকে হাইস্পিডে কর্নারিং করতে খুব সাহায্য করে ।
ফুয়েল এফিসিয়েন্সি -
যখন ১৬০ সিসি পারফর্মেন্স মোটরসাইকেল এর কথা আসে তখন এর মাইলেজ খুবই গুরুত্বপুর্ন ব্যপার হয়ে দাঁড়ায়। বাইকটির ইঞ্জিনে HET ( হোন্ডা ইকো টেকনোলজি ) ব্যবহার করা হয়েছে। এই টেকনোলজি ইঞ্জিনকে কম তেল পোড়াতে এবং সর্বোচ্চ পরিমান পার্ফরমেন্স দিতে সাহায্য করে। এটি মাত্র ১ লিটার তেলে শহরে ৪৫ কিলোমিটার এবং হাইওয়েতে ৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে। কিন্তু, রাস্তার কন্ডিশন এবং রাইডারের উপর নির্ভরে করে বাইকের মাইলেজ এর তারতম্য ঘটতে পারে।
লিখেছেনঃ মো: আলতাফ হোসেন মুন্না
