এক্সাইল রাইডার্স অটো

This page was last updated on 03-Jul-2024 10:05am , By Shuvo Bangla

হাই আমরা সিলেটের প্রথম মোটরসাইকেল স্টান্ট গ্রুপ । এক্সাইল রাইডার্স অটো প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১১ সালের ডিসেম্বরের ৯ তারিখ  কিছু বন্ধুসহ । অন্যদের মত আমরাও একটি ঠাণ্ডা সন্ধ্যায় একটি সুন্দর মিটিং আয়োজন করি । প্রথমে আমরা ৮ জন সদস্য এক্সাইল রাইডার্স অটো প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেই । এই গ্রুপটি প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য হল গতির চেয়েও স্টান্ট দক্ষতা বৃদ্ধি করা ।

এক্সাইল রাইডার্স অটো

exile riders auto

কিছুদিন অনুশীলনের পর আমরা বিভিন্ন ধরনের স্টান্ট আয়ত্ত করি । যেমন হুইলি, ফুটপেগ হুইলি, সিট স্ট্যন্ডার হুইলি, স্টপি, টু আপ স্টপি, হাই চেয়ার স্টপি, বার্নাট, রোলিং বার্নাট, ডোনাট,হাই চেয়ার ডোনাট, সেমি হাই চেয়ার ডোনাট, ৩৬০, হিউম্যান কম্পাস এবং আরো অনেক .........

exile riders auto

কয়েক মাস অনুশীলনের পর এরা (Exile Riderz Auto) দলের স্টান্ট করার ধরন সিলেটের তরুণ প্রজন্মের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এবং তা ফেসবুকের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে । এই দলে রয়েছে সাতজন অত্যন্ত পরিশ্রমী স্টান্ট রাইডার,

তারা হল- ইকবাল আহমেদ ফয়সাল, তৌহিদুল ইসলাম শিমন, মোহাম্মদ আল মারজান, রেজা নাজমুস, মাজহারুল হক জামিল, ইকরামুল হাসান, সায়েম খান । তারা মূলত এদেশে স্টান্ট বাইকিং প্রচার করছে । এছাড়াও আরও কয়েকজন আয়োজক ও ফটোগ্রাফার রয়েছে । তারা হলেন – ইফতি সিদ্দীকি, মোহাম্মদ শাহরিয়ার, কিবরিয়া মিঠু, শাহ ফেরদৌস ভিক্টর, ইফতেখার রাব্বি ।

exile riders auto

আমাদের প্রধান লক্ষ্য হল তরুণ প্রজন্ম ও টিনএজারদের মন স্ট্রিট রেসিং, অবিবেচকের মত চালানো বা রাস্তায় স্টান্ট করা থেকে স্টান্ট বাইকিং এর দিকে সরিয়ে আনা । অধিকাংশ ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার মূল কারণ হল গতি, যেটা আমরা কঠোরভাবে পরিহার করি । আমরা এমনকি নিরাপত্তা সরঞ্জাম ছাড়া আমাদের  নিজেদের বাইক পর্যন্ত চালায় না ।

exile riders auto

স্টান্টের জন্য সধারনত সর্বোচ্চ ৩০ কি.মি গতির প্রয়োজন যেটা একজন প্রশিক্ষিত চালকের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। আমাদের দেশে স্টান্ট অবহেলিত হওয়ার প্রধান কারণ হল ৭০% চালকই স্টান্টের সময় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সরঞ্জাম পরে না । কিন্তু আমরা সবসময় স্টান্টিং হোক কিংবা অনুশীলন হোক সেরা নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার করি ।

exile riders auto

আমরা সবসময় আমাদের স্কিলগুলো নিরাপদ পরিবেশে অনুশীলন করি । আমরা লোকজনকে ভোরে স্টান্ট অনুশীলনের উপদেশ দিই । আমরা সবসময় ফাঁকা রাস্তা  ব্যবহার করি যেটা হতে পারে সিলেট শাহ পরান বাইপাস রোড বা আমাদের স্থানীয় এয়ারপোর্ট এর পার্কিং ।

exile riders auto

সম্প্রতি আমরা আমাদের সদস্যদের নিয়ে “হৃদয়ে বাংলাদেশ” নামে সিলেট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত একটি ভ্রমণ সম্পন্ন করেছি । এ ভ্রমণের লক্ষ্য ছিল লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনগনের মধ্যে দুর্ঘটনা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা । আমরা সিলেটে অনেক জনপ্রিয় কিন্তু আমরা সারাদেশে জনপ্রিয় হতে চাই ।

exile riders auto

অক্টোবর এ চ্যানেল২৪ এ এক্সাইল রাইডার্স অটোর একটি সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়। যেখানে আমরা সফলতার সাথে আমাদের দক্ষতাগুলো দেখিয়েছি । এরপর থেকে লোকজন আমাদেরকে রাস্তায় দেখলে চিনতে পারে।

সবশেষে সকল চালকের প্রতি পরামর্শ নিরাপদ থাকুন ও ভ্রমণকে উপভোগ করুন । কখনো স্পিড রেসিং এর চেষ্টা করবেন না। এটা তৎক্ষনাত আপনার শরীরের ক্ষতি করতে পারে । যখন বাইকে চড়বেন দয়া করে অবশ্যই হেলমেট পরুন ।