Generic Cafe Racer 165 ১৫,০০০ কিলোমিটার রাইড - মিনহাজ
This page was last updated on 31-Jul-2024 05:53pm , By Shuvo Bangla
আমি মোঃ মিনহাজ হোসেন, আমার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা। আমি গত ১ বছর ৩ মাস যাবৎ Generic Cafe Racer 165 বাইকটি ব্যাবহার করছি। এই সময়ের মধ্যে বাইকটি আমি ১৫,০০০ কিলোমিটার চালিয়েছি। আজ আপনাদের কাছে বাইকটি নিয়ে এই ১৫,০০০ কিলোমিটার চালানোর অভিজ্ঞতা তুলে ধরব।
Generic Cafe Racer 165 ১৫,০০০ কিমি রাইড
আমি বাইকটি ২০২০ সালে ক্রয় করি। বাইকটির প্রথম দেখেই ভাল লেগেছে। তখন বিভিন্ন মাধ্যমে বাইকটি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। কিন্তু পরিচিতদের মধ্যে কারো কাছে বাইকটি সম্পর্কে কোন তথ্য পাইনি। কারন আমার এলাকায় এবং আশেপাশের এলাকায় এই বাইক কারো কাছে একটাও নেই।
বাইকটি সম্পর্কে কোনো ইউজার রিভিউ ও খুজে পাইনি কোথাও। ১ মাস ধরে কোন মাধ্যমে একটি ইউজার রিভিউ এর জন্য অপেক্ষা করি, কিন্তু কোনো রিভিউ পাইনি। হঠাত Bikebd.com এর একটি ভিডিও পাই Generic Cafe Racer 165 DD বাইকটি সম্পর্কে।
তার পর সব চিন্তা ঝেরে ফেলে নিজের সিদ্ধান্তে বাইকটি ক্রয় করি। বাইকটি আমি ১,৪৫,০০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছি ঢাকা Speedoz Ltd এর শোরুম থেকে।
শুরুতে বাইকের ফিচার গুলো নিয়ে বলতে গেলে Generic Cafe Racer 165 একটি 165cc বাইক। এর max Power 15 Bhp @ 8000 rpm এবং max Torque 14 nm @ 6500 rpm । বাইকটি আমার জীবনের প্রথম বাইক। এর আগে আমি বন্ধুদের বাইক চালাতাম। মোটামুটি সব ধরনের বাইক চালানো হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য বাইকের চেয়ে এই বাইক টি রাইড করলে অন্য রকম একটি অনুভূতি আসে। আমার কাছে এই বাইকটি খুব ভালো লাগে। বাইক নিয়ে আমি লং ট্যুর করতে ভালবাসি, কিন্তু এখনো তেমন কোন লং ট্যুর করার সুযোগ হয়নি। শুধুমাত্র আমি গাজীপুর থেকে গাইবান্ধা পর্যন্ত একটি ট্যুর করেছি। ঐ ট্যুরে ২ দিনে আমি প্রায় ৭০০ কিলোমিটার চালিয়েছি আমার বাইকটি। এই ৭০০ কিলোমিটারের হাইওয়ে রাইডিং এ আমার কোন প্রকার সমস্যা হইনি।
প্রথম ২৫০০ কিলোমিটার চালানোর পর Speedoz এর অফিসিয়াল শো রুম থেকে একবার সার্ভিস করিয়েছি। এরপরে লোকাল সার্ভিস সেন্টার থেকে ২ বার সার্ভিস করিয়েছি। প্রথম ২৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত সিটিতে পার লিটারে মাইলেজ পেয়েছি ৩০ এবং হাইওয়েতে মাইলেজ পেয়েছি ৩৫। ব্রেক-ইন পিরিয়ডের পর সিটিতে ৩৫ এবং হাইওয়েতে ৪০ কিলোমিটার/লিটার মাইলেজ পাচ্ছি। বাইকটির মেইনটেন্যান্স এর ক্ষেত্রে আমি নিয়মিত ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করি, এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করি, চেইন ওয়াস করি এবং লুব দেই ইত্যাদি।
আমি আমার Generic Cafe Racer 165 বাইকটিতে ইঞ্জিন অয়েল Motul ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি গ্রেড 10w40। ইঞ্জিন অয়েলটির দাম ১২৫০ টাকা। আমার বাইকটিতে এখন পর্যন্ত কোন পার্টস পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়নি। শুধুমাত্র ৫০০০ কিলোমিটার রাইড করার দুই চাকার ব্রেক প্যাড পরিবর্তন করেছি।
আমি বাইক এ কিছু মোডিফিকেশন করেছি। যেমন ফগ লাইট লাগিয়েছি, ডুয়াল হর্ণ লাগিয়েছি, লুকিং গ্লাস পরিবর্তন করেছি এবং বাম্পার লাগিয়েছি।
কম্পানি থেকে বলা হয়েছে Generic Cafe Racer 165 বাইকটির টপ স্পিড ১১০ কিলোমিটার। কিন্তু আমি ১৩৬ কিলোমিটার পর্যন্ত টপ স্পিড তুলতে পেরেছি।
Generic Cafe Racer 165 বাইকের কিছু ভাল দিক-
- কন্ট্রোল
- টপ স্পিড
- বাইকের লুক্স
- টায়ার গ্রীপ
- বিল্ড কোয়ালিটি
Generic Cafe Racer 165 বাইকটির কিছু খারাপ দিক-
- হেড লাইটের আলো কম
- হার্ড সাসপেনশন
- রেডি পিকাপ কম
- মাইলেজ কম
- ১৬৫ সিসি হিসেবে ব্রেকিং এর ঘাটতি অনুভিব করেছি
- পার্টস এভেইলেভেলিটি নিয়ে চিন্তায় আছি
সবদিক মিলিয়ে Generic Cafe Racer 165 বাইকটি ব্যবহার করে আমি সন্তুষ্ট। সবাই সাবধানে বাইক চালাবেন। ধন্যবাদ । লিখেছেনঃ মোঃ মিনহাজ হোসেন আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।