Bajaj Pulsar 150 SD ২০,০০০ কিলোমিটার রাইড রিভিউ - সোয়াইব

This page was last updated on 16-Jul-2024 07:48am , By Raihan Opu Bangla

আমি সোয়াইব খান সামি। আমি কক্সবাজার বার্মিজ মার্কেট এলাকায় বসবাস করি । আমার জীবনের প্রথম বাইক Bajaj Pulsar 150 SD । বাইকটি ২০১৮ সালের সিঙ্গেল ডিক্স ভার্সন । আজ আমি আমার বাইকটি নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।

  Bajaj Pulsar 150 SD ২০,০০০ কিমি রাইড রিভিউ

bajaj pulsar 150 sd black colour bike side view

আমি বাইক পছন্দ করি । বাইক নিয়ে ট্যুর করতে ভালোবাসি। যেখানে ইচ্ছা সেখানে ঘুরে বেড়ানো যায়। নতুন নতুন ভাইদের সাথে পরিচয় হওয়া যায়। বাইকারদের কাছ থেকে অনেক সাহায্য পাওয়া যায়, যে কোন বিপদে সাহায্য পাই।

Also Read: বাংলাদেশে লঞ্চ হলো Bajaj Pulsar NS160 FI ABS

আমার বাবা যখন আমাকে বাইক কিনে দিতে গিয়েছিল সে সময় আমার বাবা বলেছিল আমাকে Bajaj Discover কিনে দিবে। পরে গিয়ে যখন আমি আমার বাবাকে Bajaj Pulsar Ns 160 দেখাই তখন বাবা রাজি হলো না। বাবা Bajaj Pulsar 150 বাইকটি পছন্দ করে । এবং সেটাই কিনে দিয়েছিল । আমাকে বাইক কিনে দেওয়ার আগে কথা ছিলো শো-রুমে গিয়ে যেটা কিনে দিবে সেটাই নিতে হবে। 


তাই আমার বাইক কেনার আগে কোণ পছন্দের বাইক ছিলনা । তাই বাইক পছন্দের ক্ষেত্রে আমি নিরব থাকি । অবশেষে বাবা আমার পছন্দের Bajaj Pulsar 150 SD বাইকটি কিনে দিলো । যখন আমি Bajaj Pulsar 150 SD বাইকটি কিনি তখন আমার বাইকটির দাম ছিলো ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৯০০ টাকা। আমি বাইকটি কক্সবাজারের বাজাজের জনপ্রিয় ডিলার ইশান মটরস থেকে কিনছিলাম।


Bajaj Pulsar 150 DD First Impression Review In Bangla – Team BikeBD


আমি বাইক কিনি ঠিক আছে তবে আমি বাইক তেমন চালাতে পারতাম না। জীবনে অনেকবার আমি বন্ধুর বাইকের পেছনে বসছিলাম। তবে কাওকে জোর করিনি বাইক চালাবো বলে। আমার চাচার Discover 125  বাইকটি ছিলো সেটা দিয়ে একবার চেষ্টা করছিলাম। 

Also Read: Pulsar Stuntmania – সেমি-ফাইনাল বিস্তারিত

এর পর নিজের বাইক চালাই। নিজের বাইক প্রথম চালানোর অনূভুতি ছিলো অসাধারন। আমার অনেক আনন্দ লাগতেছিল । আমার বাড়ি থেকে কলেজের দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। আর আমার বাবার অফিস ১৮ কিলোমিটার। যাতায়াতের অবস্থা ছিলো খুব খারাপ। তাই বাবা আর আমি যাতায়াতের জন্য এই বাইকটা কিনি। 

প্রতিদিন বাইক চালানোর সময় অনেক ভালো লাগে। তবে বাইকের সবকিছুই ঠিক থাকলে। বাইকে সমস্যা থাকলে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাইক চালিয়ে শান্তি পাইনা।bajaj pulsar 150 sd black colour bike

আমার বাইক বর্তমানে দুই বার সার্ভিসিং করেছি দুই বছরে। আমার বাইকটি কক্সবাজারের উজ্জ্বল দাদার গ্যারেজ থেকে সার্ভিস করিয়েছি। বাইকটির সার্ভিস খুব ভালো । এখন পর্যন্ত বাইকটিতে খুব বেশি সমস্যা হয়নি । নিয়মিত যত্ন নেই । 


ইঞ্জিনের কোণ প্রকার কাজ এখন পর্যন্ত করতে হয়নি । প্রথম ২৫০০ কিলোমিটারে মাইলেজ একটু কম ছিল । ফ্রি সার্ভিসিং এর সময় সমাধান করে নেই । পরে আলহামদুলিল্লাহ ৪০ পর্যন্ত মাইলেজ পাচ্ছি, শহরে ৩৩-৩৪ এর মত মাইলেজ পাচ্ছি ।


আমি আমার বাইকের খুবই যত্ন নেই। প্রতিদিন রাইডে বের হওয়ার আগে বাইক পরিষ্কার কাপড় দিয়ে পরিস্কার করি। আর ময়লা হলে বাইক ওয়াশ করি। কোন সমস্যা পেলে সাথে সাথে সমাধান করার চেষ্টা করি । 


আমার বাইকে ব্যবহার করা ইঞ্জিন অয়েলের নাম Shell Advance 20w50। ইঞ্জিন অয়েলটির দাম ৪০০ টাকা । ইঞ্জিন অয়েলটি বেশ ভালো পার্ফরমেন্স দিচ্ছে । এখন পর্যন্ত আমি আমার বাইকের লাইট, চেইন , ক্লাস ক্যাবল, ব্রেক সু, স্পার্ক প্লাগ পরিবর্তন করেছি ।

bajaj pulsar 150 sd

আমি আমার বাইক কেনার পরে কিছু মডিফাই করছি। প্রথমে চাকার মার্টগাড পরিবর্তন করেছি।  ডিজিটাল নাম্বার প্লেটের নিচে যে অংশ থাকে সেটা কেটে ফেলছি এবং LED লাইট লাগিয়েছি। বাইকের ট্যাংকের মধ্যে স্টিকার লাগিয়েছি। বাইকটি দিয়ে আমার তোলা সর্বোচ্চ স্পীড ১১৪। চাইলে আরো তুলতে পারতাম। তবে যত গতি ততই ক্ষতি এই কথাটি মাথায় রেখে এত স্পিড তুলিনি।


Bajaj Pulsar 150 SD বাইকটিরকিছুভালদিক-

  • ইঞ্জিন সাউন্ড অনেক ভালো লাগে
  • মাইলেজ
  • স্পিড
  • লুকস
  • কম্ফোর্ট


Bajaj Pulsar 150 SD বাইকটিরকিছুখারাপদিক-

  • লং টাইম রাইড করলে ইঞ্জিন সাউন্ড খুব বিরক্তিকর হয়ে উঠে
  • ব্রেক কন্ট্রোল তেমন একটা ভাল লাগেনা
  • লং রাইডে ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হয়
  • চাকার সাইজ অতিরিক্ত ছোট
  • হেডলাইটের আলো কম


বাইক নিয়ে আমার লং ট্যুর হচ্ছে কক্সবাজার থেকে তিন পার্বত্য জেলা ঘুরে নোয়াখালী আবার কক্সবাজার চলে আসা। আলহামদুলিল্লাহ কোন সমস্যা হয়নি। খুব ভালোই সার্ভিস দেয়। তবে ৫০-৬০ কিলোমিটার পর পর রেস্ট দিতে হয়।

bajaj pulsar 150 sd bike

Bajaj Pulsar 150 SD বাইকটি নিয়ে আমার চূড়ান্ত মতামত ও পরামর্শ হচ্ছে বাইকের চাকা আর ব্রেক কন্ট্রোল ঠিকঠাক মতো দেওয়া হলে ভালো হবে। আর বাজাজের সার্ভিসিং সেন্টার গুলো আরো আপগ্রেড করতে হবে । কারণ তাদের থেকে ঠিক মতো সার্ভিস পাওয়া যায় না। Bajaj Pulsar 150 SD বাইকটি বাজেট হিসেব করলে খুব ভালো একটি বাইক । আর বাজাজ ইঞ্জিনের কথা এর স্থায়িত্বের কথা নতুন করে বলার কিছু নাই । ধন্যবাদ ।

লিখেছেনঃ সোয়াইব খান সামি

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।