মোটরসাইকেল চালানোর অসংখ্য উপকারিতা বিস্তারিত - বাইকবিডি
This page was last updated on 19-Aug-2024 12:07am , By Shuvo Bangla
মোটরসাইকেল মানেই বিপদ নয়। বরং আপনার প্রিয় বাহনটি নিয়মিত চালালে আপনি শারীরিক এবং মানসিকভাবে অনেক উপকার পেতে পারেন। মোটরসাইকেল চালানোর উপকারিতা প্রচুর।
মোটরসাইকেল চালানোর উপকারিতা
১. মোটরসাইকেল চালালে আপনার হাঁটু এবং থাইয়ের জোর বাড়ে। যাঁরা মোটরসাইকেল চালান, তাঁদের হাঁটুর সমস্যা বাকিদের থেকে তূলনামূলক কম হয়।যেসকল মাংশপেশিগুলি হাঁটুর হাড়গুলি সঠিক জায়গায় ধরে রাখতে সাহায্য করে্ মোটরসাইকেল চালালে সেই মাংসপেশিগুলির জোর বাড়ে।
২. মোটরসাইকেল নাড়াচাড়া করতে, বিশেষত অল্প গতিতে মোটরসাইকেল এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ফলে পেটের আশেপাশে থাকা মাংসপেশিগুলির জোর বাড়ে।
৩. মোটরসাইকেল চালানোর শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে। ফলে, শরীরে ফ্যাট কম জমে। ফলে বাড়তি ওজন ঝরানো ছাড়াও ব্লাড সুগার লেভেল কমে। যাঁদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস রয়েছে, তাঁরা এর ফলে বিশেষ ভাবে উপকৃত হন।
৪. বাতাসের বিপরীতে মোটরসাইকেল চালানোর ফলে লক্ষ্যণীয়ভাবে শরীরের ক্যালোরি ঝরে। শুধু তাই নয়, হাওয়ার বিরুদ্ধে শরীরকে মোটরসাইকেলের উপরে ধরে রাখার ফলে শরীরের মাংসপেশিগুলির জোর বাড়ে। যাঁরা প্রোফেশনালি রেসট্র্যাকে মোটরসাইকেল রেস করেন, তাঁরা ঘণ্টায় ৬০০ ক্যালোরি পর্যন্ত ঝরাতে পারেন। অন্যদের ক্ষেত্রে ২০০ থেকে ৩০০ কমপক্ষে ২০০ থেকে ৩০০ ক্যালোরি ঝরে।
৫. আপনার মোটরসাইকেলটি যদি আপনার সাথে পুরোপুরি খাপ না খায়, বা মোটরসাইকেলে বসতে অসুবিধা হয়, তাহলে আপনার ব্যাকপেইন, শোল্ডার পেইন, ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। কিন্তু একটু সতর্ক হয়ে মানানসই মোটরসাইকেল ব্যবহার করলে এবং সর্বদা হেলমেট পড়লে আপনার ঘাড়ের হাড় মজবুত হয়।
৬. মোটরসাইকেলে একটা লং রাইড করে আসার পরে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেশ সতেজ লাগে। মোটরসাইকেল চালানোর সময়ে রোজকার বিভিন্ন সমস্যা ভুলে থেকে মানসিকভাবে চাঙ্গা হওয়া যায়। মোটরসাইকেল চালানোর সময়ে শরীর থেকে বেশি পরিমাণে এন্ডোরফিনস নামে একটি রাসায়ণিক বেরিয়ে যায় যা আপনাকে মানসিকভাবে চাঙ্গা হতে সাহায্য করে।
আমাদের অনেকের মধ্যেই একটি ভ্রান্ত ধারনা রয়েছে যে মোটরসাইকেল রাইডিং শরীরের অনেক ক্ষতি করে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, মোটরসাইকেল চালানোর উপকারিতা অসংখ্য। রাইডিং আমাদের শরীরের প্রচুর উপকার করে এবং মোটরসাইকেল রাইডিং এর মাধ্যমে আমরা প্রতিদিন আরেকটু বেশি ফিট এবং শক্তিশালি হই।