Bajaj Pulsar 150 UG4 প্রতিদিন ৭০+ কিলোমিটার রাইড - মোনায়েম

This page was last updated on 11-Jan-2023 03:51am , By Raihan Opu Bangla

আমি মোনায়েম হোসেন । ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানার একটি গ্রামে বসবাস করি । আজ আমি BikeBD.Com এর ওয়েবসাইটে আমার ভালোবাসার প্রিয় Bajaj Pulsar 150 UG4 নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা তুলে ধরবো এবং এই অভিজ্ঞতা আমার একান্তই ব্যাক্তিগত।

  bajaj pulsar 150 ug4 black colour bike

আমি গত ১১-০৪-২০১৯ ইং তারিখে Bajaj Pulsar 150 UG4 বাইকটি ঝিনাইদহ শহরের আলম মটরস থেকে ১,৬৯,০০০ টাকায় ক্রয় করি । বাইকটি আমি সম্পূর্ণ নিজের কষ্টে অর্জিত নগদ টাকা দিয়ে ক্রয় করি । বাইকটি প্রথমে আমার ছোট ভাই চালিয়ে বাড়ি নিয়ে আসে ৷ তারপর এলাকার লোকাল রাস্তায় আমি চালাই । তখন খুব ভালো লাগতেছিলো যা লিখে বা বলে বোঝাতে পারবোনা।

আমার আব্বা, ছোট চাচা একে একে সবাই বাইকটি চালালো । তারপর আবার আমি একে একে আমার দাদী, চাচী, ছোট বোনদের নিয়ে গ্রামের মধ্যে একটু চালালাম, আমি বাড়ির বড় ছেলে আর আমাদের বাড়ির প্রথম মটরসাইকেল এটি ৷ সন্ধ্যায় মহল্লার চায়ের দোকানে বন্ধু ভাইদের চা বিস্কুট খাওয়ালাম বাইক উপলক্ষ্যে ৷ 


বর্তমানে বাইকটির বয়স ১ বছর ৫ মাস। এই ১ বছর ৫ মাসে আমি বাইকটি ২৭,০০০ কিলোমিটার রাইড করেছি। এই ২৭,০০০ কিলোমিটার রাইড এর মধ্যে বাইকটি আমাকে খুব ভালো সাপোর্ট দিয়েছে আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে হতাশ করেছে।

  bajaj pulsar 150 ug4 tour picture

আমি সপ্তাহে ৫ দিন অফিস করি দৈনিক যাওয়া আশা ৭০ কিলোমিটার আর ছুটির দিনে বন্ধুদের সাথে প্রকৃতির কোন সুন্দর যায়গায় ভ্রমনের জন্যে ছুটে চলি অথবা পরিবার নিয়ে আত্মীয় বাড়ি বেড়াতে যাই । আমার জীবনে এই Bajaj Pulsar 150 UG4 নিয়ে লং ট্যুর ছিলো গত ২-১০-২০২০ তারিখে ৷ 


৫ জনের গ্রুপ ট্যুর তিনটা বাইক ইয়ামাহা কোম্পানির দুইটা Yamaha FZS v2 আর একটি Yamaha FZS V3 আর আমার Bajaj Pulsar 150 UG4 ৷ ঝিনাইদহ থেকে ঢাকা তারপর রাঙ্গামাটি হয়ে আসাম বস্তি দিয়ে কাপ্তাই লেক হয়ে বান্দরবন দিয়ে থানচি ডিম পাহাড় হয়ে কক্সবাজার ৷


Bajaj Pulsar 150 UG4 First Impression Review In Bangla – Team BikeBD


৫ দিনে ১৭০০ কিলো রাইড করি ,ফরিদপুর ভাঙ্গা রোডে আমার বাইকের টপ স্পিড পেয়েছি ১১৬ পর্যন্ত ৷ সমতল থেকে ২৫০০ ফুট উপরে থানচি থেকে ডিমপাহাড় রোডে এই Bajaj Pulsar 150 UG4 আমাকে বিন্দুমাত্রও নিরাশ করেনি ৷ আর এভারেজ ৫০ করে মাইলেজ পেয়েছি ৷


আমি Super 4T 20 W 50 গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি । ১ হাজার কিলোমিটার পর পর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করি ৷ বাইকের সার্ভিসিং,মবিল পরিবর্তন এসব কাজ গুলো সব শো-রুমের মিস্ত্রী দিয়েই করানো হয়, বাইকের সামনের ডিক্স ব্রেক সু একবার পরিবর্তন করেছি, বল রেসার এক বার পরিবর্তন করেছি, ক্লাস ক্যাবল দুইবার পরিবর্তন করেছি, এগুলোই আর টুকটাক কাজ ৷


  bajaj pulsar 150 ug4 at bandarban


Bajaj Pulsar 150 UG4 বাইকের ভালো দিক গুলো

  • বাইকের ডিজাইন খুব সুন্দর
  • ১৫০ সিসি সেগমেন্ট হওয়া স্বত্বেও মাইলেজ ৪৫+
  • কন্ট্রোল খুব ভালো
  • হেড লাইট অন করলে সব গুলো সুইচে আলো জ্বলে
  • কম্ফোর্ট

প্রত্যেক জিনিসের ভালো দিকের পাশাপাশি কিছু খারাপ দিকও থাকে ।


Bajaj Pulsar 150 UG4 বাইকের খারাপ দিক গুলো

  • ব্যাটারির মান খুব-ই বাজে দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় ।
  • হেডলাইটে আলো অনেক কম হয় যা হাইওয়েতে রাতে রাইড করতে আমার অনেক কষ্ট হয়
  • লং টাইম রাইড করলে ইঞ্জিন গরম হয় প্রচুর এবং সাউন্ড পরিবর্তন হয়ে যায়
  • পিছনের চাকা আর একটু মোটা হওয়ার দরকার ছিলো
  • লং রাইডে বাইকের পার্ফরমেন্স কমে যায়


bajaj pulsar 150 ug4

আমার বাইকটি এই ১ বছর ৫ মাসে ২৭,০০০ কিলোমিটার রাইড করেছি । এর মধ্যে খুব বেশী সমস্যায় পরিনি ৷ প্রতিদিনই ছুটে চলছি কম করে হলেও ৭০ কিলোমিটার + আর মাঝে মাঝে ট্যুর করি ৷ সবদিক থেকে আমি আমার এই Bajaj Pulsar 150 UG4 নিয়ে অনেক সন্তুষ্ট ও ভালো আছি ৷ সবাই আমার জন্যে দোয়া করবেন, আর রাইড করার সময় অবশ্যই হেলমেট পরিধান করবেন, লেখার মধ্যে যদি কোন ভুল হয় তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ৷ ধন্যবাদ ।


লিখেছেনঃ  মোনায়েম হোসেন


আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।