Bajaj Pulsar 150 বাইক নিয়ে মালিকানা রিভিউ - সিয়াম

This page was last updated on 15-Jan-2025 07:16pm , By Shuvo Bangla

আমার নাম রাজিব আহমেদ সিয়াম । আমি টাঙ্গাইল বসবাস করি । আমি আজ আপনাদের সাথে আমার Bajaj Pulsar 150 বাইকের মালিকানা রিভিউ শেয়ার করবো । যদি বলি লাখো মানুষের একটি স্বপ্ন আর সেটি বাজাজ পালসার, তবে আমার মনে হয় কোন অংশে ভূল বলা হবে না।

Bajaj Pulsar 150 বাইক নিয়ে মালিকানা রিভিউ

Bajaj Pulsar 150 বাইক নিয়ে মালিকানা রিভিউ - সিয়াম

Also Read: Bajaj Bike showroom in Gopalgonj : Anis Motors 

আজ থেকে ৩-৪ বছর আগে বাইক চালানো শিখি । তারপরে আস্তে আস্তে বাইকের প্রতি ভালোবাসা জন্মায় । আমি একজন বাইকবিডির এক্টিভ মেম্বার । প্রতিদিন বাইকটি চালানোর সময় আমার অনুভূতি বোঝানো সম্ভব নয় প্রতিদিন খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠি বাইক চালিয়ে কাজে যাওয়ার জন্য আজ পর্যন্ত কোনদিন বাইক চালিয়ে বোরিং ফিল করিনি ।

আমার বাইক কয়েক বার সার্ভিস করিয়েছি বাজাজ এর শোরুম থেকে এখন পর্যন্ত যতটা সার্ভিস করিয়েছি সবগুলো অফিসিয়াল বাইকের সাথে ফ্রি সার্ভিস । ২৫০০ মিটার পূর্বে ও পরে বাইকের মাইলেজ 35-40 পেয়েছি । রেগুলার বাইক ওয়াস বাইকের চেইন লুব সহ অন্যান্য যে কাজগুলো থাকে সবি রেগুলার করিয়ে থাকি।

এটিতে স্প্লিট অর্থাৎ দুটি সিট ব্যবহার করা হয়েছে। সিটটি বেশ কমফোর্টেবল এবং লং রাইডের জন্য বেশ কার্যকরী। সামনে ও পিছনের ডিস্ক ব্রেক দেওয়া হয়েছে , বাইকটিতে সামনে এবং পিছনে ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে ।Bajaj Pulsar 150 বাইক নিয়ে মালিকানা রিভিউ

Also Read: Bajaj Bike showroom in Jamalpur : S S Bajaj

এমন কোন বাইকপ্রেমী মানুষ নেই যারা পালসারের ডিজাইন সম্পর্কে অবগত নন। তবে হ্যাঁ, Bajaj Pulsar 150 সিসি টুইন ডিস্ক মডেলটাতে অনেকটা আগের মত ডিজাইন করা হয়েছে। প্রথম দেখাতে আগের মডেলটার মত মনে হতে পারে কিন্তু ভালভাবে খেয়াল করলে বেশ কিছু পরিবর্তন চোখে পড়বে।

এবার আসি মূল সুবিধা ও অসুবিধার দিকে , যে কোন জিনিসের ভাল এবং মন্দ দুইটা দিক থাকে  

Bajaj Pulsar 150 বাইকের কিছু খারাপ দিক - 

  • কিক স্টার্ট নেই
  • নো এবিএস
  • পূরনো মিটার
  • ইঞ্জিন ভাইব্রেশন লং রাইডে পার্ফরমেন্স ড্রপ করে
  • কয়েকদিন পরপর চেইন লুজ হয়ে যায়

Bajaj Pulsar 150 রিভিউ - সিয়াম

Also Read: Bajaj Bike showroom in Savar : Bajaj Garden

Bajaj Pulsar 150 বাইকের কিছু ভালো দিক - 

  • ব্রেকিং ভালো
  • দেখতে মোটামুটি সুন্দর
  • অনেকক্ষণ রাইড করলেও কোন ধরনের প্রবলেম হয় না
  • লং রাইড করে ভালো লাগে
  • কম্ফোর্ট

সব মিলিয়ে আমার খুব প্রিয় একটি বাইক । অনেকদিন থেকেই এইটা চালাচ্ছি । এখন পর্যন্ত ২৫,০০০ কিলোমিটার চালিয়েছি । দশ হাজার কিলোমিটার চালানোর পরেও তেমন কোন খারাপ দিক আমার কাছে লাগে না । ২ লক্ষ টাকা বাজেটের মধ্যে ভালোই বলতে হয় । ধন্যবাদ । 

লিখেছেনঃ রাজিব আহমেদ সিয়াম

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।