Bajaj Pulsar 150 বাইকটির মাইলেজ বেশ ভাল - বরকত মোল্লা

This page was last updated on 26-Jul-2024 05:31pm , By Raihan Opu Bangla

আমি মোহাম্মদ বরকত মোল্লা। জেলা বাগেরহাট, থানা মোল্লাহাট, আমি খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজ মোল্লাহাট পড়াশুনা করি। আমি আনেক দিন ধরে ভাবতেছি আমার বাইকের একটা রিভিউ লিখবো। আজ আমি আমার Bajaj Pulsar 150 বাইকটি ৩২ হাজার কিলোমিটার রাইডের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।bajaj pulsar 150 headlight black red color suspensionআমার বাইকের প্রতি ছোটবেলা থেকে আনেক বেশি আগ্রহ। আমি মনে মনে ভাবতাম কবে আমি অন্যদের মতো করে বাইক চালাবো। আমি ক্লাস ৫ এ থাকতে প্রথম বাইক চালানো শিখি। আমার চাচাতো ভাই এর একটি Freedom বাইক ছিলো এটা দিয়ে আমি বাইক চালানো শিখি। 

তার পর থেকে আমাদের বাড়িতে কেউ বাইক নিয়ে আসলে চাবি চুরি করে হলেও বাইক নিয়ে বের হতাম । এই ভাবে আস্তে আস্তে ভালো বাইক চালানো শিখি তার পরে বাবাকে বলি বাইক কিনে দিতে বাবা বলে ছিল এসএসসি পাস করলেই বাইক কিনে দিবে। এসএসসি পাস করার কিছু দিন পারে বাইক কিনে দিত রাজি হলেন।

আামার ইচ্ছা ছিল আমি বাইক কিনলে Bajaj Pulsar 150 কিনবো, আমার বাবা Bajaj Pulsar 150 কেনার কথা বলছে। তারপরে November 26 2017 সালে বাইক কিনতে যাই। বাইক কেনার দিন আমি অনেক বেশি খুশি ছিলাম।pulsar 150cc stuntআমার বাইক কেনাহয় গোপালগঞ্জ নাফিজা শো-রুম থেকে। আমি প্রথম দিন বাইক চালানোর সময় আনেক বেশি খুশি ছিলাম। আমি প্রথম দিন ৮৬ কিলোমিটার চালিয়েছিলাম। প্রথম দিনের কথা আমি কখনো ভুলতে পারবোনা। Bajaj Pulsar 150 দিয়ে মাইলেজ পাচ্ছি ৩৭-৩৮ কিলোমিটার প্রতি লিটার এবং ১০০০ কিলোমিটার চালানোর পরে ব্যাটারি পরিবর্তন করা হয়েছিল।

১৫০০০ কিলোতে সামনের টায়ার পরিবতন করি এবং ১০০০০ কিলো পর পিছনের টায়ার পরিবর্তন করি। ২০০০০ কিলোমিটার পর চেইন স্পোকেট পরিবর্তন করি। আর কোন প্রকার পার্টস এখনো পরিবর্তন করতে হয়নি। Bajaj Pulsar 150 প্রতি মাসে ২ দিন বাইক ওয়াস করা হয়। বাইকের ফুয়েল ট্যাংক বডি কিট ধোঁয়ার জন্য আমি সেম্পু ব্যবহার করি এবং ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করি।bajaj pulsar 150 headlight black color

Bajaj Pulsar 150 এর কিছু ভালো দিক -

  • কন্ট্রোলিং ভালো
  • লং লাইফ ইঞ্জিন পারফর্মেন্স
  • তুলনামূলক মাইলেজ বেশি
  • অন্য বাইকের মতো ভাইব্রেশন নেই
  • লং ট্যুরের জন্য বাইকটি খুব ভালো

Bajaj Pulsar 150 এর কিছু খারাপ দিক -

  • ৫০ কিলো চালানোর পর সাউন্ড নষ্ট হয়ে যায়
  • ডাবল ডিক্স দরকার ছিল
  • রেডি পিকাপ আনেক কম
  • ইঞ্জিন সাউন্ড অনেক বেশি
  • হেডলাইট এর আলো কম

আমি আমার বাইকেটি অনেক চালিয়েছি । আমি বাইক নিয়ে ট্যুরে গিয়েছি গোপালগঞ্জ টু খুলনা । আমার বাইক আমার কাছে সেরা বাইক । আমার বাইক নিয়ে চলাফেরায় আনেক সুবিধা হয় । আমি Bajaj Pulsar 150 এর কিছু ভালো কিছু দিক- নিয়ে অনেক বেশি খুশি।

বাজাজের এমন ইউজার রিভিউ এবং  pulsar 150 price in bangladesh এর সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক ফ্যান পেজ ঘুরে দেখুন। তাছাড়া বাইক সম্পর্কিত যেকোন তথ্য পাবেন আমাদের ওয়েবসাইটে। আপনাদের মূল্যবান বক্তব্য এবং pulsar 150 ভালো বা খারাপ দিক আপনার কাছে কোনটা মনে হয় সেগুলো আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন । ধন্যবাদ।

লিখেছেনঃ মোহাম্মদ বরকত মোল্লা

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।