মোটরসাইকেল রাইডিং সেফটি টিপস – নিরাপদে রাইড করুন
This page was last updated on 09-Jul-2024 05:44pm , By Saleh Bangla
মোটরসাইকেল রাইড করা এক ধরনের এডভেঞ্চার। যদিও এখন অনেকেই অফ রোডের জন্য কিছু ক্ষেত্রে ফোর হুইল ড্রাইভ করে আনন্দ পান। যদিও মোটরসাইকেল এডভেঞ্চারাস তবে বিপদজনকও বটে। তাই একজন মোটরসাইকিলিস্টকে মোটরসাইকেল চালানোর সময় খুব সর্তক থাকতে হয়। সেই সেফটির উপর ভিত্তি করে আজকে আমরা আপনাদের সামনে মোটরসাইকেল রাইডিং সেফটি টিপস – নিরাপদে রাইড করুন বিষয়টি তুলে ধরব।
মোটরসাইকেলের সেফটি শুধুমাত্র সেফটি গিয়ার পরে রাইড করলেই হয় না এর সাথে আরো অনেক কিছুর সম্বনয় করতে হয়। সেফটির বিষয়টি আপনার বাইক চালানোর ধরন বা রাইডিং, প্র্যাক্টিস, অভিজ্ঞতা এবং সময়ের উপর অনেকখানি নির্ভর করে। কিন্তু আজকে আমরা আপনাদের কাছে মোটরসাইকেল সেফটি টিপস এর বেসিক কিছু রুলসগুলো বা নিয়ম তুলে ধরব । সেফটির নিয়ম-কানুনগুলো মেনে চললে একজন মোটরিস্ট দূর্ঘটনা থেকে এড়িয়ে ভাল ভাবেই রাইডিং করতে পারবেন। এছাড়াও যে কেউ এসব সেফটি নিয়ম গুলো ধীরে ধীরে রাইডিং এর সাথে সাথে বাড়তে থাকবে এবং অভিজ্ঞতার সাথে রাইডিং করতে পারবেন। চলুন দেখে আসি বেসিক মোটরসাইকেল রাইডিং সেফটি টিপসগুলো কি কি।
Also Read: Motorcycle Riding Footwear - Scenario of Bangladesh
মোটরসাইকেল রাইডিং সেফটি টিপস – সব সময় বাইক চেক করবেন
মোটরসাইকেল সেফটির সব থেকে বেসিক টার্ম হল বাইক চেক করা । সেফ রাইডের জন্য আগে আপনার মোটরসাইকেল ফিট এবং কোন সমস্যা নেই সেই দিকটাই শিউর হন । তাই সব সময় রাইডের আগে বাইক চেক করে নেবেন । এই বেসিক প্র্যাক্টিসে অভ্যস্ত হন । বাইকের ব্রেক, ক্লাচ, গিয়ার, লাইট, সিংনালস, ফুয়েল এবং ফ্লুয়েড লেভেল চেক করা যেটা মোটরসাইকেল চেকিং এর বেসিক রুলস মোটরসাইকেলের । এই কাজটি করার জন্য মাত্র কয়েকটি মিনিট লাগে কিন্তু এতে করে আপনি সেফ থাকবেন । এই অভ্যাসটি রোডে আপনাকে দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা করবে । তাই লং রাইডের আগে আপনার অবশ্য উচিত আপনার বাইকটি চেক করা । চেকের কারনে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার বাইকে কোন সমস্যা আছে কি না । যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে আপনার উচিত মেইনটেন্স করা এবং টেকনেশিয়ান এর পরামর্শ নেওয়া ।
মোটরসাইকেল রাইডিং সেফটি টিপস – সেফটি গিয়ার এবং এ্যাপারেল পরিধান করা
সেফটি গিয়ার পরিধান করা মোটরসাইকেলিস্ট সেফটির আর একটি গুরুত্বপূর্ন কাজ । হেলমেট, বুটস এবং গ্লোভস পরিধান করার অভ্যাস করুন । এটা আপনাকে ধূলা-বালি, এয়ার প্রেশার এবং অন্যান্য সব কিছু থেকে রক্ষা করবে এবং আপনাকে কর্ম্ফোট দেবে । এটা সত্যি যে মোটরসাইকেল সেফটি গিয়ার কারো জীবন বাচায় এমন না কিন্তু এগুলো আপনার দূর্ঘটনার সময় আঘাতের পরিমান কম করে। এছাড়াও খারাপ সময়ে এগুলো আপনাকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে। সেফটি গিয়ার পরিধান করলে আপনি অনেক কনফিডেন্স এবং কর্ম্ফোট বোধ করবেন । তাই সেফটি গিয়ার পরিধানের বিষয় সিরিয়াস হন । আপনার চালানোর অভ্যাস, প্যার্টান এবং আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে সেফটি গিয়ার চয়েজ করুন । অবশ্যই এগুলো আপনার সেফটি লেভেল বাড়িয়ে দেবে ।
মোটরসাইকেল রাইডিং সেফটি টিপস – মোটরসাইকেলের বেসিক টুলস সাথে রাখুন
মোটরসাইকেলের বেসিক টুলস সাথে রাখা মোটরসাইকেলিস্ট সেফটি টিপস এর আর একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় । মোটরসাইকেলের টুলস বহন করা খুব প্রয়োজনীয় বিষয় । একজন মোটরিস্ট এর উচিত বেসিক টুলস এর ব্যবহার জানা । টুলস এর উপর বেসিক নলেজ থাকার ফলে আপনি যে কোন সমস্যা থেকে মুখোমুখি হতে পারবেন এবং সহজে দূর করতে পারবেন । ধরেন আপনি টুলস ব্যবহার করতে জানেন না কিন্তু অন্য কেউ আপনাকে সাহায্য করতে পারে যদি আপনার মোটরসাইকেলের জন্য সঠিক টূলস থাকে । ধরেন আপনি জানেন না কিভাবে স্পার্ক প্লাগ খুলতে হয় বা টায়ার পাঞ্চার হলে কি করতে হয় । কিন্তু যদি আপনার কাছে সঠিক টুলস থাকে তাহলে যে কেউ আপনাকে সাহায্য করতে পারবে । তাই মোটরসাইকেলের টুলস ব্যবহার কিভাবে করে সেগুলো জানার চেষ্টা করুন এবং সাথে করে সব সময় মোটরসাইকেল টুলসগুলো রাখুন । আবারো বলছি সবসময় টুলসগুলো সাথে রাখুন কারন যে কোন সময় টুলসগুলো আপনাকে সাহায্য করতে পারে । তাই টুলসগুলো লাগেজের ভিতরে বা মোটরসাইকেলের মধ্যে রাখবেন না।
মোটরসাইকেল রাইডিং সেফটি টিপস – দরকারি কাগজপত্র এবং যথেষ্ট পরিমান টাকা সাথে রাখুন
সব সময় রাইডের সময় দরকারি কাগজপত্র এবং যথেষ্ট পরিমান টাকা সাথে রাখুন । যে কোন সময় যে কোন অফিসার আপনার বাইকের ড্রাইভিং লাইসেন্স, মোটর রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ইন্সুরেন্স এবং ফিটনেস সার্টিফিকেট দেখতে চাবে এবং আপনি তা দেখাতে বাধ্য থাকিবেন তাই সাথে সব সময় এগুলো কাগজপত্রগুলো সাথে রাখুন । আবার রাইড করার সময় পর্যাপ্ত পরিমানে টাকা সাথে রাখবেন । যদিও আপনি লং রাইডে যাচ্ছেন না কিন্তু হয়ত কোন সমস্যার জন্য আপনার রাস্তায় টাকা লাগতে পারে । এছাড়াও সাথে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড রাখুন কিন্তু যথেষ্ট টাকা ও রাখুন । এটা আপনাকে সাহায্য করবে যদি ইলেক্ট্রনিক্স কার্ড কাজ না করে ।
Also Read: KAWASAKI RIDING JACKET Price In BD
মোটরসাইকেলিস্ট সেফটি টিপস – আবহাওয়ার অবস্থা দেখুন
যখন রাইড করবেন তার আগে আবহাওয়ার দিকে লক্ষ্য রাখুন । আবহাওয়া মোটরসাইকেল রাইডারদের উপর ভাল ইম্প্যাক্ট এর প্রভাব ফেলে । মোটরসাইকেল খোলা যানবাহন যেটার কোন শেড নেই রাইডারকে রোদ, বৃষ্টি এবং বাতাস থেকে রক্ষা করার জন্য । যদি আপনি লং রাইডে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আবহাওয়ার অবস্থা দেখে নেবেন । আপনি যেখানে ট্যুরে যাবেন সেখানকার আবহাওয়া সর্ম্পকে জেনে তারপর রওনা দেবেন । এটা আপনাকে সেফ এবং সেফটি রাইডের জন্য সাহায্য করবে ।
মোটরসাইকেলিস্ট সেফটি টিপস – সঠিক পরিমান ব্রেক, খাবার এবং রেস্ট নেবেন
যখন লং ট্যুরে যাবেন তখন অবশ্যই করে যথেষ্ট রেস্ট এবং ব্রেক নেবেন আপনার কর্ম্ফোটেবল এর জন্য । এটা মোট্ররিস্ট এর স্টামিনা এবং রাইডিং আনন্দদায়ক করে তুলবে । অতএব এটা বেসিক প্র্যাক্টিস মোটরসাইকেলিস্ট এর জন্য । রেস্টের সময় মোটরিস্ট এর উচিত হাল্কা খাবার খাওয়া এবং প্রচুর পরিমানে পানি পান করা । এটা আপনাকে ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা করবে । কিছু কিছু সময় রাইডাররা মনে করে যে ব্রেক বা রেস্ট নেওয়ার দরকার নেই কিন্তু হঠাৎ করে আপনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন । তাই এগুলো থেকে এড়িয়ে চলার জন্য এক্সপেরিয়্যন্সড রাইডার সবসময় রেস্ট নেয় রাইডিং এর সময় ।
মোটরসাইকেলিস্ট সেফটি টিপস – ট্রাফিক রুলস মেনে চলুন
ট্রাফিক রুলস মেনে চলা প্রতিটা রাইডার এর উচিত । এটি পুরো বিশ্বের নিয়ম-কানুন ট্রাফিক রুলস মেনে চলা আপনার জন্য এবং যারা রোডে চলাচল করে । আপনি কোনভাবে ট্রাফিক রুলস না মেনে চলতে পারবেন না । কিছু কিছু জায়গায় ট্রাফিক রুলস এক এক রকম । কিন্তু আপনার উচিত ট্রাফিক রুলস মেনে চলা এবং এগুলো না মেনে চললে কি হয় সেগুলো জানা । তাই সব সময় ট্রাফিক মেনে চলুন আপনি যেখানেই রাইড করেন না কেন ।
Also Read: BBG Riding Jacket – Captain Black Price In BD | BikeBD
মোটরসাইকেলিস্ট সেফটি টিপস – ধৈর্য ধরুন
সবশেষে সব থেকে গুরুত্বপূর্ন টিপস হল রোডে চালানোর সময় ধৈর্য ধরুন । প্লিজ কোন ভাবে রোডে চালানোর সময় তাড়াহুড়ও করবেন না । এটা হল মোটরসাইকেলিস্টের সব থেকে ভাল গুনাগুন । এটাই হল যে কোন জায়গায় রাইড করার সব থেকে সেফটি থাকার মূল চাবি কাঠি । তাই ধৈর্যের সাথে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করুন । মনে রাখবেন যদি আপনি রেগে যান বা অতিরিক্ত উত্তেজিত হয়ে যান তাহলে আপনি কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলবেন এবং বড় রকমের দূর্ঘটনার শিকার হতে পারেন । মোটরসাইকেল রাইডার হিসেবে আপনার জানা আছে যে অতিরিক্ত উত্তেজিত হলে কি রকম সমস্যা হতে প্রারে । তাই রাস্তায় যে কোন পরিস্থিতে মাথা ঠান্ডা রাখুন।
অতএব পাঠকেরা এই ছিল মোটরসাইকেলিস্ট সেফটি এর বেসিক টিপস এবং রুলস । এছাড়াও মোটরসাইকেল রাইডিং সেফটির জন্য অনেক রুলস এবং টিপস আছে যার অভাব নেই । অতএব আপনাদের এক্সপেরিয়্যান্স আমাদের সাথে শেয়ার করুন । চলুন মোটরসাইকেলিস্ট এবং অন্যান্যদের জন্য আমরা রাস্তা নিরাপদ করে তুলি । ধন্যবাদ সবাইকে ।