Honda CB Hornet 160R টেস্ট রাইড রিভিউ - টিম বাইকবিডি
This page was last updated on 14-Jul-2024 12:46pm , By Saleh Bangla
সারাবিশ্বের সকল মোটরসাইকেল কোম্পানির মধ্যে হোন্ডা সবচাইতে বৃহত্তম। বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড ইতিমধ্যেই বাংলাদেশেও ১ নম্বর মোটরসাইকেল কোম্পানি হবার লক্ষ্যে বাইক এসেম্বলিং শুরু করেছে। বাংলাদেশে হোন্ডা ব্র্যান্ডটি এতটাই জনপ্রিয় যে এখনো রাস্তায় বিভিন্ন মোটরসাইকেলকে “হোন্ডা” বলে সম্বোধন করা হয়!
বাংলাদেশ হোণ্ডা প্রাইভেট লিমিটেড গত ১৬ই ফেব্রুয়ারী, ২০১৮ তে বাংলাদেশে তাদের নেকেড স্পোর্টস মোটরসাইকেল – হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০আর লঞ্চ করে। হোন্ডা সিবি হর্নেট নিজের এগ্রেসিভ স্টাইলিং এবং অসাধারন পার্ফরমেন্স এর মাধ্যমে নিজের ক্যাটাগরিতে অনন্য। বাংলাদেশের বিভিন্ন রকমের রোড কন্ডিশনে হোন্ডা সিবি হর্নেট বাইকটি টেস্ট করার পরে আমরা টীম বাইকবিডি আজ উপস্থিত হয়েছি Honda CB Hornet 160R টেস্ট রাইড রিভিউ নিয়ে।
Honda CB Hornet 160R টেস্ট রাইড রিভিউ - টিম বাইকবিডি
Honda CB Hornet 160R টেস্ট রাইড রিভিউ - ইতিহাস হোন্ডা সিবি হর্নেট বাইকটির একটি সুবিশাল ইতিহাস এবং রেঞ্জ রয়েছে – বাইকটির ৯০০সিসি, ৬০০সিসি, ২৫০সিসি এবং সর্বশেষ ১৬৩ সিসি ভ্যারিয়ান্ট রয়েছে যেখানে হোন্ডা তাদের এই বিস্তৃত হর্নেট ডিএনএ ১৬৩ সিসির বাইকে ইমপ্লিমেন্ট করেছে। হর্নেট এর এই সুবিশাল ইতিহাসই হোন্ডা সিবি হর্নেটকে অন্যান্য প্রতিযোগী থেকে অনেকদূর এগিয়ে রাখবে। হোন্ডা হর্নেট মডেলটি সারাবিশ্বেই সফল একোটি মডেল, এবং আমরা বাংলাদেশি বাইকাররা এই মডেলটি উপভোগ করতে পারছি।
Honda CB Hornet 160R টেস্ট রাইড রিভিউ - ইঞ্জিন বাইকটিতে একটি ১৬৩ সিসি এয়ার কুলড সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন রয়েছে যেটা ১৫.১ বিএইচপি শক্তি এবং ১৪.৭ নিউটন মিটার টর্ক উতপন্ন করে। বাইকটিতে একটি ৫ স্পীড গিয়ারবক্স রয়েছে। বাইকটির ইঞ্জিন সর্বদাই একদম নিশ্চুপ থাকে, তবে ৬/৬.৫ হাজার আরপিএম এর উপরে উঠলে ইঞ্জিনটি গর্জন করা শুরু করে। আরো অন্যান্য অনেককিছুর পাশাপাশি বাইকটিতে ভিসকাস এয়ার ফিল্টার রয়েছে যা বাইকের ইঞ্জিনে ভালো পরিমান এয়ার ফ্লো নিশ্চিত করে। বাইকটির ইঞ্জিনে HET (হোন্ডা ইকো টেকনোলজি) ব্যবহার করা হয়েছে। এই টেকনোলজি ইঞ্জিনকে কম তেল পোড়াতে এবং সর্বোচ্চ পরিমান পার্ফরমেন্স দিতে সাহায্য করে।
Honda CB Hornet 160R টেস্ট রাইড রিভিউ - স্টাইলিং আমরা হোন্ডা সিবি ইউনিকর্ন এবং হোন্ডা সিবি ট্রিগার বাইকদুটো দেখেছি। দুটোই ভালো বাইক, তবে বাইকদুটোতে কিছু জিনিসের কমতি ছিলো যা হোন্ডা সিবি হর্নেট এ পূরন করা হয়েছে। হোন্ডা এই বাইকটিকে আরো অনেক বেশি পেশীবহুল করে তৈরী করেছে। মোটরসাইকেল্টিতে স্পোর্টি ডিজাইন রয়েছে, এবং এর পাশাপাশি রয়েছে মাস্কুলার ফুয়েল ট্যাংক এবং আকর্ষনীয় গ্রাফিক্স।
বাইকটির এক্সহস্ট বাইকটির সাথে কম্প্যাক্ট এবং বাইকটিতে পেটাল ডিস্ক ব্রেক রয়েছে। বাইকটির পেছনের টায়ার অনেক বেশি প্রশস্ত, বাইকটিতে ১৪০ মিলিমিটার সাইজের রিয়ার টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে যা বাইকের স্ট্যাবিলিটি বৃদ্ধি করে। বাংলাদেশি বাইকার হিসেবে আমরা এই সেগমেন্টে চওড়া টায়ার অনেক বেশি পছন্দ করি। বাইকটির হেডলাইট এগ্রেসিভ। এটি অনেক শার্প এবং উপরের দিকে দুটো পজিশন ল্যাম্প রয়েছে যা প্রথম দেখায় খুবই এগ্রেসিভ ফার্স্ট ইমপ্রেশন তৈরী করবে। বাইকটিতে মনোশক সাসপেনশন ব্যবহার করা হয়েছে যা বাইকটিকে আরো ভালো ব্যালেন্সিং প্রদান করে।
ডিজাইনের দিক থেকে বাইকটি সম্পূর্ন নতুন ডিজাইনের। বাইকটির সামনে শার্প হ্যালোজেন হেডলাইট রয়েছে, এবং বাইকটিতে এএইচও – অটোমেটিক হেডলাইট অন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে তবে এটা একটি এ.সি হেডলাইট। AHO একটি সেফটি ফিচার যা বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একটি স্ট্যান্ডার্ড ফিচার। এটা শুধুমাত্র সন্ধ্যা, কুয়াশা, এবং ধূলোযুক্ত পরিবেশেই নয়, বরং দিনের আলোতেও রাইডার এবং বাইকের ভিজিবিলিটি বৃদ্ধি করে। হাইওয়েতে এই ফিচারটি খুবই উপকারী।
Honda CB Hornet Test Ride
Also read: ২ লক্ষ টাকার মধ্যে হোন্ডা বাইক এর দাম | বাইকবিডি September 2023
বাইকটির ফুয়েল ট্যাংক এর সামনে দুদিকে দুইটি এয়ার স্কুপ রয়েছে। এই এয়ার স্কুপদুটি শুধুমাত্র বাইকের ডিজাইনের জন্য নয়, বরং অধিক গতিতে রাইডিং এর ক্ষেত্রে এটা বাইকের ইঞ্জিনে বাতাস পাঠিয়ে ইঞ্জিনকে ঠান্ডা রাখে।
এর ফুয়েল ট্যাঙ্কে আছে কার্বন ফাইবার স্ট্রিপ এবং মাঝখানে ট্রিম করা। এর হ্যান্ডেলবারটি আপরাইট এবং এটি রড হ্যান্ডেলবার, এর সুইচ গুলো হুবহু Honda Dream NEO এর মত যা এর বাইকটির সবচেয়ে অপন্দের বিষয় গুলোর মধ্যে অন্যতম। এছাড়া হোন্ডার উচিত যে তাদের বাইকে ইঞ্জিন কিল সুইচ যুক্ত করা। স্পিডোমিটার সম্পূর্ন ডিজিটাল এবং এলসিডি স্ক্রীন এর । এই স্পিডোমটারে ফুয়েল গজ, স্পিড, রেভ কাউন্টার, অন্যান্য ওয়ার্নিং লাইট দেখা যায়। তবে এতে গিয়ার পরিবর্তনের ইন্ডিকেটর নেই। এই বাইকের ইন্ডিকেটর গুলো বাল্ব টাইপের। এই বাইকে স্পিলিট সিট নেই তবে পিছনে গ্রাব রেইল আছে।
তবে, এটা মানতেই হবে যে এই বাইকের সবচেয়ে আকর্ষনীয় বিষয় হচ্ছে X শেইপ এলইডি টেল লাইট। এর এক্সজস্টটি দেখতে অনেকটা সিঙ্গেল হেডলাইটের Honda CBR150R এর মত।
Honda CB Hornet 160R টেস্ট রাইড রিভিউ - মেকানিকাল কম্পোনেন্টস এই বাইকের ফ্রেম ডায়মন্ড এবং আপফ্রন্ট। এর সামনের টেপিস্কোপিক সাসপেনশনটি সম্পূর্ন নতুন এবং পিছনের মনোশক সাসপেনশনটি Honda CB Trigger এর সাসপেনশন ব্যাবহার করা হয়েছে। এর রিয়ার মনো শক এ্যাবজর্বারে আছে ৩ স্টেপ এ্যাডজ্যাস্টেবল পজিশন, ভিন্ন ভিন্ন রোডের অবস্থা বিবেচনা করে বা বাইকের লোডের অবস্থা বিবেচনা করে করা হয়েছে।
হোন্ডা সিবি হর্নেট এর সামনের চাকায় ব্যাবহার হয়েছে ১০০ সাইজের টায়ার এবং পিছনের চাকার ১৪০ সাইজের টায়ার ব্যাবহার হয়েছে। এর সামনের চাকায় আছে ২৭৬ মিঃ মিঃ রোটর প্যাটেল ডিস্ক ব্রেক এবং পিছনে ১৩০ মিঃ মিঃ ড্রাম ব্রেক ব্যাবহার করা হয়েছে। টায়ার গুলো ৫ স্পোক বিশিষ্ট হুইলের সাথে যুক্ত। এই বাইকের টায়ার গুলো টিউবলেস যা অন্যতম একটি সেফটি ফিচার। এই বাইকটি ৫.৬ ফুট উচ্চতার বাইকারদের জন্য পারফেক্ট। এর গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স খুবই ভাল, পিলিয়ন নিয়ে রাইড করার সময় স্পিড ব্রেকারে কোন সমস্যা হয়নি। বাইকটির ওজন ১৩৮ কেজি এবং এর ফুয়েল ট্যাঙ্কে ১২ লিটার ফুয়েল ধরে।
বাইকটিতে EVAP এবং ইভাপোরেট ইমিশন ক্যানিস্টার যুক্ত আছে, যা জ্বালানী তেলকে পরিবেশে বাস্পীভূত হতে দেয় না।
Honda CB Hornet 160R টেস্ট রাইড রিভিউ - পার্ফরমেন্স বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড দামী করেছে যে এই বাইকটির টপ স্পীড হচ্ছে ঘন্টায় ১১০ কিমি। বাইকটি টেস্ট করার সময় আমরা বাইকটির মিটার অনুযায়ী ১২৪ কিমি/ঘন্টা টপ স্পীড তুলতে সক্ষম হয়েছি। আমরা ঢাকা শহরে ৩৮-৩০ কিমি/লিটার মাইলেজ পেয়েছি, এবং হাইওয়েতে ৪২-৪৫ কিমি/লিটারের মাইলেজ পেয়েছি। রোড কন্ডিশন এবং রাইডিং স্টাইলের উপর নির্ভরে করে বাইকের মাইলেজ এবং টপ স্পিডের তারতম্য ঘটতে পারে।
Honda CB Hornet 160R টেস্ট রাইড রিভিউ - রাইডিং অভিজ্ঞতা Honda CB hornet 160R কি আসলে একটা কমিউটিং বাইক? টেকনিক্যালি না, BHL বলছে যে এটি একটি ন্যাকেড স্পোর্টস বাইক যা কিনা কমিউটিং মোটরসাইকেল হিসেবেও ব্যাবহার করা যাবে। এর রাইডিং পজিশন খুবই আরামদায়ক। শহরের ভিতরে বা হাইওয়েতে দীর্ঘ সময় ধরে এই মোটরসাইকেল রাইডিং করলে পিছনে কোন ব্যাথা অনুভূত হয় না। বাইকটির সর্বোচ্চ কমফোর্ট পেতে আপনার এর সাসপেনশন সেটাপ সম্পূর্ন সঠিক রাখতে হবে। বাইকের সিট যথেষ্ঠ আরামদায়ক উভয় রাইডার এবং পিলিয়নের জন্য। কিন্তু আমাদের মনে হয় এর পিছনের ফুট পেগ কিছুটা ছোট। পিছনের গ্রাব রেইলটি পিলিয়নকে আরো আরামদাওক ভাবে বসতে সাহায্য করে। এই বাইকের সাথে স্ট্যান্ডার্ড শাড়ী গার্ড এবং লেগ গার্ড যুক্ত করা হয়েছে তবে বেশির ভাগ রাইডারের অপছন্দের বিষয় হচ্ছে যে এই বাইকে শাড়ী গার্ড এর সাথে এক্সট্রা রিয়ার ফুটপেগ নেই।
লো আরপিএম এ বাইকের ইঞ্জিনের শব্দ খুবই কম যা একটি কমিউটিং বাইকের মত কিন্তু যখন এটি ৬০০০ আর পি এম এ যায় তখন এর ইঞ্জিনের শব্দ খুবই আক্রমনাত্মক। কিন্তু অন্যান্য অনেক বাইকের তুলনায় এই এই বাইকে কোন রেডী পিক আপ দেয়া হয় নি। বাইকের ব্রেক সিস্টেম খুবই ভাল। সামনের চাকায় দুই পিস্টন ক্যালিপারের Nissin এর ডিস্ক ব্রেক ব্যাবহার করা হয়েছে এবং পিছনের টায়ারে ড্রাম ব্রেক ব্যাবহার করা হয়েছে যা বাইকের ১৪০ সাইজের টায়ারে খুব ভাল ফিডব্যাক দেয়। এই বাইকের সবচেয়ে যে জিনিসটা ভাল লেগেছে তা হচ্ছে যে কর্নারিং করতে, এর পিছনের টায়ার ফ্ল্যাট না তবে কার্ভি যা এই বাইকে হাইস্পিডে কর্নারিং করতে খুব সাহায্য করে।
এই মোটরসাইকেল দিয়ে কর্নারিং করা খুবই আনন্দদায়ক। এমনকি হাইস্পিড কর্নারিং এ যখন ব্রেক করা হয় তখনও বাইক স্ট্যাবল থাকে। কিন্তু এর জন্য আপনাকে সবসময় Honda CB Hornet 160R Manual অনুযায়ী টায়ার প্রেশার ঠিক রাখতে হবে। যখন বাইকটি ৪ থেকে ৫ গিয়ারে যাবে স্পিড ১০০ কিঃ মিঃ/ঘঃ তখন এর গিয়ার রেশিও একটু দীর্ঘ হয়। প্রথমে এর গিয়ার বক্স খুব শক্ত থাকে তবে প্রথম সার্ভিসিং এর পরে তা ঠিক হয়ে যায়। শহরের মধ্যে এই বাইকটি চালাতে গিয়ে কোন ধরনের বিরক্তি বা ক্লান্তি অনুভূত হয় না, এবং হাইওয়েতেও এই বাইকটি খুবই স্ট্যাবল। যখন এই বাইকটি ৭৫০০ আর পি এম পেরিয়ে যায় তখন একটু ভাইব্রেশন অনুভূত হয়, তবে এর নিচে থাকলে কোন ভাইব্রেশন হয় না।
বাইকের টার্নিং রেডিয়াস শহরে রাইড করার জন্য খুবই ভাল এমনকি যখন পিলিয়ন থাকে তখনও শহরে খুব ভাল ভাবে মুভ করা যায়। তবে মাঝে মাঝে মনে হতে পারে যে যদি বাইকের ওজনটা ৫ কেজি কম হত তাহলে বেশি ভাল হত। বাইকের AC অপারেটেড হেডলাইট অন্ধকারে রাইডিং এর সময় খুব সমস্যা করে এবং হাইওয়েতে আপনাকে এই হেডলাইট খুব হতাশ করবে। হোন্ডা এর উচিত এসকল বিষয়ে খেয়াল রাখা কারন এখন তারা শুধুমাত্র কমিউটিং সেগমেন্ট নয়, বরং প্রিমিয়াম সেগমেন্ট নিয়েও কাজ করছে।
বর্তমানে এই বাইকটি ৩ টি ভিন্ন ভিন্ন কালারে পাওয়া যাচ্ছেঃ স্ট্রাইকিং গ্রিন, স্পোর্টস রেড, আ্যাথলেটিক ব্লু মেটালিক। বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড এই বাইকের সাথে দিচ্ছে ২ বছর বা ২০,০০০ কিঃ মিঃ ইঞ্জিন ওয়ারেন্টি এবং ৪ টা ফ্রি সার্ভিসিং। বর্তমানে এই বাইকের মূল্য হচ্ছে ১,৯৯,৮০০ টাকা।
Honda CB Hornet 160R টেস্ট রাইড রিভিউ - সারমর্ম ভালো দিকসমূহঃ
- বাইকটির ইঞ্জিন সেগমেন্টে সবচাইতে বেশি পরিমান টর্ক উতপন্ন করে।
- বহুদিন পরে এটি হোন্ডা এর এই সেগমেন্টে প্রথম মাসকুলার বাইক।
- হাই এন্ড পাওয়ার ডেলিভারি খুবই ভালো।
- এক্সহস্ট এর সাউন্ড খুবই স্মুথ।
- লম্বা রাইডে সাসপেনশন এবং চ্যাসিস খুবই ভালো ফিডব্যাক দেয়।
- রাইডিং পজিশনের কারনে এটা শহরে রাইড করা খুবই আরামদায়ক।
- সিঙ্গেল ডিস্ক ব্রেক থাকা সত্ত্বেও এর ব্রেকিং এবং স্ট্যাবিলিটি সেগমেন্টের অন্যান্য বাইকের চাইতে বেটার।
- সেগমেন্ট অনুযায়ী ভালো মাইলেজ।
- সেগমেন্ট অনুযায়ী অসাধারন বিক্রয়মূল্য।
খারাপ দিকসমূহঃ
- যদিও এক্সেলেরেশন স্মুথ এবং টর্ক ভালো, তবে লো এন্ড এ টর্ক খুব একটা ভালো নয়।
- বর্তমান সময়ের সাথে বাইকের সুইচগুলো যায় না।
- কোন ইঞ্জিন কিল সুইচ নেই।
- হেডলাইটটি এসি অপারেটেড।
- বাইকটির চেইন খুবই দ্রুত ঢিলে হয়ে যায়। এর সমাধান হচ্ছে নিয়মিত চেইন লুব করা।
- বর্তমানে সারা বাংলাদেশে হোন্ডা এর মাত্র ৬৮টি ডিলার রয়েছে কাজেই বাইকটি এবং বাইকটির সার্ভিস পাওয়া কিছুটা কঠিন।
গত ঢাকা বাইক শো ২০১৮ তে আমরা একটি সার্ভে করেছিলাম, যেখানে হোন্ডা সিবি হর্নেট “বেস্ট ভ্যালু ফর মানি মোটরসাইকেল” এর খেতাব জিতে নিয়েছিলো। হোন্ডা সিবি হর্নেট বাইকটি পেয়েছিলো ৫২% ভোট, যেখানে দ্বীতিয় বাইকটিতে ভোট ছিলো মাত্র ১৬%। যদি বাইকটির দাম আমলে নেয়া হয়, তবে সকল ডাউনসাইডের পরেও এই বাইকটি ১৫০-১৬৫সিসি সেগমেন্টের বেস্ট ভ্যালু ফর মানি মোটরসাইকেল। আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে, হোন্ডা সিবি হর্নেট খুব শীঘ্রই বাংলাদেশের অন্যতম আইকনিক মোটরসাইকেল হতে যাচ্ছে।
সবসময় প্রোপার সেফটি গিয়ার পড়ে বাইক রাইড করুন, এবং সেফলি বাইক রাইড করুন। Honda CB Hornet 160R টেস্ট রাইড রিভিউ করার সময় আমাদের এক্সেসরিজ পার্টনার ছিলো রেস এক্সেসরিজ, এবং হেলমেট পার্টনার ছিলো গিয়ারএক্স বাংলাদেশ।