Hero Hunk Dual Disc মালিকানা রিভিউ - সৈকত পাল
This page was last updated on 09-Jul-2024 04:13am , By Saleh Bangla
মার্চ মাসের কোন এক দুপুরবেলায় Hero Hunk Dual Disc বাইকটা কেনা হয়। পছন্দ ছিল হর্নেট,সব কিছু ম্যানেজ হবার পরও কোন এক কারনে হাংক কিনা হয়। যাই হোক হাংকের ৮৫০০কিলো চালানোর পর আজ আপনাদের সামনে চেস্টা করব সব জিনিষ তুলে ধরার। পুরো ২০০০ কিমি পর্যন্ত ব্রেকিং পিরিয়ড মেনে চালিয়েছি, শুরতে হিরোর মবিল থাকলেও পরে মতুল মিনারেল এবং সেমিসিন্থেটিক বর্তমানে ব্যবহার করছি।অনেক ভাল ফিডব্যাক।
>>Hero Hunk Double Disc এর সর্বশেষ মূল্য জানতে এখানে ক্লিক করুন<<
Hero Hunk Dual Disc এর যাবতীয় বিষয়গুলোঃ
হাংকের শুরুতেই যে জিনিসটা ভাল লাগে সেটা হল মাসকুলার কিউট লুক সাথে ভারী ওজনতো আছেই।গ্রাফিক্স গুলো ও নতুন।পেছনের টায়ার টাও আগের চাইতে বড় রাখসে। ভারী ওজনের কারনে হাইওয়েতে চালাইয়ে মজা পাবেন।ব্যাকপেইন হয় না। কমফোর্ট ও বেশভাল,সিটিং পজিশন টা ভাল আর ব্রেকিং টা এক কথায় অসাধারণ ডাবল ডিস্ক এর।
মাইলেজ এর কথা বলতে গেলে এখনো ৪০ এর নিচে পাইনি তবে ব্রেকিং পিরিয়ডে একটু বেশি তেল গেসে।তখন ৩০-৩২ যেত আর আমার তেল সবসময় বাড়ানো থাকে। শক্তিশালী ইঞ্জিন এর কারণে চাইলে অনেকক্ষণ চলতে পারবেন। সাসপেন্সন বেশ ভাল কাজ করে ভাঙা রাস্তায় আর সিট চওড়া থাকায় পিলিওন বসে ভাল ফিল পায়।বিল্ড কোয়ালিটি অনেক ভাল বিশেষ করে বড় বাম্পার অনেক ভাল ফিডব্যাক দেয়। লংটাইম ইউজ করা যায়।
>>Hero Xtreme Sports এর ফিচার রিভিউয়ের জন্য এখানে ক্লিক করুন<<
Hero Hunk Dual Disc এর কি কি কম আছেঃ
প্রথমত সুইচ গিয়ার গুলি ভাল লাগেনি আরও উন্নত মানের দেওয়া উচিৎ ছিল,রাতের বেলা যদি পালসারের মতো লাইটিং থাকে অনেক সুবিধা আছে। ১৫০ সিসির বাইক কিন্তু ইঞ্জিন কিল সুইচ নেই আর লাইট এসি করা। যা অনেক অসুবিধা জনক। ইঞ্জিন এর কথা বলতে গেলে শুরুতে অনেক গরম হয় ব্রেকিং পিরিয়ড পরে ঠিক হয়ে যায়। তবে অনেকেই সামনে কাদার জন্য রাবার প্যাড লাগিয়ে নেন। এটা করা মোটেই ঠিক না কারন ইঞ্জিনটা এয়ার কুল্ড যত বাতাস বেশি পাবে পারফরমেন্স তত বাড়বে।
>>হিরো মোটরসাইকেল শোরুমের ঠিকানা জানতে এখানে ক্লিক করুন<<
অনেক এ বলেন ইঞ্জিন বেশি হিট হয়,এটাও অন্যতম কারণ। পিছনে ও মার্ড গার্ড নেই। বৃষ্টির সময় তাই বেশি কাদা লাগে।হর্নটাও সিংগেল,হাইওয়েতে যা অনেক প্যারা দেয়। রেডি পিকআপ অনেক কম। হিরো এখন উচিত ওয়েল কুলড ইঞ্জিন আনা আপডেট টেকনোলজি নিয়ে কাজ করা। না হয় রেডিয়েটর সিস্টেম এডজাস্ট করা তাহলে হিট কম হবে।
রিসেইল ভ্যালু কম কারন লং টাইম ব্যবহারের জন্য মানুষ হাংক কিনে। তবে অনেক কিছুই আপনি ঠিক করে নিতে পারবেন। লাইট ডিসি করা যায়,এলইডি করে নিলেন। কিল সুইচ ও লাগানো যায় চাইলে পালসারের চাপাও লাগিয়ে নিলেন। আমি হর্নের জন্য অরিজিনাল টার সাথে গ্লামার এর হর্ন মিলিয়ে সেট করে নিয়েছি। অনেক ভাল আওয়াজ হয়। আলাদা ওয়্যার সেট নিলে ভাল হয় আর এতে ব্যাটারিতে চাপও পড়ে না। পিছনে গার্ড লাগানো যায়।
সবশেষে একটা কথা বলতেই হবে, হাংক হলো ঠান্ডা মাথার মানুষ এর জন্য,যদি আপনি র্যাফ বাইকার হন আপনার জন্য হাংক না। হাংকে তার মতো সেটাপ করে নিতে পারলে সেরা সার্ভিস পাবেন। কোন ভুল কিছু লিখলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। বাইক চালানোর সময় অবশ্যই হেলমেট পরবেন এবং সেফটি গিয়ার ব্যবহার করবেন। ধন্যবাদ।
লিখেছেনঃ সৈকত পাল
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যমে আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।