Bajaj Pulsar Ns160 বাইক নিয়ে মালিকানা রিভিউ - রাফাত কারদার

This page was last updated on 30-Jul-2024 06:37am , By Shuvo Bangla

আমি কাজী রাফাত কারদার । আজ আমি আমার ব্যবহার করা Bajaj Pulsar NS160 বাইকটি নিয়ে আমার রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।


bajaj pulsar ns160 bike pic

আমি নয় বছর যাবত বাইক চালাই আমার জীবনের প্রথম বাইকটি ছিল Yamaha YBX 125, এরপর পর্যায়ক্রমে Apache RTR 150, Honda Livo এবং অতঃপর Bajaj Showroom থেকে Pulsar NS 160 বাইকটি ক্রয় করি। বাজাজ এর এই বাইকটি কেনার পেছনে প্রধান কারণ হচ্ছে এর ডিজাইন, পেরিমিটার ফ্রেম এবং পাওয়ারফুল অয়েল কুলিং ইঞ্জিন । আমার মতে এই সেগমেন্টের মধ্যে এই বাইকটি ইঞ্জিন পাওয়ার এর দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে । বাইকটিতে আমি টপ স্পিড পেয়েছি ১২৭ এবং পিলিয়ন সহ টপ স্পিড পেয়েছি ১২০ ।

bajaj pulsar ns160 red colour
বাইকটির সিটি মাইলেজ ৩৮ কিলোমিটার পার লিটার, হাইওয়ে মাইলেজ ৪২ কিলোমিটার পার লিটার, যা এই স্পেসিফিকেশনের ইঞ্জিন এর জন্য যথেষ্ট মনে হয়েছে । বাইকটির ওজনের কারণে সিটিতে চলাকালীন অবস্থায় কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, কিন্তু হাইওয়েতে বাইকটির কন্ট্রোলিং এবং ব্রেকিং অসাধারণ। ডুয়েল ডিস্ক ভার্সনটিতে পেছনের চাকা ১২০ সেকশন এর টায়ার থাকার কারণে কর্নারিং এ মোটামুটি ভালো কনফিডেন্স পাওয়া যায় ।

বাইকটি নতুন অবস্থায় মোটামুটি দুই হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত আমাকে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ।

  • ইঞ্জিন ওভার হিট
  • কম মাইলেজ
  • আরপিএম ফ্লাকচুয়েশন
  • বারবার স্টার্ট বন্ধ হয়ে যাওয়া
  • পেছনের চাকা জ্যাম


তবে ২৫০০ কিলোমিটার রাইড করার পর থেকে এই সমস্যাগুলো আর দেখা দেয় নি । বাইকটির হাইট একটু বেশি হওয়ার কারণে 5 ফুট 6 ইঞ্চির নিচের রাইডারদের একটু সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে যেমন জ্যাম রাস্তায় চালানোর সময়, পার্কিংয়ের সময় পিছনে নেওয়ার সময়, ইত্যাদি।

bajaj pulsar ns160 fuel tank

বাইকটির ইঞ্জিন সাউন্ড খুব একটা ভালো না, লং টাইম হাই রেভ করলে খুব বাজে নয়জ করে, তবে ভালো মানের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করলে এই সমস্যাটি কিছুটা কমে যায় । বাইকটি আমি একটানা সর্বোচ্চ ২০০ কিলোমিটার রাইড করেছি , বাইকটি হাইওয়েতে খুবই আরামদায়ক। কোনো ধরনের ব্যাকপেইন হয়না । হাইওয়েতে লং টাইম হাই রেভ করলেও বাইকটির পাওয়ার লস হয়না। তবে ইঞ্জিন সাউন্ড কিছুটা পরিবর্তন হয় তবে, ইঞ্জিন টেম্পারেচার কমলে সাউন্ড আবার পরিষ্কার হয়ে যায়।

আমার মনেহয় বাইকটি সিটি থেকে হাইওয়েতে বেশি কম্ফর্টেবল । বাইকটির হেডলাইট খুবই পাওয়ারফুল, তবে হর্নটি খুব একটা সাপোর্টিভ না । বাইকটির ব্যাটারি খুবই কম পাওয়ারফুল, তবে মেন্টেইন করতে পারলে তেমন কোনো সমস্যা হয় না । বাইকটির রেডি পিকআপ এবং ব্রেকিং খুবই ভালো লেগেছে, প্যানিক ব্রেকিং এ ভালো সাপোর্ট পাওয়া যায় ।

bajaj pulsar ns160

অয়েল কুলিং ইঞ্জিন হওয়ার কারণে লংড্রাইভে ইঞ্জিন ওভার হিট হয় না । ওভারঅল আমার বাইকটি নিয়ে আমি সন্তুষ্ট । যারা গুড লুকিং, ভালো স্পিড, ভালো কন্ট্রোলিং, এবং ভালো মাইলেজের বাইক চান, বাইকটি তাদের জন্য পারফেক্ট । তবে শর্ট রাইডাররা বাইকটি কেনার আগে অবশ্যই টেস্ট রাইড দিয়ে নিবেন । আশা করি আমার রিভিউটি আপনাদের উপকারে আসবে, ধন্যবাদ ।

লিখেছেনঃ কাজী রাফাত কারদার
 
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।