Bajaj Pulsar 150 Twin Disc মালিকানা রিভিউ - আশিকুর রহমান (শিশির)

This page was last updated on 25-Jul-2024 05:05pm , By Raihan Opu Bangla

আমি মোঃ আশিকুর রহমান (শিশির)। আমি পড়াশোনা করি, আমার বাসা ঝিনাইদহ জেলাতে। বর্তমানে আমি যশোর এ থাকি। বর্তমানে আমি Bajaj Pulsar 150 Twin Disc বাইকটি রাইড করছি।

Bajaj Pulsar 150 Twin Disc মালিকানা রিভিউ

bajaj pulsar 150 twin disc front view   

বাইক চালানো আমার শখ অনেক ছোট থেকেই, আমি এখন বড় হয়ে সেই ধারাবাহিকতায় এখন একটা ১৫০ সিসির Bajaj Pulsar 150 বাইক রাইড করি। আমার পালসার বাইক অনেক পছন্দ, এই বাইক আমাকে মুগ্ধকরে। এটার ব্রেকিং সিস্টেম অনেক ভাল। আমি এই বাইক চালিয়ে নিজেকে ধন্য মনে করি। আমার জীবনের প্রথম বাইক চালানর অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। তবে ছোট্ট করে একটু বলি, বাইরে আমার মামার বাইক রাখা ছিলো আমি লুকিয়ে চাবি নিয়ে বের হয়ে যাই। সন্ধ্যায় বাসায় বাড়ি ফিরি। সবাই অনেক অনেক বকা দিলো কিন্তু আমার ভিতরে জীবনের প্রথম বাইক চালানোর অনূভুতিটা কাজ করছিলো তাই ওই সব কিছুই মনে হয়নি। আমি অনেক আনন্দিত ওই দিনের ঘটনায় আল্লাহর রহমতে এখনো কোনো প্রকার ক্ষয় ক্ষতির কারণ বা অন্য কিছু হয়নি।

bajaj pulsar 150 twin disc side view 

Bajaj Pulsar 150 twin disc এর বাইকটি আমার কাছে অনেক ভালো। প্রথমত দেখতে সুন্দর, ব্রেকিং সিস্টেম ও অনেক ভালো, বাজেটের মধ্যে কম্প্যাক্ট একটি বাইক। সব দিক থেকে আমার জন্য অনেক পারফেক্ট বাইক। Bajaj Pulsar 150 twin disc আমার বাইক এর দাম নিছিলো ১ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা।

আমি কিনেছিলাম ঝিনাইদহ জেলার, মহেশপুর থানার, খালিশপুর থেকে। বাইক কিনতে যাবার দিনের ঘটনা বলে শেষ হবে না আমি অনেক মন খারাপ করেছিলাম আমার পছন্দের কালার পাওয়া যাচ্ছিলো না। তাই পরে অনেক কস্ট করে বেশি দাম দিয়ে সেটা ক্রয় করলাম। বাড়ির সবাই অনেক খুশি আমিও খুশি ১০ কেজি মিষ্টি খাওয়ানো লাগলো নতুন বাইক কিনার জন্য, এটাই ওই দিনের কথা।  

bajaj pulsar 150 twin disc test ride 

আমি প্রথম বার ১৫০ সিসির বাইক রাইড করছিলাম সেই দিক থেকে আমার মনে অনেক আনন্দ ছিলো। ওইদিন আমার অনেক ভালো লেগেছিলো। বাইকের ফিচার গুলো অনেক ভালো। এই বাইকের ব্রেকটা অনেক ভালো আমি অনেক আনন্দিত ব্রেকিং এর জন্য। পরিবার এর সবার সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য পারফেক্ট বাইক। এই বাইক আপনাকে কখনো নিরাশ করবে না আমি আশা করি। আমি যখন দিনের শুরুতে প্রথম বাইক চালাই তখন আমার মন খারাপ থাকলেও কিছুক্ষন বাইক চালানোর পর মন ভালো হয়ে যায়,আমি অনেক অনেক বেশি খুশি এই বাইকটি রাইড করে।

bajaj pulsar 150 twin disc speedometer 

আমি বাইক কিনার ১ বছরের মধ্যে ২ বার ফ্রী সার্ভিস ও ২ বার টাকা দিয়ে, উত্তরা মটরস থেকে সারভিসিং করিয়েছি। এখানে সার্ভিসিং করিয়ে আমি অনেক আনন্দিত আর ওদের কাজ এর ধরনটাও অনেক অনেক ভালো। কাজেই আমি ওদের থেকে সার্ভিসিং করাই সব সময়। আমার বাইকের এখানো কোনো পার্টস পরিবর্তন করতে হয়নি। আমি এখনো কোনো মডিফাই করিনি। আমার বাইক নিয়ে আমার টপ স্পীডছিলো ১১২ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা পিলিয়নসহ।

বাইকের ৫টি ভালো দিক নিচে দেওয়া হলোঃ

  • ব্রেকিং সিস্টেম ভালো
  • দেখতে সুন্দর
  • টায়ারের বিট অনেক ভালো
  • রাত্রে রাইড করে মজা
  • লং ট্যুরে কোনো অসুবিধা হয় না

বাইকটির ৫টি খারাপ দিক হলোঃ

  • এই বাইক একটু বেশিই গরম হয়
  • বাইকের সিট গুলো একটু ছোট
  • পিছনে পিলিয়ন এর ধরার জায়গা নাই

bajaj pulsar 150 twin disc owner

আমি লং ট্যুর দিয়েছিলাম ৪০০ কিলোমিটার রাস্তা, মোট ৮৪৫ কিলোমিটার রাস্তা। সেইখানে বা সেইদিনে আমার অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছ। আমি ২০০ কিলোমিটার পর থেমে থেমে গিয়েছিলাম। আমি এই ট্যুর দেওয়ার পর মাইলেজ এর ব্যাপার টাও চেক করলাম। ভালই পেলাম সব মিলিয়ে পার্ফেক্ট একটি ট্যুর ছিল। এই বাইকটি একটি স্ট্যান্ডার্ড বাইক সব বয়সের মানুষ বা বাইকাররা এটা নিতে পারবে। এটা কোনো রেসিং বাইক নয় এটা রেসিং এর জন্য ক্রয় না করাই ভাল। সব মিলিয়ে পার্ফেক্ট পথ চলার মতো একটা ভালো বাইক।

লিখেছেনঃ আশিকুর রহমান (শিশির)


আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।