Bajaj Pulsar NS 160 ৩০,০০০ কিলোমিটার রাইড - দেবর্ষি মল্লিক
This page was last updated on 13-Jan-2025 05:44pm , By Raihan Opu Bangla
আমার নাম দেবর্ষি মল্লিক । আমি একজন ছাত্র । আমি বর্তমানে Bajaj Pulsar NS 160 বাইকটি রাইড করছি। আমার Bajaj Pulsar NS 160 বাইকটি বর্তমানে ৩০ হাজার কিলোমিটার রানিং। আজ আমি আমার এই বাইকটি নিয়ে আপনাদের সাথে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।
Bajaj Pulsar NS 160 ৩০,০০০ কি.মি. রাইড অভিজ্ঞতা
আমি খুলনা জেলার শাহাপুর বসবাস করি । বিশ্বাসের আর এক নাম বাজাজ কারণ যুগের পর যুগ ধরে আমাদের এদিকে পালসার বাইক চলছে কোনো সমস্যা হয় না । আগে Apache RTR বাইকটি চালাতাম কিন্তু Apache RTR বাইকে আছে নানা ধরনের সমস্যা। এই কারণে আমার TVS Apache RTR 150 Matte Black বাইকটি বিক্রি করে দিলাম আর তারপর ভাবলাম একটা Bajaj Pulsar NS 160 কিনবো । Bajaj Pulsar NS 160 কেনার পিছনে একটাই কারন ছিল সেটা হলো এর লুকিং । এই সেগমেন্টের যে কোন বাইক এর থেকে ভালো এই বাইকটি ।
Also Read: Bajaj Bike Showroom in Sunamganj: Suprova International (Sylhet )
বাইকটি এখন থেকে প্রায় তিন বছর আগে কেনা । তখন পালসার এনএস একদম নতুন রিলিজ হয়েছিল আর আমার ইচ্ছা ছিল সাদা কালার এর একটা বাজাজ পালসার এনএস কিনব কারন সাদা আমার প্রিয় কালার। সকাল বেলা আমি এবং আমার ফ্রেন্ড সজীব বের হয়ে গেলাম সজিব এর হাংক নিয়ে খুলনা শহর এর উদেশ্যে।শো-রুম থেকে এন এস বাইকটি কিনলাম । আমার বাইকটি ছিল NS Single Disc এবং দাম নিয়েছিল ২ লক্ষ টাকা ।আসলে আমি অনেক খুশি ছিলাম আর এনএস ২০০ আমার অনেক প্রিয় একটা বাইক। বাইকটি ইন্ডিয়াতে প্রচুর জনপ্রিয় বাইক। তবে আমাদের দেশে একদম নতুন তাই অনেক ভালো লেগেছিল নতুন বাইক এজন্য সবাই বেশ আগ্রহ নিয়ে বাইকটি দেখতে ছিল । অনেকেই জিজ্ঞেস করছিল যে এটা কি বাইক । সবথেকে বড় সমস্যা হল বাইকের হেড লাইটের সুইচ ছিলনা সুতরাং প্রত্যেক বলতেছিল হেডলাইট অফ করুন । তখন বাংলাদেশে AHO সিস্টেম একেবারেই নতুন ছিল । বাইকটি প্রথম দিন আমি ৮০ কিলোমিটার+ চালিয়েছিলাম। ৫০০ কিলোমিটারে এবং ১০০০ কিলোমিটারে ২ বার ইঞ্জিন অয়েল এবং ফিল্টার চেঞ্জ করেছি । Hipro MX5 20w50 গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি। সিটি রাইডে আমি ৪০ কিলোমিটার প্রতি লিটার এর মত মাইজেল পাই, এবং হাইওয়েতে খুব সহজে ৪৫+ কিলোমিটার প্রতি লিটার মাইলেজ পাই ।
বাইকটির কিছু ভালো দিক -
- বিল্ড কোয়ালিটি
- কম্ফোর্টর
- সিটিং পজিশন
- লুকিং
- এক্সিলারেশন
বাইকটির কিছু খারাপ দিক -
- পিলিয়ন সিট আনকম্ফোর্টেবল
- টায়ার চিকন
এই বাইকের সব পার্টস খুব সহজে পাওয়া যায় এবং দামও অনেক কম। আমি এই পর্যন্ত ১ বার চেইন স্পোকেট পরিবর্তন করেছি । ২০ হাজার কিলোমিটার পর এবং ৫ বার এয়ার ফ্লিল্টার এবং প্রতিবার ইঞ্জিন অয়েল এর সাথে অয়েল ফিল্টার পরিবর্তন করি । এখন পর্যন্ত ৪ বার প্লাগ পরিবর্তন করেছি।
Also Read: Bajaj Pulsar 160NS এর ফিচার রিভিউ
প্রথম ৫ হাজার কিলোমিটার Hipro MX5 20w50 গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করেছি । মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল । এখন সেন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি । প্রতি ২ হাজার কিলোমিটার পরপর পরিবর্তন করি, Hipro MX7 20w50 । বাইক কিনে ১ হাজার কিলোমিটার চালানোর পর টায়ার চেঞ্জ করেছি। সামনে ১০০/৮০ এবং পিছনে ১৩০/৭০ লাগিয়েছিলাম । সর্বোচ্চ ৭৫০০ টাকার মত খরচ করেছিলাম।
১২৭ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা টপ স্পিড পেয়েছি । এর থেকে বেশি অনেক কষ্ট করেও তুলতে পারিনি। বাইকটি নিয়ে অনেক লং ট্যুর করেছি । খুলনা টু পদ্মবিল, খুলনা টু বেনাপোল, খুলনা টু মংলা । এই বাইকটি সকলের জন্য নয় যাদের উচ্চতা ৫.৮+ তাদের জন্য পার্ফেক্ট একটি বাইক । বাইকটির সব কিছু পার্ফেক্ট আছে। আমি মনে করি এখনো ২লাখ টাকা প্রাইসের মধ্যে এটা একটি সেরা বাইক হবে । ধন্যবাদ ।
Also Read: Bajaj CT 100 Bike Price in Bangladesh
লিখেছেনঃ দেবর্ষি মল্লিক
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।