This page was last updated on 31-Jul-2024 05:23am , By Shuvo Bangla
আমি মো: মঈন উদ্দীন । আমি সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলায় বসবাস করি । আমি একটি Bajaj Pulsar 150 বাইক ব্যবহার করি । বাইকটি প্রায় এক বছর ধরে চালিয়ে আসছি , এখন বর্তমানে আমার বাইকটি ১৫ হাজার কিলোমিটার চলেছে।
Bajaj Pulsar 150 ১৫,০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - মঈন
আজ আমি আমার বাইকটি নিয়ে আমার ১৫ হাজার কিলোমিটার রাইডিং অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো । চলার পথে আমার বাইকটি আমাকে কখনো হতাশায় ফেলেনি প্রথম অবস্থায় যখন আমি বাইক ক্রয় করি তখন আমার আর্থিক অবস্থা সেরকম ভাল ছিলনা তার পরেও আমার বাবা আমাকে বাইকটি কিনে দিয়েছিল।
প্রথম অবস্থায় আমার বাইকে বেশি কিছু মডিফাই করিনি এর মধ্যে শুধু সাইলেন্সার গার্ড সিট কভার এবং M8 লাইট সেট আপ করি। আমি আমার বাইকটিতে প্রথম থেকেই খুব যত্ন সহকারে এবং বেকিং পিরিয়ড মেইনটেইন করে চালিয়েছি এবং প্রথম থেকে আমার বাইকে Castrol Active 40T 20w40 ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করে আসছি।
আমার বাইকটিতে
ব্রেক ইন পিরিয়ড চলা অবস্থায় ৩৯ মাইলেজ পেতাম পরবর্তীতে যখন বাইকটি ২৫০০ কিলোমিটার রানিং হলো তখন মাইলেজ ৪৫ +- এর মধ্যে থাকতো।
আমার বাইকটি যখন তিন হাজার কিলোমিটার চলা শুরু করলো তখন বাইকের ক্লাসের তার ও পিকআপের তার টা শক্ত হয়ে যায় আর পিছনে
ব্রেক প্যাড ক্ষয় হয়েগেছিল পরবর্তীতে আমি সেগুলো আমার দোকানের পাশেই ঠিক করেছিলাম আর শোরুম থেকে যে সার্ভিস দিয়েছিল সেটা আমার পছন্দ হয়নি তার জন্য সেখান থেকে আমার বাইক আমি সার্ভিসিং করিনি।
এখন আমি আমার বাইকটি আমার দোকানের পাশেই সার্ভিসিং সেন্টারে নিয়ে একটা মাস্টার সার্ভিস দিয়ে দেই | মাস্টার সার্ভিসে আমার বাইকের এয়ার ফিল্টার ক্লাস কেবল গিয়ার অয়েল ব্রেক অয়েল ব্রেক প্যাড ছাড়া আর কিছু টুকিটাকি কাজ করাই ।
হাইওয়েতে ১১৮ + স্পিড তুলি । ১০ হাজার কিলোমিটারে একটা সমস্যায় পড়েছি যেটা হলো আমার বাইকের ডানপাশের সাসপেনশন এর অয়েল সিল নষ্ট হয়েগিয়েছিল। তা ছাড়া আর কোন সমস্যা এখন পর্যন্ত হয়নি । পরবর্তীতে আমার বাইকটি ১৩ হাজার কিলোমিটার চলা অবস্থায় আরেকটি ছোটখাটো মাস্টার সার্ভিস দেই আর চলা অবস্থায় কিছু টুকিটাকি কাজ করানো হয়েছে যা প্রত্যেক বারের সাধারণ ব্যাপার।
আসলে বলতে গেলে আমার বাইকের সব কিছু যে ভাল তা কিন্তু নয় কিছু ভালো দিক আছে কিছু খারাপ দিক আছে ।
Bajaj Pulsar 150 বাইকের খারাপ দিকগুলো হলো -
- আমার বাইকে তিনজন চালালে একটু সমস্যা মনে হয় ।
- রেডি পিকআপ কম মনে হয়েছে
- শাড়ি গার্ডের জায়গা কম মনে হয়েছে
- আরেকটা বিষয় কিক স্টার্ট এর কোন অপশন রাখে নাই।
Bajaj Pulsar 150 বাইকের ভালো দিকগুলো হলো -
- লুকস
- কন্ট্রোল
- ব্রেকিং সিস্টেম
- মোটা টায়ার
উপরের কথাগুলো সবগুলো আমার একান্তই ব্যক্তিগত মতামত এর মধ্যে কোন কিছু ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই যে পার্ফেক্ট তা নয় আমারও ভুল হতে পারে । ধন্যবাদ সবাইকে , আর বাইকবিডি কে অনেক অনেক ধন্যবাদ সামাজিক মাধ্যমে সাহায্য সহযোগীতা মূলক কর্মকান্ড করার জন্য। Lets see
Bajaj bike price in Bangladesh.
লিখেছেনঃ মো: মঈন উদ্দীন
আশা করি মঈন ভাই এর ইউজার রিভিউটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে। বাজাজের এমন ইউজার রিভিউ এবং pulsar 150 price in bangladesh এর সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক ফ্যান পেজ ঘুরে দেখুন। তাছাড়া বাইক সম্পর্কিত যেকোন তথ্য পাবেন আমাদের ওয়েবসাইটে।
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।