ধামরাইয়ের ৫০০ বছর পুরাতন বটগাছ ভ্রমন কাহিনী - লিমা সিমু
This page was last updated on 30-Jul-2024 09:10am , By Shuvo Bangla
আমি লিমা সিমু । একজন ভ্রমন প্রেমিক বলতে পারেন । আপনাদের সাথে আমি Znen T10 নিয়ে ধামরাইয়ের ষাইট্টা গ্রামের ৫০০ বছর পুরাতন বটগাছ ভ্রমন কাহিনী শেয়ার করবো ।
ধামরাইয়ের ৫০০ বছর পুরাতন বটগাছ ভ্রমন কাহিনী
দুরত্বের দিক দিয়ে শর্ট ট্যুর হলেও সময়ের দিক দিয়ে মোটেও কোন শর্ট ট্যুর ছিল না । রুট প্ল্যান ছিল উত্তরা দিয়াবাড়ি, বেড়িবাধ হয়ে বিরুলিয়া, আরকান বাজার, সাভার ডেইরিফার্ম, আরিচা রোড হয়ে কালামপুর, সর্বশেষ ষাইট্টা।
কালামপুরের পর থেকে রাস্তার দুপাশে যতদূর চোখ যায় শুধু সরিষার ক্ষেত আর সরিষার ক্ষেত। ষাইট্টা গ্রামে প্রবেশ করার দেখি দুইপাশে লেবু বাগান, গাছে লেবু পেকে হলুদ হয়ে গেছে। রোড থেকে বটগাছ পযর্ন্ত পৌছতে প্রায় আধা কিলোমিটার অফরোডিং করতে হয়েছিল।
বটগাছ টি ৫ বিঘা জমির উপর বিস্তৃত; মূল শিকর ছাড়াও দূর পর্যন্ত আরও শিকর মাটির উপর আশেপাশে বিস্তৃত। দূর দূরান্ত থেকে লোকজন এ বটগাছটি দেখতে আসেন। কেউ সাহস পান না এ গাছটি কাটতে। কথিত আছে যে এক কৃষক গাছটির ডাল কেটেছিল; তারপর সে অসুস্থ হয়েছিল। পরবর্তীতে সে কৃষক গাছটির পাশে একটি মন্দির স্থাপন করেন।
বটগাছ দর্শন ও ঘুরাঘুরির পর ফেরার সময় একটা লেবু বাগানে দাড়ালাম। অবাক করার বিষয় হলো যে লেবুগুলো গাছে পেকে পরবর্তিতে নষ্ট হয়ে মাটিতে ঝরে পড়ছে।
কিছুদূর এগিয়ে বিশাল এক সরিষা ক্ষেতে প্রবেশ করলাম। সরিষার আলাদা একটা ঘ্রান চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। মনে হচ্ছিল দূরে জেট বিমানের ইঞ্জিনের শব্দ; পরে বুঝতে পারলাম মৌমাছি ও মৌচাক এর শব্দ। সুন্দর ও বিশাল সরিষার ক্ষেতের উপর ড্রোন উড়ালাম।
সুন্দর একটি দিন কাটিয়ে আরিচা মহাসড়ক দিয়ে গাবতলী হয়ে সোজা বাসায় চলে আসি সন্ধার আগেই। ওহ ঘুরাঘুরির সময় ছবি তুলি ও আমার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করি এবং ড্রোন উড়িয়েছে। খুব ভালো একটি ডে লং ট্যুর ছিল । ধন্যবাদ ।