Bajaj Discover 110 ১০০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - নিয়াম

This page was last updated on 31-Jul-2024 08:57am , By Shuvo Bangla

আমি নিয়াম , আমার বর্তমানে ব্যবহৃত বাইকটির নাম Bajaj Discover 110 । বাইকটি বর্তমানে ১০,০৭৮ কিলোমিটার রানিং। আমি লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় বসবাস করি । বাইকের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ এবং নিজের মতো করে চলাচল করা যায় বলে আমি বাইকিং ভালোবাসি । 

Bajaj Discover 110 ১০০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - নিয়াম

বিভিন্ন বাইকার ভাইদের রিভিউ এবং আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে আমি আমার বাইকটি বেঁচে নেই। মূলত কলেজ , প্রাইভেট, ছোট ছোট কাজের জন্য আমি বাইকটি ব্যবহার করতেছি।

বাইকটি আমি যখন কিনেছিলাম তখন বাইকটির অফিশিয়াল মূল্য ছিল ১,১৯,৫০০ টাকা ঈদ অফার থাকায় বাইকটি আমি ১,১২,৫০০ টাকায় কিনেছিলাম এবং বাইকটি আমি আমাদের পাশের উপজেলা হাতিবান্ধা বাজাজ এর শোরুম আরিফ মটরস থেকে কিনেছিলাম।

যেদিন বাইক কিনতে যাবো সেদিন ছিলো আমার জীবনের একটি আনন্দময় দিন বাবা সহ গিয়েছিলাম বাইক কিনতে আনন্দ সহ যা ছিল অসাধারণ , যাওয়ার সময় ট্রেনে করে গিয়েছিলাম । বাইকটি যখন বাসায় নিয়ে আসি এরপর খাওয়া দাওয়া শেষে বাবার কাছে প্রিয় বাইকের চাবিটি নিয়ে আম্মুকে বলে আয়াতুল কুরসি পাঠ করে মহান আল্লাহর নাম নিয়ে বাইকটি স্টার্ট করি এবং চালানো শুরু করি এই অনুভূতি ছিলো অসাধারণ ।


বাইকটিতে ৯.৮০ nm এর DTS-i ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে,সামনে ১৩০০mm এব‌ং পেছনে ১১০mm ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে, বাইকটিতে ডিজিটাল স্পিডোমিটার ব্যবহার করা হয়েছে । বাইকটি আমি ৮  বার সার্ভিস করেছি প্রত্যেকবারই সাকিল সার্ভিসিং থেকে সার্ভিস করেছি এবং তারা খুব সুন্দর ভাবে আমার বাইকের সার্ভিস করেছে‌।

২৫০০ কিলোমিটার পূর্বে আমি বাইকটির মাইলেজ পেতাম ৫৫-৫৬ কিন্তু ২৫০০ এর পর কিছু কাজ করায় এখন ৫৮-৬০ মাইলেজ পেয়ে থাকি। বাইকটি আমি সর্বোচ্চ যত্নসহকারে ব্যবহার করি , সময়মতো ইঞ্জিন অয়েল,এয়ার ফিল্টার চেন্জ করে বাইকটি সুন্দর ভাবে মেইনটেনেন্স করে থাকি।


বাইকটিতে আমি Bajaj DTS-i 20W50 প্রিমিয়াম ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি যেটার মূল্য ৫২০ টাকা এবং এটি ব্যবহারের ফলে আমি বাইকটিতে অনেক ভালো পারফরমেন্স পেয়ে থাকি। বাইকটিতে কোন সমস্যা না হওয়ায় সেরকম কোন পার্টস পরিবর্তন করি নি শুধুমাএ সময়মতো এয়ার ফিল্টার, ইঞ্জিন অয়েল ফিল্টার পরিবর্তন করেছি । বাইকটিতে আমি কোন প্রকার মডিফাই করি নাই। বাইকটি দিয়ে আমি সর্বোচ্চ ৯০ টপ স্পিড তুলেছিলাম।


Bajaj Discover 110 বাইকটির কিছু ভালো দিক -

  • বাইকটি চালানোর সময় অনেক comfortable অনুভব হয়।
  • বাইকটির মাইলেজ অনেক ভালো।
  • বাইকটির কন্ট্রোল অনেক ভালো ।
  • পিলিয়ন সহ লং রাইডে কোন সমস্যা হয় না ।
  • বাইকটির লুক অনেক ভালো।


Bajaj Discover 110 বাইকটির কিছু খারাপ দিক -

  • বাইকটি ৬০+ এ ভাইব্রেশন হয়
  • হেডলাইটের আলো একটু কম
  • ব্যাটারি সমস্যা করে 
  • শীতকালে স্টার্ট এ সমস্যা হয়
  • কতেল এর সিংনাল এ সমস্যা করে

বাইকটি দিয়ে আমি ২৩০ কিলোমিটার লং ট্যুর করেছিলাম পারফরমেন্স অনেক ভালো পেয়েছিলাম এবং কোন রকম ব্যাকপেইন হয় নাই অনেক সুন্দর ভাবে ট্যুর টা কমপ্লিট করেছিলাম।


আমি মনে করি বাংলাদেশের সেরা বাইকগুলোর মধ্যে Discover 110 একটি। ছোট ছোট লং ট্যুর , অফিস , স্কুল , কলেজ গামী মানুষের জন্য এটি বেস্ট বাইক বলে মনে করি , পারফরমেন্স এর দিক দিয়ে অসাধারণ একটি বাইক সবমিলিয়ে গুড লুক এবং ভালো পারফরমেন্স মিলিয়ে বাইকটি আমার কাছে সেরা মনে হয়েছে। ধন্যবাদ । 


লিখেছেনঃ নিয়াম 

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।