Hero Splendor iSmart 110 2016 – শীঘ্রই আসছে বাংলাদেশে

This page was last updated on 18-Aug-2024 08:28am , By Shuvo Bangla

হিরো মোটোকর্প বিশ্বের অন্যতম বড়ো মোটরসাইকেল কোম্পানি এবং বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলোর একটি। ২০১৬’র জুলাইয়ে Hero Splendor iSmart 110 2016 ভারতের বাজারে ছাড়ে হিরো এবং ২০১৭’র প্রথম প্রান্তিকে নিলয় মোটরস বাংলাদেশে এটা বাজারজাত করবে। সেটা নিয়েই আজকের আয়োজন Hero Splendor iSmart 110 2016—শীঘ্রই আসছে বাংলাদেশে।

Hero Splendor i3s এর ফার্স্ট ইমপ্রেশন ভিডিও


Hero Splendor iSmart 110 2016


২০১০ খ্রিস্টাব্দে হিরো হোন্ডা থেকে হোন্ডা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর ২০১১-তে হিরো মোটরকর্প প্রতিষ্ঠা লাভ করে। আশা করা হচ্ছে, ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের শেষ নাগাদ হোন্ডার প্রভাব বলয় থেকে বের হয়ে আসবে হিরো। তাছাড়া গত কয়েক বছরে হিরো প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করেছে হোন্ডার প্রভাব বলয় থেকে বের হয়ে নতুন ধরনের মোটরসাইকেল তৈরিতে।

Also Read: হিরো ইগনাইটর ১২৫ বাংলাদেশে লঞ্চ করতে যাচ্ছে নিটল মোটরস

সম্পূর্ণরূপে হিরোর নিজস্ব ডিজাইন ও প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম বাইক Hero Splendor iSmart 110, যেটার ইঞ্জিনও ভারতে তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া বাইকটিতে নতুন ধরনের চেসিস ও বিএস৪ স্বীকৃত ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে।

Features of Hero-splendor-ismart-110


Hero Splendor iSmart 110 এর মূল আকর্ষণ

  • অ্যানালগ ও ডিজিটাল কনসোল বিশিষ্ট আকর্ষণীয় স্পিডোমিটার।
  • স্টাইলিশ স্প্লিট গ্র্যাব রেইল।
  • দৃষ্টি আকর্ষণী গ্রাফিক্স।
  • নতুন ধরনের হেডল্যাম্প ও এএইচও।
  • যুগান্তকারী i3s প্রযুক্তির ব্যবহার।
  • টিউবলেস টায়ার ও পিনস্ট্রিপড চাকা।

এই বাইকটিতে  জ্বালানি সাশ্রয়ী i3S প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে Hero Splendor iSmart 110 স্থির দাঁড়িয়ে থাকলে ইঞ্জিন স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বন্ধ হয়ে পড়বে, যেমন জ্যামে পড়লে। এটা অনেকটা গাড়িতে ব্যবহৃত স্টার্ট স্টপ সিস্টেমের মতো, যেটা থেমে থেমে চলা ট্রাফিকের ক্ষেত্রে খুবই উপযুক্ত।

Also Read: Hero Splendor iSmart 110 Price In BD

এই পদ্ধতিতে যখন চলার দরকার পড়ে তখন ক্লাচ হালকা টেনে ছেড়ে দিলেই ইঞ্জিন চালু হয়ে যায়। ১১০ সিসি সেগমেন্টে এটাই হিরোর প্রথম মোটরসাইকেল। তাছাড়া এর ইঞ্জিনটিও সম্পূর্ণ হিরোর কারখানায় তৈরি, যেটা ৯.২ বিএইচপি ও ৯ নিউটন মিটার টর্ক উৎপাদন করতে পারে। তবে আগেরটার মতো এটাতেও ৪ স্পিড গিয়ারবক্স ব্যবহার করা হয়েছে।


new-hero-splendor-ismart-110


হিরো মোটরকর্প-এর দাবী অনুযায়ী Hero Splendor iSmart 110 এই শ্রেণিতে অন্যতম জ্বালানি সাশ্রয়ী একটি বাইক এবং এর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৯০ কিমি। বাইকটি ৭.৪৫ সেকেন্ডে ০—৬০ কিমি/ঘণ্টা তুলতে সক্ষম।

বাইকটির ওজন ১১৫ কেজি, যা আমার মতে কিছুটা ভারীই মনে হয়েছে। এর জ্বালানি ট্যাঙ্কটিতে মাত্র ৮.৫ লিটার জ্বালানি ধরে এবং এতে সামনের চাকায় ডিস্ক ব্রেকও দেওয়া হয়নি। সামনে টেলিস্কোপিক হাড্রলিক শক অ্যাবজরভার ও পিছনে অ্যাডজাস্টেবল শক অ্যাবজরভার ব্যবহার করা হয়েছে।

Also Read: বাংলাদেশে হিরোর সকল শোরুম

সব মিলিয়ে Hero Splendor iSmart 110 দেখতে বেশ সুন্দর এবং নিশ্চিতভাবেই হিরোর কমিউটারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুদর্শন এটি। আর ভারতের বাজারে এর যা দাম রাখা হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে অনুমান করছি বাংলাদেশে এর দামটাও বেশ ভালোই হবে। ২০১৭’র শুরুর দিকেই Hero Splendor iSmart 110 বাংলাদেশের বাজারে আসবে বলে আশা করছি এবং এর দাম হতে পারে ১৪৫,০০০—১৬০,০০০ টাকা।

new-hero-splendor-ismart-110


Hero Splendor iSmart 110 এর ইঞ্জিন ও স্পেসিফিকেশন :

টাইপএয়ার কুলড ৪ স্ট্রোক, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ওএইচসি
ডিসেপ্লসমেন্ট১০৯.১৫ সিসি
সর্বোচ্চ ক্ষমতা৭ কিলোওয়াট @ ৭৫০০ আরপিএম
সর্বোচ্চ টর্ক৯ নিউটন মিটার @ ৫৫০০ আরপিএম
কম্প্রেশন রেশিও১০:০১


ট্রান্সমিশন ও চেসিস

ক্লাচমাল্টি-প্লেট, ওয়েট টাইপ
ফ্রেমটিউবুলার ডাবল ক্রেডল

সাসপেনশন

সামনেটেলিস্কোপিক হাইড্রলিক শক অ্যাবজরভার
পিছনেঅ্যাডজাস্টেবল হাইড্রলিক শক অ্যাবজরভার বিশিষ্ট সুইং আর্ম
সামনে ড্রাম ব্রেক১৩০ মিমি
পিছনে ড্রাম ব্রেক১১০ মিমি


চাকা ও টায়ার

সামনের টায়ার সাইজ২.৭৫ x ১৮-৪ PR | ৮০/১০০-৪৭ P Tyre w Tube | টিউবলেস টায়ার
পিছনের টায়ার সাইজ২.৭৫ X ১৮-৬ PR | ৮০/১০০-৫৪P Tyre w Tube | টিউবলেস টায়ার


ইলেকট্রিকাল   

ব্যাটারিএমএফ ৪৩ অ্যাম্পিয়ার আওয়ার
হেডল্যাম্পএইচএস১ বাল্ব (35W/35W)
টেইল/স্টপ ল্যাম্পপি২১/৫ বাল্ব (5W/21W)


আয়তন

দৈর্ঘ্য২০১৫ মিমি
প্রশস্থ৭৭০ মিমি
উচ্চতা১০৫৫ মিমি
হুইলবেজ১২৪৫ মিমি
ভূমি থেকে উচ্চতা১৬৫ মিমি
জ্বালানি ধারণক্ষমতা৮.৫ লিটার
রিজার্ভ২ লিটার
কার্ব ওজন১১৫ কেজি
সর্বোচ্চ ভার বহন ক্ষমতা

১৩০ কেজি