Bajaj Pulsar 150 বাইকের মালিকানা রিভিউ - রিয়াদ হাসান

This page was last updated on 01-Aug-2024 01:33am , By Shuvo Bangla

আমি রিয়াদ হাসান। আমি একজন ছাএ । আমি দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবহার করছি Bajaj Pulsar 150 কালো লাল মডেলের বাইকটি। আমি শখ করে আমার বাইকটিকে পাগলা ঘোড়া বলি ।

 Bajaj Pulsar 150 বাইকের মালিকানা রিভিউ

এর পেছনে অবশ্য যথেষ্ট কারন আছে। আমি আমার বাইকটি থেকে বেস্ট স্পিড পেয়েছি। তাছাড়া কথাই আছে শখের তোলা ১২ আনা। আমার ভালোবাসা থেকেই তার নাম পাগলা ঘোড়া। যখন থেকেই মোটরসাইকেল চালানো শিখেছি তখন থেকেই আমি বাজাজের বড় ফ্যান বলতে পারেন। যদি কেউ জিজ্ঞেস করতো যে ভাই কোন ব্র্যান্ডের বাইক কিনবো তখন আমি নিঃসন্দেহে বাজাজ ব্র্যান্ডের কথা বলততাম। ফোনে রিভিউ দেখতাম, বাজাজের বাংলাদেশে লঞ্জ করা প্রতিটি বাইকই খু্ঁটিনাটি দেখতাম। সবশেষ আমি ও এখন বাজাজের গর্বিত মালিক।

আমি আমার বাইকটি সম্পর্কে কিছু লেখার চেষ্টা করেছি। যদিও পুরোপুরি লিখে উঠতে পারবো না। চালানো শেখা আমার প্রায় ৬ বছর হতে চলেছে। তবে আমার বাইকের বয়স ৩ বছর। আমি ব্যবহার করছি বাজাজ পালসার ২০১৭ মডেলটি। এই বাইকটি কলেজ যাতায়াত এবং বিভিন্ন পারিবারিক কাজে আমি ব্যবহার করি । ছোট খাট কিছু সমস্যা ছাড়া বাইকটি আমাকে অনেক ভালো সার্ভিস দিয়ে আসছে। 

Bajaj Pulsar 150

ডিজাইন আমার কাছে এক কথায় দারুণ লেগেছে। মার্জিত ডিজাইন, সুন্দর হেডল্যাম্প, সুন্দর গ্রাফিক্স এসব কিছু আমাকে আকৃষ্ট করেছে। আমি বলবো যে বাজাজ পালসার ডিজাইনের দিক দিয়ে একদম পারফেক্ট একটি বাইক। কিন্তু বিল্ড কোয়ালিটি আমার কাছে আগের মডেলের পালসারের মত মনে হয়নি। আগের মডেলের পালসারের বিল্ড কোয়ালিটির তুলনায় বর্তমান পালসারের বিল্ড কোয়ালিটি অনেক কম মজবুত বলে মনে হয়েছে। 

অন্যদিকে আমি চেইন কভারে একটু সমস্যা অনুভব করছি। আমি মনে করি বিল্ড কোয়ালিটিটা আরও মজবুত করা দরকার। বাইকটি চালিয়ে অসাধারণ অনুভুতি পেয়েছি।সিটিং পজিশন অনেক ভালো এবং পিলিয়নের সিটিং পজিশনটাও অনেক প্রশস্ত। আমার কাছে সবচেয়ে যেটা ভালো লেগেছে সেটা হল এর হ্যান্ডেলবার। পালসারের হ্যান্ডেলবারটা ধরে আমি অনেক মজা পাই এবং ধরেও বেশ আরাম। 

সুইচগুলো যথেষ্ট ভালো এবং সুইচগুলোর সাথে লাইট থাকার ফলে রাতে সুইচ গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। হেডল্যাম্পের আলো নিয়ে আমি অসন্তুষ্ট। আমার কাছে হেডল্যাম্পের আলোটা অনেক কম মনে হয়েছে। কন্ট্রোল ভালো পেয়েছি। আমি বাজাজ পালসারের সর্বচ্চো গতি তুলেছি পাইকগাছা টু মানিকখালি রোডে ১২২ কিমি এবং আমি এই স্পীডে আমি তেমন ভাইব্রেশন অনুভব করিনি।

Bajaj Pulsar 150 Review

সাসপেনশন সামনেরটা ভালো পারফরমেন্স দিলেও পেছনেরটা অনেক শক্ত যার কারণে খারাপ রাস্তায় অনেক বেশি ঝাঁকুনি অনুবভ করি। টায়ার টিউবলেস এবং গ্রিপ গুলো অনেক ভালো খুব কম স্কীড করে। ইঞ্জিনের পারফরমেন্স ও সন্তোষজনক। আমি মাইলেজ পাচ্ছি প্রায় ৫০ কিলোমিটার।

প্রিয় জীনিসের খারাপ দিক সম্পর্কে বলা যদিও বেশ কঠিন তবুও আমার কাছে মনে হয়েছে গিয়ার শিফটিং অনেক হার্ড । চেইন কভারটা একটু সরু যার কারণে চেইনের সাথে কভারটা একটু ঘর্ষণ খায়। দামের ব্যাপারটা আর একটু রিজেনেবল হলে ভালো হয়। সব মিলিয়ে বাইকটি আমাকে বেশ সুখে রেখেছে। ধন্যবাদ । 


লিখেছেনঃ  রিয়াদ হাসান

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।