Bajaj Pulsar NS160 ৩০,০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ-সোহেল
This page was last updated on 31-Jul-2024 02:49am , By Shuvo Bangla
আমি সোহেল । আমি Bajaj Pulsar NS160 বাইকটি ব্যবহার করছি । বাইকটি নিয়ে আমি আমার ৩০,০০০ কিলোমিটার রাইডিং অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ।
আমি সরকারি চাকরি করি। আমি থাকি বরগুনাতে। ছোটবেলা থেকেই বাইকের প্রতি আমার অন্যরকম একটি ভালোবাসা কাজ করে। আমার জীবনে প্রথম বাইক সম্পর্কে ধারনা ও চালানো এলাকার বড় ভাই ও বন্ধুর মোটরসাইকেল দিয়ে শেখা। তারপর মাঝে মাঝে মামার বাইক চালাই।
এরপর আমার মাথায় ভূত চাপে বাইক কেনা লাগবেই। আমার নিজের টাকায় কেনা বাইক ছিল পালসার ১৫০ ২০১৬ মডেলের সেকেন্ড হ্যান্ড বাইক। বছর খানেক চালানোর পর এই বাইকটি ক্রয় করি । বাজাজ এর বাইকগুলো আমার খুব পছন্দের ।
বাইকটি আমি ক্রয় করি উত্তরা মটরস মোহাম্মদপুর বাজাজ এর শোরুম থেকে ২,৫৫,০০০ টাকায় ।ওই সময় বাইকটি কেনার মূল কারণ ছিল এটার স্পোর্টি লুক ও ভালো ব্রেকিং সিস্টেম । কেনার আগে অনেকেই বলেছিল NS ভালো না , তারপরও আমি কিনি। বাইকটি বর্তমানে ৩০,০০০ কিলোমিটার রানিং ।
বাইকটি নিয়ে আমার ভালো লাগার কিছু মতামত -
ভালো মেইনটেনেন্স করতে পারলে অসাধারণ পারফরম্যান্স দিবে। বাইকটির ব্রেকিং সিস্টেম অসাধারণ। ভালো ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করতে হবে। আমি ইঞ্জিন অয়েল হিসেবে ব্যবহার করি Liqua Molly । সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভালো টেকনিশিয়ান দিয়ে বাইকের সার্ভিস করাতে হবে।
Bajaj Pulsar NS160 বাইকটির কিছু অপকারিতাও আছে -
- বাইকটির পার্টস ও এক্সেসরিজ ঠিকমতো সব জায়গায় পাওয়া যায় না।
- ১২০০ এম এল ইঞ্জিন অয়েল লাগে।
- সব টেকনিশিয়ান এই বাইকের কাজ করতে পারে না।
- ৫ ফুট ৬ ইঞ্চির নিচে উচ্চতার মানুষের রাইড করতে আন-কম্ফোর্টেবল লাগে।
আমার ভালোবাসার বাইকটিকে নিয়ে বরগুনা থেকে ঢাকা গিয়েছি প্রায় ২৮০ কিলোমিটার চালিয়ে। আমি সর্বোচ্চ গতি পেয়েছি ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়েতে ১১৮ কিলোমিটার। অবশ্য আমার প্রায় ২০ মিনিট মতো বসে থাকা লাগছে, ইঞ্জিন ওভার হিট হয়ে যাওয়ার কারনে স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়।
মডিফাই বলতে শুধু স্টিকার করিয়েছি। আমি বাইকের সার্ভিসিং করাই বরিশালে Biker Boomzz আর ঢাকাতে Moto Nation থেকে । আমার লেখায় ভুল ত্রুটি হলে সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।